Skip to content

এসইও (SEO) কি ? এর কাজ কি এবং কিভাবে করবেন

SEO কি (what is SEO Bangla): যদি আপনি নিজের একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট খোলার কথা ভাবছেন তাহলে এসইও বলতে কি বুঝায়, SEO কিভাবে কাজ করে এবং এসইও কিভাবে করবেন সেটা আপনাকে শুরুতেই জানতে এবং শিখতে হবে। তাই এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি, এর কাজ কি এবং SEO কিভাবে করব তা বুঝিয়ে বলবো।

আপনি যদি ভালোকরে SEO এবং এর সাথে জড়িত সাধারণ জ্ঞান গুলো নিয়ে নিতে পারেন বা জেনে নেন তাহলে অবশই নিজের ব্লগিং ক্যারিয়ারটি (career) সফল করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, এখনের সময়ে যেখানে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার নতুন ব্লগ পোস্ট গুলো নিয়মিত পাবলিশ হয়ে থাকে, যদি আপনি “SEO মানে কি” এবং “seo এর কাজ কি” এই দুটো বেপারে না জেনে ব্লগ লেখা শুরু করেন, তাহলে ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেননা।
আমি বা আপনি ব্লগ কেন আরম্ভ করতে চাই ? কেন লোকেরা নিজের এতো সময় দিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে নিজের ব্লগ বানিয়ে তাকে সফল করার চেষ্টা করে ?

হে, আপনি ঠিক ভাবছেন।

আমি, আপনি বা জেকেও ব্লগ বানিয়ে তাতে আর্টিকেল লেখা শুরু করি একদিন তার থেকে টাকা আয় করার উদ্দেশে।

আমরা আমাদের ব্লগ থেকে অনেক মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারি।
কিন্তু, ব্লগ বানানোর থেকে শুরু করে টাকা আয় করা পর্যন্ত আপনার একটি অনেক জরুরি জিনিসের দরকার।

সেটা হলো, নিজের ব্লগে “ট্রাফিক” বা “ভিসিটর্স” নিয়ে আনার।

তাই, আপনার ব্লগে আর্টিকেল পড়ার জন্য আপ্নি অসংখ্য (unlimited) ফ্রি ট্রাফিক বা ভিসিটর পাবেন “Search engine” যেমন গুগল সার্চ (Google search) এবং ইয়াহু সার্চ (Yahoo search) থেকে।

আর মনেরাখবেন, search engine থেকে এই ফ্রি unlimited ভিসিটর বা ট্রাফিক পাওয়ার জন্য আপনার ব্লগ এবং ব্লগের আর্টিকেলে SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সঠিক ব্যবহার থাকতে হবে।

তবে, সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর পাওয়ার জন্য SEO র কেন দরকার হবে বা seo এর কিভাবে সঠিক ব্যবহার করবেন তা আপনি নিচে বুঝে যাবেন।

SEO কি ? What Is SEO in Bangla
SEO যার পূর্ণরূপ হলো “Search engine optimization“, এবং এর মানে অনেকটাই সোজা।

আমি আপনাদের ওপরেই বলেছি যে,

নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ফ্রি ভাবে অসংখক ভিসিটর বা ট্রাফিক পাওয়ার একটাই উপায় আছে।

আর, সেটা হলো “Search engine” থেকে।

এবং, এই সার্চ ইঞ্জিন গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো “Google” এবং “Yahoo বা Bing” .

এখন, SEO মানে হলো এমন একটি কৌশল, নিয়ম বা প্রক্রিয়া যার দ্বারা আমরা নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের content বা আর্টিকেল পেজ গুলি Google এবং Bing এর মতো search engine গুলিতে সবচে প্রথম সার্চ রেসাল্ট পেজে (প্রথম ১০টি সার্চ রেসাল্ট) দেখাতে বা rank করতে পারি।

এর ফলে যখন নাকি লোকেরা এই সার্চ ইঞ্জিন গুলি ব্যবহার করে আমাদের ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত (related) কিছু বিষয়ে সার্চ করবেন তখন আমাদের ব্লগের আর্টিকেল বা কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিন গুলি প্রথম পেজের ১০ টি ফলাফলের (result) এর মধ্যে দেখাবে।

এতে, আপনি যথেষ্ট পরিমানে ফ্রি ভিসিটর বা ট্রাফিক এই সার্চ ইঞ্জিন গুলি থেকে পেতে থাকবেন।

আর মনে রাখবেন, এটাই এক মাত্র এমন উপায় যার দ্বারা আজ লক্ষ লক্ষ লোকেরা নিজেদের ব্লগে হাজার হাজার ভিসিটর/ট্রাফিক পাচ্ছেন এবং তার থেকে টাকা আয় করছেন।

তাই, সোজা ভাবে বলতে গেলে SEO (এস ই ও) হলো এমন একটি কৌশল বা নিয়ম যার ব্যবহার করে জেকেও নিজের ব্লগ বা ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলো search engine এর প্রথম result পেজে rank করতে পারবেন।

কিন্তু মনে রাখবেন, এর জন্য আপনার SEO (এস ই ও) র ব্যাপারে সম্পূর্ণ সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি ?

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো সেই প্রক্রিয়া যার দ্বারা আপনারা নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগের আর্টিকেল গুলোকে উন্নত (improve) করে থাকেন, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন Google বা Bing ইত্যাদির সার্চ রেসাল্ট পেজে নিজের ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।

SEO মূলত একটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যার দ্বারা আপনি আপনার website / webpage-এর মধ্যে চলে আসা search engine traffic এর গুণমান এবং পরিমাণ উন্নত করতে পারবেন।

ব্লগে SEO-র ব্যবহার করাটা কেন জরুরি ?
নিজের ব্লগে লেখা প্রত্যেক আর্টিকেলে “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন“ (SEO) করাটা অনেক জরুরি।

যদি আপনি ব্লগে এসইও না করেন তাহলে হতে পারে আপনার ব্লগ বা আর্টিকেল পেজটি, Google এবং অন্য search engine গুলিতে ৩ থেকে ৪ নম্বর পেজে দেখানো হয়।

ফলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে কোনো ট্রাফিক বা ভিসিটর পাওয়া যাবেনা।

ধরে নিন, আপনি নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখেছেন “ব্লগ কিভাবে বানাবেন” এর ওপরে।

আপনি কি জানেন, আপনি লেখা সেই একই বিষয়ে আরো হাজার হাজার লোকেরা আর্টিকেল লিখছেন ?

এখন অল্প ভাবুন তো দেখি,

Google বা yahoo সার্চ কার ব্লগে লেখা আর্টিকেল সবচে প্রথম পেজের প্রথম স্থানে রাখবে আর কার আর্টিকেল শেষ পেজে রাখবে ?

এটার উত্তর হলো, যার ব্লগে লেখা আর্টিকেল ইউনিক এবং কাজের থাকবে এবং যেই আর্টিকেল SEO friendly থাকবে তার আর্টিকেল গুগল তার প্রথম পেজের প্রথম স্থানে রাখবে।

এভাবে আর্টিকেল গুলিতে করা SEO র প্রয়োগের ওপরে ভিন্ন করে বা বিচার করে, গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্লগ বা আর্টিকেল গুলো search result এর প্রথম পেজ থেকে শেষ পেজের মধ্যে রাখে বা rank করে।

তাহলে আপনারা এখন হয়তো ভালোকরে বুঝেছেন যে “ব্লগে SEO ব্যবহার করে আর্টিকেল লেখাটা কেন জরুরি” .

SEO কত প্রকার ও কি কি ?
SEO মূলত দুই প্রকারের হয় এবং এই দুটোই প্রকার সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে কাজ করে থাকে।

একটি হলো “On-page SEO” এবং আরেকটি “Of f-page SEO“.

চলুন এদের বেপারে আমরা ভালোকরে জেনেনেই।

অন পেজ এসইও কি – What Is On-Page SEO

অন পেজ এসইও অপ্টিমাইজেশন হলো SEO-এর এমন একটি ভাগ যেখানে আমরা মূলত আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে মধ্যে বা ভেতরে কিছু SEO কৌশল গুলো ব্যবহার করতে হয়।

মানে, এমন কিছু কিছু ধাপ (steps) যেগুলি আমরা আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মধ্যে করতে হয়।

যেরকম,

ব্লগ বানানোর সময় একটি সহজ এবং SEO friendly design বা theme বেছে নেওয়া।
ভালো ভালো ও ইউনিক আর্টিকেল লেখা।
কনটেন্ট এর মধ্যে “keyword” এর সঠিক ব্যবহার করে আর্টিকেল টিকে SEO friendly বানানো।
নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেলে keyword গুলি আর্টিকেলের title, description এবং আর্টিকেলের বিশেষ কিছু ভাগে ব্যবহার করা।
On Page SEO হলো এরকম এমন কিছু SEO techniques বা প্রক্রিয়া যেগুলি নিজের ব্লগের মধ্যে বা ব্লগে লেখা আর্টিকেলে ব্যবহার করে আমরা গুগল সার্চ বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আকর্ষণ করতে পারি।

এছাড়া, সার্চ ইঞ্জিন গুলির থেকে ট্রাফিক (traffic) পাওয়ার জন্য নিজের ব্লগের আর্টিকেল গুলোকে optimize করার জন্যে যেই SEO techniques গুলি কে ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকেই বলা যেতে পারে ON-Page SEO.

On page SEO কিভাবে করবেন ?

নিজের ব্লগে on page seo র প্রয়োগ করার অনেক গুলি নিয়ম আছে।

নিচে আমরা সবচে দরকারি এবং প্রয়োজনীয় on page seo র বেপারে জানবো যেগুলি ব্যবহার করে আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভালোভাবে on page search engine optimization করতে পারবেন।

১. Website loading speed

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য তার loading speed অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়।

কারণ, আমি বা আপনি যেই না হোক কেন, আমরা এমন একটি ব্লগ জেটার নাকি লোডিং স্পিড অনেক স্লো বা যে ওয়েবসাইট খুলতে অনেক সময় নেই সেসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে আমরা একদম ভালো পাইনা।

একটি অনলাইন survey থেকে পাওয়া গেছে যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ ২ থেকে ৪ সেকেন্ড (second) এর মধ্যে খোলাটা লাভজনক।

এতে আপনার ওয়েবসাইট জলদি খোলে এবং ভিসিটর্স বা দর্শক আপনার ব্লগে যেই আর্টিকেল পড়তে এসেছেন সেটা জলদি দেখতে বা পড়তে পারেন।

কিন্তু, যদি আপনার ওয়েবসাইট ২ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে না খোলে এবং অধিক সময় নিয়ে loading হতে থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট অনেকটাই slow এবং এতে আপনার ব্লগে ভিসিট করা ভিসিটর্স রাগ হয়ে আপনার ব্লগ থেকে চলে যান।

আর, এইযে ভিসিটর্স রা এসে কিছু না পড়ে জলদি আপনার ব্লগ থেকে চলে যায় এতে Google search বা অন্য search engine এর কাছে আপনার ব্লগের খারাপ ছবি তৈরী হয়।

আর, স্লো ব্লগ বা ওয়েবসাইট হওয়ার জন্য search engine আপনার ওয়েবসাইট প্রথম স্থানে না রেখে তাকে পিছাতে থাকে এবং যেগুলি ওয়েবসাইট fast এবং জলদি load হয় তাদের এগিয়ে নিয়ে আসে।

তাই, অবশই মনে রাখবেন, Website loading speed দ্রুত (fast) করাটা on page seo র সবচে প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাগ।

এ না করলে আপনি কখনোই Google search থেকে ভালো সংখ্যায় ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাবেননা।

নিজের ওয়েবসাই বা ব্লগ দ্রুত (fast) কিভাবে রাখবেন ?
নিজের ব্লগের loading speed fast করার জন্য আপনি নিচে দেয়া ৫ টি পয়েন্ট অবশই মনে রাখবেন।

ভালো এবং ফাস্ট web hosting কিনবেন।
ব্লগের থিম (theme) সাধারণ এবং ভালো ব্যবহার করবেন।
ব্লগে আপলোড করা ছবি (image) গুলির size ছোট করে আপলোড করবেন।
ব্লগে cache এবং database cleaner plugin ব্যবহার করবেন।
যদি আপনি WordPress ব্যবহার করছেন তাহলে দরকারের থেকে বেশি plugin ব্যবহার করবেননা। বেশি প্লাগিন ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইট স্লো (slow) হয়ে যাবে।

২. Title Tag এর ব্যবহার

মনে রাখবেন আপনার লেখা আর্টিকেলের সবচে জরুরি অংশ হলো আর্টিকেলের টাইটেল (title).

হে, যখন আপনি একটি ভালো title ব্যবহার করবেন তখন যেকোনো search engine থেকে ভিসিটর্স আপনার লেখা আর্টিকেলের প্রতি আকর্ষিত হবেন।

তাই, আপনি এমন title লিখুন যেটা সহজে বুঝা যায় বা যেটা পরেই পুরো আর্টিকেলের বিষয়টি বোঝা সম্ভব,

এতে, Google search result থেকে হোক বা social media থেকে, আপনার ব্লগের সেই লিংকে সবাই ক্লিক করবে।

যদি Google search result থেকে বেশিভাগ লোকেরা আপনার ব্লগের লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনার ব্লগের CTR (Click through rate) ভালো হয়।

গুগল সার্চে থেকে আপনার ব্লগে বেশি ক্লিক হওয়া বা CTR ভালো হওয়া মানে আপনার ব্লগের ছবি গুগলের নজরে ভালো হওয়া।

তাই, সবসমই আর্টিকেলের title ৬৫ শব্দের ভিতরে লিখবেন এবং সহজ সরল ভাবে এভাবে লিখবেন যাতে টাইটেল পড়ে সবাই আপনার লেখা আর্টিকেলের প্রতি আকর্ষিত হন।

৩. ব্লগ পোস্টে URL লিংক এর ব্যবহার

আর্টিকেল লিখার সময় সবচে আগে মনে রাখবেন নিজের ব্লগ পোস্টের URL link সেট করেনিতে।

হে, আপনি blogger ব্যবহার করে ব্লগ লিখছেন বা WordPress,

প্রথমেই আপনি নিজের লিখা আর্টিকেলের URL address সেট করে নিতে পারবেন।

মনে করে ব্লগের আর্টিকেলের URL address এ সবসময় “keyword” ব্যবহার করবেন।

এর বাইরে, URL address ছোট রাখার বিষয়টিও মনে রাখবেন।

উদাহরণ স্বরূপে, যদি আপনি আর্টিকেল লিখছেন “SEO কি এবং ব্লগে এর ব্যবহার কিভাবে করবো করবো” তাহলে আপনি নিজের আর্টিকেলের URL address এরম ভাবে সেট (set) করতে পারবেন – “Seo-মানে-কি” বা “এস-ই-ও-কি-এবং-এর ব্যবহার”.

এরকম করে ছোট পরিষ্কার URL address এবং তাতে keyword ব্যবহার করলে Google সহজে বুঝতে পারেন যে আপনি কিসের ওপরে আর্টিকেল লিখেছেন।

এতে, আপনার লেখা আর্টিকেল Google সার্চে ভালো ভাবে Rank করার সুযোগ থাকে।

৪. Internal linking অবশই করবেন

ইন্টারনাল লিংকিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেটা অনেক জরুরি এবং অন-পেজ এসইও-এর সবচে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো internal linking কি বা এর ব্যাপারে জানেননা।

যদি সেটাই তাহলে জেনেরাখুন, একটি ভালো internal linking এর concept আপনার ব্লগের আর্টিকেল Google সার্চে rank করতে অনেক সাহায্য করতে পারে।

Internal linking কি ?

Internal linking মানে হলো, নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় লেখা আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে রিলেটেড অন্য আর্টিকেলের লিংক গুলো আর্টিকেলে যোগ করা।

উদাহরণ হিসাবে, যদি আমি আর্টিকেল লিখছি, “ব্লগ কি এবং ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন“,

তাহলে আমি আমার আর্টিকেলটিতে “ব্লগ” বা “টাকা আয়” নিয়ে লিখা অন্যান্য আগের আর্টিকেল গুলোর লিংক যোগ করতে হবে।

কারণ, বর্তমান আমি যেই আর্টিকেলটি লিখছি সেটা ব্লগ এবং টাকা আয়ের ওপরে।

আর তাই, যদি আমি ব্লগ বা টাকা আয়ের বিষয়ে অন্য আর্টিকেল এর লিংক বর্তমান লেখা আর্টিকেলে দেই তাহলে সেগুলি আমার লেখা আর্টিকেলের সাথে সম্পর্কিত টপিক।

এবং এই প্রক্রিয়াটি হলো internal linking.

মনে রাখবেন SEO র ক্ষেত্রে এইটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কৌশল,

তাই অবশই নিজের লেখা আর্টিকেলে Internal linking এর ব্যবহার করবেন।

৫. ALT tag এর ব্যবহার

নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেলে আপনারা অবসই একটি হলেও ছবি (image) ব্যবহার করবেন।

আর, যখনই ব্লগে ছবি আপলোড করবেন ছবিতে “Alt tag” ব্যবহার করবেন।

Alt tag থাকলে Google এবং অন্য search engine গুলো আপনার আপলোড করা ছবির বিষয়টি বুঝতে পারেন।

তাই alt tag অবশই ব্যবহার করবেন এবং alt tag এর মধ্যে targeted keyword এর ব্যবহার রাখবেন।

৬. কীওয়ার্ড (keyword) এর ব্যবহার

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সবচে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো “কনটেন্ট“।

কারণ আপনার ব্লগে লেখা কনটেন্ট এর ওপরে নির্ভর করে আপনার ব্লগে ভিসিটর্স আসবেন।

যদি আপনার লেখা content ভালো না হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে traffic / visitors পাওয়ার সুযোগ একেবারেই কম।

সব সময় মনে রাখবেন, কনটেন্ট কোনোদিন অন্যদের থেকে কপি (copy) করবেননা।

যা লিখবেন সেটা পুরো original এবং নিজের থেকে বানিয়ে লিখবেন।

এর বাইরে, content বা আর্টিকেল minimum ১০০০ টা শব্দের (words) এর ভেতরে লিখবেন।

আপনি যে বিষয়ে লিখছেন সেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আর্টিকেল লিখুন।

SEO-এর দিক দিয়ে এইটা অনেক জরুরি একটি ধাপ এবং এতে আপনি Google search এ নিজের আর্টিকেল ভালোভাবে rank করতে পারবেন।

Keywords এর ব্যবহার

Keywords সেই শব্দ (words) গুলিকে বলা হয় যেগুলির ওপরে বিশেষকরে আমরা আর্টিকেল লিখছি।

তাই, অবশই মনে রাখবেন,

যখন আপনি আর্টিকেল লিখছেন তখন নিজের content এর কিছু কিছু অংশতে keywords ব্যবহার করবেন।

তাছাড়া, content এর heading, প্রথম paragraph, শেষ paragraph, আর্টিকেলের Title, URL address এবং Image ALT tag এ Keywords ব্যবহার করবেন।

Keyword এর অধিক ব্যবহার কিন্তু আপনার ব্লগ কে গুগল সার্চ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বহিস্কার করে দিতে পারে।

তাই, content এ keyword ততটুকুন ব্যবহার করবেন যতটুকু জরুরি।

Keywords গুলো নিজের আর্টিকেলে মধ্যে অনেক স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করবেন।

এতে আপনার ভিসিটর্স এবং Google দুজনেই বুঝতে পারবেন যে আপনার লেখা আর্টিকেল কিসের ওপরে।

Content এবং keywords এর সঠিক ব্যবহার seo বা search engine optimization এর জন্য অনেক জরুরি।

চলুন, এখন আমরা off-page seo কি এবং এর ব্যবহার কিভাবে করবো তা জেনে নেই।

Off page SEO কি ?

অফ পেজ এসইও এমন এক রকমের search engine optimization প্রক্রিয়া যেটা আমরা আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ভেতরে করতে পারিনা।

On-page seo তে আমরা সবকিছু ব্লগ এর ভেতরে সেট করতে পারি আর্টিকেল লেখার সময়,

তবে, Off page seo-র কাজ আর্টিকেল লেখা হওয়ার পর তাকে publish করার পর আরম্ভ হয়।

সোজা ভাষাতে বললে, এসইও এর ক্ষেত্রে আমরা যা যা ধাপ অনুসরণ করবো সেগুলি সব ব্লগের বাইরে হবে।

Off-page Seo র এই প্রক্রিয়াতে backlink বানানো, নিজের ব্লগের Url address অন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইটে দিয়ে তাকে popular করা, Social media sharing, Domain authority, Page authority, Link building এগুলো প্রক্রিয়া বিশেষ ভাবে জড়িত থাকে।

অফ পেজ এসইও কিভাবে করবেন ?

এখন নিচে আমি আপনাদের off-page seo র কিছু এমন techniques এর বেপারে বলবো যেগুলি আপনাদের অনেক অনেক কাজে আসবে।

১. ব্লগ বা ওয়েবসাইট search engine এ জমা করুন

সবচে আগেই আপনার যেটা করতে হবে সেটা হলো, নিজের ওয়েবসাইটটিকে Google, yahoo এবং bing search engine এ জমা দিতে হবে।

কারণ, সার্চ ইঞ্জিন এ ওয়েবসাইট জমা দেয়ার পর আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে দেখানো হবে।

এবং, কেবল তার পর আমরা SEO করে নিজের ব্লগের position বা rank ভালো করার চেষ্টা করতে পারি।

যেকোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট Google বা yahoo সার্চ ইঞ্জিনে জমা দেয়ার জন্য আমরা Google search console এবং Bing webmasters tools ব্যবহার করে জমা দিতে পারি।

২. Directory submission

নিজের ব্লগ বা ব্লগ আর্টিকেলের URL address আমরা বিভিন্ন directory submission website এ গিয়ে জমা দিতে পারি।

মনে রাখবেন, যেগুলি directory website এ আপনি নিজের ব্লগ এর url address জমা দিবেন সেগুলি যাতে high quality এবং High DA (Domain Authority) থাকে।

এতে আপনার ব্লগে high DA এবং high PR directory website থেকে backlink আসবে এবং আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের DA এবং PA বেড়ে যাবে।

এতে, গুগল এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে বেশি মূল্য দেবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের URL address সার্চ রেজাল্টে বেশিকরে দেখানো হবে।

অপ্পনি Google এ সার্চ করলেই অনেক ভালো এবং High DA, PA directory ওয়েবসাইটের বিষয়ে জেনেযাবেন।

৩. Social media ওয়েবসাইটের ব্যবহার

সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট যেমন Facebook, Twitter এবং LinkedIn ব্যবহার করে আপনি নিজের ব্লগের popularity বাড়িয়ে দিতে পারবেন।

আপনি সোজাসোজি, যতটা সম্ভব social media website গুলিতে গিয়ে নিজের ব্লগের নামে একটি প্রোফাইল বানাতে হবে।

Profile বানানোর পর তাতে নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেলের URL address পোস্ট করবেন।

এতে আপনি social media গুলির থেকে ডাইরেক্ট ভিসিটর্স তো পাবেন এবং তার সাথে social media signals ও পাবেন যেটা Google এবং Yahoo search engine অনেক ভালো পায়।

যেগুলি ওয়েবসাইটে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল (social media signal) আসে তেমন ব্লগ এবং ওয়েবসাইট গুলিকে Google এবং Yahoo search বেশি মূল্য দেন এবং এতে আপনার ওয়েবসাইটে search থেকে বেশি ভিসিটর্স আসার সুযোগ বেড়ে যায়।

৪. Blog commenting করুন

নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের url address অন্য ব্লগে গিয়ে comment এর মাধ্যমে সেই ব্লগে পোস্ট করাকেই blog commenting বলা হয়।

এতে আপনি অনেক সহজে অনেক backlink বানিয়ে নিতে পারবেন।

এবং যা আমি আগেই বলেছি, আপনি যত বেশি ভালো backlink বানাবেন আপনার ব্লগের DA (Domain Authority) ততটাই বাড়বে।

আর, যত বেশি আপনার ব্লগের DA হবে ততটাই বেশি ভিসিটর আপনি Google এবং Yahoo search থেকে পাবেন।

তাই, আপনি নিজের ব্লগের বিষয়ের সাথে মেলা জোলা অন্য ব্লগের আর্টিকেলে গিয়ে সেগুলিতে যদি comment করেন এবং নিজের ব্লগের URL address দেন তাহলে সেটা আপনার ব্লগের জন্য অনেক লাভদায়ক হবে।

৫. Guest posting করে backlink বানান

গেস্ট পোস্টিং, off-page seo-র সবচে বড় এবং দরকারি একটি বিষয়।

Guest posting করে আপনি নিজের ব্লগের জন্য ভালো ভালো backlink বানাতে পারবেন।

এতে আপনি নিজের ওয়েবসাইট domain এর DA (Domain authority) বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

ফলে আপনার ব্লগ Google সার্চে ভালোকরে top ১০ সার্চ result এ দেখানোর সুযোগ পাবে।

Guest posting মানে কি ?

Guest posting মানে হলো নিজের ব্লগের লিংক অন্য কারো ব্লগে আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে পোস্ট করা বা দেয়া।

মানে, যখন আপনি অন্য ব্যক্তির ব্লগের জন্যে আর্টিকেল লিখবেন এবং সেই আর্টিকেলে নিজের ব্লগের একটি URL LINK পোস্ট করবেন, এই প্রক্রিয়া টাকেই বলা হয় guest posting .

আমি আগেই বলেছি, guest posting করলে ওয়েবসাইটের DA অনেক সহজে বেড়ে যায় এবং তাই এইটা search engine optimization এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস।

Guest posting কেবল সেই ওয়েবসাইট গুলিতে করবেন যেগুলির DA (Domain authority) অনেক বেশি।

মিনিমাম DA ৩০ বা ৪০ হলেই সেই ওয়েবসাইটে GUEST POSTING করবেন।

Backlink কি ?

Backlink মানে হলো একটি incoming link যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো অন্য ওয়েবসাইটে।

মানে, ধরুন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক তিনটি অন্য ওয়েবসাইটের মধ্যে দেওয়া আছে।

এক্ষেত্রে, সেই ৩ টি ওয়েবসাইট যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া আছে সেগুলি আপনার ওয়েবসাইট কে ব্যাকলিংক (backlink) দিচ্ছে।

সোজাভাবে বললে, আপনার ওয়েবসাইটের url link অন্য যত ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে সেগুলি ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটকে backlink দিচ্ছে।

Backlink গুগল সার্চে প্রথম পেজে নিজের ব্লগকে rank করানোর জন্য অনেক জরুরি এবং এতে আপনার ওয়েবসাইটের DA বাড়ে।

Domain Authority বা DA কি ?

Domain authority হলো MOZ website এর দ্বারা ইন্টারনেটে সব ওয়েবসাইটকে দেয়া একটি rank বা তালিকা।

উদাহরণ স্বরূপে, আমাদের ব্লগ banglatech.info ডোমেইন এর DA হলো ১২. মানে MOZ আমাদের ওয়েবসাইটকে ১২ নম্বর তালিকা বা rank এ রেখেছে।

এরকম ১ থেকে শুরু করে ১০০ অব্দি rank বা তালিকা দেয়া হয় ওয়েবসাইট গুলিকে।

যত বেশি আপনার DA নম্বর হবে ততোটাই আপনার ওয়েবসাইট Google সার্চে ভালো জায়গায় rank করবে।

ডোমেইনের Da নম্বর আপনি বাড়াতে পারবেন নিজের ওয়েবসাইটে আশা Backlink এর সংখ্যা বাড়িয়ে।

মনে রাখবেন, খালি backlink হলেই DA বাড়বেনা।

Backlink হতেলাগবে ভালো DA থাকা ওয়েবসাইট গুলির থেকে।

FAQ,
SEO কাকে বলে ?

যেই কৌশল ও প্রক্রিয়ার দ্বারা আপনি নিজের ব্লগ পোস্ট বা ওয়েব পেজ গুলোতে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ট্রাফিক পেতে পারবেন সেই কৌশলটিকেই বলা হয় SEO.

SEO কত প্রকার ?

মূল দুই প্রকারের SEO-তে বিশেষ করে কাজ করা হয়। On-page SEO এবং Off-page SEO.

এসইও শিখতে কতদিন লাগে ?

এটা সম্পূর্ণ আপনার ওপর থাকছে যে আপনি কত দিনে সম্পূর্ণ এসইও কৌশল গুলো শিখে নিচ্ছেন। তবে নিয়মিত অনুসরণ ও প্রাকটিস করলে ২ থেকে ৩ মাসে এসইও শেখা সম্ভব।

SEO এর পূর্ণরূপ কি ?

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (search engine optimization).

আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে FRIENDS আপনারা হয়তো এখন ভালোকরে বুঝেগেছেন যে,

SEO মানে কি বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি।

SEO কত প্রকার, কিভাবে করব, অন পেজ এসইও কি, অফ পেজ এসইও মানে কি, SEO কিভাবে কাজ করে ?

এসইও হলো এমন একটি কৌশল যেটাকে নিয়মিত অনুসরণ ও প্র্যাক্টিস এর দ্বারা উন্নত করা যাবে।

তাই, ওপরে আমরা যেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো নিয়ে নিয়মিত অনুসরণ চালিয়ে যান।

আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *