Skip to content

কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় ? (ইনকামের ৯টি উপায়)

আপনিও কি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে চান ? ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো খুঁজছেন ? এমনিতে, ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার অনেক ভালো ভালো উপায় আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের মধ্যে, ব্লগ থেকে আয় করা এবং ইউটিউবের থেকে অনলাইন ইনকাম করা, সব থেকে লাভজনক বলে আমি আগেই বলেছি। কিন্তু, আপনারা এইটা জেনে খুশি হবেন যে, এখন একটি ফেসবুক একাউন্ট খুলেও অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। মানে, ফেসবুক থেকে ইনকাম করাটাও এখন সম্ভব।

তাই ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ? টাকা আয় করার উপায় এবং নিয়ম গুলো কি ? এই বিষয়ে আমি আপনাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে বলতে চলেছি। (How to make money from Facebook) ?

আমরা সবাই জানি, Facebook বিশ্বের সব থেকে বড় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। এই social media সাইটের প্রায় 2.96 বিলিয়ন মাসিক একটিভ ইউসার রয়েছে। এবং এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

ফেসবুকে আমরা নিজের একটি একাউন্ট বানিয়ে দিনের পর দিন চ্যাটিং করে এবং অন্যদের স্টেটাস দেখার মাধ্যমে সময় নষ্ট করি। কিন্তু, আপনি চাইলে, বিশ্বের সব থেকে বিখ্যাত এই social media website টিকে টাকা আয় করার দারুন একটি উপায় হিসেবে এর লাভ নিতে পারবেন।
কিন্তু, সত্যি কথা বলতে গেলে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার নিয়ম গুলো এমনিতে এতোটা সোজা বা সহজ নয়। তাই, ফেসবুক থেকে আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে শুরুতে কিন্তু প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় এবং সময় দিতে হয়।

তবে চিন্তা করতে হবেনা, নিচে বলে দেওয়া ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার এই উপায় গুলো ব্যবহার করে বর্তমানে প্রচুর লোকেরা ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত রোজগার করার দারুন একটি সুযোগ তৈরি করতে পেয়েছেন।

ফেসবুকে ইনকাম করার জন্য কিসের প্রয়োজন হবে ?

ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আমাদের কিছু জরুরি বিষয় গুলোর ওপর নজর রাখতে হবে। মানে, কিছু সাধারণ প্রয়োজনীয়তা গুলো রয়েছে যেগুলো ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনার দরকার হবে। চিন্তা করতে হবেনা, এগুলো অনেক সাধারণ কিছু প্রয়োজনীয়তা যেগুলো আপনি অনেক সহজেই প্রাপ্ত করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, নিচে আমি যেই প্রয়োজনীয়তা গুলোর বিষয়ে বলতে চলেছি সেগুলো ফেসবুক থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক।

সবচে আগেই আপনার কাছে একটি ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থাকতে হবে।
ফেসবুক চালানোর জন্য আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে।
নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে তাড়াতাড়ি ইনকাম করার জন্য টার্গেটেড অডিয়েন্স (followers) দের প্রয়োজন।
আপনাকে খানিকটা ক্রিয়েটিভ হতে হবে এবং অন্যরা কিভাবে কাজ করছে সেই বিষয় গুলোর ওপর নিয়মিত নজর রাখতে হবে।
শেষে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এর।
যদি ওপরে বলে দেওয়া প্রত্যেকটি জিনিস আপনার কাছে উপলব্ধ রয়েছে, তাহলে আপনিও এখন ফেসবুক থেকে রিয়েল টাকা ইনকাম করার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি।

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ? আয় করার ৯টি উপায় (২০২৩)

আমি আগেই বলেছি, একটি ফেসবুক একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করার ব্যাপারটা তেমন একটি সোজা কাজ নয়। কিন্তু, ইন্টারনেটে এমন কয়েকটি প্রমাণিত উপায় রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করে চাইলে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এবং অনেকেই করছে।

ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন সোর্স গুলোর থেকে সংগ্রহ করে, ফেসবুক থেকে আয় করার কিছু সেরা এবং প্রচলিত উপায় গুলির বিষয়ে আপনাদের বলতে চলেছি। আপনি এই উপায়গুলি ব্যবহার করে Facebook কে অনলাইন আয়ের একটি দারুন মাধ্যম বানিয়ে নিতে পারবেন।

১. ফেসবুক মার্কেট প্লেস থেকে ইনকাম করুন

আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই Facebook market place এর ব্যাপারে জানান ? তাইতো ?

ফেসবুকের এই সার্ভিস দ্বারা, আপনি যেকোনো product, service বা offer এখানে লিস্ট করতে পারবেন এবং লোকেদের দেখাতে পারবেন। এইটা, একটি online shopping website এর মতোই, যেখানে যেকোনো ফেসবুক একাউন্ট থাকা ব্যক্তি নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইনে ডিসপ্লে করে বেচা কেনা করতে পারবে এবং এর দ্বারা টাকা কমাতে পারবেন।

সোজা ভাবে বললে, আপনি যদি নিজের কোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে চান, তাহলে ঘরে বসেই “Facebook মার্কেট প্লেসে” দ্বারা সেই পণ্য বা পরিষেবার বিষয়ে হাজার হাজার লোকেদের জানিয়ে দিতে পারবেন।

এবার যদি কোনো ব্যক্তি আপনার ডিসপ্লে করা পণ্য কিনে নিতে চাইবেন, তাহলে সে আপনাকে সরাসরি ফেসবুক এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে। এতে, ঘরে বসে ফেসবুকের মাধ্যমেই আপনি আপনার প্রোডাক্টের জন্য কাস্টমার (customer) পেতে থাকবেন এবং আপনার নিয়মিত ইনকাম হতে থাকবে।

Market place দ্বারা টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন ?

আপনাকে সর্ব প্রথমে, একটি ভালো এবং চাহিদা থাকা পণ্য (product) কোনো wholesaler বা কম দামে দিচ্ছে এমন কোনো দোকান থেকে কিনতে হবে। যেমন, সুন্দর সুন্দর কানের দুল, স্টাইলিশ (stylish) শাড়ী, ছেলেদের কাপড় বা যেকোনো প্রোডাক্ট যেগুলোর চাহিদা মার্কেটে অনেক।

তারপর আপনার নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে “Facebook market place” এ গিয়ে প্রোডাক্টের ছবি, ডিটেলস, নিজের মোবাইল নম্বর এবং দাম সহ সবটাই দিয়ে দিতে হবে। আপনি নিজের প্রোডাক্টের ডিসপ্লে বা বিজ্ঞাপন ফ্রীতেই দিতে পারবেন।

এখন, আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন আপনি নিজের ফেসবুক গ্রুপ, প্রোফাইল এবং “promote ad” অপশনের দ্বারা যেকোনো শহর, দেশ বা লোকাল জায়গায় দেখাতে পারবেন।

আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন বা প্রোডাক্ট যদি কারো ভালো লাগে, তাহলে সে আপনাকে ডাইরেক্ট মোবাইল নম্বরে ফোন করে দামাদামি বা প্রোডাক্ট এর বেপারে কথা বলতে পারবে।
বিশ্বাস করুন, এভাবে অনেকেই ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিজের অনলাইন ব্যবসা চলিয়ে টাকা ইনকাম করছেন। তাই আপনিও চাইলে এই ভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, অনলাইন ব্যবসার মূল মন্ত্র হলো চাহিদা এবং কম দাম।

আপনি যদি, চাহিদা থাকা কোনো প্রোডাক্ট লোকাল মার্কেট থেকে কম দামে বিক্রি করেন, তাহলে সেই product এর বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেসবুক থেকে অনেক গ্রাহক পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

বিশেষ করে আপনার লোকাল এরিয়া বা জায়গার থেকে কাস্টমার পাওয়া অনেক সোজা। কারণ, আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার শহরের বা আসে পাশে থাকা লোকেরাই ফ্রেন্ডস হিসেবে আপনার সাথে জড়িত।

তাই, সেই ফ্রেন্ডস দেড় আপনি আপনার কাস্টমার বানিয়ে নিতে পারবেন। এবং তাই, প্রোডাক্ট বা জিনিস ডেলিভারি (delivery) দিতেও আপনার কোনো অসুবিধে হবেনা।

২. ভিডিও আপলোড কোরে টাকা আয় করুন

এখন, আপনারা ফেসবুকের নতুন “video monetization” এর বেপারে শুনেছেন কি না তা আমি জানিনা।

কিন্তু, Facebook video monetization বা In-stream ads ফেসবুকের তরফ থেকে এমন একটি নতুন প্রক্রিয়া বা সার্ভিস যার দ্বারা আপনি ফেসবুক ফ্যান পেজে ভিডিও আপলোড কোরে আনলিমিটেড (unlimited) ইনকাম করতে পারবেন। চলুন এবেপারে বিস্তারিত জেনেনেই।

In-stream ads বা video monetization কি ?

আসলে In-stream ads হলো ছোট্ট ছোট্ট বিজ্ঞাপন, যেগুলি আপনারা নিজের ফেসবুক ভিডিওতে দেখাতে পারবেন এবং তার থেকে টাকা আয় কোরতে পারবেন। আপনি ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করতে হবে এবং এই মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনার একটি ফেসবুক ফ্যান পেজের দরকার হবে।

মনে রাখবেন, আপনি নিজের Facebook profile এ আপলোড করা ভিডিওতে এই ads breaks বা বিজ্ঞাপন লাগাতে পারবেননা। হে, পুরোটাই YouTube channel এর মতোই।

ইউটিউবে যেরকম আমরা ভিডিও আপলোড করে তাতে Google AdSense এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করে থাকি, ঠিক সেভাবেই Facebook পেজে নিজের বানানো ভিডিও আপলোড কোরে, In-stream ads এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারা যাবে।

কিন্তু, যেরকম ইউটিউবের থেকে আয় করার আগে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন বা প্রয়োজনীয়তা মানার দরকার, ঠিক তেমনি ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার জন্য আপনার কিছু নিয়ম বা প্রয়োজনীয়তার প্রয়োজন হবে।

তবে, ২০২৩ সালে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে আমার হিসেবে এইটা সব থেকে লাভজনক ও কাজের উপায়।

৩. Affiliate marketing এর মাধ্যমে আয়

Affiliate marketing এমন একটি শব্দ বা বিষয়, যেই বিষয়ে প্রত্যেকটি ব্লগার বা ইউটিউব চ্যানেল এর মালিকেরা জানেন। অনলাইন টাকা আয় করার ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে লাভকজনক এবং কাজে আশা উপায়। এফিলিয়াট মার্কেটিং দ্বারা আজ অনেকেই হাজার হাজার টাকা ঘরে বসেই আয় করছেন।

আসলে, “এফিলিয়েট মার্কেটিং” এমন একটি উপায় বা মাধ্যম যার দ্বারা আপনি ইন্টারনেটে থাকা অনেক রকমের “online shopping website” থেকে যেকোনো জিনিস বা product নিজের ব্লগ, ইউটিউবের চ্যানেল বা ফেসবুকের ফ্যান পেজে দেখিয়ে কিংবা তাদের প্রোমোট কোরে কমিশন (commission) প্রাপ্ত করতে পারবেন।
বড় বড় অনলাইন শপিং সাইট যেমন, Amazon, Flipkart বা snapdeal তাদের যেকোনো প্রোডাক্ট এফিলিয়েট লিংকের দ্বারা লোকেদের সাথে শেয়ার বা প্রোমোট করার সুযোগ আমাদের দেয়।

এবং, যখন আমাদের শেয়ার করা প্রোডাক্ট এর লিংক থেকে কেও সেই অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে কিছু কেনা কাটা করেন তখন আমরা কিছু কমিশন টাকা কমিয়ে নেই। আয় করা কমিশন (commission) আলাদা আলাদা প্রোডাক্টের জন্য আলাদা আলাদা হতে পারে। আর এটাই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এখন, আপনার যদি একটি ফেসবুক ফ্যান পেজ (Facebook page) আছে এবং তাতে অনেক লাইক (like) আছে বা একটি ফেসবুক গ্রুপ (Facebook group) আছে তাহলে সেই পেজে বা গ্রুপে অনেক রকমের প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারবেন।

এবং, যখনি কেও আপনার শেয়ার করা প্রোডাক্টের লিংক থেকে কিছু কিনবে, তখন আপনি যেই ওয়েবসাইট থেকে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করেছেন, তাদের তরফথেকে commission আয় করবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার একটি ভালো উপায় আপনার জন্য প্রমাণিত হতে পারে।

খুশির কথা এটাই যে, আজকাল যেকোনো অনলাইন শপিং সাইটে আপনি নিজেকে affiliate marketer হিসেবে রেজিস্টার কোরতে পারবেন এবং তাদের যেকোনো প্রোডাক্ট শেয়ার করে আয় করতে পারবেন।

৪. Direct local Product advertising

আপনার ফেসবুক একাউন্টে যদি অনেক ফ্রেন্ডস আছে, একটি গ্রুপ আছে কিংবা আপনার একটি ফেসবুক ফ্যান পেজ (fan page) আছে যেখানে হাজার হাজার লাইক (like) রয়েছে, তাহলে তাতে লোকাল প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি আয় করতে পারবেন।

আপনি যেকোনো বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন, যেকোনো নতুন দোকানের বিজ্ঞাপন, কোনো জায়গা, রেস্টুরেন্ট বা আপনার আসে পাশে থাকা যেকোনো মার্কেটের বিজ্ঞাপন নিজের ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলে দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।
এভাবে ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার জন্য, আপনার সবচেয়ে প্রথমে, যারা বিজ্ঞাপন দেখাতে চান তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

নিজের আসে পাশে থাকা দোকান গুলোতে গিয়ে জিগেশ করতে পারেন যে তারা আপনার ফেসবুক পেজে কিছু বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ব্যবসার প্রচার করতে চান নাকি। মনে রাখবেন, আজকাল ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে হাজার হাজার লোকেরা অনলাইন সক্রিয় থাকে।

এবং তাই, যেকোনো জিনিসের জন্য বিজ্ঞাপন দেখানো বা যেকোনো জিনিস প্রোমোট করার ক্ষেত্রে ফেসবুক (Facebook) অনেক লাভ জনক একটি মাধ্যম।

তাই, আপনার ফেসবুক পেজে যদি ১০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে লাইক থাকে তাহলে আপনি সহজে অনেক লোকাল advertiser পেয়ে যাবেন যারা আপনার ফেসবুক পেজে লোকাল বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে টাকা দিবে।
এর বাইরেও, অনেক ইউটিউবের চ্যানেল মালিক এবং ব্লগের মালিক রয়েছে যারা আপনার ফেসবুক পেজে তাদের ভিডিও বা ব্লগের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে টাকা দিতে পারে।

এতে, তারা নিজের ব্লগ আর্টিকেল বা ইউটিউবের ভিডিওতে ফ্রীতেই সোশ্যাল ট্রাফিক (social traffic) পেয়ে যাবে। কিন্তু, আপনার প্রথমে এমন কিছু ব্লগ মালিক দের খুঁজে বের করতে হবে যারা নিজের ব্লগের জন্য সোশ্যাল ট্রাফিক কিনতে চান।

৫. ফেসবুক পেজ বিক্রি করুন

অনেক ব্লগার বা ইউটিউবের চ্যানেল মালিকেরা নিজের ব্লগ বা চ্যানেলের প্রোমোশনের (promotion) জন্য অনেক রকমের ফেসবুক পেজ কিনতে চান। যদি আপনার Facebook page এ ভালো সংখ্যায় লাইক (likes) আছে, তাহলে সেই পেজ আপনি ভালো দামে বিক্রি করে টাকা কমিয়ে নিতে পারবেন।

আপনি যে আপনার পেজ টি বিক্রি করতে চান এবেপারে আপনি একটি পোস্ট নিজের ফেসবুক গ্রুপ বা একাউন্টে দিয়ে দেখতে পারেন। এর বাইরেও, ফেসবুকে অনেক কেনা/বেচা (buy/sell) গ্রুপ রয়েছে যেগুলিতে গিয়ে আপনি নিজের পেজ বিক্রি করার বিজ্ঞাপন / পোস্ট দিতে পারেন।

এবং, যদি কেও আপনার পেজ কিনতে চান, তাহলে সে আপনাকে ডাইরেক্ট ফেসবুকের মাধ্যমে কন্টাক্ট (contact) করতে পারবে।

৬. ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করুন

যদি আপনার কাছে এমন একটি ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যেটাতে প্রচুর members বা followers আছে, তাহলে অবশই সেই গ্রুপ থেকে ভালো পরিমানে ইনকাম করা সম্ভব।

এমনিতে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার গ্রুপ এর জনপ্রিয়তা কতটা অধিক সেটা হলো মূল বিষয়। Facebook group থেকে টাকা আয় করার জন্য সবচে প্রথমে আপনাকে নিজের Facebook account থেকে একটি Group তৈরি করতে হবে।

এবার, গ্রুপে নিয়মিত মজার কনটেন্ট পোস্ট করতে থাকতে হবে এবং কমেও ১০ হাজার active members জোগাড় করতে হবে।নিজের group এর members দের সব সময় গ্রুপে active রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য, questions, blog post, images, videos বা polls ইত্যাদির ব্যবহার করা উচিত।

এখন, এক বার আপনার গ্রুপ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়ালে এবং সেখানে কমেও ১০ হাজার followers হয়ে গেলে, আপনি এই উপায় গুলো ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।

Paid surveys গুলোর মাধ্যমে।
Sponsored content গুলো publish করে।
আপনি নিজের product/book/services ইত্যাদি বিক্রি করতে পারবেন।
Affiliate marketing এর মাধ্যমে।
নিজের group বিক্রি করে।
Group থেকে বিভিন্ন blogs বা YouTube channel গুলোতে traffic বিক্রি করিয়ে।

৭. PPD Program Join জয়েন করুন

PPD মানে হলো Pay Per Download, যেখানে আপনাকে প্রত্যেক download এর বিপরীতে টাকা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি ভালো এবং trusted PPD program এর সাথে সংযুক্ত (join) হতে হবে।

এবার PPD program গুলোর তরফ থেকে আপনাকে কিছু products গুলো download করতে দেওয়া হবে। এবার, আপনি এই digital products (apps, games) গুলো নিজের Facebook group এর মধ্যে post করে সেগুলোকে download করাতে পারবেন। Apps, games, software ইত্যাদি গুলো যত বেশি লোকেরা download করবেন ততটাই অধিক আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

তবে, আপনার ফেসবুক গ্রুপে যত বেশি members বা followers থাকবেন, ততটাই অধিক লোকেরা সেগুলো ডাউনলোড করার সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে এবং আপনি অধিক ইনকাম করতে পারবেন।

৮. ফ্রিল্যান্সিং করে প্রত্যেক দিন ফেসবুকে আয়

যদি আপনি কোনো বিশেষ কাজের ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি তাহলে অন্যদের জন্য সেই কাজটি করে আপনি প্রচুর ইনকামের সুযোগ তৈরি করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হলো, গ্রাহক কোথায় পাবেন ? আপনাকে কাজ কে দিবে ?

আপনি যেই কাজটি করার কথা ভাবছেন সেই কাজের সাথে জড়িত ফ্রিল্যান্সিং প্রচুর গ্রুপ গুলো পাবেন। আপনি সেই গ্রুপ গুলোতে গিয়ে নিজের কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার বিষয়ে অন্যান্য লোকেদের বলতে পারেন। গ্রাহকেরা আপনার সাথে কমেন্ট এবং ডাইরেক্ট চ্যাটিং এর মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন এবং কাজের চুক্তি করতে পারবেন।

যদি অন্যান্য ব্যক্তিরা আপনার থেকেই কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহী হয়ে থাকে, তাহলে আপনি তাকে ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা প্রদান করে টাকা ইনকামের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

এখন যদি আপনি ভাবছেন যে আপনার তো তেমন কোনো বিশেষ কাজের অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা নেই, তাহলেও চিন্তা করতে হবেনা।

YouTube-এর মধ্যে গিয়ে আপনি নিজের রুচি ও পছন্দ মতো যেকোনো বিষয়ে ফ্রীতে শিখে নিতে পারবেন। আপনি ২-৪ মাসের সময় নিয়ে logo design, video editing, content writing বা অন্যান্য যেকোনো একটি কৌশল ভালো করে শিখে নিন।

এর পর, যখন আপনি নিজের কাজে সম্পূর্ণ ভাবে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয়ে দাঁড়াবেন, তখন ফেসবুক ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো খুঁজতে ও সেগুলির মাধ্যমে নিয়মিত রোজগার করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর লাভ ও সুবিধা গুলো –

যেকোনো সময় যেকোনো জায়গার থেকে নিজের কাজ গুলো করতে পারবেন।
Facebook group এবং page গুলোর সাহায্যে সহজেই গ্রাহক খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ফেসবুক কমেন্ট এবং চ্যাট এর মাধ্যমে নিজের গ্রাহকদের সাথে কাজের বিষয়ে সহজেই কথা বলা সম্ভব।
সঠিক ভাবে কাজ সম্পূর্ণ করার পর সরাসরি পেমেন্ট দিয়ে দেওয়া হয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনি নিজেই নিজের মালিক।

৯. ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে টাকা আয়

অনেকেই আছেন যারা অন্যদের ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজ গুলো কেবল পরিচালনা করার মাধ্যমে টাকা রোজগার করতে পারছেন। অপ্পনিও পারবেন।

বড় বড় সেলিব্রেটি এবং বিভিন্ন কোম্পানি গুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের প্রোফাইল এবং পেজ গুলির মাধ্যমে নিয়মিত একটিভ থাকেন। তবে, পেজ বা প্রোফাইল পরিচালনা করার জন্য তাদের কাছে এতটা সময় থাকেনা।

এই কারণেই বিভিন্ন সেলিব্রেটিরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট নিয়মিত একটিভ রাখার উদ্দেশ্যে ফেসবুক ম্যানেজার নিযুক্ত করে থাকেন যারা সেলিব্রেটিদের হয়ে তাদের ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলিতে পোস্ট, কমেন্ট ইত্যাদি করে থাকেন।

তাই, আপনিও একজন Facebook Account Manager হিসেবে অন্যান্য লোকেদের ফেসবুক পরিচালনা করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, মূলত আপনাকে আপনার কাজের বিপরীতে স্যালারি দেওয়া হয়ে থাকে।

ফেসবুক একাউন্ট ম্যানেজ করার লাভ –

বড় বড় সেলেব্রিটি বা মানুষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার সুযোগ পাবেন।
কাজের বিপরীতে আপনাকে প্রত্যেক মাসে বেতন বা মাইনে দেওয়া হবে।
এই কাজ আপনি পার্ট-টাইম হিসেবে চালিয়ে যেতে পারবেন।
অনেক সময় ঘরে বসে বা যেকোনো জায়গার থেকে এই কাজ করার সুবিধা দেওয়া হয়।

ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জনের সুবিধা ও লাভ গুলো:

চলুন, এখন নিচে আমরা ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার কিছু সুবিধা এবং লাভ গুলোর বিষয়ে জেনেনেই।

যদি আপনি ঘরে বসে কোনো টাকা ইনভেস্ট না করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার কথা ভাবছেন, তাহলে ফেসবুকের দ্বারা টাকা ইনকামের এই উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
যদি আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করার নিয়ম গুলো ব্যবহার করে নিয়মিত আয় করতে পারছেন, তাহলে আপনাকে বাইরে কোথাও চাকরি করার দরকার হবেনা। আপনি নিজেই নিজের মালিক হয়ে কাজ করতে পারবেন।
যদি আপনি কোথাও চাকরি করছেন তাহলে একদিনের ছুটির কারণেও আপনার থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। তবে, এই ধরণের অনেক অনলাইন ইনকামের উপায় গুলিতে আপনি ১ দিন কেন ১ মাস কাজ না করলেও আগেই করে রাখা পুরোনো কাজ গুলোর জন্য আপনি নিয়মিত ইনকাম করতে থাকতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে আয় করার এই উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি দিনে কেবল ২ থেকে ৩ ঘন্টা বা সম্পূর্ণ ভাবে নিজের সুবিধা হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে যত অধিক সময় কাজ করতে পারবেন ইনকামের সুযোগ ও পরিমান ততটাই বাড়বে।
আপনার ওপর কোনো ধরণের বিশেষ কাজের চাপ থাকেনা এবং চাপমুক্ত ভাবে সম্পূর্ণ ফ্রি মাইন্ড এর সাথে কাজ গুলো করে নিতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে আয় করার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের সীমাবদ্ধতা নেই। মানে, আজকে যদি আপনি ফেসবুক থেকে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করছেন তাহলে হতে পারে আসছে সময়ের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করার সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ফেসবুকের মধ্যে নিয়মিত প্রচুর ব্যবহারকারীরা নিয়মিত একটিভ থাকেন। এখানে পণ্য বিক্রি, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদির মতো বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করে আপনি নিয়মিত রোজগার করার প্রচুর সুযোগ পাবেন।

ফেসবুক থেকে আয় করার বিষয়ে অন্যান্য প্রশ্ন:
Q. ফেসবুক থেকে কিভাবে $100 ইনকাম করা যায় ?
ফেসবুক থেকে প্রত্যেক দিন $100-$500 ইনকাম করার জন্য আপনার কাছে নিজের একটি product থাকা দরকার। এছাড়া, আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধমেও দিনে $100 আরামে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে মার্কেটিং এর কৌশল গুলো জানতে হবে।

Q. ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যাবে ?
ফেসবুক থেকে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আরামে ইনকাম করে নিচ্ছেন। তবে এর জন্য আপনার কাছে এমন একটি প্রডাক্ট থাকতে হবে যেটার সাহায্যে লোকেদের সমস্যার সমাধান করা যাবে। চাহিদা থাকা পণ্য গুলোকে অনেক সহজেই নিজের ফেসবুক পেজ, গ্রুপ বা প্রোফাইলের দ্বারা প্রচার করে বিক্রি করা সম্ভব।

Q. ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে কত সময় লাগবে ?
ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য অনেক কম সময় ও লাগতে পারে আবার অনেক বেশি সময় ও লাগতে পারে। সবটা নির্ভর করছে আপনি ফেসবুকে কত সময় দিচ্ছেন এবং কত ভালো করে কাজ করছেন, সেটার ওপর।

Q. কত ফলোয়ার হলে ফেসবুকে টাকা আয় করা যাবে ?
সাধারণত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে কমেও ১০,০০০ ফলোয়ার্স থাকতে হয়।

Q. ফেসবুকে কত ভিউতে কত টাকা দেয় ?
ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানো মাধ্যমে আমরা ফেসবুক থেকে ভিউ এর জন্য টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে, আপনার ভিডিও গুলিতে যত অধিক ভিউস হবে আপনি ততটাই অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণ ভাবে বললে, প্রায় 100,000 ভিউতে 10-50 ডলার ইনকাম করা যাবে।

Q. ফেসবুক কি লাইক ও কমেন্টের জন্য টাকা দেয় ?
আমি জানা হিসেবে ফেসবুক কখনো like বা comment-এর জন্য টাকা দিবেনা বা দেয়না।

আমাদের শেষ কথা,
তাহলে, ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ? টাকা আয় করার উপায় এবং নিয়ম গুলো কি কি ? আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা স্পষ্ট ভাবে বুঝতেই পেরেছেন।

এছাড়া, যদি আপনারা সরাসরি কেবল ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন, তাহলেও আমি এমন কিছু টাকা ইনকাম করার উপায় বলেছি যেগুলো একটি ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে সম্ভব।

শেষে, ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো নিয়ে লিখা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানান এবং শেয়ার করতে ভুলবেননা কিন্তু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *