Skip to content

অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় হিসেবে ব্লগিং: প্রমান দেখুন

বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় কোনটি? কোন উপায় ব্যবহার করে আপনি কিছু দিনের মধ্যেই ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? কোন উপায় ব্যবহার করে বেশিরভাগ অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সর্বাধিক রোজগার করার সুযোগ পাচ্ছেন? এই প্রত্যেক প্রশ্ন গুলো নিয়ে আজ প্রত্যেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন।

অনলাইনে সহজে টাকা কামানোর উপায় এমনিতে প্রচুর রয়েছে। যেমন ধরুন, একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, ব্লগিং এর মাধ্যমে বা অনলাইনে কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে প্রচুর টাকা কামানোর সুযোগ পাবেন।

আমি নিজেই গত ৬ বছর থেকে অনলাইনে ফুল-টাইম কাজ করে নিয়মিত টাকা রোজগার করে নিচ্ছি।

চাকরির কোনো ধরণের চাপ নেই, কাজের চাপ কিছুটা থাকলেও সেটা অনেক সামান্য। আমি নিজের সুবিধা, পছন্দের সময়, জায়গা এবং মন মতো কাজ করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভাবে স্বাধীন। এছাড়া, আমার ওপরে কোনো boss বলতে কেও নেই, তবে আমার নিচে ২-৩ জন রাইটার রয়েছেন যারা আমার জন্য আর্টিকেল লিখেন।

তাহলে, আমি অনলাইনে টাকা কামানোর কোন সহজ উপায়টির কথা বলছি? এবং কেন এই উপায়টিকে সহজ এবং সুবিধাজনক বলে উল্লেখ করেছি?

এখানে আমি Blogging-এর কথা বলছি। বর্তমান সময়ে internet থেকে online income করার সব থেকে দুর্দান্ত, সেরা এবং কার্যকর উপায় হলো এই blogging business-টি। আমি গত ৫-৬ বছর ধরেই নিজের জীবন সম্পূর্ণ ভাবে এই blogging income থেকেই চালিয়ে চলেছি।
এবং, আলাদা ভাবে একটি চাকরি করার প্রয়োজন এখনো পর্যন্ত আমার অনুভব হয়নি।

Blogging-কে আমি কেন টাকা কামানোর সহজ উপায় হিসেবে এই আর্টিকেলে বলতে চেয়েছি সেটা নিচে সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই চলুন। তবে তার আগে, blogging কি? সেটা সংক্ষেপে জেনেনেই চলুন।

ব্লগিং মানে কি – What is blogging in Bengali
Blogging হলো সেই প্রক্রিয়াটি যেখানে আপনি নিজের একটি website বা blog site তৈরি করেন যেটাকে সাধারণত blog বলা হয়। আপনার এই ব্লগের মধ্যে আপনি নিজের পছন্দের একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে নিজের চিন্তা-ধারা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, বা তথ্য গুলোকে কনটেন্ট এর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন।

একটি ব্লগ এর মধ্যে একাধিক article বা post গুলো থেকে থাকে যেগুলোকে মূলত কথোপকথন এবং তথ্যমূলক শৈলীতে লেখা হয়। এছাড়া এই আর্টিকেল গুলোতে নানান মিডিয়া এলিমেন্ট গুলো যেমন video, images, graphics ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

টাকা কামানোর সহজ উপায় গুলোর মধ্যে ব্লগিং কেন সেরা?
“এমন একটি ব্যবসার কল্পনা করুন যেটা শুরু করার জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগ প্রয়োজন, যেখানে আপনি নিজের সৃজনশীলতা (creativity) প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং যেখান থেকে যথেষ্ট আয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। ব্লগিং জগতে স্বাগতম।”

যখন কথা আসছে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার তখন আমার হিসেবে blogging-এই সেই সেরা মাধ্যম বা উপায় যার দ্বারা সহজে এবং সুবিধাজনক ভাবে আনলিমিটেড টাকা রোজগার করা সম্ভব।

ব্লগিং করে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা রোজগার করার বিষয়টা একটি অনেক সাধারণ ব্যাপার। Blogging-এর সাধারণ নিয়ম, স্কিল এবং নানান উপাদান গুলো জানার মাধ্যমে আপনি অনেক তাড়াতাড়ি এই পরিমান ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

এছাড়া, চাকরির পাশাপাশি blogging শুরু করে নিজের খালি সময়ে কাজ করার সুবিধাও এখানে রয়েছে। আমিও শুরুতে চাকরির পাশাপাশি ব্লগিং শুরু করে ধীরে ধীরে নিজের ব্লগের ট্রাফিক এবং ইনকাম বৃদ্ধি করেছি। এবং ওপরে যা আমি বললাম, আজ আমি সম্পূর্ণ ভাবে full-time blogging করে নিজের জীবন সুন্দর ভাবে কাটিতে চলেছি।
চলুন, নিচে আমরা সরাসরি জেনেনেই, অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ এবং কার্যকর উপায় গুলোর মধ্যে কেন ব্লগিং (blogging) আমার সেরা পছন্দ।

১. ইনকামের প্রমান:
যেকোনো কাজ শুরু করার আগে যদি সেই কাজের থেকে হওয়া প্রকৃত আয়ের প্রমাণ গুলো আমরা পেতে পারি, তাহলে কাজটি শুরু করাটা আমাদের পক্ষ্যে অনেক সহজ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, যখন আমরা ইনকামের প্রমান পেয়ে থাকি তখন কাজটির ওপর এক ধরণের বিশ্বাস চলে আসে এবং কষ্ট করার বিপরীতে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা যে অবশই আছে, সেটা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এখন, ইন্টারনেটে বা YouTube-এর মধ্যে গিয়ে Blogging income proof টাইপ করে দেখলেই আপনারা এমন হাজার হাজার লোকেদের blogging income এর প্রমান গুলো দেখে নিতে পারবেন যারা প্রতি মাসে কমেও ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা শুধুমাত্র একটি ব্লগ থেকেই ইনকাম করছেন।
এছাড়া, আমি নিজেই আমার ব্লগ থেকে নিয়মিত ইনকাম করে চলেছি। তাই, ব্লগিং করে যে একটি সাধারণ চাকরির তুলনায় অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যাবে, সেটা আমার থেকে বেশি আর কে বুঝবেন।

নিচে আমি blogging থেকে হওয়া আমার গত মাসে income report আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

এমন একটি online work বা online business যেটা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ লোকেরা করছেন এবং প্রতি মাসে হাজার হাজার আবার অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন সেই কাজটিকে যদি সহজ না বলা যায় তাহলে কোন কাজ টি বা সহজ।

২. ন্যূনতম বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন:
Blogging, হলো অনলাইনে আনলিমিটেড টাকা রোজগার করার এমন একটি উপায় যার দ্বারা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও অনেক সামান্য বা ন্যূনতম বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এটি শুরু করা যায়।

বছরে প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা ইনভেস্ট করে আরামে blogging শুরু করা যাবে। আবার, Blogger.com-এর মতো platform ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতে নিজের একটি প্রফেশনাল ব্লগ সাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।

অনেকেই আছেন, যারা টাকা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হওয়ার কারণে আলাদা ভাবে কোনো ধরণের ব্যবসা বা কাজ শুরু করার কথা ভাবতে পারেননা।

Blogging থেকে যে সত্যি লক্ষ লক্ষ টাকা লোকেরা ইনকাম করছেন এবং এটি শুরু করার ক্ষেত্রেও আপনার কোনো ধরণের বড় বিনিয়োগ এর প্রয়োজন নেই, অন্তত এটা জানার পর অনেকের জন্য blogging অনলাইনে টাকা কামানোর একটি অনেক সহজ উপায় হিসেবে অবশই মনে হচ্ছে হয়তো।

৩. সহজেই শেখা যায়:
আপনি ভেবে দেখুন, blogging শুরু করাটা যদি এতটাই কঠিক কাজ তাহলে স্কুল-কলেজে পড়া বাচ্চারা পর্যন্ত কিভাবে ব্লগিং করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন? মনে রাখবেন, যেকোনো কাজ কেবল তথন অনেক সহজ বলে মনে হবে যখন মনের মধ্যে কাজটি করার সম্পূর্ণ ইচ্ছা থাকার পাশাপাশি নিজের কাজের ওপর আপনার চরম বিশ্বাস থেকে থাকবে।

এছাড়া বর্তমান সময়ে blogging শেখাটা কোনো জটিল বিষয় মোটেও না। আপনি YouTube-এর মধ্যে গিয়ে ব্লগিং এর সাথে জড়িত নানান ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো দেখার মাধ্যমে ১ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই blogging-এর বিষয়ে সম্পূর্ণ স্পষ্ট জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।

৪. প্যাসিভ ইনকামের সেরা উপায়:
আপনি যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম করার এমন একটি উপায় খুঁজছেন যেখানে কাজ না করেও নিয়মিত টাকা ইনকাম করা যাবে, তাহলে আমার হিসেবে এক্ষেত্রেও আপনাকে blogging শুরু করা উচিত।

কেননা, শুরুতে সময় দিয়ে নিয়মিত কাজ করার প্রয়োজন আছে যদিও একবার আপনার ব্লগে নিয়মিত হাজার হাজার traffic/user প্রবেশ করতে শুরু করলে, তারপর নিয়মিত কাজ না করলেও টাকা কিন্তু নিয়মিত ইনকাম করেই থাকবেন।

যদি আমার কথা বলেন, আমি আমার ব্লগে সপ্তায় ৩-৫ দিন কাজ করি এবং যখন যেখানে যেতে মন করে সেখানে চলে যাই। মাসখানিক কাজ না করে বেড়াতে বেরিয়ে গেলেও, আগের করা আমার কাজ গুলোর জন্য নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম অবশই হতে থাকবে।

নিজের ব্লগে একবার কোনো আর্টিকেল পাবলিশ করলে, সেই আর্টিকেল আপনাকে চিরজীবন ইনকাম করে দিতে পারে। ধরুন আপনার ব্লগে টোটাল ৫০০-টি আর্টিকেল রয়েছে। প্রতিটি আর্টিকেল থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতি মাসে কমেও $1 ইনকাম হচ্ছে। তাহলে ৫০০-টি আর্টিকেল থেকে টোটাল $500 ইনকাম আরামে হয়ে যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে, যদি আপনি নতুন করে কোনো আর্টিকেল পাবলিশ নাও করেন তাও আগের পাবলিশ করা সেই ৫০০-টি আর্টিকেল থেকে নিয়মিত কোনো কাজ না করেই $500 প্যাসিভ ইনকাম হতেই থাকবে।
আর এটাই মূল কারণ কারণ যার জন্য blogging-কে আমি অনলাইনে টাকা কামানোর সব থেকে সহজ উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছি।

৫. যত বেশি কাজ করবেন ততটা বেশি ইনকাম হবে:
Blogging-হলো এমন একটি online business model যেখানে যত অধিক কাজ করতে পারবেন ততটাই অধিক ইনকামের সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে। এটা আমি সম্পূর্ণ ভাবে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার থেকে বলছি।

নিয়মিত যত অধিক আর্টিকেল নিজের ব্লগে পাবলিশ করবেন ততটাই অধিক user/visitor আপনার ব্লগে প্রবেশ করবেন। এতে, affiliate marketing, AdSense ইত্যাদি নানান মাধ্যমে প্রচুর ইনকামের সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।

এছাড়া, শুরুতে একটি ব্লগে কাজ করলেও সময়ে সময়ে নতুন নতুন ব্লগ চালু করে একাধিক ব্লগের দ্বারা ইনকামের পরিমান দুগুণ থেকে তিনগুন বাড়ানো যাবে। আর আমার হিসেবে এটাই মূল কারণ যার জন্য ব্লগিং, ইন্টারনেট থেকে সহজে আনলিমিটেড টাকা কামানোর একটি সহজ উপায়।

৬. ইনকামের নানান উপায় গুলো রয়েছে:
Blogging হলো এমন এক উপায় যার দ্বারা আপনি নানান মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

নিজের ব্লগে নিয়মিত কাজ করার পর যখন আপনার ব্লগে প্রচুর visitors/traffic আসতে শুরু করবে, তখন আপনি Google AdSense-এর মাধ্যমে ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে বা affiliate marketing করে নিজের ব্লগ থেকে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, blogger-রা গুগল এডসেন্স দ্বারা নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনেক সহজে ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। আমিও আমার ব্লগে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করছি।

৭. অবসর সময়ে কাজ করার সুবিধা:
ওপরে ব্লগিং এর সুবিধা গুলো জানার পর এবং blogging-এর মাধ্যমে যে অনেক সুবিধাজনক ভাবে কোনো বিনিয়োগ ছাড়া প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাওয়া যাবে, এটা বুঝে নেওয়ার পর এখন হয়তো আপনিও blogging শুরু করার কথা ভাবছেন।

যদি সত্যি এটাই ভাবছেন, তাহলে অবশই শুরু করুন। আপনি নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি বা চাকরির পাশাপাশি একটি blog তৈরি করে blogging শুরু করতে পারবেন। আপনাকে কেবল নিজের অবসর সময়ে কাজ করলেই হবে।

আপনি নিজের সুবিধা মতো যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গার থেকে নিজের ব্লগে কাজ করার স্বাধীনতা পাবেন। আর তাই, এটাও একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ যার জন্য আমি blogging-কে টাকা ইনকামের সহজ উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছি।

Blogging কিভাবে শুরু করবেন?
ব্লগিং (blogging) কিভাবে শুরু করবেন, এর সম্পূর্ণ গাইড এমনিতে আমি আগেই আপনাদের দিয়েছি। তবে এখানে আমি আপনাদের সরাসরি সেই প্রত্যেকটি জরুরি ধাপ গুলোর বিষয়ে বলে দিচ্ছি যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে blogging শুরু করা যাবে।

১. ডোমেইন রেজিস্টার:
Blogging শুরু করার জন্য সবচেয়ে আগেই আপনাকে নিজের ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেইন নাম রেজিস্টার করতে হবে। যেভাবে আমাদের এই ব্লগের ডোমেইন নামটি হলো, banglatech.info, ঠিক সেভাবেই আপনাকেও নিজের ব্লগের একটি domain name রেজিস্টার করতে হবে।

Godaddy, namecheap ইত্যাদি নানান জনপ্রিয় domain registration company গুলো রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে কেবল ৫০০-৭০০ টাকা দিয়ে একটি ডোমেইন কিনে নিতে পারবেন।

২. কোন বিষয়ে ব্লগ লিখবেন:
আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে নিজের ব্লগে নিয়মিত পাবলিশ করবেন সেটা নিশ্চিত করুন।

ধরুন আপনি গেমিং এর বিষয়টি অনেক জানেন এবং গেমিং এর বিষয়টিতে প্রচুর রুচি রাখেন। এক্ষেত্রে, আপনি চাইলে গেমিং এর সাথে জড়িত একটি ব্লগ তৈরি করে গেমিং রিলেটেড আর্টিকেল গুলো পাবলিশ করতে পারবেন।

এছাড়া, যেকোনো ধরণের informational, tutorial, educational ইত্যাদি বিষয় গুলি নিয়েও ব্লগ শুরু করা যাবে।

৩. কোথায় ব্লগ তৈরি করবেন:
যদি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতে ব্লগ তৈরি করতে চাইছেন, তাহলে Blogger.com-এর মধ্যে গিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। এমনিতে, Blogger-এ ফ্রি ব্লগ তৈরির নিয়ম ও টিউটোরিয়াল আমি আগেই আপনাদের পুরোনো আর্টিকেলে দিয়েছি।

যদি আপনি সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে সামান্য টাকা খরচ করে ব্লগ সাইট তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি WordPress ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, WordPress-এর ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা ভাবে ওয়েব হোস্টিং কিনে নিতে হবে।

৪. কিভাবে ইনকাম করবেন:
যখন আপনার ব্লগ সাইটে গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা অন্যান্য নানান উপায়ে প্রচুর traffic/visitors আসতে শুরু করবে, তখন আপনি নিজের ব্লগে Google AdSense-এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সহজেই ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

নিজের ওয়েবসাইটটিকে Google AdSense-এর মধ্যে রেজিস্টার করার পর যদি আপনার সাইটটিকে এপ্রুভাল দেওয়া হয় তাহলে আপনাকে কিছু বিজ্ঞাপনের HTML code দিয়ে দেওয়া হয়।

ব্লগ সাইটের যেই যেই অংশে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান, সেই সেই অংশ গুলোতে এই বিজ্ঞাপনের কোড গুলিকে পেস্ট করতে হবে। এতে আপনার ব্লগ সাইটে এডসেন্স এর তরফ থেকে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং বিজ্ঞাপনে হওয়া প্রতিটি ক্লীকার বিপরীতে আপনি কিছু টাকা পেয়ে যাবেন।

FAQ:
Q. অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় গুলো কি?
আমার হিসেবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ এবং সেরা উপায় গুলোর মধ্যে blogging, YouTube channel এবং Affiliate marketing সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।

Q. ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে কি সত্যি টাকা আয় করা সম্ভব?
অবশই সম্ভব, যদি আপনি অনলাইন ইনকামের সঠিক, বিশ্বস্ত, প্রমাণিত এবং প্রকৃত উপায় গুলো ব্যবহার করছেন, তাহলে ইন্টারনেট থেকে আনলিমিটেড টাকা রোজগার করাটা সত্যি সম্ভব।

Q. Blogging করে কত টাকা কামানো যায়?
Blogging করে কত টাকা কামানো যাবে সেটা নানান বিষয় গুলোর ওপর নির্ভর করে থাকে। যেমন, আপনার ব্লগের ট্রাফিক কোয়ালিটি এবং কোয়ান্টিটি, কি কি মাধ্যমে ইনকাম করছেন, আপনার ব্লগের বিষয়টি কি ইত্যাদি। এমনিতে, একটি এভারেজ ব্লগ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১০০ থেকে ৫০০ ডলার আরামে ইনকাম করতে পাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *