Skip to content

কিভাবে একজন প্রফেশনাল ব্লগার (professional blogger) হতে পারবেন ?

আপনারা যদি, একটি ব্লগ নিয়ে কাজ করছেন বা কাজ করার কথা ভাবছেন, তাহলে একজন পেশাগত ব্লগার (successful blogger) বা প্রফেশনাল ব্লগার (Professional blogger) হয়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন অবশই মনে রেখেছেন। কারণ, প্রফেশনাল ব্লগার হয়ে দাঁড়ানো মানেই, “ঘরে বসে অনলাইনে টাকা আয়ের সহজ মাধ্যম একটি তৈরি করা”. তাই তো……?

এই ক্ষেত্রে কিন্তু, প্রচুর পরিমানে কাজ করার সাথে সাথে, আপনাদের কিছু বিশেষ বিষয়ে বিশেষ ধ্যান দিয়ে কাজ করতে হবে।

কেবল, ব্লগ বানিয়ে তাতে আর্টিকেল লিখেই, আপনারা একটি প্রফেশনাল ব্লগ তৈরি করতে কখনোই পারবেননা।

আজ থেকে ৩ বছর আগেই, আমি একজন professional blogger হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম।

বিশ্বাস করুন, আমি অনেক ছোট এবং বড়ো ভুল করেছি। কিন্তু, ব্লগিং এর প্রতি থাকা আমার ইন্টারেস্ট (interest) এবং আবেগ (passion) আমাকে সব সময় উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে এসেছে।

তাছাড়া, আমার করা ভুল গুলির থেকে আমি অনেকটাই শিখেছি। তাই, আজ প্রায় ৩ বছর পর আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে নিজেকে দেখি এবং অনেক খুশি বলে অনুভব করছি।

অবশই অনুভব করবো। কারণ, আমি নিজেই নিজের মালিক এবং আমার কোনো boss বা মালিকের নিচে কাজ করতে হয়না। ব্লগিং থেকে অনলাইন আয় করে আমার খুব ভালো ভাবেই চোলে যাচ্ছে।

মনে রাখবেন, একজন প্রফেশনাল ব্লগার হওয়াটা কিন্তু কোনো ভাবেই একটি সহজ কাজ না। প্রচুর পরিমানে সময়, দক্ষতা (skills) এবং নলেজের (knowledge) প্রয়োজন হয় এই কাজে।

তাই, নিজের “blogging passion” কে একটি “full-time” টাকা আয় করার মাধ্যমে পরিবর্তন (convert) করাটা সবাইর পক্ষে কিন্তু সম্ভব না।

তবে, আপনার মধ্যে যদি ধর্য্য শক্তি আছে এবং নতুন নতুন জিনিস শেখার রুচি রয়েছে, তাহলে কিন্তু একজন সফল ব্লগার হওয়ার প্রথম যোগ্যতা আপনার মধ্যে আছে।

প্রফেশনাল ব্লগার মানে কি ? 

প্রফেশনাল বা পেশাগত ব্লগার সেই ব্যাক্তিকে বলা হয়, যে নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য full-time blogging এর মাধ্যমে টাকা আয় করছেন।

যেকোনো অন্য পেশাগত কাজের মতোই, একজন প্রফেশনাল ব্লগার তার ব্লগিং এর কাজে একজন এক্সপার্ট (expert) এবং সেই কাজে তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা প্রচুর।

সোজা ভাবে বললে, অনলাইন টাকা ইনকামের উদ্দেশ্যে যেই ব্যাক্তি কেবল blogging কে নিজের পেশা ও full-time job হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন, তাকেই বলা হয় একজন professional blogger.

একজন প্রফেশনাল ব্লগার কিভাবে হবো ? (How To Become A Professional Blogger) 

ব্লগিং কে, নিজের পেশা (profession) হিসেবে নিয়ে কাজ করাটা প্রথম অবস্থায় কিন্তু অনেক কঠিন মনে হবে।

কিন্তু, যখন আপনি কিছু দিন ভালো ভাবে কাজ করবেন, তারপর আপনার কিছু নতুন দক্ষতা (skills) বা জ্ঞান (knowledge) নিয়ে বিশেষ ধ্যান দিতে হবে।

তা নাহলে, আপনি সব সময় একজন সাধারণ ব্লগার হয়েই থেকে যাবেন। এবং, একজন সাধারণ ব্লগার কোনোদিন নিজের ব্লগিং ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে পারেনা।

তাছাড়া, সাধারণ ভাবে ব্লগিং করে আপনি বিশেষ কিছু ইনকাম করার সুযোগ পাবেননা। কারণ, আজ এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা (competition) অনেক বেশি।

তাই, একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য আপনার ব্লগিং কে একটি পেশা (profession) হিসেবে নিয়ে পেশাগতভাবে (professionally) কাজ করতে হবে। 

এবং এভাবে কাজ করলে, আপনি ব্লগিং থেকে ধারাবাহিকভাবে (consistently) ভালো পরিমানে অনলাইন আয় করতে পারবেন।

তাহলে, প্রফেশনালি বা পেশাগতভাবে ব্লগিং করার জন্য আমাদের কি করতে হবে ? কোন কোন বিষয়ে বিশেষ ভাবে কাজ করতে হবে ? কোন বিষয় গুলিতে দক্ষতা (skills) ও নলেজ অধিক বাড়াতে হবে ?

এই সব বিষয় গুলি নিয়ে আমরা নিচে আজ জানবো।

একজন পেশাগত (professional) ব্লগার কিভাবে হতে পারবেন ?

নিচে, আমি যেসব বিষয় গুলি নিয়ে আপনাদের বলবো, সেগুলি কিন্তু অনেক অনেক জরুরি যদি আপনি একজন সফল ব্লগার হিসেবে দাঁড়াতে চান।

এই বিষয় গুলির ব্যাপারে সাধারনে আপনাকে কেও বলবেনা। তবে, আমি আমার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং এই বিষয়ে থাকা জ্ঞানের অনেক জরুরি অংশ আপনাদের বলতে যাচ্ছি।

সবটাই ভালো করে জানার পর, এবং সব বিষয় গুলি নিয়ে ভালো ভাবে কাজ করার পর, আপনারা অবশই পেশাগতভাবে বা প্রফেশনালি ব্লগিং করতে পারবেন।

এবং শেষে, একজন প্রফেশনাল ব্লগার (professional blogger) হয়ে উঠতে পারবেন।

১. Blog niche & subject selection 

মনে রাখবেন, ব্লগিং এর ক্যারিয়ারে একজন প্রফেশনাল হয়ে দাঁড়ানোর জন্য, আপনার সব থেকে বেশি ধ্যান দিতে হবে, নিজের বেঁচে নেয়া ব্লগের “niche“, “blog subject” বা “blog topic” এর ওপরে।

আপনার ব্লগের niche বা বিষয় লাভজনক (profitable) হতে হবে। তা নাহলে, আপনার ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে অনেক অসুবিধে হতে পারে।

উদাহরণ স্বরূপে, আমি আমার ব্লগে কেবল প্রযুক্তি (technology) নিয়ে আর্টিকেল লিখছি। তাই, আমার ব্লগের niche বা subject হলো প্রযুক্তি (technology). এবং, এই বিষয়ে লোকেদের রুচি অনেক ও ইন্টারনেটে প্রযুক্তির বিষয় নিয়ে অসংখক লোকেরা সার্চ করেন।

তাছাড়া, গুগল এডসেন্স ও অন্যান্য advertisement network ব্যবহার করে ব্লগ থেকে টাকা আয় করার জন্যও এই “টেকনলজ বিষয়টি” সেরা।

কারণ, প্রযুক্তির বিষয় নিয়ে লেখা ব্লগ গুলিতে Google adsense দ্বারা প্রযুক্তির সাথে জড়িত বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এই ধরণের বিজ্ঞাপন গুলিতে আপনাকে অধিক পরিমানে CPC (cost per click) এবং টাকা আয়ের সুযোগ দেয়া হয়।

তাছাড়া, এমন niche বা বিষয় নিয়ে ব্লগ তৈরি করবেন যেই বিষয়ে আপনার ভালো জ্ঞান রয়েছে। কারণ, ব্লগিং একদিনের কাজ নয়। এখানে আপনার প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু লিখতে হয়।

তাই, নাজানা বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করলে, কিছু সময় পর আপনার কাজ করে আর ভালো লাগবেনা।

এবং, জানা বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখলে, আপনি নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ভালো ভালো এবং কাজের আর্টিকেল রেগুলার (regular) লিখতে পারবেন।

তাই বন্ধুরা, একজন পেশাগত ব্লগার হওয়ার জন্য, সবচে প্রথমেই আপনাদের বেঁচে নিতে হবে “নিজের ব্লগের একটি উপযুক্ত টপিক বা বিষয়“. এমন একটি বিষয় বা টপিক যেটার বিষয়ে আপনার নলেজ (knowledge) রয়েছে এবং যেই বিষয় অনেক লাভজনক।

আপনারা Google keyword planner tool ব্যবহার করে, গুগল সার্চে যেকোনো বিষয় কতটা প্রচলিত ও কত বেশি সার্চ হচ্ছে সেটা জেনেনিতে পারবেন।

২. Time & Blog Management 

একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য আপনার time management ও blog management দুটো বিষয়েই ধ্যান দিতে হবে।

দেখুন, প্রথম অবস্থায় ব্লগিং এ কেবল ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ করলেই হবে। কিন্তু, যখন আপনি ব্লগিং কে একটি প্রফেশন হিসেবে নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন, তখন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা কাজ করলে চলবেনা।

মানে, যেভাবে যেকোনো চাকরিতে (job) আপনি সকাল থেকে বিকেল একটি স্থায়ী (fixed) সময় নিয়ে কাজ করতে হয়, ঠিক সেভাবেই professionally blogging করার জন্য, আপনার সকাল থেকে বিকার স্থায়ী সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।

যেভাবে যেকোনো চাকরি বা ব্যবসাতে লোকেরা সময় দেন, ঠিক সেভাবেই ব্লগিং এও আপনার সময় দিতে হবে।

পেশাগত ব্লগিং এ কেন এতটা সময় দিতে হয় ?

দেখুন, আমি আগেই বলেছি যে, সাধারণ ব্লগিং জেকেও করতে পারে এবং সাধারণ ভাবে করা ব্লগিং এ টাকা আয়ের সুযোগ তেমন একটা নেই। যদিও আছে, তাহলে সেটা অনেক কম।

কিন্তু, পেশাগত ভাবে করা ব্লগিং এ টাকা আয়ের সুযোগ অনেক বেশি। আজ, Harsh agarwalAmit agarwal, Pritam Nagrale, Shradha Sharma, Abhijit Mukherjee এবং এদের মতো হাজার হাজার প্রফেশনাল ব্লগাররা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।

তাই, যিহেতু সাধারণ ব্লগিং এর তুলনায় পেশাগত ব্লগিং এ টাকা আয়ের সুযোগ অনেক বেশি, তাই একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে, আপনার কিছু অ্যাডভান্স (advanced) রকমের কাজ গুলোতে ধ্যান দিতে হবে।

সেই কাজ গুলি কি ?

Content quality দিকে নজর 

মনে রাখবেন, আপনি যেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ বর্ণনা করেই আর্টিকেল লিখবেন। যেকোনো ভাবে আর্টিকেল খালি লিখলেই কাজ হবেনা।

আপনার ভিসিটর্সরা আর্টিকেলের সাথে জড়িত সব প্রশ্নের উত্তর যাতে একটাই আর্টিকেলে পেয়ে যায় সেটা ধ্যান দিতে হবে ।

তাই, একজন প্রফেশনাল ব্লগার তার ব্লগের প্রত্যেক আর্টিকেল ভালো ভাবে বর্ণনা করে লিখেন এবং আর্টিকেলে কমেও ১৮০০ টি শব্দের (words) ভেতরে লিখেন।

Regular article publish করুন 

হে, আমি জানি যে একটি ১৮০০ শব্দের আর্টিকেল লেখাটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু, যদি আপনি ব্লগিং কে নিজের পেশা বানিয়ে full-time কাজ করেন, তাহলে ১৮০০ কেন, আপনি ২৫০০ থেকেও বেশি শব্দের আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

এখন মনে রাখবেন যে, কেবল ভালো ভালো আর্টিকেল লিখলেই হবেনা। আপনার দৃঢ়তা (consistency) বজায় রেখে আর্টিকেল পাবলিশ (publish) করতে হবে।

মানে, আপনি যদি ব্লগে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করে আবার এক মাস পর আরেকটি আর্টিকেল পাবলিশ করেন, তাহলে সেটা কিন্তু আপনার ব্লগের ছবি (image) একেবারেই খারাপ করে দিবে।

এতে, আপনার ভিসিটর্সরা আপনার ব্লগে এসে কোনো নতুন কনটেন্ট না পেয়ে চলে যাবেন। তাছাড়া, সবচে খারাপ হবে Google search এর দিক দিয়ে।

যখন আপনি ব্লগে অনেক দিন পর পর আর্টিকেল পাবলিশ করবেন, তখন গুগল আপনার ব্লগের আর্টিকেল তার সার্চ রেজাল্টে দেখানোর সুযোগ অনেক কম। এতে, গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাওয়াটা আপনার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

মনে রাখবেন, গুগল কেবল সেগুলি ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভালো পায়, যেগুলিতে রেগুলার (regular) আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়।

তাই, সব সময় মনে রাখবেন, নিজের ব্লগে ৭ দিনের ভেতরে কমেও ২ টো করে আর্টিকেল পাবলিশ (publish) অবশই করবেন।

রেগুলার দৃঢ়তা বজায় রেখে নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট ও পাবলিশ করাটা একটি প্রফেশনাল ব্লগ ও ব্লগার এর যখন। এবং, এ আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারের জন্য অনেক লাভজনক ও জরুরি।

Blog speed matters 

কেও একটি স্লো (slow) ওয়েবসাইট বা ব্লগ ভালো পায়না। ভাবুনতো, যদি আপনারা আমার ব্লগে আসার পর যদি ব্লগ লোড (load) হতেই ৬ থেকে ৭ সেকেন্ড (second) লেগে যেতো, তাহলে কি আপনারা আমার ব্লগ খোলার জন্য আরো অপেক্ষা করতেন ?

অবশই না। আপনারা সাথে সাথেই আমার ব্লগ ছেড়ে যেতেনগিয়ে।

তাই, সব সময় মনে রাখবেন, একটি ব্লগ ১ থেকে ২ সেকেন্ড এর ভেতরে লোড হয়ে যাওয়াটা অনেক জরুরি।

এ না হলে, আপনার ব্লগে আশা ভিসিটর্স বা ট্রাফিক সাথে সাথেই আপনার ব্লগ ছেড়ে চলে যাবে।

এবং, তার থেকেও বড়ো কথা এটা যে, “গুগল স্লো ওয়েবসাইট ভালো পায়না“।

তাই, যদি আপনার ব্লগ খুলতে বা লোড হতে অনেক সময় নিচ্ছে, তাহলে গুগল সার্চ থেকে ফ্রি ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাওয়ার আশা ছেড়ে দিন।

শেষে, যদি আপনি একটি প্রফেশনাল ব্লগ (professional blog) তৈরি করার কথা ভাবছেন, তাহলে ব্লগের লোডিং সময় (loading time) কম থেকে কম করার কথা আগেই ভাবতে হবে।

ওয়েবসাইটের লোডিং সময় কিভাবে কমাবো ?

ব্লগ ও ওয়েবসাইটের লোডিং সময় কমানোর জন্য সবসময় একটি ভালো হোস্টিং কোম্পানির থেকে ক্লাউড হোস্টিং কিনবেন। এক্ষেত্রে, cloudways বা digitalocean সেরা।

একটি ভালো কোম্পানির থেকে ক্লাউড হোস্টিং কেনার পর, আপনাদের একটি ভালো caching plugin ব্যবহার করতে হবে।

এই ক্ষেত্রে আপনারা W3 total cache, Wp fastest cache, Breeze বা Autoptimize যেকোনো একটি নিজের ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ইনস্টল করে ব্যবহার করলেই আপনার ব্লগের লোডিং স্পিড (loading speed) অনেক দ্রুত বা ভালো হয়ে যাবে।

তাছাড়া, নিজের ব্লগে আপলোড করা ছবিগুলি, compress করে আপলোড করেও ব্লগের লোডিং স্পিড ভালো করা যেতে পারে।

আমি আমার ব্লগে, Cloudways এর ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহার করছি এবং তার সাথে breeze আর Autoptimize প্লাগিন একসাথেই ব্যবহার করছি। এবং, আমি জানি আমার ব্লগের লোডিং স্পিড অনেক ফাস্ট বা দ্রুত।

তাহলে বন্ধুরা, যা আমি আগেই বলেছি, একজন প্রফেশনাল ব্লগার হওয়ার কথাটা ভেবে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু, সত্যির হতে গেলে এই সব ধরণের বিষয় গুলির ব্যাপারে জানাটা ও এগুলির ওপরে কাজ করাটা কিন্তু পেশাগত ব্লগিং এ অনেক জরুরি।

৩. SEO র ব্যাপারে অধিক জ্ঞান নিন

SEO যাকে Search engine optimization বলে বলা হয়, এই বিষয়ে আপনাদের জানাটা অধিক জরুরি। একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য SEO ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান আপনার রাখতেই হবে।

আজ, নিজের ব্লগ ও ওয়েবসাইটে ফ্রি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স কিভাবে আসবে, সেটাই ব্লগার দেড় সেরা উদ্দেশ্য। ট্রাফিক বা ভিসিটর্স ব্লগে আসার পর টাকা আয়ের বিষয় নিয়ে আমরা ভাবতে পারি।

এক্ষেত্রে, Google search engine থেকে নিজের ব্লগের জন্য আপনারা ফ্রি এবং unlimited ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পেয়ে যাবেন।

আজ, প্রত্যেক blogger এর স্বপ্ন যে তারা গুগল সার্চ থেকে নিজের ব্লগে হাজার হাজার ট্রাফিক বা ভিসিটর্স নিজের ব্লগে নিয়ে আশোক।

কিন্তু, সমস্যা এখানেই। আজ প্রত্যেক দিন, হাজার হাজার নতুন ব্লগ তৈরি হচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ আর্টিকেল লোকেরা পাবলিশ করছেন।

এই ক্ষেত্রে, blogging এ competition অনেক বেশি হয়ে যাওয়ার ফলে, গুগল সার্চ থেকেও ট্রাফিক পাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, গুগল কারটা ছেড়ে কাকে তার সার্চ রেজাল্টে rank করবে।

তাই, SEO বা search engine optimization এর মাধ্যমে আপনার নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলিকে অধিক পরিমানে Search engine friendly বানিয়ে, সেগুলি গুগল সার্চে ভালো করে rank করিয়ে দিতে পারি।

ফলে আমাদের ব্লগে, গুগল সার্চ থেকে অধিক ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসার সুযোগ হয়ে উঠবে।

ব্লগে SEO র ব্যবহার ছাড়া blogging এর এই competitive দুনিয়াতে আপনারা সফল হওয়ার সুযোক অনেক বেশি কম।

তাই, আপনি যদি ব্লগিং কে পেশাগতভাবে নিয়ে প্রফেশনালি ফুল টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতে চাচ্ছেন তাহলে SEO র ব্যাপারে প্রথমেই শিখুন।

মনে রাখবেন, সাধারণ SEO র জ্ঞান সবাইর কাছেই রয়েছে। একজন, প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে আপনার কাছে advanced SEO র নলেজ থাকাটাও অনেক জরুরি।

উদাহরণ স্বরূপে –

  • Backlinks এর ব্যাপারে শিখুন।
  • On-page এবং off-page SEO ব্যাপারে সম্পূর্ণ জ্ঞান।
  • Blog promotion কিভাবে করবেন।
  • Blog branding .
  • Guest posting অনেক জরুরি।

এই ধরণের কিছু অ্যাডভান্সড এস ই ও (SEO) টেকনিক (techniques) নিয়ে নিজের জ্ঞান বাড়িয়ে নেয়াটা অনেক জরুরি।

এই ক্ষেত্রে, আপনি YouTube ভিডিও দেখে বা কিছু অনলাইন blogs পোড়ে অনেক ধরণের advanced seo techniques শিখতে পারবেন।

৪. নিজের ব্লগ কে ব্যবসা হিসেবে নিন 

হে, যখন আপনি নিজের ব্লগ কে একটি ব্যবসা হিসেবে নিয়ে কাজ করবেন, তখন সেই কাজে আপনার অনেক ভালো ভাবে মন বসবে।

যেভাবে, একটি ব্যবসাতে প্রথম অবস্থায় আপনার লাভের কথা না ভেবে কেবল মন দিয়ে খাটতে হয়, ঠিক সেভাবেই ব্লগিং কে যখন আপনি একটি বিসনেস (business) হিসেবে নিয়ে কাজ করবেন, তখন প্রথম অবস্থায় অনেক কাজ করতে হবে। এবং, লাভের কথাটা প্রথমেই ভাবতে পারবেননা।

কিন্তু, যখন আপনি ব্লগ কে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে প্রফেশনালি কাজ করবেন তখন কিছু দিনের মধ্যেই আপনার লাভ হওয়াটাও শুরু হয়ে যাবে।

যেকোনো জিনিস ব্যবসা হিসেবে নিয়ে করলে সেটাতে আপনার মন অনেকটাই বেশি লেগে থাকে এবং সেই কাজ আপনি ১০০% প্রচেষ্টা (effort) লাগিয়ে করেন।

তাই, একজন প্রফেশনাল ব্লগার হওয়ার আগেই, নিজের ব্লগটিকে একটি ব্যবসা হিসেবে মেনে নেয়াটা অনেক জরুরি।

৫. Make Your Blog A “Brand”

যদি আপনি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে চান, তাহলে প্রথম দিন থেকেই নিজের ব্লগ কে একটি ব্র্যান্ড (brand) বানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

উদাহরণ স্বরূপে,

যেভাবে আপনারা আমার ব্লগকে “Banglatech” হিসেবে জানেন, ঠিক সেভাবেই অন্যরাও যাতে আপনার ব্লগকে একটি নাম এবং কাজ দিয়ে চিনেন। একটি বিশেষ নাম যাতে আপনাদের ব্লগের পরিচয় হয়ে দাঁড়ায়।

আপনার ব্র্যান্ড তথন তৈরি হবে, যখন লোকেদের আপনি নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেল প্রচার করবেন বা তাদের জানাবেন যে আপনার ব্লগে এসে তাদের কি কি লাভ হতে পারে।

যখন আপনার ব্লগ একটি ব্র্যান্ড (brand) হয়ে দাঁড়াবে, তখন আপনি কেবল গুগল সার্চ থেকেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডাইরেক্ট ট্রাফিক এর দাড়াও হাজার হাজার ভিসিটর্স পেতে থাকবেন।

ব্লগকে ব্র্যান্ড কিভাবে বানাবেন ?

নিজের ব্লগ কে একটি ব্র্যান্ড (brand) বানানোর জন্য, প্রথমেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে হবে।

এক্ষেত্রে, আপনার নিজের ব্লগের আর্টিকেল বিভিন্ন social media websites যেমন, FacebookYouTube, Twitter এবং আরো অন্যান্য সাইট গুলিতে শেয়ার করতে হবে।

এতে, আস্তে আস্তে লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার ব্লগের ব্যাপারে জানবেন এবং এর সাথে সাথে ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলিতেও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাফিক ও পাবেন।

তাছাড়া, ব্লগের ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য আপনারা ইমেইল মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে, আপনারা নিজের ব্লগ ও ব্লগের আর্টিকেল ইমেইলের মাধ্যমে লোকেদের জানাতে ও প্রচার করতে পারবেন।

এভাবে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলির ব্যবহার করে, আপনারা নিজের ব্লগের একটি ব্র্যান্ড নাম (brand name) তৈরি করতে পারবেন।

৬. আপনার পাঠকবর্গ (audience) কি চাচ্ছে ?

একজন পেশাগত ব্লগার হিসেবে, আপনার নিজের পাঠকবর্গকে জানাটা অনেক জরুরি। তারা, আপনার ব্লগে কোন বিষয় গুলি পোড়ে বেশি ভালো পাচ্ছেন, কোন বিষয়ে আর্টিকেল পোড়ে তাদের ভালো লাগছেনা এবং কতটা সময় আপনার ব্লগে তারা থাকছেন।

এই সব বিষয়ে আপনার সময়ে সময়ে মন দিয়ে দেখতে  হবে।

কারণ, আপনার ব্লগের পাঠকবর্গই হলো আপনার সফলতা। এবং, তাদের কি ভালো লাগছেনা বা কি ভালো লাগছে, সেটা ভাবাটা আপনার ব্লগের ভালো ভবিষ্যতের জন্য অনেক জরুরি।

এই ক্ষেত্রে, আপনারা google analytics tool টির ব্যবহার করে, নিজের ব্লগে আশা পাঠকবর্গর ব্যাপারে সবটাই জেনেনিতে পারবেন।

৭. নিজেকে আরো শিক্ষিত করুন 

শেষে, আমি আপনাদের বলবো নিজেকে আরো বেশি শিক্ষিত করতে। মানে, আপনি একদিনেই প্রফেশনালি বা পেশাগত ভাবে কাজ করা শুরু করতে পারবেননা।

তাই, সবটাই হবে আস্তে আস্তে এবং সবটাই আপনার এক এক করে শিখতে হবে।

একজন পেশাগত ব্লগার (professional blogger) এর সব থেকে বড়ো গুন্ হলো, “নিজেকে সব সময় আপডেট রাখা“.

তাই, নিজেকে আপডেট রাখার জন্য এবং সময়ে সময়ে নতুন জিনিস শিখার জন্য, আপনাদের কিছু প্রচলিত ব্লগ পড়ার অভ্যেস করাটা অনেক জরুরি।

আপনারা, Backlinko , Neilpatel.com , shoutmeloud এবং এরকম আরো অনেক ব্লগিং এর সাথে জড়িত ব্লগ পড়ার অভ্যেস করতে হবে।

এতে, আপনারা নতুন নতুন জিনিস শিখে নিজেকে ব্লগিং এর দিকে আরো বেশি এক্সপার্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।

মনে রাখবেন, একজন সফল ব্লগার (successful blogger) সবসময় ব্লগিং এর সাথে জড়িত নতুন নতুন জিনিসের বিষয়ে শিখতেই থাকেন।

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, আপনারা দেখলেনতো, একজন প্রফেশনাল ব্লগার হওয়াটা কতটা কঠিন ? কিন্তু অসম্ভব না। হে, আপনার প্রচুর কষ্ট করতেই হবে যদিও সঠিক ভাবে এক এক করে শিখতে থাকলে, অনেক সহজেই সবটা ধরে নিতে পারবেন।

আপনাদের মতোই, আমিও এক সময় নতুন নতুন ব্লগ শুরু করেছিলাম এবং ভাবতাম যে, নিজেকে একজন প্রফেশনাল ব্লগার কিভাবে বানাবো।

আমার প্রায় ২ থেকে ৩ বছর লেগেছে নিজেকে একজন পারফেক্ট (perfect) ব্লগার বানাতে। এবং, তাছাড়া প্রফেশনালি বা পেশাগত ভাবে ব্লগিং করাটা আমার জন্য এখন অনেক সহজ কাজ হয়ে গেছে।

শেষে, আপনাদের ব্লগিং এর দিকে কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধে থাকলে, আমাকে নিচে কমেন্ট অবশই করবেন। আমি আপনাদের সাহায্য অবশই করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *