Skip to content

আইফোনের আইক্লাউড স্টোরেজ বৃদ্ধি করার উপায়

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্যতম সফল কোম্পানি হলো অ্যাপল। অ্যাপলের এই সফলতার পিছনে তাদের অসাধারণ সব সেবা ও পণ্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আপনি যখন একটি আইফোন ক্রয় করেন তখন আপনাকে অ্যাপল তাদের আইক্লাউড সার্ভিসে ৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ দিয়ে থাকে। কিন্তু আইক্লাউড স্টোরেজের থাকা এই ৫ জিবি জায়গা অনেক সময় পর্যাপ্ত নাও হতে পারে।

আপনার তখন আই ক্লাউড স্টোরেজের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ জায়গা ক্রয় করতে হতে পারে। অথবা আপনি চাইলে আপনার আইক্লাউডে থাকা কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করার মাধ্যমে আইক্লাউড স্টোরেজের জায়গা বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন কিভাবে আপনার আইফোনের জন্য প্রয়োজনীয় আইক্লাউড এর জায়গা বৃদ্ধি করতে হয় তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে । চলুন কিভাবে আইফোনের আইক্লাউড এর জায়গা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আপনার আইফোনে থাকা সিঙ্ক হওয়া ফাইল ডিলিট করার মাধ্যমে

আপনার আইক্লাউড এর জায়গা যদি দিন দিন কমতে থাকে তাহলে আপনি আপনার অ্যাপল ডিভাইসের সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ হওয়া আইক্লাউড ফাইল ডিলিট করে কিংবা সিঙ্ক্রোনাইজ ফিচার বন্ধ রেখে আপনার আইক্লাউড এর জায়গা সাশ্রয় করতে পারেন।

এছাড়া নিচের পদ্ধতিগুলোও ট্রাই করতে পারেন।

  • আইক্লাউডে থাকা ছবিগুলো একবার চেক করুন এবং অপ্রয়োজনীয় ছবিগুলো ডিলিট করুন। মনে রাখবেন, আইক্লাউডের সাথে যদি আপনার অ্যাপল ডিভাইস সিঙ্ক্রোনাইজ করা থাকে তাহলে সেসব ডিভাইসে থাকা ছবিও এসময় ডিলিট হয়ে যাবে। আবার সিঙ্ক্রোনাইজ থাকা অ্যাপল ডিভাইস থেকে কিছু ডিলিট করলে আইক্লাউড থেকেও সেসব ডাটা মুছে যাবে।
  • আপনার ফোনে থাকা পুরানো ব্যাকআপ গুলো মুছে ফেলতে পারেন, যা সিঙ্ক্রোনাইজ হলে আইক্লাউড থেকে মুছে যাবে।
  • আইক্লাউড ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট গুলো ডিলিট করে ফেলুন।
  • পুরাতন অপ্রয়োজনীয় মেসেজগুলো ডিলিট করে ফেলুন।
  • আইক্লাউড ড্রাইভে থাকা অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করে দিন।

আপনার আইফোনে থাকা আই ক্লাউড স্টোরেজ প্লান আপগ্রেড করার মাধ্যমে

আপনি যদি আপনার ফোন কিংবা আইক্লাউড সার্ভার থেকে কোন কিছু ডিলিট করতে না চান তাহলে আপনি আপনার আইক্লাউড স্টোরেজ প্লান আপডেট করার মাধ্যমে আপনার আই ক্লাউড স্টোরেজ বৃদ্ধি করতে পারেন।

অ্যাপল সাধারণত চারটি স্টোরেজ প্লান দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো –

  • ৫ জিবি : এই প্লানটি ফ্রী সরবরাহ করা হয়ে থাকে এবং এর জন্য অতিরিক্ত কোনো টাকা খরচ করতে হয় না। এমনকি আপনি যদি অন্য কোন প্লানে সুইচ করেন তারপরও আপনি সবসময় এই প্লানে ব্যাক করতে পারবেন।
  • ৫০ জিবি : এই প্ল্যানের মূল্য প্রতি মাসে 0.99 ডলার। সাধারণত এটি একই অ্যাপেল আইডি দ্বারা একটি আইফোন এবং একটি আইপ্যাডের বেসিক ডাটা ব্যাকআপ করার জন্য যথেষ্ট।
  • ২০০ জিবি : প্রতি মাসে 2.99 ডলার খরচ করার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের সকল ডিভাইসের জন্য এই স্টোরেজ প্লানটি নিতে পারেন ।
  • ২ টিবি : একটি অ্যাপলের আই ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যান আপডেট করার জন্য সর্বোচ্চ মূল্যের এবং সবচেয়ে বেশি স্টোরেজ সম্বলিত প্লান। এর জন্য আপনাকে প্রতিমাসে 9.99 ডলার খরচ করতে হবে।

আইক্লাউড স্টোরেজ প্লান আপডেট করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন।

  • আপনার আইফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে সবার উপড়ে থাকা আপনার নাম সম্বলিত ট্যাবটি সিলেক্ট করুন। (অ্যাপল আইডি সেকশন)
  • সেখানে আইক্লাউড অপশনে গিয়ে ম্যানেজ স্টোরেজ সেকশনটি ক্লিক করুন।
  • সেখানে আপনি বাই মোর স্টোরেজ সেকশনে গেলে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো প্লান সিলেক্ট করতে পারেন।
  • এবার বাই অপশন এ ক্লিক করে আপনার ক্রেডিট কার্ড ডিটেইলস যোগ করুন।

তবে বাংলাদেশী আইফোন ইউজাররা তাদের বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড এবং বাংলাদেশী পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে অ্যাপেল একাউন্ট থেকে সরাসরি আই ক্লাউড স্টোরেজ প্লান আপগ্রেড করতে পারবে না। তারা আইটিউন গিফট কার্ডস অথবা অ্যাপেল গিফট কার্ড এর মাধ্যমে স্টোরেজ প্লান আপডেট করতে পারবে। এসকল গিফটকার্ড অ্যাপল একাউন্টে ব্যালেন্স যোগ করে। এসকল গিফটকার্ড apple.com, অ্যামাজন, দারাজ, ফেসবুক বেজড শপ অথবা দেশে অবস্থিত বিভিন্ন আইফোনের দোকান থেকে ক্রয় করতে পারবে।

আইফোনের ডাটা কম্পিউটারে সেভ করার মাধ্যমে

আইক্লাউড এর জায়গা সাশ্রয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আপনার ফাইলগুলো আপনার কম্পিউটারে ট্রান্সফার করে নিন।

আপনি যদি আপনার আইফোনে আইক্লাউড স্টোরেজ ফুল হওয়ার নোটিশটি বারবার দেখতে থাকেন তাহলে আপনার আইফোনের স্টোরেজ ফাঁকা করার সময় হয়ে গিয়েছে। আপনি তাহলে এখন আপনার পছন্দমত যেকোন উপায়ে আপনার আই ক্লাউড স্টোরেজ বৃদ্ধি করতে পারেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *