Skip to content

আইপি এড্রেস কি ? এর কাজ, সংস্করণ ও বিভিন্ন প্রকার

IP address কি ? (What is IP address in bangla): বন্ধুরা এখনের সময়ে যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, তাহলে “আইপি এড্রেস (IP address)” শব্দটি অবশই একবার হলেও শুনেছেন।

একটি smartphone বা computer প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই IP address ব্যবহার করা হয়।

আসলে, ip address এর পূর্ণরূপ হলো “ইন্টারনেট প্রোটোকল এড্রেস“.

তবে এই “internet protocol address” কে, লোকেরা “IP number” বা “internet address” বলেও অনেক সময় বলেন।

এক এক করে সবটাই আমি আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলে বলবো।

তবে চলুন, নিচে আপামর বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই “আইপি এড্রেস কি”, “নিজের ip address বের করার নিয়ম কি“, “ইন্টারনেট প্রোটোকল এর কাজ কি” এবং “ip address এর ভার্সন ও প্রকার গুলো কি কি“.

আইপি এড্রেস কি ? (About IP address in bangla)

আমরা যখনি ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তখন আসলে বিভিন্ন data এবং information গুলো বিভিন্ন server computer থেকে আদান প্রদান করি।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় আমরা যেকোনো ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত data গুলো নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারে ওয়েবসাইটের মুখ্য সার্ভার থেকে গ্রহণ করি।

এবং ওয়েবসাইটের সার্ভার থেকে ডাটা (data) গ্রহণ করার পর, আমরা সেই ওয়েবসাইট এবং তার মধ্যে থাকা কনটেন্ট গুলো দেখতে পারি।

উদাহরণ স্বরূপে,

যখন আপনি YouTube এ video দেখছেন, তখন YouTube এর server থেকে ভিডিওটির সাথে জড়িত data ও information গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের ডিভাইসে গ্রহণ করছেন।

এখন, YouTube এর server থেকে data & information গুলো আমাদের কম্পিউটারে গ্রহণ করার জন্য, ইউটিউবের সার্ভার এর প্রয়োজন হবে একটি ঠিকানার (address).

কারণ ইন্টারনেটের এই মহাজালে, data প্রদান করার জন্য YouTube এর সেই সার্ভারটি একটি সঠিক এড্রেস ছাড়া, আমাদের “computer device” খুঁজে কখনোই পাবেনা।

এবং, ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় প্রত্যেক “device” গুলোর মধ্যে থাকা এই ঠিকানা (address) গুলোকেই বলা হয় “IP Address” বা “Internet protocol address“.

আইপি এড্রেস এর মাধ্যমেই, ইন্টারনেটের বিশাল জালে আপনার ব্যবহার করা device এর ঠিকানা খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

এবং, ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার পর, বিভিন্ন web server গুলো ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা আপনার কম্পিউটারের এড্রেস অনুযায়ী বিভিন্ন files, data বা information গুলো আদান প্রদান করতে পারে।

এবং যার ফলে, আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত তথ্য বা ডাটা গুলো দেখতে ও ব্যবহার করতে পারেন।

ইন্টারনেটে আপনার পরিচয় পত্র হিসেবে হিসেবে কাজ করে এই আইপি এড্রেস।

এটা আসলে ৪ টি অঙ্কের কিছু সংখ্যা যেমন, “28.107.28.109”.

এবং ইন্টারনেটে যতগুলো data আপনি আদান প্রদান (transfer/receive) করছেন, প্রত্যেকটি হচ্ছে এই “ip address” এর মাধ্যমে।

কারন আমি আগেই বলেছি, IP address হলো, ইন্টারনেটে আপনার পরিচয় ও ঠিকানা।

একটি উদাহরণ আবার দিচ্ছি,

আপনি হয়তো অনেক সময় শুনেছেন যে, ইন্টারনেটে বিভিন্ন social media website গুলোতে কিছু আপত্তিজনক ছবি বা ভিডিও আপলোড করার ফলে, পুলিশ কর্মীরা কিছু ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছেন।

শুনেছেন তো ?

এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে ? কিভাবে পুলিশ কর্মীরা বুঝতে পারলেন যে কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে কে এই কাজ করেছে ?

এর উত্তর হলো “আপলোড করা ব্যক্তিদের আইপি এড্রেস এর মাধ্যমে”.

আমি আগেই বলেছি, IP address হলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিচয় বা ঠিকানা।

এবং, ইন্টারনেট ব্যবহার করা প্রত্যেকটি device (mobile বা computer) এর ক্ষেত্রে একটি ইন্টারনেট প্রোটোকল (IP) রয়েছে।

আর তাই, যখন তারা ছবি বা ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন, সেই ডাটা তাদের ip address এর মাধ্যমেই ট্রান্সফার করা হয়েছিল।

যার ফলে, পুলিশ কর্মীরা অনেক সহজেই তাদের ধরতে পেরেছেন।

তাই, কখনোই ভাববেননা যে “ইন্টারনেটে আপনাকে কেও খুঁজতে পারবেনা বা আপনার ব্যাপারে কেও জানবেনা”.

যেভাবে, ব্যক্তিগত জীবনে আপনার একটি ঠিকানা (address) রয়েছে, ঠিক সেভাবেই আপনার ডিভাইসে ব্যবহার করা ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর একটি ঠিকানা রয়েছে।

তাহলে, “আইপি এড্রেস কি” বিষয়টি বুঝলেন তো ?

IP address কি ? (প্রযুক্তিগত ভাবে)

ইন্টারনেট প্রোটোকল এড্রেস হলো, একধরণের একটি সংখ্যার লেবেল (numerical label) যেটা প্রত্যেকটি device বা computer এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যেগুলো, যোগাযোগের ক্ষেত্রে “internet protocol” ব্যবহার করা “computer network” এর সাথে সংযুক্ত থাকে। 

এমনিতে, IP address কে সহজেই “IP” বলেও বলা যেতে পারে।

সাংখিক ভাবে থাকা এই সংখ্যার লেবেল গুলো, একরকমের unique address হিসেবে কাজ করে যার মাধ্যমে “internet” বা “local network” ব্যবহার করা “device” গুলোকে খুঁজে বের করা যেতে পারে।

যদি আপনি নিজের কম্পিউটারে বা মোবাইলে, “ইন্টারনেট” ব্যবহার করছেন, তাহলে আপনার ISP (internet service provider) দ্বারা আপনাকেও একটি আইপি এড্রেস (IP address) দেওয়া হবে।

তাহলে আশা করছি, “ইন্টারনেট প্রটোকল কি” আপনি বুঝতে পেরেছেন।

নিজের IP address বের করার নিয়ম কি ?

আমরা ওপরে, IP address এর গুরুত্ব এবং কেন আইপি এড্রেস ব্যবহার করা হয় বিষয়টা বুঝলাম।

এখন, আমাদের জন্য এটা জেনে নেওয়াটা জরুরি যে, নিজের কম্পিউটার, মোবাইল বা ল্যাপটপের IP address কিভাবে বের করবো ?

তবে, নিজের IP address খুঁজে বের করার প্রক্রিয়াটা কিন্তু অনেক সহজ এবং সরল।

চলুন, নিচে জেনেনেই।

ইন্টারনেট প্রোটোকল এড্রেস জানার উপায় আমার হিসেবে দুটি বিশেষ মাধ্যমে করা যেতে পারে।

  • Internet search এর মাধ্যমে।
  • Windows command prompt এর মাধ্যমে।

Internet search করে আইপি এড্রেস কিভাবে খুজবেন ?

নিচে আমি ৩ টি প্রক্রিয়া বলে দিচ্ছি, যেকোনো ডিভাইস এর আইপি খুঁজে বের করার।

প্রথম প্রক্রিয়া 

Step ১:

আপনি যেই device এর আইপি এড্রেস জানার চেষ্টা করছেন, সেই ডিভাইসে যেকোনো একটি “web browser” ওপেন করুন।

Step ২:

এখন, আপনি web browser থেকে “Google.com” টাইপ করে গুগল সার্চ এর ওয়েবসাইটে চলে যান।

Step ৩:

Google search এ আপনার একটি বাক্য লিখে সার্চ করতে হবে।

এবং, শব্দটি হলো “what is my IP“.

এবার, গুগল আপনাকে আপনার ব্যবহার করা device এর “public IP” দেখিয়ে দিবে।

এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে, আপনি আপনার computer, mobile বা laptop এর “public IP address” জেনেনিতে পারবেন।

দ্বিতীয় প্রক্রিয়া 

Step ১:

যেই computer বা মোবাইলের আইপির তথ্য জানার চেষ্টা করছেন, সেই ডিভাইস থেকে একটি “Web browser” ওপেন করুন।

Step ২:

এখন, একটি ওয়েবসাইট “whatismyipaddress.com” এ আপনার যেতে হবে।

Step ৩:

ওয়েবসাইটে যাওয়ার সাথে সাথেই আপনাকে আপনার IP address এর সাথে জড়িত সম্পূর্ণ তথ্য দেখিয়ে দেওয়া হবে।

যেমন,

  • আপনার public IP address.
  • IPS (কোন কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন).
  • Region (কোন জায়গায় আপনার ডিভাইস রয়েছে).
  • Country (আইপি এড্রেসটি কোন দেশে রয়েছে).

তাই, সম্পূর্ণ তথ্য গুলো আপনারা এই ওয়েবসাইট থেকে জেনেনিতে পারবেন।

তৃতীয় প্রক্রিয়া 

এই প্রক্রিয়াতে আমরা windows command prompt ব্যবহার করে একটি device এর আইপি এড্রেস কিভাবে বের করতে হয়, সেটা জানবো।

Step ১:

নিজের কম্পিউটার এর “Windows logo” র সামনে থাকা “Search Box” এ “CMD” টাইপ করে সার্চ করতে হবে।

Step ২:

এবার আপনারা  command prompt এর একটি icon দেখতে পাবেন।

সেই icon এ গিয়ে, নিজের mouse এ right click করে “run as administrator” অপসনটিতে ক্লিক করুন।

Step ৩:

এখন, আপনার কম্পিউটারে “command prompt” চালু হয়ে যাবে।

Command prompt চালু হওয়ার পর, কম্পিউটারের কীবোর্ড এর ব্যবহার করে “ipconfig” টাইপ করুন এবং তারপর “Enter” টিপুন।

Step ৪:

এখন আপনারা নিজের command prompt dialog box এর ভেতরেই, নিজের কম্পিউটারের “IPV 4” এবং “IPV6” এড্রেস গুলো দেখে নিতে পারবেন।

তাহলে বন্ধুরা, এভাবেই অনেক সহজে নিজের ডিভাইস এর আইপি এড্রেস খুঁজে বের করতে পারবেন।

IP address এর ভার্সন (version)

ইন্টারনেট প্রোটোকল এর বিভিন্ন সংস্করণ গুলোর বিষয়ে আমরা নিচে কথা বলবো।

IP address এর ভার্সন (version) মূলত দুটি রয়েছে।

  • IPV4
  • IPV6

IPV 4 

IPV এর চতুর্থ version হলো “IPV4” যেটাকে প্রথমবারের জন্য বিকশিত করা হয়েছিল, “১৯৮৩” সালে।

IP র এই চতুর্থ ভার্সন ব্যবহার করে একটি network এ সক্রিয় থাকা device গুলোকে খুঁজে বের করা সম্ভব।

কিছু “addressing system” এর ব্যবহারের মাধ্যমে এই “IPV4” গুলো কাজ করে।

IPV4 হলো, ৩২ বিট বাইনারি নম্বর।

এই IPV4 এড্রেস গুলো দেখতে কিছু এরকম “192.18.954.1“.

এই আইপির ভার্সনে কেবল সমিতি পরিমানের আইপি এড্রেস থাকতে পারে।

IPV6

ইন্টারনেট প্রোটোকল এর সব থেকে আধুনিক ও নতুন ভার্সন হলো এই IPV6.

IP র এই আধুনিক ভার্সনে, অসংখ্যক আইপি এড্রেস তৈরি হতে পারে।

IPV6 হলো ১২৮ বিট আইপি এড্রেস।

IPV4 এড্রেস এর ক্ষেত্রে কেবল সংখ্যা (numbers) ব্যবহার করা হয়।

তবে, IPV6 হলো “alphanumeric addressing system” যেখানে সংখ্যা এবং ইংরেজি অক্ষরমালা দুটোই ব্যবহার করা হয়।

IP6 ভার্সনটি ১৯৯৫ সালে উপস্থাপিত (introduced) করা হয়েছিল।

IP version 6 দেখতে এরকম হয় “2673:8763:57f:4897:092j:v2fe:8hj9:95jh“.

তাহলে বুঝতে পারলেন তো, IP address এর বিভিন্ন সংস্করণ (version) গুলোর বিষয়ে।

আশা করছি, বুঝেছেন।

IP address এর কাজ কি ?

সহজ এবং সোজা ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়ে দিচ্ছি।

ইন্টারনেট প্রোটোকল এড্রেস (IP address) এর কাজ হলো,

আপনার কম্পিউটার ডিভাইসটিকে, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সক্রিয় বিভিন্ন অন্যান্য computer device গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করা।

ধরুন, আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।

এখন, যেকোনো ওয়েবসাইটে যাওয়া মানেই, সেই ওয়েবসাইটের ডাটা ও ফাইল গুলোকে access করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, ওয়েবসাইটের server কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হওয়া।

এক্ষেত্রে, আপনার local computer device টিকে, একটি common network এর মাধ্যমে অন্যান্য computer device গুলোর সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে এই IP address.

কারণ, আইপি এড্রেস এর মাধ্যমেই, কমন নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকা একটি কম্পিউটার ডিভাইস আরেকটি কম্পিউটার ডিভাইসকে খুঁজে পেতে পারে।

তাছাড়া, যেকোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা একটি “hardware device” এর ঠিকানা বা এড্রেস খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে এই IP address গুলো সাহায্য করে।

তাই, IP address এর কাজ বলতে, এই দুটি মুখ্য কাজ করে এই ইন্টারনেট প্রোটোকল গুলো।

ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) এর প্রকার

IP address এর প্রকার দুটি।

  1. Private IP address
  2. Public IP address

Private IP address

একটি local network এর অন্তর্গত, বিভিন্ন computer device গুলোকে একসাথে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে “private IP address” ব্যবহার করা হয়।

নিজের ব্যক্তিগত home network বা business network এর সাথে সংযুক্ত থাকা device এর IP address টি হলো এই ধরণের private আইপি এড্রেস।

যখন ব্যক্তিগত ভাবে, দুটি বা তার থেকেও অধিক device গুলিকে একটি cable network বা wifi network এর সাথে সংযুক্ত করা হয়, তখন সেই device গুলোর মধ্যে একটি network address তৈরি হয়, যেটাকে বলা হয় “private IP address”.

একটি router বা network address translation (NAT) এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, সংরক্ষিত করা হয় এই private IP address গুলো।

আপনার ঘরোয়া নেটওয়ার্ক (home network) এর বাইরে থাকা device গুলো, এই “Private IP address” গুলো এক্সেস করতে পারবেনা।

Public IP address 

পরিত্যেক ইউসার এর ক্ষেত্রে, এই public IP address আলাদা আলাদা থাকবে।

এই ধরণের আইপি এড্রেস গুলো, আপনার ISP (Internet Service Provider) দ্বারা প্রদান করা হয়।

যদি আপনার একটি home বা business network  রয়েছে, তাহলে সেগুলোর ক্ষেত্রেও মুখ্য রূপে এই private address গুলোকেই ব্যবহার করা হয় internet network ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।

আশা করছি, ইন্টারনেট প্রোটোকল এর বিভিন্ন প্রকার গুলোর বিষয়ে সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আজকে আমরা কি শিখলাম ?

তো বন্ধুরা, আজকে আমরা শিখলাম “IP address কি (what is ip address in bangla)“, “এর কাজ”, আইপি এড্রেস এর সংস্কর এবং বিভিন্ন প্রকারের বিষয়ে।

তাছাড়া, নিজের আইপি এড্রেস বের করার কিছু নিয়ম এর বিষয়েও আমি আজকে বলেছি।

আশা করছি, আইপি এড্রেস নিয়ে সম্পূর্ণ জরুরি তথ্য গুলো আমি আপনাদের সঠিক ভাবে দিতে পেরেছি।

তবে, আপনাদের মনে যদি কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা রয়েছে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জানিয়ে দিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *