Skip to content

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় – (এফিলিয়েট মার্কেটিং)

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় ? (How to earn Rs.500/- everyday from Facebook) আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ফেসবুক এর মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যাবে এই বিষয়ে জানবো।

আমরা নিঃসন্দেহভাবে বলতে পারি যে, ফেসবুক হল বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় সামাজিক নেটওয়ার্ক।

এখানে কোটি-কোটি মানুষ মাসিকভাবে ফেসবুক ফিড স্ক্রোল করে থাকে।

যেই কারণেই এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে, বহু ওয়েবসাইটই একটা বিশাল ওয়েব ট্রাফিক তৈরী করে তোলে।

আপনার চেনা-জানা প্রায় সব মানুষই কমবেশি তাদের কিছু সময় ফেসবুকে ব্যয় করে।

আর, এই ব্যাপক পরিমাণ ট্রাফিকের সাহায্য নিয়েই, আপনি ফেসবুক থেকেই প্রতিদিন রোজগার করতে পারবেন

আর, আপনার মনে যদি প্রশ্ন থাকে যে, কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন টাকা আয় করা যায় ? তাহলে, এই আর্টিকেলটি আপনার প্রশ্নের সকল উত্তর দেবে।

এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন যে, ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা সম্ভব।

এখনকার সময়ে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় সোর্স অফ ইনকাম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।

আর, ফেসবুকের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনার আয় বাড়ানোর দুর্দান্ত একটা কৌশল।

প্রতি মাসে প্রায় কোটি-কোটি লোক এই প্ল্যাটফর্মে আসে,

তাই এই এটি হতে পারে আপনার কাছে একজন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে একটা সেরা টার্গেট মার্কেট।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সাধারণ ধারণা:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এক ধরণের বিজ্ঞাপন পদ্ধতি।

এই ধরণের প্রোগ্রামের সহযোগিতায় কোনো কোম্পানি অন্যদের (যেমন- ব্লগারদের বা ইন্ফ্লুয়েন্সারদের) মাধ্যমে তাদের পণ্য ও পরিষেবার বিজ্ঞাপন দেওয়া ও বিক্রয় বাড়ানোর জন্যে সেই ব্যক্তিদের কমিশন দিয়ে থাকে।

অ্যাফিলিয়েটরা তাদের ওয়েবসাইট, অ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিংবা ব্লগে কোম্পানির দেওয়া পণ্য কিংবা পরিষেবার প্রচার করে থাকে।

সেই প্রচারের মাধ্যমে তাদের সম্ভাব্য ক্রেতারা বা অডিয়েন্সরা যদি সেই নির্দিষ্ট পণ্য বা প্রচার কেনে, তার বদলে কোম্পানি অ্যাফিলিয়েটদের কমিশন দেয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কিভাবে ফেসবুককে ব্যবহার করবেন ?

ফেসবুকে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রতিনিধিত্ব করা ঠিক আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

আর, ফেসবুকে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন যদি তা নিয়ে ভেবে থাকেন- তাহলে সেক্ষেত্রে অনেকগুলো অপশন আপনি পেয়ে যাবেন।

তবে, এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটা উপায় হল কোনো বিসনেস কিংবা ইনফ্লুয়েন্সার পেজ তৈরী করা অথবা আপনার ক্লায়েন্টদের জন্য একটা ব্যক্তিগত গ্রুপ তৈরি করা।

  • একটি ফেইসবুক পেজ বা গ্রুপের সাহায্যে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স বা লক্ষ্য শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোটা অনেকটাই সহজ হয়।
  • তাদের মধ্যে একটা সেটআপ তৈরী করে, আপনি টার্গেটিং টুলগুলোও অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
  • এই টুলগুলোর সাহায্যে আপনি আপনার সম্ভাব্য ক্রেতাদের শনাক্ত করে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন – যারা আপনার অফার সম্পর্কে অবশ্যভাবেই আগ্রহী থাকবে।
  • যেকোনো অ্যাফিলিয়েট বিজনেসের জন্য ফেসবুক যে দৃশ্যমানতা তৈরি করে, তা বিশাল আকারের হয়ে থাকে।
  • মূলত, এই সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কটি ব্র্যান্ডের আনুগত্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিতে চরমভাবে সাহায্য করে।
  • এই বিনামূল্য প্ল্যাটফর্মটি আপনার রেফারাল কিংবা নানান মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার একটা জায়গা দেয়।

আপনি যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট ব্যবসাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান,

তাহলে এখান থেকে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার কিছু সেরা পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

১. একটা নতুন পেজ তৈরী করুন:

http://facebook.com/pages/create– এই লিঙ্কে ক্লিক করে, আপনি বিনামূল্যে ফেসবুক পেজ তৈরী করতে পারেন।

লিঙ্কটি খুললে আপনি সেখানে আপনার বিবরণগুলো ফিলআপ করার মাধ্যমে একটা পেজ তৈরী করে নিতে পারবেন।

যদিও, আপনার বিসনেস পেজটির সাথে আপনার প্রোফাইল পেজের অনেকটাই মিল রয়েছে তবে, এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু অমিলও রয়েছে।

আসলে, আপনার বিজনেস পেজটি অনেকটা আপনার ওয়েবসাইটের মতোই কাজ করে।

যেখানে আপনার হোম পেজটি আপনার বিজনেসের যাবতীয় তথ্য (যথা- নাম, ঠিকানা, বিবরণ, ফোন নম্বর ও ইমেইল আইডি) শো করে।

এই পেজটিতেই থাকে আপনার মেইন ফিড।

এখান থেকেই আপনি আপনার ছবি, ভিডিও ও কনটেন্ট দর্শকদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

এছাড়াও, এই পেজের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল- ইভেন্টস, জবস, রিভিউস এবং ইনসাইটস।

আপনার বিসনেস পেজটি ফিলআপ করার আগে, এর সাথে সর্বতোভাবে পরিচিত হওয়াটা জরুরি।

পেজের মেনু অপশনগুলো পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন পেজ সেটিংস খুলে দেখুন।

ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ক্ষেত্রে একটা অনুগত ফ্যান বেস তৈরী করাটাও কিন্তু একান্ত প্রয়োজনীয়।

পেজের শুরুতে আপনি কীভাবে আপনার ফলোয়ার বাড়াবেন, তার জন্যে কিছু টিপস রইলো –

  1. আপনার বন্ধুদের একটা মেসেজ পাঠান (যদি আপনি সঠিকভাবে জানেন যে, যেসব দর্শকেরা আসলেই আগ্রহী, তাদেরকেই মেসেজ পাঠাবেন)।
  2. আপনার কন্টাক্টদের একটা ইমেল পাঠান ও তাদের আপনার ব্যবসার পেজ সম্পর্কে অবগত করুন।

২. ফেসবুক পেজ দিয়ে আপনার অ্যাফিলিয়েট ব্যবসা বৃদ্ধি করুন:

– কল-টু-অ্যাকশন (CTA/Call-to-Action) বাটন যোগ করুন:

আপনার সম্ভাব্য ক্রেতাকে ক্রেতাতে পরিণত করার সেরা উপায়ের মধ্যে অন্যতম হল এই সিটিএ।

তাই, আপনার এফবি পেজে অবশ্যই একটা কল-টু-অ্যাকশন বাটন যুক্ত করুন।

আপনি আপনার পেজের ভিসিটরদের দ্বারা অবশ্যই এই কাজটি করাতে চাইবেন।

এক্ষেত্রে কল-টু-অ্যাকশনের সিরিজের মধ্যে কয়েকটাকে বেছে নিতে পারেন,

যেমন- আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন (contact us), বার্তা পাঠান (send message) ও আরও জানুন (Learn more).

আপনি এডিট পেজ বাটন থেকে এই সিটিএগুলো বেছে নিতে পারবেন।

৩. পেজ সেটিংস বদলান:

ফেসবুকের পেজের বিভিন্ন সেকশন আপনি নিজের মতো করে কাস্টোমাইজ করতে পারেন।

বামদিকের মেইন মেনু থেকেই আপনি পেজ সেটিংস অপশনটি পেয়ে যাবেন।

এই সেটিংস মেনু থেকে আপনি আপনার বিজনেস পেজে নানান ধরণের পরিবর্তন আনতে পারেন।

যেমন- আপনি ঠিক করতে পারবেন যে, কারা আপনার পেজে পোস্ট করতে পারবে কিংবা আপনি অটোমেটেড মেসেজ বা গ্রিটিংস-এর ব্যবস্থাও করতে পারবেন।

আপনি নতুন বিজনেস পেজ শুরু করলে, আপনি ‘টেমপ্লেটস অ্যান্ড ট্যাব’ ফিচারটিও এক্সপ্লোর করতে পারেন।

এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমতো টেমপ্লেটস ও ডিফল্ট বাটন যুক্ত ট্যাব নির্বাচন করে আপনার পেজটি আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

৪. একটা অনন্য অ্যাফিলিয়েট অফার তৈরি করুন:

অ্যাফিলিয়েট হিসেবে ফেসবুকে নিজের পরিচিতি বাড়ানোর একটা সেরা উপায় হতে পারে আকর্ষণীয় অফার তৈরী করা, যা মানুষের নজর টানবে।

যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম কোনো কুপন কোড তৈরী করে ও আপনাকে সেটা অনলাইন পাবলিশ করার অনুমতি দেয়, তাহলে এটা কিন্তু আপনাকে অনন্য অ্যাফিলিয়েট অফার তৈরী করতে সাহায্য করবে।

ঠিক পোস্টিং বক্স-এর তলায় আপনি ‘অফার’ বাটনটি পেয়ে যাবেন।

এখানে আপনি ডিসকাউন্ট, ডিল, বা অফার সম্পর্কে যাবতীয় বিবরণ যুক্ত করতে পারবেন।

আর, ঠিক যেকোনো এফবি পোস্টের মতো, এখানেও আপনার ফলোয়াররা কমেন্ট করে, যুক্ত হতে পারবে।

৫. ফেসবুক ইনসাইটস বুঝুন:

ফেসবুক ইনসাইটস থেকে আপনি আপনার ফেসবুক পেজের সমস্ত তথ্য দেখতে সক্ষম হবেন।

এই বিভাগে আপনি পেয়ে যাবেন ডিটেইলড অ্যানালিটিক্স, যথা- কোন পোস্টগুলো সবথেকে ভালো কাজ করবে কিংবা লোকেরা কীভাবে আপনার কন্টেন্টের সাথে ইন্টারেক্ট করবে- এই ধরণের সমস্ত বিস্তারিত তথ্য।

একবার আপনি আপনার কৌশলটি বের করে নেওয়ার পরে, আপনাকে এর রেজাল্টগুলোর ট্র্যাক রাখতে হবে।

তবে, সুপারমেট্রিক্স ফেসবুক ইনসাইটস টেমপ্লেট-এর মাধ্যমে আপনি দ্রুত আপনার ফেসবুক পেজের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন।

৬. আগে ফলোয়ারদের সাথে যুক্ত হন- তারপর প্রচার করুন:

তা ইউটিউব হোক কিংবা ফেসবুকের মতো অন্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই হোক না কেন, বিজ্ঞানপন দেখতে আমরা কেউই খুব একটা পছন্দ করি না।

আর, এই একই ব্যাপার ঘটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর ক্ষেত্রেও।

আপনি যদি একজন সফল ফেসবুক অ্যাফিলিয়েট হতে চান, তাহলে আপনাকে একজন কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আর, এর পাশাপাশি আপনার দর্শকদের সাথে ভালো সম্পর্কও গড়ে তুলতে হবে।

এইভাবে, আপনি যখনই কোনো বিজ্ঞাপন পোস্ট করবেন, তখনই আপনার অনুরাগীরা এটিকে বিরক্তির চোখে না দেখে, বরং তারা আপনার মতামতকে মূল্য দেবে ও আপনাকে বিশ্বাস করবে।

চলুন জানা যাক, আপনি কিভাবে ফেসবুকে এনগেজমেন্ট গড়ে তুলবেন?

৮০/২০-এর নিয়ম ব্যবহার করুন:

  1. আপনার পোস্টের ৮০% ভাগ অংশকে শেয়ারযোগ্য শিক্ষামূলক কিংবা বিনোদনমূলক রাখুন।
  2. পোস্টের বাকি ২০% অংশই প্রচারমূলক রাখুন।
  3. প্রতিটি পোস্টে আপনার ফলোয়ারদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ভুলবেন না।

আপনি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে হোক কিংবা মজার ক্যুইজের মাধ্যমেই হোক, আপনি যেকোনোভাবেই অডিয়েন্সের মধ্যে এনগেজমেন্ট তৈরী করতে পারেন।

এছাড়াও, আপনি বিনামূল্য অপ্ট-ইন মেইলের মাধ্যমে ইমেল লিস্টের সাহায্যেও, এনগেজমেন্ট তৈরি করতে পারবেন৷

৭. প্রাইভেট গ্রূপ তৈরী করুন:

অন্যদিকে, আপনি একটা ব্যক্তিগত ফেইসবুক গ্রুপও শুরু করতে পারেন।

আপনার মনে হতেই পারে যে, একটা গ্রুপ ও ফেসবুক পেজের মধ্যে পার্থক্যটা কি?

এই দুটি বিষয় কাছাকাছি হলেও, এদের মধ্যেকার প্রধান পার্থক্য হল এই যে, একটা ফেইসবুক পেজ কখনওই ব্যক্তিগত হতে পারে না।

একটা গ্রুপের ক্ষেত্রে আপনি গ্রুপটা ব্যক্তিগত কিছু মানুষ নিয়েই তবে তৈরী করতে পারেন।

সুতরাং, একটা প্রাইভেট গ্রুপ হল একই ধরণের মানসিকতার মানুষদের সাথে সংযোগ করার অন্যতম প্রধান একটা উপায়।

তবে, এই গ্রুপটা কেবলমাত্র সেই সমস্ত অ্যাফিলিয়েটদের জন্যই উপযুক্ত, যাদের ইতিমধ্যেই সক্রিয় ফলোয়ার বা ক্লায়েন্ট রয়েছে।

যেমন- কোনো ইকমার্স ব্র্যান্ডের জন্য একজন অ্যাফিলিয়েট হিসাবে, আপনি একটা ছোট প্রাইভেট কম্যুনিটি তৈরি করতেই পারেন; যেখানে আপনি ফাইল, টিউটোরিয়াল কিংবা কোনো ডিলও শেয়ার করতে পারেন।

এছাড়াও, আপনি তাদের প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারেন৷

৮. ফেসবুকে পোস্ট করুন:

আপনার ভিসিটররা যে ধরণের কনটেন্ট পছন্দ করবেন, সে বিষয়ে চিন্তা করুন।

আপনি ভিডিও, ওপিনিয়ন পোল ও এমনকি ইভেন্টের মতো আকর্ষণীয় ফর্ম্যাটগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

সপ্তাহের কোনো একটা দিন যথা- “ওয়ান্ডারফুল ওয়েডনেসডে”-কে ঠিক করে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করুন, যাতে আপনার দর্শকরা আপনার কন্টেন্টের জন্যে প্রতি সপ্তাহে ফিরে আসে।

একটা কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরী করার মাধ্যমে আপনার পোস্টগুলোকে পাবলিশ করার আগাম পরিকল্পনা করে নিন৷

আপনি আগে থেকেই কনটেন্ট প্রস্তুত করে সেটা একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশ করার জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করতে পারেন।

কোনো পোস্ট শিডিউল করতে পেজ সেটিংসে ‘পাবলিশিং টুলস’-এ যান।

এর সাহায্যে আপনি কন্টেন্টের সময়সীমা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারবেন ও সর্বদা সময় মেইনটেইন করে আপনি কনটেন্ট পাবলিশও করতে পারবেন।

সামঞ্জস্যপূর্ণ কনটেন্ট পাবলিশ করা হল অনুগত অডিয়েন্স ধরে রাখার মূল মন্ত্র।

প্রতিদিন কিংবা দিনে দুই-তিনবার পোস্ট করা খুবই ভালো।

তবে, আপনি যে সময়সূচীই নির্বাচন করুন না কেন, এই ব্যাপারে একটানা লেগে থাকার চেষ্টা করুন।

আপনার ফলোয়াররা আশা করে যে, আপনি প্রতিদিন কিংবা নিয়মিতভাবে পোস্ট করবেন।

যেকোনো সময়সূচীতে নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার আগে এক বা দুই বছরের জন্য ধারাবাহিকভাবে একই ফ্রেকুয়েন্সিতে কনটেন্ট প্রকাশ করতে সক্ষম হবেন কিনা, সেটা আগে ভেবে দেখুন।

লিড তৈরি করার সেরা পদ্ধতি:

চলুন এবার আমরা ফেসবুক পেজে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে লিড তৈরি করার কিছু উপায় গুলো জেনেনেই।

ব্লগ পোস্ট প্রচার করুন:

আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাড়াতে ব্লগ পোস্ট হল খুব কার্যকরী একটা উপায়।

আপনার ওয়েবসাইটে সবচেয়ে বেশি লিড জেনারেট করে এমন ব্লগ পোস্টগুলো চয়ন করে সেগুলোকে ফেসবুকে শেয়ার করুন৷

এটি আপনাকে আরও বেশি দর্শককে পেজে আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে৷

আপনার পোস্টগুলোকে অডিয়েন্সদের আরও বেশি করে জানতে, কমেন্ট করতে ও তাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে CTA যোগ করুন।

ভিডিও প্রকাশ করুন:

সোশ্যাল মিডিয়াতে কন্টেন্ট পোস্ট করার অন্যতম সেরা মাধ্যম হল ভিডিও।

একটা ভিডিও সম্পাদনা করতে অনেকটা সময় ও পরিশ্রম লাগলেও, এটা সবথেকে বেশি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।

ফলোয়াররা কোনো দীর্ঘ পোস্ট পড়ার বদলে ভিডিও দেখতেই বেশি পছন্দ করে।

আপনি যদি কোনো ভিডিও তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে সেটিকে ভালো সম্পাদনা ও আকর্ষণীয় সাবটাইটেল ব্যবহার করে সুন্দর করে তুলুন৷

অনেক মানুষ শব্দ ছাড়াই আপনার ভিডিও দেখে থাকে, তাই সাবটাইটেল যুক্ত করলে, সেই ভিডিও অনেক মানুষের কাছেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে পৌঁছতে পারে।

তাই, নিশ্চিত করুন যে, তারা যাতে কোনোভাবেই সমালোচনামূলক তথ্য মিস না করে দেয়।

সবথেকে জনপ্রিয় পোস্ট পিন করে দিন:

ফেসবুক আপনাকে আপনার পেজের শীর্ষে যেকোনো পোস্ট পিন করতে দেয়।

এইভাবে, পোস্ট পিন সর্বদা আপনার পেজের প্রথম পোস্ট হিসেবে দর্শকদের সামনে উপস্থিত হবে।

এই ফিচারটি আপনার সুবিধার জন্য ব্যবহার করে আপনার কন্টেন্টকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন৷

আপনার সেরা পারফরম্যান্স পোস্টগুলোর মধ্যে একটিকে পিন করে দেখুন, আপনার পেজের কর্মক্ষমতা আরও বাড়ে কিনা৷

একটা কনটেস্ট রান করুন:

নতুন লিড জেনারেট করতে ও আপনার বিদ্যমান অডিয়েন্সদের সাথে যুক্ত থাকতে অন্যতম সেরা উপায় হল একটা এফবি কনটেস্ট চালানো।

সম্ভবত, আপনাকে শর্তাবলী ও রিওয়ার্ড সহ আপনার অ্যাফিলিয়েটড ওয়েবসাইটে একটা ভিন্ন কনটেস্ট পেজ তৈরী করুন।

যাইহোক, আপনি এখানেও সংক্ষিপ্ত বিবরণ যুক্ত করে আপনার ল্যান্ডিং পেজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লিঙ্কসহ একটা কনটেস্ট পোস্ট প্রকাশ করতেই পারেন।

অ্যাফিলিয়েটেড-এর ব্যাপারে প্রকাশ করুন:

মনে রাখবেন যে, আপনার ফেইসবুক পেজে যেকোনো পণ্য-প্রচারকারী পোস্টে অবশ্যই একটা অ্যাফিলিয়েটেড প্রকাশনা দিতে হয়।

যেখানে, উল্লেখ করতেই হয় যে, আপনি আপনার লিঙ্কগুলোর মাধ্যমে যেকোনো বিক্রয়ের থেকে কমিশন পেতে পারেন।

এটিকে অবশ্যই দৃশ্যমান ও অ্যাফিলিয়েটেড লিঙ্কের কাছাকাছি থাকতে হবে।

এই ডিসক্লোজার রেগুলেশন মেনে না চললে, আপনাকে আইনি পরিস্থিতিতেও পড়তে হতে পারে।

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন চালান:

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনার একটা ফেসবুক বিসনেস পেজ ও একটা বিজ্ঞাপন অ্যাকাউন্ট থাকাটা প্রয়োজনীয়৷

এই দুটি অপশন প্রস্তুত থাকলে, আপনি ফেসবুক বিজ্ঞাপন ম্যানেজারে গিয়ে এফবি বিজ্ঞাপন সেটআপ করতে পারেন।

এই বিজ্ঞাপনের কৌশল আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লক্ষ্যের উপর নির্ভরশীল।

যেহেতু, অ্যাফিলিয়েটদের এই ধরণের প্রোগ্রামে লিঙ্কে ক্লিক করার বিনিময়ে কমিশন দেওয়া হয়, তাই আপনার নিজের টার্গেটকে প্রসারিত করতে ও ব্যাপক সংখ্যক দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজন পড়ে।

যদি আপনি শুধুমাত্র বিক্রয় বাড়াতে চান, তাহলে লিমিটেড টার্গেট রাখতেই পারেন।

যেকোনো বিজ্ঞাপনের মতোই, এখানেও আপনাকে টার্গেট গ্রুপ, কোন কীওয়ার্ড সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করছে তা বিশ্লেষণ করার জন্য, পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।

আর, সেই অনুযায়ী আপনার ক্যাম্পেইনকে ডিসাইন করতে হয়।

এইবার তাহলে জানা যাক, ফেসবুকের জন্য বিশেষ ও জনপ্রিয় কয়েকটি সেরা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে।

ফেসবুকের জন্য কতগুলো সেরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম:

ফেসবুক এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করার জন্যে আপনার প্রয়োজন হবে কিছু সেরা এবং লাভজনক affiliate program গুলোর।

নিচে এমন কিছু সেরা affiliate program গুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে।

১. Amazon Associates:

আমাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটির মাধ্যমে শিক্ষানবীশ থেকে অভিজ্ঞরা, সকলেই একইভাবে উপকৃত হতে পারে।

আর, এটি ব্যবহার করাও সহজ।

আমাজনের থেকে বিজ্ঞাপন ও লিঙ্কগুলোর বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ-লক্ষ পণ্য রয়েছে।

যা আপনি আপনার দর্শকদের পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারেন।

এখানে আপনাকে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে একটা অ্যাকাউন্টের জন্য সাইন আপ করতে হয়৷

আপনি যে নিশ বা পণ্যটি প্রচার করছেন- তার উপর নির্ভর করে আপনি ২০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।

আপনার লিঙ্ক থেকে বিক্রয় হলে আপনি ৬০ দিনের মধ্যেই আপনার কমিশন পেয়ে যাবেন।

২. ClickBank:

ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করার জন্য ClickBank হল অন্যতম সেরা মাধ্যম হতে পারে।

যদিও বর্তমানে ক্লিকব্যাঙ্ক ফিজিক্যাল প্রোডাক্টের দিকে এগোলেও, এরা প্রধানত ই-বুক, ও ই-কোর্সগুলোর উপরই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম দিয়ে থাকে।

যারা নতুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করছেন, তাদের জন্য এটা একটা চমৎকার বিকল্প হতে পারে।

কারণ, এখানে আপনি বিনামূল্যে যোগদান করতে পারেন।

আর, এখানে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটির অনুমোদন প্রক্রিয়াটিও দ্রুত ও সহজ।

৩. Fiverr Affiliate Platform:

ফাইভারের মতো অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মে লেখা, ট্রান্সক্রিপশন, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক ডিজাইনের চাকরি থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যবসায়িক পরিষেবা পর্যন্ত নানান ধরণের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের সুযোগ থাকে।

হাইব্রিড $১০ সিপিএ/১০% রেভিনিউ শেয়ার মডেলের কারণে, প্রতিটি অ্যাফিলিয়েট, তাদের নতুন গ্রাহক পিছু সিপিএ-তে $১৫০ পর্যন্ত বা এই পরিষেবাগুলো মার্কেটিং করার পরে, বিক্রি প্রতি $১০০০ পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

এই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে কুকি ৩০ দিন স্থায়ী হয়।

অর্থাৎ, আপনি কাউকে এখানে রেফার করলে সে যদি ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য কেনে, তাহলেও আপনি কমিশন পেতে পারেন।

এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সর্বনিম্ন পেআউট হল $১০০৷

৪. eBay Partner Network:

ইবে-তে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য গ্রাহক রয়েছে।

এছাড়াও, তারা গ্লোবাল ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসা পর্যন্ত সকলের সাথেই যুক্ত।

বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ব্যবসাগুলো তাদের আইটেমগুলো প্রচারের জন্য এই সাইটটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।

eBay-এর পার্টনার নেটওয়ার্কে বিনামূল্যে সাইনআপ করার পর, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের অনুমোদন পেয়ে যাবেন।

এখানে যেকোনো বিক্রয়ের উপর ৬% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।

আর, এই অর্থ আপনি ২১ দিনের পরে পাবেন।

এখানে সর্বনিম্ন পেআউট হল $১০।

৫. Impact Affiliates:

Impact Affiliates হল একটা অন্যতম সেরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম।

এখানে অ্যাফিলিয়েটদের নেটওয়ার্ক বিকাশ করতে অটোমেশন পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়।

আপনি এই প্ল্যাটফর্ম দ্বারা হোস্ট করা বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে যেকোনো প্রোগ্রামই নির্বাচন করতে পারেন।

কোলাবরেশনের জন্য উপলব্ধ সমস্ত ব্যবসা ও সংস্থাগুলো একটা মার্কেটপ্লেসে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে আপনি একজন অ্যাফিলিয়েট হিসাবে অ্যাক্সেস করতে পারেন৷

এখানে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কিংবা বিক্রয়ের উপর কমিশনের মাধ্যমেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

কোনো প্রোগ্রামে আবেদন করার আগে সেটার বিবরণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

ইমপ্যাক্ট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আপনাকে প্রতি মাস অনুযায়ী পেমেন্ট করা হয়।

আপনি মাসের কোনো নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো মুদ্রায় অর্থ তুলতে পারেন।

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় – (পরিশেষে) :

উপরিউক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করে, যদি আপনি ফেসবুকের সাহায্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন, তবে সাথে-সাথে না হলেও, দীর্ঘদিন ধরে এই মার্কেটে টিকে থাকলে ও ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতে থাকলে, ফেসবুকের মাধ্যমে এখান থেকে আপনি প্রতিদিন কমবেশি ৫০০ টাকা আয় করতেই পারবেন।

এছাড়াও, ফেইসবুক পেজে এর বিজ্ঞাপন থেকেও যথেষ্ট উপার্জন করা সম্ভব।

তবে, সবটাই এখানে ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের ব্যাপার।

আর, এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন না থাকলেও, আপনাকে এখানে নিজের পরিশ্রম, সময় ও সৃজনশীলতা অকুণ্ঠভাবে ব্যয় করতে হবে, যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে অনেক অর্থ রোজগার করতে চান তো ।

আমাদের আজকের কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।

লেখাটি থেকে কোনো আইডিয়া পেলে, অবশ্যই লেখাটিতে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *