Skip to content

নতুন ব্লগাররা করছেন ৯ টি সাংঘাতিক ভুল – (Blogging mistakes)

ব্লগিং এর সাধারণ ভুল – আপনাদের ব্লগে ফ্রি ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসছেনা ? আপনি অনেক চেষ্টা করছেন, কিন্তু গুগল সার্চ থেকে ব্লগে ভিসিটর্স পাওয়াটা অসম্ভব দেখাচ্ছে ? তাহলে, হতে পারে আপনিও কিছু সাধারণ ভুল করছেন, যেগুলির জন্য আপনার ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসছেনা। (Blogging tips in Bangla for beginners).

একজন ব্লগার হিসেবে, যখন আপনি নতুন করে কাজ শুরু করেন, তখন অনেক কিছুই আপনার জানা নাও থাকতে পারে। এবং, এই ক্ষেত্রে আপনার থেকে হতে পারে বিভিন্ন রকমের ভুল (blogging mistakes)।

ব্লগিং এ করা এই ধরণের ভুলের ফলে, আপনার ব্লগে ট্রাফিক আসেনা এবং ফলে আপনি হতাশ হয়ে ব্লগিং ছাড়ার কথা ভাবেন। অবশই, ব্লগিং এ করা ভুল গুলি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার পুরো ভাবে নষ্ট করে দিতে পারে।

কিন্তু, মনে রাখবেন, আপনি প্রথম অবস্থার থেকেই যদি, ব্লগার দেড় করা ব্লগিং এর সেই সাধারণ ভুল গুলি জেনে সেগুলির ওপরে ধ্যান রেখে কাজ করেন, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসতে কোনো অসুবিধে হবেনা।

তাই, ব্লগিং এ সফলতা পাওয়ার জন্য এবং একজন প্রফেশনাল ব্লগার হওয়ার জন্য, কেবল ব্লগে আর্টিকেল লিখলেই চলবেনা। আপনার ধ্যান রাখতে হবে সেই ভুল গুলির যেগুলি অজ্ঞাতসারে (unknowingly) আপনি করছেন।

এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের ৯ টি এমন ভুলের বেপারে বলবো, যেগুলি একজন নতুন ব্লগার হিসেবে অনেকেই করছেন। এবং, হতে পারে আপনিও নিজের ব্লগিং ক্যারিয়ারে এই ভুল গুলি করছেন।

কিন্তু, বিশ্বাস করুন বন্ধুরা, ব্লগিং এ করা এই ৯ টি ভুল না শুধরালে, কখনোই একজন সফল ব্লগার হয়ে দাঁড়াতে পারবেননা।

নতুন ব্লগাররা করছেন ৯ টি ভুল ( Blogging mistakes ) 

আজ সফল ব্লগার বা প্রফেশনাল ব্লগার মানে আমরা কি বুঝি ? সফল ব্লগার বা প্রফেশনাল ব্লগার মানে হলো, সেই ব্যক্তি, যে ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন প্রচুর টাকা আয় করছেন এবং যার ব্লগে লক্ষ লক্ষ ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসছে।

কিন্তু, যদি আপনারা নিচে দেয়া ভুল গুলি করছেন, তাহলে আপনার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক (traffic) বা ভিসিটর্স (visitors) আসার সুযোগ অনেক বেশি কমে যাবে। এবং, এর ফলে একজন সফল ব্লগার হওয়ার আপনার স্বপ্ন, কেবল স্বপ্ন হয়েই থাকবে।

তাই, আমি নিচে যেই বিষয় গুলির ব্যাপারে বলছি, সেগুলি ভালো করে পড়ুন এবং বুঝুন।

১. Low quality hosting ব্যবহার করা 

আপনাদের মধ্যে প্রায় ৯০% ব্লগার রা একটি লো কোয়ালিটি বা সস্তা হোস্টিং ব্যবহার করছেন। একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের হোস্টিং কোয়ালিটি কিন্তু তার সফলতার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী।

কারণ, যখন আপনি একটি সস্তা, লোকাল এবং খারাপ ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করবেন, তখন আপনার ব্লগ অনেক স্লো (slow) কাজ করবে। ব্লগের লোডিং স্পিড (loading speed) কম হওয়ার সাথে সাথে সার্ভার (server) বা ওয়েবসাইট অধিক পরিমানে ডাউন (down) থাকবে।

এতে, গুগল সার্চ আপনার ব্লগকে লো কোয়ালিটি ব্লগ বলে ভাবে, এবং আপনার ব্লগে গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসার সম্ভাবনা ৭৫% কোমে যায়।

তাই, ব্লগ তৈরি করার সময়, একটি লোকাল ও সস্তা ওয়েব হোস্টিং কেনার ভুল কখনোই করবেননা। সব সময়, ভালো কোয়ালিটির, নামকরা এবং ব্র্যান্ডেড হোস্টিং কোম্পানির থেকে হোস্টিং কিনবেন।

আমি আমার আগের আর্টিকেলে, ৭ সবচে ভালো এবং সেরা হোস্টিং কোম্পানি গুলির ব্যাপারে আপনাদের বলেছি। এই হোস্টিং কোম্পানি গুলি ভালো মানের হোস্টিং আপনাদের দিবে।

২. ফ্রি ডোমেইন নাম ব্যবহার করবেননা 

আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে কাজ করে ব্লগ থেকে অনলাইন টাকা আয় করতে চান, তাহলে ফ্রি ডোমেইন নিয়ে কাজ করলে হবেনা। আমি অনেক ব্লগার দেড় দেখেছি যারা, Blogger.com এ ব্লগ বানিয়েছেন এবং ফ্রি blogspot ডোমেইন URL Address ব্যবহার করছেন।

মনে রাখবেন, একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন (.com, .in, .info, .org ) অনেক কম টাকা দিয়েই আপনারা কিনে নিতে পারবেন। প্রায়, Rs.১০০ থেকে Rs.৩০০ ভেতরেই আজকাল premium domain name পাওয়া যায়।

তাই, কেবল কিছু টাকার জন্য একটি premium domain না কিনে ফ্রি ডোমেইন নাম ব্যবহার করার ফলে, আপনার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন (search engine) থেকে অধিক কম পরিমানে ট্রাফিক বা ভিসিটর আসছে।

আর তাই, হয়তো ব্লগিং এর ক্যারিয়ারে সফলতা না পাওয়ার এ আপনার জন্য অনেক বড়ো কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

৩. Keyword research ও optimization না করা 

কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword research) এবং কীওয়ার্ড optimization না কোরে ব্লগে আর্টিকেল লিখাটা কিন্তু ব্লগার দেড় সব থেকে বড়ো ভুল। এবং, ৯৫% ব্লগার দেড় অসফলতার কারণ কেবল এটাই।

কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword research)

ব্লগিং এ কীওয়ার্ড রিসার্চ কেন জরুরি, এবেপারে আমি আগেই আপনাদের বলেছি।

আসলে, “keyword research” search engine optimization (seo) একটি ভাগ। এই ভাগে, ব্লগে আর্টিকেল লিখার আগে, যেই বিষয়ে বা টপিকে আর্টিকেল লিখছেন তার সাথে জড়িত কিছু কীওয়ার্ড (keyword) বেঁচে নিতে হয়। এবং, তারপর বেঁচে নেয়া কীওয়ার্ড গুলি টার্গেট করে আমরা আর্টিকেল লিখি।

কিন্তু, এর সাথে সাথে কোন কীওয়ার্ড গুলি লাভজনক বা কোন কীওয়ার্ড গুলি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বেশি সার্চ হচ্ছে, সেই বিষয়ে আগেই খুঁজে বের করতে হয়।

তাছাড়া, বেঁচে নেয়া কীওয়ার্ড গুলিতে প্রতিযোগিতা (competition) অধিক বেশি না কম, সেটাও আমরা কীওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে জেনেনিতে পারি।

কীওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আমরা, কোন কীওয়ার্ড লাভজনক এবং কোন কীওয়ার্ড টার্গেট করলে লাভ হবেনা সেটা খুঁজে বের করতে পারি।

উদাহরণ স্বরূপে, যদি আপনি একটি কীওয়ার্ড “কিভাবে ব্লগ তৈরি করবো” এর ওপরে আর্টিকেল লিখার কথা ভাবছেন, তাহলে keyword research করে সেই কীওয়ার্ড,”মাসে কতবার গুগল সার্চ হচ্ছে“, “সেই কীওয়ার্ড এর প্রতিযোগিতা (competition) বেশি না কম” সবটাই জেনেনিতে পারবেন।

তাই, কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনি অনেক সহজে লাভজনক কীওয়ার্ড গুলি খুঁজে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখে গুগল সার্চ থেকে অধিক পরিমানে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পেয়ে যেতে পারবেন।

কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনারা কিছু অনলাইন টুল (online tool) ব্যবহার করতে হবে। যেমন,

  • Ubersuggest (ফ্রি কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল).
  • Google keyword planner (ফ্রি রিসার্চ টুল).
  • Ahrefs (সব থেকে জনপ্রিয় টুল) (Paid).
  • Semrush (সেরা কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল) (Paid).
  • Kwfinder (আমার প্রিয় টুল) (paid).

শেষে, আপনি যদি কীওয়ার্ড রিসার্চ না করেই, আর্টিকেল লিখছেন, তাহলে ৮০% সুযোগ রয়েছে যে আপনি ভুল কীওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগে আর্টিকেল লিখছেন।

এবং, এর ফলে আর্টিকেলের কোয়ালিটি ভালো হলেও, আপনার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স একেবারেই আসছেনা।

Keyword optimization 

ওপরে আমি আপনাদের keyword research এর ব্যাপারে বললাম। এখন, কীওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্লগের আর্টিকেলের জন্য লাভজনক (profitable) কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারি। কিন্তু, তার পর আমাদের করতে হবে keyword optimization.

Keyword optimization এর মাধ্যমে, আমরা আমাদের খুঁজে বের করা কীওয়ার্ড গুলি ব্লগের আর্টিকেলের কিছু বিশেষ জায়গায় ব্যবহার করতে হবে।

যেমন, আর্টিকেলের, টাইটেল (title), description, URL Address, image alt tag এআর্টিকেলের প্রথম প্যারাগ্রাফে (paragraph) এবং আর্টিকেলের আরো কিছু অংশতে।

এতে, সার্চ ইঞ্জিন রা অনেক সহজে বুঝতে পারে যে আপনার আর্টিকেল সেই টার্গেট করা কীওয়ার্ড সাথে জড়িত। ফলে, টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে নিজের ব্লগের আর্টিকেলে অধিক পরিমানে সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাওয়ার সুযোগ হয়।

ভালো ভাবে keyword optimization না করার ফলে, ভালো ভালো আর্টিকেল লিখার সত্ত্বেও, আপনার আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সেরা ১০ রেজাল্টে রাংক (rank) করছেনা। এবং, ৯০% বাংলা ব্লগার রা এটাই ভুল করছেন।

শেষে বলবো, আজকের প্রতিযোগিতার যুগে, যদি আপনি ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হতে চান এবং নিজের ব্লগে অধিক পরিমানে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পেতে চান, তাহলে করতে হবে “keyword research” এবং তারপর “keyword optimization“.

অবশই, আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করেছেন, তাহলে Yoast free SEO plugin ব্যবহার করে অনেক সহজে নিজের আর্টিকেলে কীওয়ার্ড optimization করতে পারবেন।

৪. Free low quality theme এর ব্যবহার 

আপনি WordPress বা blogger যেটাই ব্যবহার করছেন, সেখানে কিন্তু ফ্রি লো কোয়ালিটি থিম কখনোই ব্যবহার করবেননা। আমি আগেই বলেছি গুগল থেকে ভিসিটর্স ও ট্রাফিক পাওয়ার জন্য একটি পরিষ্কার এবং ফাস্ট ব্লগ হতে হবে।

তাই, যদি আপনি একটি লো কোয়ালিটির (low quality) ফ্রি থিম ব্যবহার করছেন, তাহলে সেই থিম (theme) ভালো করে কোড (code) করা থাকেনা এবং থিম আপডেট (theme update) আসার সুযোগ অনেক কম।

তাছাড়া, একটি ফ্রি থিম independent developers রা তৈরি করেন। তাই, সেই ফ্রি থিম গুলির কোয়ালিটি ভালো থাকেনা এবং ফলে আপনার ব্লগ স্লো হয়ে যায় আর তার সাথেই ব্লগের কোয়ালিটি খুব খারাপ থাকে।

তাই, একজন নতুন ব্লগার হিসেবে যেই ভুল অনেকেই করছেন, সেই ভুল আপনি করবেননা। কিছু টাকা লাগলেও একটি ভালো এবং premium blog theme কিনুন এবং নিজের ব্লগে ব্যবহার করুন।

আপনারা, themeforest থেকে ভালো ভালো এবং কম দামেই WordPress ও blogger premium theme পেয়ে যাবেন।

নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে একটি premium WordPress theme ব্যবহার করলে, আপনার ব্লগের লোডিং স্পিড ফাস্ট থাকবে, ব্লগ স্লো হবেনা এবং রেগুলার থিম আপডেট আসার ফলে আপনার ব্লগ সুরক্ষিত এবং high quality র হয়ে থাকবে।

তাছাড়া, প্রিমিয়াম থিম গুলিতে আপনারা অনেক ধরণের অ্যাডভান্সড (advanced) ফিচারস বা ফাঙ্কশন (functions) পাবেন, যেগুলি একটি ফ্রি থিমে পাওয়া সম্ভব না।

শেষে, যদি আপনারা ভাবছেন, নতুন ভাবে কাজ শুরু করার সময় আপনারা প্রিমিয়াম থিম না কিনে একটি ফ্রি থিম নিজের WordPress ব্লগে ব্যবহার করবেন, তাহলে নিচে দেয়া ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম গুলি ব্যবহার করুন।

  • Astra (সব থেকে দ্রুত এবং পরিষ্কার ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম).
  • OceanWP (আমার সব থেকে প্রিয় ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম).

৫. দৃঢ়তার (consistency) অভাব 

আমি অনেক ব্লগ বা ব্লগার দেড় দেখেছি, যারা নিজের ব্লগে অনেক সময় নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করেন। বেশির ভাগ মাসে প্রায়, ১ বা ২ টি করে আর্টিকেল পাবলিশ করেন।

এবং, এইযে অনেক দেরি করে ব্লগ আপডেট করাটা কিন্তু একটি সাংঘাতিক ভুল।

ব্লগিং এ যদি আপনি সফল হতে চান, এবং Google search থেকে অধিক পরিমানে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পেতে চান, তাহলে আপনার নিজের ব্লগে রেগুলার আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।

দৃঢ়তা (consistency) নিয়ে কাজ না করলে, সফলতা পেতে অনেক কষ্ট হতে পারে।

তাই, নিজের ব্লগ কে রেগুলার আপডেট করুন এবং প্রত্যেক সপ্তাহে কমেও ২ টি করে আর্টিকেল নিজের ব্লগে পাবলিশ করুন।

রেগুলার ভালো ভালো আর্টিকেল ব্লগে পাবলিশ করলে, গুগল সার্চ এর নজরে ব্লগের একটি ভালো ছাপ বসে। এবং, এতে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।

৬. Low quality article লিখলে চলবেনা 

আমি অনেক বেশি পরিমানে বাংলা ব্লগ ও ব্লগার দেড় মধ্যে দেখেছি, তারা ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় কিছু সাধারণ নিয়মের ব্যবহার করেননা। এই ভুলের ফলে, তারা যা পাবলিশ করেন সেটা একটি লো কোয়ালিটি আর্টিকেল (low quality article) হয়ে দাঁড়ায়।

একটি লো কোয়ালিটি আর্টিকেল পড়ে কেও ভালো পায়না এবং সার্চ ইঞ্জিন থেকেও লো কোয়ালিটির আর্টিকেলে ট্রাফিক পাওয়াটা খুব কঠিন।

তাই, ব্লগের আর্টিকেল লিখার সময় কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখলে, আপনি নিজের আর্টিকেলের কোয়ালিটি বা মান ভালো করে নিতে পারবেন।

হাই কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখার নিয়ম 

  • অধিক ছোট আর্টিকেল লিখলে চলবেনা। মিনিমাম ১০০০ শব্দের (word) মধ্যে আর্টিকেল লিখুন।
  • আর্টিকেল লিখার সময়, ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে আর্টিকেল লিখবেন। এতে, আপনার ভিসিটর্স বা যে আর্টিকেল পড়ছে তার পড়তে সুবিধে হবে এবং দেখতেও অনেক ভালো ও পরিষ্কার লাগবে।
  • আর্টিকেলের মাঝে মাঝে H tag (h2, h3, h4) গুলির ব্যবহার করবেন।
  • যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সেই বিষয়ে ভালো ভাবে জ্ঞান নিয়ে তারপর সম্পূর্ণ ডিটেলস বা তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে।
  • নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেলে মিনিমাম একটি হলেও ছবি ব্যবহার করবেন। এবং, ছবি আপলোড করার আগেই ভালো ভাবে resize ও compress করে নিবেন।

তাহলে বন্ধুরা, ব্লগে আর্টিকেল লিখার আগেই, এই সাধারণ নিয়ম গুলি মেনে আর্টিকেল লিখলে আপনার আর্টিকেলের কোয়ালিটি অনেক উন্নত মানের হবে।

এতে, ভিসিটর্স রা আর্টিকেল পড়েও ভালো পাবেন এবং গুগলও আপনার আর্টিকেল সহজে রাংক (rank) করবে।

ব্লগে লিখা আর্টিকেলের কোয়ালিটি হলো আপনার ব্লগের পরিচয়। এবং, ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়ার জন্য এই দিকে ভালো ভাবে লক্ষ দেয়াটা প্রথম থেকেই অনেক জরুরি।

৭. Interlinking প্রক্রিয়া ব্যবহার করছেননা 

আমি যতটা বাংলা ব্লগ দেখেছি তাদের মধ্যে ৮০% ব্লগাররা আর্টিকেল লিখার সময় interlink blog posts এর টেকনিক ব্যবহার করছেননা। এই প্রক্রিয়া, অন পেজ এস ই ও (On page SEO) র একটি সেরা মাধ্যম এবং, ভালো search engine optimization এর জন্য interlink প্রক্রিয়া অবশই করা দরকার।

এখন, আপনারা ওপরে ছবিতে অবশই দেখতে পারছেন, প্রথমেই আমি আমার আর্টিকেলের লেখনের কিছু অংশতে একটি লিংকের (link) ব্যবহার করেছি। এবং, সেই লিংকটি হলো ইন্টারলিংক।

কারণ, সেই লিংকটি হলো আমার ব্লগেই লেখা অন্য একটি আর্টিকেলের লিংক। যখনি কেও সেই লিংকে ক্লিক করবেন, তারা আমার ব্লগের সেই অন্য আর্টিকেলে চলে যাবেন।

এভাবেই, আপনারা যখন ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন, তখন সেই লেখা আর্টিকেলের সাথে জড়িত ব্লগের অন্য আর্টিকেল গুলি লিংকের মাধ্যমে দিয়ে দিতে হবে।

এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ইন্টারলিংক (interlinking) ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল। সঠিক ভাবে SEO করার জন্য এই মাধ্যম অনেক জরুরি।

এবং, যদি আপনি blog article এ interlink করছেননা, তাহলে এটা আপনার অনেক বড়ো ভুল।

৮. ব্লগ ও ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড 

আপনাদের মধ্যে কতজন আছেন, যারা নিজের ব্লগের লোডিং স্পিড (loading speed) এর ওপরে ধ্যান দিয়েছেন। বলতে পারবেন, কতটা জলদি আপনার ব্লগ লোড (load) হয় ?

আমি পারবো, আমার ব্লগ কেবল ২ সেকেন্ড এর মধ্যেই সম্পূর্ণ ভাবে যেকোনো ওয়েব ব্রাউজারে লোড হয়ে যায়।

তবে, আপনি যে এই বেপারে ধ্যান রাখেননি, এর ফলে আপনার ব্লগের কতটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা কি জানেন ?

একটি স্লো লোডিং স্পিড থাকা ব্লগ, যে নাকি ব্রাউজারে লোড হতে ৬ সেকেন্ড থেকে বেশি সময় নেয়, তার ৯০% ভিসিটর্স বা ট্রাফিক ব্লগ সম্পূর্ণ না খোলাতেই চলে যায়।

কারণ, একটি স্লো লোডিং ব্লগ কেও ভালো পায়না। আমি বা আপনি হলেও, ৫ থেকে ৬ সেকেন্ডের বেশি কেবল ওয়েবসাইটটি খোলার অপেক্ষা কখনোই করতামনা।

তাই, নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট ওয়েব ব্রাউজারে কতটা জলদি লোড হয়ে খুলছে, সেটার ওপরে নজর না রাখাটা ব্লগার দেড় করা ভুল গুলির মধ্যে সব থেকে সেরা।

তাছাড়া, গুগল সার্চ ইঞ্জিন (Google search engine), একটি slow loading speed থাকা ব্লগ কখনোই ভালো পাইনা। এবং, এর ফলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকেও আপনার ব্লগে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাওয়ার সম্ভাবনা ৭৫% কমে যায়।

তাই, আপনার ব্লগে যদি ট্রাফিক আসছেনা বা সার্চ ইঞ্জিন থেকে খুব কম ভিসিটর্স আসছে, তাহলে আপনার “ব্লগের স্লো লোডিং স্পিড” এর কারণ হতে পারে।

তাই, সব সময়, ভালো এবং সেরা ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করবেন, দ্রুত এবং ফাস্ট থিম ব্লগে ব্যবহার করবেন। তাছাড়া, ব্লগে ছবি আপলোড করার আগেই সেগুলি কমপ্রেস ও ছোট করে নিবেন।

এতে, আপনার ব্লগ সব সময় দ্রুত এবং ফাস্ট হয়ে থাকবে।

৯. Duplicate page গুলি block বা noindex না করা

Google তার algorithm এর মাধ্যমে আমাদের ব্লগে আসে, এবং ব্লগে থাকা বিভিন্ন লিংক গুলিতে গিয়ে সেগুলি তার সার্চ রেজাল্টে জমা করতে থাকে।

এই ক্ষেত্রে, গুগল আমাদের ব্লগের কিছু duplicate page, duplicate tags এবং duplicate article post তার কাছে রেকর্ড (record) করে নেয়।

উদাহরণ স্বরূপে, আমাদের ব্লগের আর্টিকেলের URL Address হতে লাগে “www.blogaddress.com/article“. এবং, আপনি চাইবেন যে, গুগল যাতে আপনার ব্লগের আর্টিকেলটি এই Url Address এর সাথেই নিজের কাছে জমা রাখুক।

কিন্তু, অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে, ব্লগের একটি আর্টিকেলের অনেক গুলি Url address তৈরি হয়ে যেতে পারে, যাকে আমরা duplicate pages বলি।

যেমন, “www.blogaddress.com/category/article” বা “www.blogaddress.com/tag/article” এগুলি হলো duplicate pages আপনার ব্লগের আসল আর্টিকেল পেজ “www.blogaddress.com/original-article-url-address” এর.

এই সব ধরণের duplicate page গুলি আপনার আসল URL address এ থাকা আসল পেজের একি আর্টিকেল বা কনটেন্ট দেখায়।

এখন, এতে গুগল বিভ্রান্ত (confused) হয়ে যায় এবং ফলে সে বুঝতে পারেনা যে আপনার ব্লগে লিখা আর্টিকেল টির আসল URL address কোনটি।

শেষে একি কনটেন্ট বা আর্টিকেলের বিভিন্ন আলাদা আলাদা URL address থাকার ফলে, গুগল কোনোটাই তার সার্চ রেজাল্টে দেখায়না। কারণ, সে সেই আর্টিকেল বা কনটেন্ট টিকে নকল (duplicate) কনটেন্ট হিসেবে নিয়ে নেয়।

তাই, আমরা ভাবতেই থাকি যে, ব্লগে ট্রাফিক কেন আসছেনা, গুগল ব্লগে ভিসিটর কেন পাঠাচ্ছেনা। কিন্তু, এদিকে অনেক বড়ো রকমের ভুল একটি হয়ে রয়েছে যেটা আমরা বুঝতেই পারিনা।

তাই, একজন ব্লগার হিসেবে এই ভুল কখনোই করবেননা।

ব্লগ তৈরি করার পর, ব্লগের সব ধরণের category এবং tag পেজ গুলি nofolow বা block করে রাখবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি “robots.txt” ফাইল ব্যবহার করে blog category বা tag page ব্লক করতে পারবেন।

এতে, গুগল সার্চ algorithm সেই পেজ গুলি তার সার্চে নথি (record) করবেনা এবং সার্চ ইঞ্জিনে duplicate article page বা duplicate url address এর ভয় ও থাকবেনা।

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে, বন্ধুরা একজন নতুন ব্লগার হিসেবে অনেকেই আমি ওপরে বলা ভুল গুলি করছেন। এবং, এই সাংঘাতিযং blogging mistakes গুলির ফলে তাদের ব্লগে গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসছেনা।

আপনি যদি একজন ব্লগার, এবং আপনার ব্লগেও যদি traffic বা visitors আসছেনা, তাহলে একবার ভালো করে দেখুন, “আপনিও কি এই ভুল গুলি করছেন ?”.

আমি আমার ৬ বছরের ব্লগিং এর ক্যারিয়ারে এই সব ভুল গুলির ব্যাপারে জেনেছি এবং ভুল করে করে শিখেছি। তাই, আমি চাইনা যে আমার মতো আপনারাও নিজের সময় নষ্ট করুন ব্লগিং এর এই জরুরি জিনিস গুলি জানার জন্য।

তাই, সবটাই আমি আপনাদের বলে দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *