Skip to content

পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি জানা জরুরি ?

নতুন বা পুরাতন আইফোন কেনার আগে আমাদের কোন কোন বিষয়ে যাচাই করা দরকার, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। (iPhone Buying Tips in Bengali).

বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। কেননা এখনকার প্রযুক্তি-ভিত্তিক যুগে হাতে এই ফিচারে ঠাসা ছোট্ট যন্ত্রাংশটি না থাকলে পিছিয়ে পড়তে হবে আপনাকে।

তবে এমন অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নিবাসী আছে যাদের জন্য একটি দামি স্মার্টফোন কেনা বিলাসিতার সমান।

ফলে হালফিলে অনেকেই একটি স্মার্ট মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সেকেন্ড-হ্যান্ড মার্কেটের উপর আস্থা রাখছেন।

কেননা একটি নতুন ফোন রিটেল বক্স থেকে বেরোনোর পর খরিদ্দার দ্বারা ব্যবহৃত হলেই সেটির মার্কেট ভ্যালু অর্ধেকেরও কম হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে ডিভাইসকে ২দিন ব্যবহার করা হোক বা ২ বছর, সেটিকে আর লঞ্চ প্রাইজে কখনোই বিক্রি করা সম্ভব হয় না।

এমত অবস্থায় ২-৩ বছরের পুরোনো মডেলকে নূন্যতম ২০০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকার বিনিময়ে কিনে নেওয়া সম্ভব।

তবে কারোর চাহিদা যদি সস্তায় লক্ষ্যাধিক মূল্যের একটি অ্যাপল আইফোন (Apple iPhone) ব্যবহারের হয়, তবে খানিকটা বাজেট এদিক ওদিক করতে হতে পারে।

তবে যেহেতু আপনি একটি ব্যবহৃত আইফোন কিনছেন, সেহেতু আগে সেকেন্ডহ্যান্ড-মার্কেট কীভাবে কাজ করে অথবা একটি পুরোনো ফোন কেনার আগে কী কী করণীয় সেই সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান থাকা দরকার। নইলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক।

তাই আপনিও যদি নিজের জন্য একটি ইউজড বা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনতে চান, তবে কেনার আগে কী কী চেক করে নিতে হবে তার বিশদ আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিতে পারেন।

পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি দেখবেন ?

একটি পুরাতন আইফোন কেনার আগে এই বিষয়গুলি অবশ্যই বিবেচনা করুন –

১. রশিদ দেওয়ার দাবি করুন :

আপনাকে যেই সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনটি বিক্রি করা হচ্ছে সেটি ‘জেনুইন’ বা আসল কিনা তা যাচাই করতে সর্বপ্রথম, বিক্রেতাকে আসল পারচেজ রিসিপ্ট বা রসিদের একটি সফ্ট বা হার্ড কপি দিতে বলুন।

কেননা এই রশিদ দেখে আপনি দুটি বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন – পূর্ববর্তী মালিকানা এবং ওয়ারেন্টি স্ট্যাটাস।

রশিদ হাতে পাওয়ার পর, বিক্রেতার নাম বা আইডি রশিদের সাথে মিলিয়ে দেখে নিন এবং একই সাথে ক্রয়ের তারিখটিও চেক করে নিন।

পাশাপাশি এই রশিদ দেখেই আপনি জানতে পারবেন যে ডিভাইসটির পূর্ববর্তী মালিক একজন নাকি একাধিক ছিল।

কারণ একের অধিক ব্যক্তি একটি আইফোন ব্যবহার করলে, সেটির অপব্যবহারের এবং পারফরম্যান্স প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।

প্রসঙ্গত যদি বিক্রেতা এই রশিদ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে আইফোনের প্রকৃত মালিকের সাথে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিতে বা তার কোনো লিখিত সেলিং স্টেটমেন্ট দেখাতে বলুন।

এই পদক্ষেপগুলি নিতে বলা হচ্ছে কারণ, বিভিন্ন দোকানে অনেক সময়ে চোরাই জিনিসপত্রও বিক্রি করা হয়।

২. IMEI নম্বর অবশ্যই চেক করুন:

রসিদের মালিকানা যাচাই করে নেওয়ার পর এবার ডিভাইসের IMEI বা ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি’ নম্বরটি চেক করুন।

১৫ ডিজিট যুক্ত এই নম্বরটি প্রত্যেকটি ফোনে স্বতন্ত্র থাকে।

এই নম্বর চেক করার জন্য আইফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে ‘জেনারেল’ বিকল্পে ট্যাপ করুন এবং তার অধীনে থাকা ‘অ্যাবাউট’ অপশন থেকে IMEI নম্বর দেখে নিন (Settings > General > About)।

এছাড়াও আরেকটি বিকল্প আছে। আপনার পছন্দ করা আইফোন থেকে – *#06# নম্বরটি ডায়াল করে ইউনিক IMEI নম্বরটি হস্তগত করুন।

এরপর, ডিভাইসটি আসল কিনা যাচাই করতে প্রদর্শিত এই নম্বরটিকে বিক্রেতার দেওয়া রসিদের সাথে মিলিয়ে নিন।

পরবর্তীতে https://www.imei.info/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে IMEI নম্বর এন্টার করার মাধ্যমে – ডিভাইস নেটওয়ার্ক, দেশ, ওয়ারেন্টি, সিস্টেম ভার্সন সহ বিদ্যমান ফিচার সংক্রান্ত তথ্যাদি দেখে নিন।

প্রসঙ্গত, এই একই সাইট থেকে আইফোনটি চোরাই কিনা তাও পরীক্ষা করতে পারবেন।

৩. সিরিয়াল নম্বর দেখে নিন :
ওয়ারেন্টি ভ্যালিডেশন দেখার জন্য অ্যাপল দ্বারা প্রত্যেকটি ডিভাইসের জন্য জারি করা সিরিয়াল নম্বর দেখে নিন।

এক্ষেত্রে আইফোন সিরিয়াল নম্বর চেক করতে, প্রথমেই ডিভাইসের সেটিংস অপশনে চলে যান।

এবার ‘জেনারেল’ এবং পরবর্তীতে ‘অ্যাবাউট’ বিকল্প চয়ন করুন (Settings > General > About)।

সিরিয়াল নম্বরের মাধ্যমে, আপনার দ্বারা বাছাই করা সেকেন্ডহ্যান্ড আইফোনটি কবে এবং কোথায় ম্যানুফ্যাকচার হয়েছিল তা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

এছাড়া, অ্যাপল ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘service and support coverage’ (https://checkcoverage.apple.com/) বিভাগের অধীনে এই সিরিয়াল নম্বর এন্টার করে ডিভাইসের সম্পূর্ণ ফিচার-তালিকাটি পেয়ে যাবেন।

এই সকল ফিচার বিশদকে বিক্রেতার দ্বারা প্রদত্ত তথ্যাদির সাথে মিলিয়ে নিন।

৪. যন্ত্রাংশের অকৃত্রিমতা যাচাই করুন :

যেকোনো ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস কেনার আগে পার্টস অথেন্টিসিটি বা যন্ত্রাংশের অকৃত্রিমতা অবশ্যই যাচাই করা উচিত।

তাই আইফোন বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করুন যে ডিভাইসটিতে পূর্বে কোনো মেরামতের কাজ করা হয়েছে কিনা এবং যদি কোনো যন্ত্রাংশ পাল্টানো হয় তা অ্যাপল-অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে কিনা।

কেননা, স্থানীয় রিপেয়ারিং শপ বা অননুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে আইফোন মেরামত করানো হলে, তাতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ‘জেনুইন’ নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে নিম্ন-মানের যন্ত্রাংশ আইফোনে সংযুক্ত করা হলে পারফরম্যান্স প্রভাবিত হতে পারে।

যেমন – আইফোনের LCD ডিসপ্লে পরিবর্তন করে যদি অন্য কোনো প্যানেল ব্যবহার করা হয় তবে শুধুমাত্র ভিজুয়াল অভিজ্ঞতাই প্রভাবিত হবে না, সাথে ব্যাটারি লাইফ, ডিভাইস স্পিড এবং ব্যাকলাইটের মতো বৈশিষ্ট্যগুলিও সমানভাবে ক্ষুন্ন হবে।

৫. টাচস্ক্রিন ও ফিজিকাল বাটন টেস্ট করুন :
একটি ডিভাইসের জন্য তার – টাচ স্ক্রিন, টাচ আইডি এবং ফিজিকাল বাটন (পাওয়ার এবং ভলিউম কী) খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

কেননা এগুলির মধ্যে একটিতেও যদি ত্রুটি থাকে তবে, ডিভাইস পরিচালনায় সমস্যা হবে।

যাইহোক, ফিজিকাল বাটন পরীক্ষা করার জন্য সেগুলিকে একাধিকবার প্রেস করুন এবং প্রেস করার কতক্ষন পর ডিভাইসটি প্রতিক্রিয়া করছে তা দেখুন।

আইফোন বেশি পুরোনো হলে পাওয়ার বাটন বা ভলিউম রকারগুলি অনেক সময় ধিমা গতিতে কাজ করে, অর্থাৎ একাধিক বার প্রেস করতে হয়।

অন্যদিকে ডিসপ্লের টাচ সেন্সিটিভিটি চেক করতে স্ক্রিনে বারংবার – সোয়াইপ, জুম এবং ট্যাপ করুন।

৬. রিয়ার ও ফ্রন্ট ক্যামেরা টেস্ট করুন :

অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের থেকে আইফোন কেনা অধিক পছন্দ করেন শুধুমাত্র ক্যামেরা ফ্রন্টের কারণে।

তাই একটি সেকেন্ডহ্যান্ড আইফোন কেনার ক্ষেত্রে আপনার যুক্তিও যদি অনুরূপ হয় তবে বিশেষ ভাবে ডিভাইসের ক্যামেরা বিভাগকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে চেক করে নিন।

প্রথমেই দেখুন আইফোনের ক্যামেরা মডিউলে কোনো ফাটল আছে কিনা।

এরপর, সেলফি ও রিয়ার ক্যামেরা ব্যবহার করে কয়েকটি ছবি তুলে বা একটি টেস্টিং ভিডিও কল করে বিল্ট-ইন ক্যামেরার কোয়ালিটি চেক করে নিন।

এমনটা করতে বলা হচ্ছে কারণ, অননুমোদিত থার্ড পার্টি সার্ভিস সেন্টার থেকে ডিভাইসের মেরামতের কাজ করলে অনেক সময়ে আইফোনের ক্যামেরা পার্টস অদলবদল করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই ব্যবহৃত আইফোন কেনার আগে অবশ্যই ক্যামেরা ও পিকচার কোয়ালিটি পরীক্ষা করুন।

৭. স্পিকার কোয়ালিটি চেক করুন :

আবার অডিওর মান যথেষ্ট পরিষ্কার কিনা সেটা যাচাই করতে ল্যাপটপে একটি গান বা ভিডিও চালান।

একটি পুরাতন আইফোন যদি কোনোভাবে জলে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সর্বাধিক প্রভাবিত হয় সেটির স্পিকার সিস্টেম।

যদিও বাহ্যিকভাবে দেখলে ডিভাইসের স্পিকার গ্রিল আদৌ সুচারুরূপে সচল আছে নাকি ‘ডিফেক্টেড’ তা বোঝা সম্ভব হয় না।

তাই আমরা পরামর্শ দেব, একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে সর্বোচ্চ ভলিউমে একটি গান বা ভিডিও চালান।

এক্ষেত্রে গান চলাকালীন কয়েকবার সাউন্ড কম বেশি করুন।

এরপর, টেস্টিং ভয়েস কল করে বিপরীতে থাকা ব্যক্তির আওয়াজ কতটা জোরালো তথা স্পষ্ট ভাবে শোনা যাচ্ছে তা চেক করুন।

প্রসঙ্গত, হাত থেকে পরে যাওয়ার দরুন বা ইন্টারনাল ড্যামেজের কারণে অনেক সময়ে মোবাইলের ভাইব্রেট ফাংশনটি কাজ করে না।

তাই এবিষয়ে নিশ্চিত হতে, প্রথমে আইফোনটিকে ভাইব্রেশন মোডে রাখুন এবং হাতে ধরে রেখে অনুভব করুন ডিভাইসটি ভাইব্রেট করছে কিনা।

৮. মাইক্রোফোন টেস্ট করুন :

অডিও সিস্টেমের পাশাপাশি, আইফোনের মাইক্রোফোনও পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

কেননা আইফোন খরিদ করার পর যদি দেখেন মাইক্রোফোন একদমই কাজ করছে না,

তবে, ফোনে কথা বলার থেকে শুরু করে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বা ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট ফিচার কোনোটাই ব্যবহার করতে পারবেন না।

তাহলে উপরন্তু হাজারো টাকা খরচ করার বোঝাও বইতে হবে।

কেননা আইফোনের যন্ত্রাংশের দাম অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলির তুলনায় অনেক বেশি হয়।

তাই আইফোনের মাইক্রোফোন পরীক্ষা করতে, তাতে থাকা ভয়েস রেকর্ডিং ফিচার ব্যবহার করে একটি ভয়েস নোট রেকর্ড করুন এবং তা প্লে করে দেখুন আওয়াজ যথাযথ আসছে কিনা।

অথবা, আপনি ভয়েস কল করেও সাউন্ড কোয়ালিটি চেক করতে পারেন।

৯. সমস্ত উপলব্ধ পোর্ট টেস্ট করুন :

ব্যবহৃত আইফোন কেনার সময় অন্যতম আবশ্যক ‘করণীয়’ কাজটি হল ডিভাইসে বিদ্যমান পোর্টগুলি চেক করা।

কেননা একটি পুরানো ডিভাইসে চার্জিং বা হেডফোন পোর্ট অকেজো থাকার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।

তাই ৩.৫মিমি জ্যাক স্লটে একটি হেডফোন এবং চার্জিং পোর্টে পাওয়ার অ্যাডপ্টারের সাথে আসা ইউএসবি কেবল প্লাগ করে দেখে নিতে পারেন।

এছাড়াও – সিম ট্রে এবং SD কার্ড স্লটও পরীক্ষা করতে ভুলবেন না যেন।

১০. ব্যাটারি টেস্টিং করুন :

একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মস্তিষ্ক যদি তার সফ্টওয়্যার হয়, তবে প্রাণ হল ব্যাটারি।

কারণ ব্যাটারি যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে ডিভাইসটি অধিক সময় নেবে নিজে চার্জ হওয়ার জন্য এবং স্বল্প ব্যবহারেই দ্রুত ব্যাটারি নিঃশেষ হবে।

তাই আইফোনের ব্যাটারির স্থিতি পরীক্ষা করতে, প্রথমেই ডিভাইসের সেটিংস অপশনে চলে যান।

এরপর, ‘ব্যাটারি’ বিকল্পের অধীনে থাকা ‘ব্যাটারি হেলথ’ বিকল্পটি চয়ন করুন (Settings > Battery > Battery Health)।

আপনার অবগতের জন্য জানিয়ে রাখি, যেকোনো রিচার্জেবল ব্যাটারির সীমিত আয়ু বা লাইফস্প্যান থাকে।

অ্যাপলের দাবি অনুসারে, ৫০০টি সম্পূর্ণ চার্জিং সার্কেলের পর আইফোনের ব্যাটারি তার কার্যক্ষমতার মাত্র ৮০% পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

তাই আপনি যেই ব্যবহৃত আইফোনটি নিজের জন্য পছন্দ করেছেন, তার ব্যাটারি হেলথ যদি ৮০% -এর কম হয় তবে সেই মডেলের কর্মক্ষমতা হয়তো দ্রুতই হ্রাস পাবে বা পেতে শুরু করে দিয়েছে।

এমত পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করার প্রয়োজন হতে পারে।

যদি আইফোনটি ওয়ারেন্টির অধীনে থাকে তবে বিনামূল্যে ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট পেয়ে যাবেন।

আর ওয়ারেন্টি-পিরিয়ড পেরিয়ে গেলে অর্থের বিনিময়ে আপনাকে ব্যাটারি মেরামত করতে হবে, যা ব্যয়সাপেক্ষ হতে পারে।

সেকেন্ডহ্যান্ড আইফোন কেনার ক্ষেত্রে কম বাজেট থাকলে, মেরামত করতে হতে পারে এমন মডেল না কেনার পরামর্শ দেব আমরা।

সেকেন্ড-হ্যান্ড আইফোন কেনার ঝুঁকি কি কি ?
১. আইফোনের মেটাডেটা, যেমন – IMEI নম্বর মালিকানার সাথে পরিবর্তিত হয় না। তাই পূর্ববর্তী মালিকরা যদি সেই ডিভাইস ব্যবহার করে কোনো প্রতারণামূলক বা বেআইনি কার্যকলাপ করেন, তবে তার দায় আপনাকে নিতে হতে পারে।

২. আজকাল সেকেন্ডহ্যান্ড ডিভাইসের মার্কেটে প্রতারণার ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

এক্ষেত্রে বিক্রেতারা আসল ডিভাইসের মতো হুবহু দেখতে নকল হ্যান্ডসেট বিক্রি করে।

ফলত অনেক সেকেন্ডহ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সকে অতিশয় সস্তা বিক্রি করার অন্যতম একটি কারণ হল সেগুলিতে সার্টিফাইড যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়না। তাই একটি ব্যবহৃত আইফোন কেনার সময় তা আসল কিনা অবশ্যই চেক করুন।

৩. মোবাইলের ডিসপ্লে ক্র্যাক বা ভাঙা থাকলে তা সহজেই নজরে পরে। তবে অনলাইনে আইফোন কেনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ছবি বা ভিডিও দেখে তার অভ্যন্তরীণ পার্টগুলির সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না।

আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই অনেক বিক্রেতা ত্রুটিপূর্ণ বা নকল পার্টস সমন্বিত ডিভাইস গোছিয়ে দেয় ক্রেতাদের।

তাই আপনি যেই অনলাইন সেলারের থেকে ডিভাইস কিনছেন, তার প্রোফাইলে গিয়ে পূর্ববর্তী ক্রেতাদের রিভিউ দেখে জেনে নিন ব্যক্তিটি যথাযথ প্রোডাক্ট বিক্রি করে কিনা। বা কারোর সাথে আগে ‘ফ্রড’ করেছে কিনা।

অনলাইনে সেকেন্ড-হ্যান্ড আইফোন কেনার বিকল্প উপায়:
আপনি যদি অতিশয় সস্তায় একটি ‘জেনুইন’ সেকেন্ড-হ্যান্ড আইফোন কিনতে চান,

তবে থার্ড পার্টি বিক্রেতা তথা স্টোর বা ডিভাইস মালিকের থেকে ক্রয় করার পরিবর্তে সরাসরি অ্যাপল এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে গিয়ে একটি সার্টিফাইড রিফারবিশড বা সংস্কারকৃত আইফোন বেছে নিতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনাদের জানিয়ে রাখি, রিফারবিশড আইফোন সংস্থা দ্বারা সার্টিফাইড হয় এবং এগুলির সাথে ওয়ারেন্টিও অফার করা হয়ে থাকে।

তাই আপনি নিশ্চিন্তে একটি রিফারবিশড আইফোন কিনতে পারেন।

উপসংহার
আশা করছি সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন বা পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি যাচাই করে দেখতে হবে,

বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

আমাদের আজকের এই Second Hand iPhone Buying Tips নিয়ে লিখা আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে,

তাহলে আর্টিকেলটি অবশই social media network গুলোতে শেয়ার করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *