প্রত্যেক বাংলাদেশীদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট হল ই-পাসপোর্ট। তো আপনারা অনেকেই আছেন ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন আবেদন করার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে যান। কিন্তু আপনারা এ কাজটি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দ্বারা খুব সহজে করতে পারবেন।
তো আপনি যদি ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইন আবেদন করতে চাইছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তো আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম কি | পাসপোর্ট বানাতে কত টাকা লাগে| জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করা যাবে কি | ই পাসপোর্টের ফি কত । ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিষয়।
ই পাসপোর্ট কি ?
ই-পাসপোর্ট হচ্ছে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট যেখানে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকে এবং সেখানে পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য শো করে। ই-পাসপোর্টে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইরিস ইত্যাদি প্রযুক্তি থাকে এর ফলে ইমিগ্রেশনের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হয় না খুব তাড়াতাড়ি এ কাজটি হয়ে যায়।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে 2023
• যারা সরকারি চাকরি করে তাদের জন্য GO/NOC লাগবে।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ 2023
তো আপনাদেরকে প্রথমে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট করে নিতে হবে তারপর আপনারা খুব সহজেই e passport registration করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন
Step1: তো আপনারা প্রথমে www.epassport.gov.bd এই লিঙ্কে ক্লিক করে ই পাসপোর্ট এর ওয়েবসাইটে চলে আসবেন তারপর আপনারা directly to online application এ ক্লিক করবেন।
Step2: তারপর আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করেন তাহলে yes এ ক্লিক করবেন আর আপনি যদি বিদেশ থেকে আবেদন করেন তাহলে no তে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার আপনার জেলা সিলেট করবেন তারপর আপনার বর্তমান পুলিশ স্টেশন সিলেট করবেন তারপর আপনারা continue অপশনে ক্লিক করবেন।
Step3 : তারপর আপনারা ইমেইল আইডি দিয়ে দিবেন। ইমেইল আইডি দেওয়ার পর i am human অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর continue তে ক্লিক করবেন।
Step4 : তারপর enter your account information এ প্রথম করাপশন ইমেইল আইডি দিবেন। তারপর নতুন একটি পাসওয়ার্ড দিবেন। তারপরের অপশন repeat password অর্থাৎ ঐ নতুন পাসওয়ার্ড টি আরেকবার দিবেন। তারপর Full name অর্থাৎ আপনার পুরো নাম দিয়ে দিবেন nid Card অথবা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অনুযায়ী। Given name দিলেও হবে আবা না দিলে কোন সমস্যা নাই। তারপর আপনি surname অর্থাৎ আপনার নামের টাইটেল দিয়ে দিবেন। তার পর আপনার মোবাইল নাম্বার দিবেন এবং নিচে i am human অপশনে ক্লিক। তার পর লাস্ট এ create account অপশনে ক্লিক করবেন। এইভাবে আপনাকে আগে একাউন্ট তৈরি করতে হবে তারপর ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
Step6 : ইমেইল ভেরিফাই করার পর আবারও ওই ওয়েবসাইটে sign করতে হবে তো আপনারা sign in অপশনে ক্লিক করবেন তারপর ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিবেন তার পর নিচে i am human এ ক্লিক করবেন তারপর sign in বাটন এ ক্লিক করবেন।
Step7 : তারপর আপনারা apply for a new passport । নেক্সট আপনারা পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করবেন ordinary না official তারপর আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন দিতে হবে। আপনি কি দিন নিজের পাসপোর্ট করে থাকেন তাহলে I apply for myself এ টিক দিবেন আর যদি অন্যের পাসপোর্ট করে থাকেন তাহলে এই অপশনটিতে টিক দিবেন না । তারপর gender সেট করবেন, profession সিলেক্ট করবেন অর্থাৎ আপনি কী করেন সেটা দিয়ে দিবেন আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন তাহলে others সিলেক্ট করবেন। তারপর select religion দিয়ে দিবেন। তার পর দেখবেন যে country code সিলেক্ট থাকবে। নেক্সট mobile number দিয়ে দিবেন না দিলে কোন সমস্যা নাই। তার পর select country of birth অবশ্যই বাংলাদেশ সিলেক্ট করবেন। নেক্সট select district of birth অর্থাৎ আপনি যে জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন সেটা দিয়ে দিবেন। তার পর select date of birth অর্থাৎ জন্ম তারিখ সাল দিয়ে দিবেন। তারপর select type of citizenship এই অপশনটাই my birth অপশন সিলেক্ট করবেন। তারপর save and continue এ ক্লিক করবেন।
Step8: তারপর আপনাকে address সিলেক্ট করতে হবে। তো আপনারা প্রথমে permanent address অর্থাৎ বর্তমানে আপনি কোথায় বসবাস করছেন সেটা দিয়ে দিবেন। যেমন আপনার জেলা, গ্রামের নাম, পোস্ট অফিস, পোস্টাল কোড , আপনার পুলিশ স্টেশন এগুলো পরপর সঠিকভাবে ফিলাপ করে দিবেন। তারপর আপনার present address ও permanent address এক হয় তাহলে এই অপশনটা টিক দিয়ে দিবেন আর যদি আলাদা হয় তাহলে টিক দিবেন না এবং নিচে একইভাবে প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস ফিলাপ করে নেবেন। তার পর save and continue তে ক্লিক করবেন।
Step10 : তারপর আপনাকে parental information দিতে হবে তো প্রথমে আপনার বাবার নাম দিয়ে দিবেন এনআইডি কার্ড অনুযায়ী। তারপর আপনার বাবা কি করেন অর্থাৎ select profession এটি সিলেট করবেন। তার পর আপনার বাবার nationality অর্থাৎ এই অপশনটা বাংলাদেশ সিলেক্ট করবেন। তারপর আপনার পিতার nid Card নাম্বার দিবেন না দিলে কোন সমস্যা নাই। তারপর ঠিক একই রকমভাবে আপনার মায়ের ইনফরমেশন গুলো ফিলাপ করবেন। তারপর একদম নিচে save and continue অপশনে ক্লিক করবেন।
Step12 : পরের স্টেজে emergency contact । তো প্রথমে আপনারা select emergency contact relationship অপশন দেখতে পাবেন তো আপনাদের স্ত্রী থাকলে আপনি spouse সিলেক্ট করবেন আর স্ত্রী না থাকলে আপনার বাবা-মা Select করতে পারেন। তো আপনি যাকে সিলেট করবেন তার নাম নিচে চলে আসবে এবং তার এড্রেস আপনাকে নিচে ফিলাপ করতে হবে যেমন country, district, village, পোস্ট অফিস, পোস্টাল কোড এবং নিচে contact number দিয়ে দিবেন তার পর save and continue অপশনে ক্লিক করবেন।
নেক্সট আপনাকে পাসপোর্টটি Validity select করতে হবে । পাঁচ বছর না দশ বছরের জন্য পাসপোর্ট নিতে চান সেটা সিলেক্ট করবেন। 5 বছরের জন্য নিলে খরচা একটু কম হবে ১০ বছরের জন্য নিলে খরচা একটু বেশি হবে। তারপর নিচে save and continue বাটন এ ক্লিক করবেন।
তারপর আপনার সমস্ত তথ্য কিন্তু দেখতে পাবেন তো আপনারা ভালো করে আগে পড়ে নেবেন ভেরিফাই করবেন সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখবেন তার পর নিচে confirm and proceed to payment বাটনে ক্লিক করবেন।
তারপর উপরে আপনারা যে তারিখ এবং সময় সিলেট করেছেন সেই তারিখেই আপনাদেরকে কি কি নিয়ে যেতে হবে তো সেই ডেটে print summary এবং application form দুটোই নিয়ে যেতে হবে এবং এবং এপ্লিকেশন ফর্মে আপনার সিগনেচার এবং ডেট দিতে হবে এবং তার সঙ্গে nid Card এর ফটোকপি দিতে হবে আর যদি এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে জন্ম সনদ দিতে হবে। আর আবেদনকারী যদি 18 বছরের নিচে হয় তাহলে জন্ম সনদ দিতে হবে এবং তার সঙ্গে তার বাবা-মায়ের জন্ম সনদ দিতে হবে এবং আপনাকে পেমেন্ট স্লিপ দিতে হবে আপনি যে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন সেই ব্যাংকের রশিদ কিন্তু দিতে হবে এবং আপনার বিয়ে হয়ে থাকলে বিয়ের কাবিননামা দিতে হবে। তো উপরে আপনার যে ডেট সিলেট করে যেন সেই ডেটে এই সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে চলে যাবেন এবং সেখানে জমা দিয়ে দিবেন এবং তারা এগুলো ভেরিফাই করবে এবং সব ঠিকঠাক থাকলে আপনার ছবি তুলবে , আঙুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেবে এবং আইরিশ নিবে এবং তারা আপনাকে একটি স্লিপ দিয়ে দিবে ওই স্লিপের মাধ্যমে কিন্তু পরবর্তীকালে ই-পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন। এছাড়া আপনার পাসপোর্ট যদি হয়ে যায় পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনাকে ফোন করবে পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২২
• সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (Super Express delivery) আপনার যদি আরো কিছু টাকা বেশি পেমেন্ট করেন তাহলে খুবই দ্রুত মাত্র দুদিনের আপনার হাতে পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে এর জন্য আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে 8,625 টাকা।
• সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (Super Express delivery) আপনার যদি আরো কিছু টাকা বেশি পেমেন্ট করেন তাহলে খুবই দ্রুত মাত্র দুদিনের আপনার হাতে পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে এর জন্য আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে 10,350 টাকা।
•সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (Super Express delivery) অর্থাৎ দুদিনের মধ্যে আপনার কাছে পাসপোর্ট চলে আসবে এর জন্য আপনার খরচা হবে 12,075 টাকা।
•সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (Super Express delivery) অর্থাৎ দুদিনের মধ্যে আপনার কাছে পাসপোর্ট চলে আসবে এর জন্য আপনার খরচা হবে 13,800 টাকা।
তো আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারলেন। তো ই-পাসপোর্ট নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত জানাতে পারেন ধন্যবাদ।