বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে শীঘ্রই দেশে টাকা-রুপি ভিত্তিক ডেবিট কার্ড চালু করা হবে। এই কার্ড দিয়ে দেশের মধ্যে টাকায় এবং ভারতে রূপি-তে কেনাকাটা করা যাবে। বর্তমানে ব্যবহারকারীরা সাধারণত ডুয়াল কারেন্সি টাকা-ডলার ভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড ও প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে এই লেনদেনগুলো করে থাকেন।
বিদ্যমান ডুয়াল কারেন্সি টাকা-ডলার ভিত্তিক কার্ড দিয়ে ভারতে গিয়ে লেনদেন করতে গেলে ডলার থেকে প্রথমে রুপিতে কারেন্সি কনভার্ট করতে হয়। এরপর রুপি খরচ করা যায়। এই কনভার্সন করার সময় অতিরিক্ত ফি নেয় কার্ড ইস্যুইং ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজ।
কিন্তু নতুন টাকা পে ডেবিট কার্ডে সরাসরি রুপি ব্যবহার করা যাবে। ফলে ভারতে গিয়ে আর ডলার থেকে রুপি কনভার্ট করার দরকার হবেনা বাংলাদেশিদের। এতে বিনিময় হার বা এক্সচেঞ্জ রেট জনিত খরচ বাঁচবে, ফলে ডলার খরচও কমে আসবে।
এই নতুন টাকা-রুপি কার্ডটি ব্যবহারকারীদেরকে বিভিন্ন পেমেন্ট করার সুবিধা প্রদান করবে, যার মধ্যে টাকা ব্যবহার করে লোকাল কেনাকাটা হবে, আবার ভ্রমণের সময় ভারতে ভারতীয় রুপি পেমেন্ট মেথড হিসেবেও একই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
বছরে মোট ১২ হাজার ডলার মূল্যের (ভ্রমণ কোটা) সমপরিমাণ অর্থ ভ্রমণকালে ব্যবহার করা যাবে এই কার্ড ব্যবহার করে। নতুন এই মুদ্রা বিনিময়ের সুবিধার ফলে টাকা-ডলার-রুপিতে পরিবর্তন এর যে ব্যয় তা এড়ানো যাবে। ভারতে ভ্রমণরত বাংলাদেশী পর্যটকদের বেশি কাজে আসবে এই সুবিধাটি।
প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণ করে থাকেন যা ভারতে যাওয়া পর্যটকদের বড় অংশের মধ্যে একটি। বাংলাদেশ ও ভারত এরকম একটি চুক্তিতে পৌঁছালে এর মাধ্যমে উভয় দেশের মুদ্রায় এই ধরনের লেনদেন করা যেতে পারে যার ফলে আশা করা যায় ডলারের উপর থেকে চাপ কমে যাবে।