Skip to content

বর্তমান সময়ে মোবাইলে টিভি দেখার সেরা অ্যাপ বা লাইভ টিভি চ্যানেল apps গুলো কি কি রয়েছে সেই প্রত্যেক অ্যাপস গুলোর বিষয়ে নিচে জানবো। মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখার উপায় হিসেবে Google Play Store এর মধ্যে হাজারো apps অবশই রয়েছে। এই TV apps গুলোতে আপনারা নিজের মন পছন্দের বিভিন্ন লাইভ টিভি চ্যানেল গুলো অবশই পেয়ে যাবেন। মূলত আমরা বাঙালিরা মোবাইলে বাংলা টিভি চ্যানেল লাইভ দেখতে অধিক পছন্দ করে থাকি। তাই, নিচে আমি যেগুলো ফ্রি লাইভ টিভি অ্যাপস গুলোর বিষয়ে বলে দিচ্ছি সেগুলো ব্যবহার করলেই আপনারা নিজের মোবাইলে বাংলা, ইংলিশ বা হিন্দি ইত্যাদি টিভি চ্যানেল গুলো দেখতে পারবেন। কর্মজীবনের ঘেরাটোপে আটকে পরে এখন বহু মানুষ স্বস্তিতে টিভি বা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখার অনুভূতি কি সেটাই ভুলতে বসেছে। কিন্তু বর্তমানে দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততায় কেটে গেলেও, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনে মনোরঞ্জনের অভাব একেবারেই ঘটতে দেয়নি। কেননা আমাদের হাতে থাকা মোবাইল নামক বস্তুটি যেমন – ক্যালেন্ডার, ক্যালকুলেটর, ঘড়ির কাজ কেড়ে নিয়েছে, তেমনি টিভির যাবতীয় কার্যাবলীও এই মুঠোবন্দি যন্ত্রটিই করে দিচ্ছে। যার দরুন অফিসে বসে বা ঘুরতে গিয়েও স্মার্টফোনে লাইভ টিভি অ্যাপ ডাউনলোড করে লেটেস্ট নিউজ থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, রিয়ালিটি সহ, স্পোর্টস ইভেন্ট সব দেখতে পারবেন আপনি। এক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর ঘাটলে এরূপ হাজারো লাইভ টিভি দেখার অ্যাপ্লিকেশন আপনি খুঁজে পাবেন। কিন্তু যেকোনো একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করলেই কিন্তু আপনি আশানুরূপ অভিজ্ঞতা লাভ নাও করতে পারেন। তাই আজ আমরা আপনার সুবিধার্থে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ১৫টি সেরা লাইভ টিভি অ্যাপস এর তালিকা নিয়ে চলে এসেছি। মোবাইলে টিভি দেখার সেরা লাইভ টিভি চ্যানেল apps মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখার উপায় হিসেবে যেই অ্যাপ গুলোর বিষয়ে নিচে বলেছি সেগুলোর সবথেকে মজার বিষয় হল, এই সকল অ্যাপে লাইভ টিভি সহ যাবতীয় কনটেন্ট দেখতে পারবেন কোনও সাবস্ক্রিপশন চার্জ ছাড়াই। চলুন তাহলে তালিকাটি এবার দেখে নেওয়া যাক। ১. nexGTv : ফ্রি লাইভ টিভি স্ট্রিমিং অ্যাপ এর তালিকার প্রথমেই আছে নেক্সজিটিভি। এটি সকল প্রকারের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এখানে একাধিক ক্যাটাগরির লাইভ টিভি চ্যানেল অ্যাক্সেস করতে পারবেন, যেমন – ইংরেজি চলচ্চিত্র, হিন্দি চলচ্চিত্র, মিউজিক, নিউজ ইত্যাদি। আর নেক্সজিটিভি -তে থাকা কার্যকরী ফিচার সমূহ এটিকে ভারতের অন্যতম সেরা ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম করে তুলেছে। nexGTv অ্যাপ ফিচার – • সমস্ত চ্যানেলের জন্য এক সপ্তাহের ‘ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক প্রোগ্রাম গাইড’ (EPG) পাওয়া যাবে। • চ্যানেল রি-অর্ডার এবং ডিলিট করা যাবে। • ইন্টারেক্টিভ অন-স্ক্রীন কন্ট্রোল। • পিকচার মোডে কনটেন্ট দেখা যাবে। • ভলিউম নিয়ন্ত্রণ ও চ্যানেল সার্চ করার বিকল্প পাওয়া যাবে। ২. YuppTV : লাইভ টিভি অ্যাপস হিসেবে ইয়াপ্প টিভি ২০০টিরও বেশি লাইভ চ্যানেল অফার করে। এই টপ-রেটেড লাইভ টিভি অ্যাপটি আপনাকে নানাবিধ ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত কনটেন্ট অ্যাক্সেস করতে দেবে। যেমন – সংবাদ, খেলাধুলা, রোমান্স-কমেডি-অ্যাকশন মুভি, সঙ্গীত সহ আরও অনেক চ্যানেল বিদ্যমান আছে এই প্ল্যাটফর্মে। এছাড়া একাধিক রিজিওনাল বা আঞ্চলিক চ্যানেলও সামিল করা হয়েছে এখানে। ইয়াপ্প টিভির সাথে আপনি ৭ দিনের ক্যাচ-আপ টিভিও পাবেন। তবে অ্যাপে তালিকাভুক্ত চ্যানেল আঞ্চলিক উপলব্ধতা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। YuppTv অ্যাপ ফিচার – • ২০০টিরও বেশি টিভি চ্যানেল। • ৭ দিনের ক্যাচ-আপ টিভি। • লেটেস্ট আঞ্চলিক এবং বলিউড/হিন্দি সিনেমার অ্যাক্সেস। ৩. Zenga TV : মোবাইলে টিভি দেখার সফটওয়্যার হিসেবে জেঙ্গা টিভি আপনাকে ১০০টিরও বেশি live TV channel-এর মধ্যে সুইচ করার সুবিধা দেবে। এখানে আপনি বিভিন্ন ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক কনটেন্ট উপলব্ধ পেয়ে যাবেন। এছাড়া – ভারতীয় তথা হলিউড সিনেমা, লাইফস্টাইল, ফুড, এন্টারটেইনমেন্ট, রিজিওনাল ইত্যাদি বিষয়ক চ্যানেল স্ট্রিম করা হয়। জেঙ্গা টিভিতে – ২জি, ৩জি, ৪জি এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ফ্রি লাইভ টিভি দেখা যাবে। Zenga TV অ্যাপ ফিচার – • ফুল-স্ক্রীন ভিউয়িং। • কনটেন্ট-ভিত্তিক ডিসপ্লে বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন। • সার্চ ফাংশনালিটি। • ফাস্ট চ্যানেল স্যুইচিং। • ইন্টারেক্টিভ অন-স্ক্রীন কন্ট্রোল। • ওয়াচ লেটার সেকশনের অধীনে কনটেন্ট সংরক্ষণ৷ ৪. Vi Mobile TV Movies & Shows : আপনি যদি ভোডাফোন-আইডিয়া (Vodafone-Idea) টেলিকম সংস্থার গ্রাহক হন, তাহলে ভিআই মোবাইল টিভি অ্যান্ড শোজ অ্যাপটি আপনার জন্য। এই অ্যাপটি আঞ্চলিক ভাষার চ্যানেল সহ বিবিধ ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত কনটেন্ট অ্যাক্সেস করতে দেয়। এখানে আপনি – হিন্দি, মালায়ালাম, তামিল, বাংলা, পাঞ্জাবি ইত্যাদি টিভি চ্যানেল তালিকাভুক্ত পেয়ে যাবেন। যার মধ্যে কয়েকটি চ্যানেল নিম্নরূপ – Aaj Tak, CNBC News18, CNBC TV18, MTV, MTV Beats, & Pictures, Comedy Central, India Today, CNBC Awaz, Republic TV, NDTV, History TV18, DD Bharti, Zee Bioskop, DD Retro, Zee Anmol, & Flix, Zee TV, DD National, Dangal TV, Colors, Sun TV, Discovery, Nickelodeon India, etc. Vi Movies and TV অ্যাপ ফিচার – • বিভিন্ন ধরনের চ্যানেল ক্যাটাগরি আছে, যেমন – স্পোর্টস, মিউজিক, নিউজ, রিজিওনাল ইত্যাদি। • হিন্দি, মালয়ালম, তামিল, কন্নড়, তেলেগু, বাংলা, উর্দু -এর মতো বিভিন্ন ভাষার চ্যানেল অন্তর্ভুক্ত। • পছন্দ অনুযায়ী ডাউনলোড কোয়ালিটি চয়ন করার বিকল্প। ৫. JioTV : রিলায়েন্স জিও টেলিকম সংস্থার সিম ব্যবহারকারী প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তির স্মার্টফোনে এখন জিও টিভি নামক অ্যাপটি পাওয়া যাবে। তবে এই অ্যাপ জিও সিম-গ্রাহক ছাড়া বাদবাকিরাও ব্যবহার করতে পারবে। তাই, যদি আপনার কাছে জিওর সিম থেকে থাকে তাহলে, এই ফ্রি অ্যাপ আপনার জন্যে মোবাইলে টিভি দেখার সেরা অ্যাপ হিসেবে দারুন কাজ করবে। জিও টিভি অ্যাপের মাধ্যমে ৬৫০টিরও বেশি সংখ্যক টিভি চ্যানেল বিনামূল্যে দেখার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন আপনি। তদুপরি, ইংরেজি, হিন্দি, কন্নড়, তামিল, পাঞ্জাবি, মালয়ালম, অসমীয়া, তেলেগু, মারাঠি, বাংলা, গুজরাটি, ভোজপুরি, উর্দু সহ ১৫টিরও বেশি ভাষায় কনটেন্ট স্ট্রিম করা হয় এখানে। এছাড়া এই অ্যাপে – এন্টারটেইনমেন্ট, সিনেমা, স্পোর্টস, নিউজ, ডিভোশনাল, এডুকেশনাল, লাইফস্টাইল, কিডস বা কার্টুন ইত্যাদি বিষয়ক লাইভ টিভি চ্যানেল তালিকাভুক্ত আছে। Jio TV অ্যাপ ফিচার – • ৭ দিনের ক্যাচ-আপ টিভি। • সুবিধামত লাইভ চ্যানেলগুলিকে পোজ ও প্লে করা যাবে৷ • পছন্দের চ্যানেল বা প্রোগ্রামগুলিকে ‘ফেভারেট’ হিসাবে শর্ট লিস্ট করা যাবে। • শো রেকর্ড করে সেগুলিকে সুবিধামত সময়ে দেখুন৷ • কনটেন্ট চলাকালীন ৩০ সেকেন্ডের জন্য রিওয়াইন্ড বা ফরওয়ার্ড করা যাবে। • ভিডিও কোয়ালিটি চয়নের স্বাধীনতা৷ ৬. Airtel Xstream App : আপনি যদি একজন এয়ারটেল সিম ব্যবহারকারী হন তাহলে এয়ারটেল এক্সস্ট্রিম অ্যাপ আপনার জন্যই। এই অ্যাপটি ৩৫০টিরও বেশি টিভি চ্যানেলের অ্যাক্সেস দেবে। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে – নিউজ, এন্টারটেইনমেন্ট, ইনফোটেইনমেন্ট, মিউজিক, সিনেমা, লাইফস্টাইল, স্পোর্টস, ডিভোশনাল বা ভক্তিমূলক এবং বাচ্চাদের চ্যানেল। এছাড়াও আপনি একাধিক ভাষায় কনটেন্ট দেখতে পারবেন যেমন – ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, বাংলা , কন্নড়, মালয়ালম, মারাঠি, ওড়িয়া, অসমীয়া, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি, গুজরাটি এবং উর্দু। সর্বোপরি, এয়ারটেল এক্সস্ট্রিম অ্যাপ আপনাকে একাধিক পার্টনার অ্যাপের অ্যাক্সেসও প্রদান করে, যেমন – ZEE5, Hungama, Eros Now, ShareIt, YouTube, Shemaroome, Ultra, Curiosity Stream, ইত্যাদি। আলোচ্য প্ল্যাটফর্মের প্রিমিয়াম প্ল্যানগুলিকে এয়ারটেলের নির্বাচিত কয়েকটি রিচার্জ প্যাকের সাথে বিনামূল্যে অফার করা হয়। Airtel Xstream অ্যাপ ফিচার – • ৩৫০টিরও বেশি লাইভ চ্যানেল দেখা যাবে। • ওয়াচলিস্ট তৈরি করা যাবে। • মাল্টি-ডিভাইস অ্যাক্সেস। • ভিডিও কোয়ালিটি চয়ন করা যাবে। ৭. MX Player : এমএক্স প্লেয়ার বর্তমানে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই মোবাইল ভিডিও প্লেয়ারটি আপনাকে বিনামূল্যে অরিজিনাল শো এবং সিরিয়াল দেখতে দেবে। এখানে হিন্দি সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার চ্যানেল অন্তর্ভুক্ত এবং একই সাথে অন্য ভাষার কনটেন্ট নিজের ভাষায় দেখার সুবিধা পাবেন। MX Player অ্যাপ ফিচার – • জনপ্রিয় টিভি শো দেখা যাবে। • হিন্দিতে ডাব করা কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ দেখা যাবে। • তেলেগু, তামিল, কন্নড়, মারাঠি, বাংলা, গুজরাটি, হিন্দি, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি, মালায়লাম এবং ইংরেজি ভাষায় টিভি সিরিয়াল দেখার বিকল্প। • বিভিন্ন এমএক্স অরিজিনাল বিনামূল্যে দেখা যাবে, যথা – আশ্রম (Aashram), হাই (High), ভাউকাল (Bhaukaal), কুইন (Queen), ডেঞ্জারাস (Dangerous) ইত্যাদি। • জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল গুলির জন্য থাকছে ক্যাচ-আপ ফিচার। ৮. Disney+ Hotstar : যাবতীয় স্টার নেটওয়ার্ক চ্যানেলগুলি মোবাইলে দেখা যাবে শুধুমাত্র ডিজনি+হটস্টার অ্যাপের মাধ্যমে। এই অ্যাপ অ্যাক্সেস করার জন্য সাবস্ক্রিপশনের প্রয়োজন হয়। ফলে লাইভ টিভি দেখার জন্য বছর প্রতি ৪৯৯ টাকা বা প্ল্যানের ভিত্তিতে আরো বেশি চার্জ করা হয়। তবে জিও এবং এয়ারটেল সংস্থা দুটি তাদের বেশ কয়েকটি রিচার্জ প্ল্যানের সাথে ফ্রি ডিজনি+ হটস্টার মেম্বারশিপ অফার করে থাকে। ফলে এই সকল রিচার্জ প্ল্যান কেনার মাধ্যমে এই উক্ত অ্যাপটির ফ্রি মেম্বারশিপ হস্তগত করতে পারেন। Disney+ Hotstar অ্যাপ ফিচার – • লেটেস্ট স্টার টিভি সিরিয়ালগুলি টিভিতে প্রিমিয়ার হওয়ার আগেই দেখুন। • লেটেস্ট-লঞ্চ বলিউড সিনেমা। • হটস্টার স্পেশাল -এর এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট লাইব্রেরির অ্যাক্সেস। • লাইভ স্পোর্টস চ্যানেল দেখার সুবিধা। ৯. SonyLIV : সনিলিভ ভারতের ‘বেস্ট লাইভ টিভি’ অ্যাপগুলির মধ্যে একটি। আপনি সনিলিভ অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত সনি নেটওয়ার্ক চ্যানেল স্ট্রিম করতে পারবেন। যদিও সনিলিভ অ্যাপে লাইভ টিভি অ্যাক্সেস করার জন্য প্রিমিয়াম মেম্বারশিপের প্রয়োজন হয়, যার প্রারম্ভিক মূলত ২৯৯ টাকা। তবে ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টে (Flipkart) অর্জিত সুপার কয়েন ব্যবহার করে সনিলিভ অ্যাপের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন কেনা সম্ভব। যদিও এই সুবিধা শুধুমাত্র ফ্লিপকার্ট প্লাস মেম্বারদের জন্যই উপলব্ধ। SonyLIV অ্যাপ ফিচার – • প্রিমিয়াম এবং স্পোর্টস কনটেন্টের ফ্রি স্ট্রিমিং। • সনিলিভ অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ দেখার সুযোগ। • ১০০টিরও বেশি নতুন প্রিমিয়াম এবং আন্তর্জাতিক সিরিজ। • সর্বোচ্চ ৫টি স্বতন্ত্র পার্সোনালাইজড প্রোফাইল তৈরির বিকল্প৷ • সনি সেট (Sony SET) এবং সাব টিভি (SAB TV) চ্যানেলের শো গুলির লেটেস্ট এপিসোড দেখুন৷ • একই সাথে ২টি স্ক্রিনে (মূল এবং পাশে সেকেন্ডারি) কনটেন্ট দেখুন। ১০. Voot : ভিয়াকম ১৮ (Viacom 18) চ্যানেল সংস্থা পরিচালিত যাবতীয় চ্যানেল অর্থাৎ – Colors TV, MTV, Comedy Central ইত্যাদি দেখা যাবে ভুট অ্যাপের মাধ্যমে। এই অ্যাপে জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল এবং শো -এর নতুন এপিসোড দেখা সম্ভব। বিশেষত আপনি যদি বিগ বস নামক রিয়ালিটি শোয়ের অনুরাগী হন তবে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও এই অ্যাপটি আপনাকে লেটেস্ট তথা বিদ্যমান সমস্ত ভুট সিলেক্ট অরিজিনাল (Voot Select Originals) ওয়েব সিরিজ দেখার অনুমতি দেয়। এক্ষেত্রে বিনামূল্যে লাইভ টিভি ও শো দেখার জন্য পেটিএম ফার্স্ট (Paytm First) বিকল্প ব্যবহার করে একটি কমপ্লিমেন্টারি ভুট প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন পেয়ে যেতে পারেন। Voot অ্যাপ ফিচার – • Colors TV, MTV, Comedy Central প্রভৃতি লাইভ টিভি চ্যানেলের অ্যাক্সেস। • লেটেস্ট ভুট অরিজিনাল দেখার সুবিধা। • রিয়েলিটি শোগুলির লেটেস্ট এপিসোড দেখা যাবে৷ • আঞ্চলিক বা রিজিওনাল টিভি শো দেখা যাবে। • এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট সমূহ। • টিভিতে সম্প্রসার করার ২৪ ঘন্টা আগেই সিরিয়াল বা রিয়ালিটি শোয়ের পর্বগুলি দেখা যাবে৷ ১১. Tata Play : একটি টাটা প্লে DTH (ডাইরেক্ট টু হোম) পরিষেবা ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনে লাইভ টিভি দেখতে পারবেন। এর জন্য প্রথমেই ডিভাইসে ইনস্টল থাকা টাটা প্লে অ্যাপটি খুলুন এবং আপনার কাস্টমার আইডি বা রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর দিয়ে সাইন ইন করুন। এবার, লাইভ টিভি ট্যাবে চলে যান এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির চ্যানেল ব্রাউজ করুন। এখানে প্রি-সিলেক্ট প্ল্যানে উপলব্ধ সমস্ত চ্যানেল দেখা যাবে। Tata Play অ্যাপ ফিচার – • টাটা প্লে ডিটিএইচ ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যের অ্যাক্সেস। • প্রোগ্রাম লিস্টিং এবং সারসংক্ষেপ ব্রাউজ করার সুযোগ। • পছন্দের শো এবং সিরিয়ালের জন্য রিমাইন্ডার সেট করার বিকল্প। ১২. Bongo app : বঙ্গ অ্যাপটি হল বাংলা ভাষার কন্টেন্টের সবচেয়ে সংগ্রহশালা। এই অ্যাপে আপনি – চলচ্চিত্র, টিভি শো, লাইভ সংবাদ সহ আরও অনেক কিছু বিনামূল্যে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অ্যাপে সাইন ইন করতে হবে শুধু। Bongo অ্যাপ ফিচার – • প্রতি সপ্তাহে নতুন বাংলা কনটেন্ট রিলিজ হয়৷ • সিনেমা, টিভি শো, নিউজ ইত্যাদি বিষয় কেন্দ্রিক একাধিক বাংলা চ্যানেল বিদ্যমান। ১৩. Zee5 : জি৫ হল একটি জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, যা মূলত অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ এবং সিনেমা স্ট্রিমিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে আপনি স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত ৯০টিরও বেশি লাইভ টিভি দেখতে পাবরেন। জি৫ অ্যাপের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের দাম তিন মাসের জন্য ২৯৯ টাকা এবং ১২ মাসের জন্য ৪৯৯ টাকা। তবে আপনি বিভিন্ন রিচার্জ প্ল্যান বা ব্যাঙ্ক অফারের অধীনে অ্যাপটির ফ্রি সাবস্ক্রিপশন পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, পেটিএম (Paytm) তাদের লয়্যালটি প্রোগ্রাম ফার্স্টের সদস্যদের জি৫ অ্যাপের ৩-মাসের ফ্রি মেম্বারশিপ প্রদান করছে। অন্যদিকে ভোডাফোন-আইডিয়া (Vodafone-idea) তাদের গ্রাহকদের নির্বাচিত রিচার্জ প্ল্যানের সাথে জি৫ অ্যাপের ফ্রি সাবস্ক্রিপশন দিচ্ছে। Zee5 অ্যাপ ফিচার – • অফলাইন মোডে ডাউনলোড। • চ্যানেল প্রোগ্রামিংয়ের জন্য লাইভ টিভি গাইড। • লাইভ নিউজ। • জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের জন্য ক্যাচ-আপ ফিচার। • ভয়েস সার্চ সহ একাধিক স্মার্ট কনটেন্ট সার্চ বিকল্প। • নিরবচ্ছিন্ন ভিডিও প্লেব্যাক। ১৪. Nat Geo TV : ন্যাট জিও টিভি অ্যাপে বিবিধ বিষয় কেন্দ্রিক ডকুমেন্টারি দেখা যাবে। যেমন – ওয়াইডলাইফ, ইঞ্জিনারিং, সায়েন্স, ট্রাভেল, হিস্টোরি ইত্যাদি বিষয়ক কনটেন্ট অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, এখানে একসাথে ন্যাট জিও টিভি এবং ন্যাট জিও ওয়াইল্ড শোয়ের অ্যাক্সেস মিলবে। Nat Geo TV ফিচার – • যেকোনো শোয়ের সম্পূর্ণ এপিসোড বিনামূল্যে স্ট্রিম করা যাবে। • বিভিন্ন ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত শো এবং ডকুমেন্টারির বিশাল সংগ্রহশালা বিদ্যামান। ১৫. FloSports : আপনি যদি লাইভ স্পোর্টস ইভেন্ট দেখতে বিশেষ আগ্রহী থাকেন তবে, ফ্লোস্পোর্টস অ্যাপ আপনার জন্য উপযুক্ত। এই অ্যাপের মাধ্যমে – লাইভ ইভেন্ট, অরিজিনাল ফিল্ম এবং কুস্তি, মার্চিং, সাইক্লিং, ফুটবল, বাস্কেটবল, হকি, এমএমএ (MMA) ইত্যাদি হাজারো স্পোর্টস চ্যানেলে লাইভ খেলা দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন। FloSports অ্যাপ ফিচার – • লাইভ স্পোর্টস ইভেন্ট স্ট্রিমিং। • গ্লোবাল কনটেন্ট সমূহের অ্যাক্সেস। • অরিজিনাল ফ্লিম এবং লাইভ ইভেন্ট ব্রাউজ। অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে ফ্রি লাইভ টিভি অ্যাপ কীভাবে ইনস্টল করবেন ? মোবাইলের মতোই অ্যান্ড্রয়েড টিভিতেও গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। তাই উক্ত অ্যাপ ডাউনলোডিং প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি নির্দিষ্ট এক বা একাধিক অ্যাপ সহজেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে ইনস্টল করতে পারবেন। যদিও কিছু অ্যাপ এমনও রয়েছে যা থার্ড পার্টি সোর্স থেকে ডাউনলোড করতে হয়। তাই আপনার সুবিধার্থে এই সকল অ্যাপ ইনস্টল করার ধাপসমূহ আমরা নিচে দিলাম, ১. ল্যাপটপ বা অন্য কোনো ডিভাইসে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করুন। সেই ফাইলটি এবার পেনড্রাইভে স্থানান্তর করুন এবং ইনস্টলেশনের জন্য পেনড্রাইভটিকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভির সাথে সংযুক্ত করুন। ২. এরপর টিভিতে ফাইল ম্যানেজার অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। ৩. এবার উক্ত অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য টিভির রিমোট ব্যবহার করে কার্সার সরিয়ে ‘OK’ বাটনে ক্লিক করুন এবং অ্যাপটি ইনস্টল করুন। ৪. ইনস্টলেশনের পরে OTP ব্যবহার করে সেই অ্যাপে লগ ইন করুন এবং বিনামূল্যে লাইভ টিভি দেখার সুবিধা উপভোগ করুন। কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে লাইভ টিভি দেখবেন ? ১. টিভির হোম স্ক্রীনে থাকা অ্যাপ সেকশনে গিয়ে রিমোর্টের মাধ্যমে স্ক্রোল করুন। ২. Google Play store অ্যাপটিতে ক্লিক করুন। ৩. উপরি উল্লেখিত যেকোনো ফি লাইভ টিভি অ্যাপের নাম লিখে সার্চ করুন। ৪. অ্যাপটি এবার টিভিতে ইনস্টল করুন এবং ইনস্টল হওয়ার পর ডাবল ক্লিক করে অ্যাপ ওপেন করুন। আমাদের শেষ কথা,, আজকের আমাদের এই সেরা মোবাইলে টিভি দেখার সেরা অ্যাপ বা লাইভ টিভি চ্যানেল apps গুলো নিয়ে লিখা আর্টিকেলটি কেমন লাগলো ? নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন। আপনারা যদি নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইলে টিভি দেখার জন্যে একটি ভালো লাইভ টিভি অ্যাপ খুঁজছেন, তাহলে ওপরে প্রত্যেকটি অ্যাপ এর বিষয়ে বলে দেওয়া হয়েছে। আপনি আপনার পছন্দ মতো অ্যাপ নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইল বা এন্ড্রয়েড টিভিতে ইনস্টল করে টিভি দেখতে পারবেন।

মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায় কি ? সেরা মোবাইল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো কি কি ? আজকের আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে চলেছি।

মোবাইল ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায় এমনিতে প্রচুর রয়েছে যেগুলোকে অনুসরণ করে মোবাইলকে ফাস্ট এবং নিরাপদ করে রাখা সম্ভব।

তবে, অনেক সময় আমাদের মোবাইলে নানান কারণে ভাইরাস প্রবেশ করেই ফেলে।

এক্ষেত্রে, বিভিন্ন মোবাইল ভাইরাস ক্লিনার বা এন্ড্রয়েড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে মোবাইলকে ভাইরাস মুক্ত করতে পারবেন।

আজ কোনো কাজ হোক বা ইন্টারনেট এ অনলাইন কিছু সার্চ করা, সবটাই আমরা নিজের android mobile-এর মাধ্যমে করে নিতে ভালো পাই।

কিন্তু ইন্টারনেটে কাজ করা, ভিডিও দেখা বা যেকোনো অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা,

এইগুলি করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের মোবাইলে অনেক রকমের ভাইরাস ঢুকে যেতে পারে।

এরকম ভাইরাস যা ইন্টারনেট থেকে আপনার মোবাইলে ঢুকে, আপনার মোবাইল কে অনেক রকমে ক্ষতি করতে পারে।

আপনার মোবাইল স্লো হয়ে যায়, মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় এবং আপনার পার্সোনাল ডিটেলস চুরি হয়ে যেতে পারে মোবাইল থেকে।

মোবাইল ফোনে ভাইরাস থাকাটা আরো অনেক রকমে আপনার ও আপনার স্মার্টফোনের ক্ষতি করতে পারে।

তাই, আমি আজ এই আর্টিকেলে আপনাদের সবচেয়ে ভালো মোবাইল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার কোনটি তার ৫ টি নাম বলবো।

এই মোবাইল ভাইরাস ক্লিনার গুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার এন্ড্রোইড মোবাইল কে ভাইরাস মুক্ত রাখতে পারবেন।

এই সেরা এন্টিভাইরাস গুলি আপনার মোবাইলে এর background এ থাকা apps, files , ভিডিও এবং অনলাইন ইন্টারনেট ওয়েবসাইট গুলি scan করতে থাকে। এতে যদি মোবাইলে ভাইরাস থাকে তাহলে তাকে খুঁজে এই এন্টিভাইরাস গুলি ডিলিট করে সরিয়ে দেয়।

তাহলে চলুন, মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায় হিসেবে সেরা মোবাইল এন্টিভাইরাস অ্যাপস গুলোর নাম আমরা নিচে জেনেনেই।

মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায় – মোবাইল ভাইরাস ক্লিনার
আজ মোবাইলে একটি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা অনেকটাই দরকারি হয়ে উঠেছে।

আমাদের মোবাইল ফোনে ৯০% ভাইরাস ইন্টারনেট থেকে ঢুকে ? হে এইটাই সত্যি।

আমরা দিনে কতরকমের ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইলে কতকিছু ডাউনলোড করি।

ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে কতরকমের লিংক এ ক্লিক করি।

আর এই ডাউনলোড করা জিনিষগুলিতে এবং লিংক গুলিতেই ভাইরাস ঢুকিয়ে রাখা হয়।

এই ভাইরাস থাকা লিংক ক্লিক করি বা ভাইরাস থাকা ফাইল গুলি ডাউনলোড করি তখনই সেই ভাইরাস গুলি আমাদের মোবাইলে ঢুকে যায়।

এবং আমরা বুঝতেও পারিনা যে আমাদের মোবাইল ফোনে ভাইরাস আছে।

এতে আমরা বুঝতেও পারিনা আর সেই ভাইরাস গুলি আমাদের এবং আমাদের মোবাইলের ক্ষতি সাধন করতে থাকে।

তাই, আমরা আমাদের মোবাইলের জন্য একটি ভালো এন্টিভাইরাস অবশই মোবাইলে ইনস্টল করতে লাগে।

এতে, আপনার মোবাইলে সেই ক্ষতিকারক ভাইরাস গুলি কোনোমতেই ঢুকতে পারবেনা এবং যখনি সেগুলি মোবাইলে ঢুকতে যাবে আপনাকে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি জানিয়ে দেবে।

এতে আপনি ভাইরাস কে মোবাইলে ঢুকতে বাধা দিতে পারবেন এবং সেগুলি ডিলিট করে দিতে পারবেন।

৭ টি ফ্রি মোবাইল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
আমি নিচে যা যা মোবাইল ভাইরাস ক্লিনার গুলি দেব সেগুলি আপনি গুগল প্লে স্টোরে থেকে ফ্রি তে ডাউনলোড করেনিতে পারবেন।

আমি প্রত্যেক app এর নিচে তাদের ডাউনলোড লিংক দিয়ে দেব।

১. AVG Antivirus 2023 for Android security

আপনারা তো জানেন AVG এন্টিভাইরাস অনেক নামকরা একটি এন্টিভাইরাস কোম্পানি।

AVG বিশেষকরে কম্পিউটারের OS windows এর জন্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বানায়।

কিন্তু এখন AVG android mobile-এর জন্যেও ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্যে সেরা antivirus application নিয়ে এসেছে।

আমি নিজেই এই সফটওয়্যার টি আমার মোবাইলে ব্যবহার করছি।

তাই, আমি নিজেই বন্য যে AVG মোবাইলের অনেক ভালো একটি এন্টিভাইরাস।

AVG মোবাইল এন্টিভাইরাসের কিছু লাভ

AVG এন্টিভাইরাস আপনি ফ্রি তে নিজের মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন।
Real – time scan করে যাতে মোবাইলের ফাইল , ভিডিও , apps এবং মেমরি কার্ডে যদি কোনোরকম ভাইরাস থাকে তাহলে সে তাকে খুঁজে বের করে।

এন্ড্রোইড মোবাইলের ব্যাটারী জীবন বাড়ায় Power Saver ফাঙ্কশন টি দিয়ে।
অপ্রয়োজনীয় files এবং জিনিস মোবাইল থেকে ডিলিট করে এবং মোবাইল কে ফ্রি রাখে।
মোবাইলের পার্সোনাল apps কে লক করতে পারবেন।
নিজের প্রাইভেট ফটো hide মানে লুকিয়ে রাখতে পারবেন AVG এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি দিয়ে।
অনলাইন ইন্টারনেট এ কাজ করার সময় মোবাইল এ ভাইরাস কে ঢুকতে দেয়না এবং বাধা দেয়।
এর DUAL ENGINE ANTIVIRUS ফাঙ্কশন দিয়ে নিজের মোবাইল কে স্ক্যান করুন এবং যত ভাইরাস আছে সবটাই ডিলিট করে দিন।

২. Kaspersky Security & VPN

Kaspersky ফ্রি এন্টিভাইরাস এবং ইন্টারনেট security, আপনার মোবাইল কে ভাইরাস মুক্ত রাখতে এবং ভাইরাস থেকে বাঁচাতে অনেক রকমে সাহায্য করার ক্ষমতা রেখে থাকে।

এটি এমন একটি এন্টিভাইরাস যে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল কে ১০০% ভাইরাস মুক্ত রাখবে।

এ আপনাকে এবং আপনার মোবাইল কে malware, spyware এবং adware এগুলির মতো ভয়ানক ভাইরাস থেকে বাঁচাবে।

Kaspersky এন্টিভাইরাস অবশই কম্পিউটারের জন্য অনেক আগের থেকেই antivirus software বানাচ্ছে।

এখন, তারা নিজের সফটওয়্যার এন্ড্রোইড মোবাইলের জন্য ও বানিয়েছেন।

Kaspersky এন্টিভাইরাস এর কিছু লাভ

১. আপনার স্মার্টফোনে এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি নিজে নিজেই বিভিন্ন রকমের ভাইরাস যেমন , trojan, spyware adware এবং malware গুলি খুঁজতে থাকে।

আর, যদি সে কোনোরকমের ভাইরাস আপনার মোবাইলে পায়, তাহলে আপনাকে জানিয়ে সেগুলি চিরকালের জন্য মোবাইল থেকে ডিলিট করে সরিয়ে দেয়।

২. এ এমন একটি antivirus engine যে বাইরের থেকে কোনো ভাইরাস মোবাইলে ঢুকতে দেবেনা।

যেমন, কোনো ফাইল, ভিডিও বা app অন্য কারোর মোবাইল থেকে নেওয়ার সময় যদি কোনো ভাইরাস আপনার মোবাইলে ঢুকতে চায়,

তাহলে Kaspersky ভাইরাস কে ব্লক করে তাকে আপনার মোবাইলে ঢুকতে দেয়না।

৩. যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন তাহলে ইন্টারনেট থেকে আপনার মোবাইলে ভাইরাস ঢুকার সুযোগ অনেক।

আর তাই, Kaspersky সফটওয়্যার টি ইন্টারনেটে কাজ করার সময় সেই অনলাইন ভাইরাস গুলিকে ব্লক করে দেয় যাতে তারা আপনার মোবাইলে ঢুকে যেতে না পারে।

এবং, যেগুলি ওয়েবসাইট ভাইরাস যুক্ত সেগুলিকে ও Kaspersky ব্লক করে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে।

৪. যদি আপনি মোবাইলে অনলাইন শপিং করেন বা অনলাইনে কোনোরকম টাকার লেন দেন করেন তাহলে আপনার financial information চুরি হতে পারে কিছু phishing ভাইরাস এর দ্বারা।

আর, তাই Kaspersky এন্টিভাইরাস এক anti – phishing সফটওয়্যার হিসেবে কাম করে আপনার সব রকমের ডিটেলস ও financial information আপনার মোবাইল সুরক্ষিত রাখে এবং সেগুলো চুরি হতে দেয়না।

৫. এর বাইরেও Kaspersky এন্টিভাইরাস আপনার মোবাইলে app লকার, call blocker এবং ফোন finder এগুলির মতন বৈশিষ্ট্য দেয়।

৩. Avast Antivirus & Security
যদি আপনি নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য একটি ভালো এন্টিভাইরাস খুঁজছেন, তাহলে Avast মোবাইল security আপনার অনেক কামে আসবে।

মোবাইল থেকে ভাইরাস বেরকরার জন্য এবং মোবাইলে ভাইরাস ঢুকতে না দেবার জন্য এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার অনেকটাই নামকরা।

Avast এন্টিভাইরাস দুনিয়াভরে লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যবহার করছে এবং নিজেদের এন্ড্রোইড মোবাইল কে ভাইরাস এবং malware থেকে সুরক্ষিত রাখছেন।

এই এন্টিভাইরাস app টির আরো একটি বিশেষ গুন্ আছে, সে হলো, adware (অ্যাডওয়্যার) ভাইরাস কে ব্লক এবং ডিলিট করা।

আপনি হয়তো অনেকবার নিজের মোবাইলে ওছায়াতে অনেক ads বা বিজ্ঞাপন দেখতেপান।

এই বিজ্ঞাপন গুলি নিজে নিজে আপনার মোবাইলে এসেযায় এবং আপনাকে রাগিয়ে দেয়।

আসলে এই বিজ্ঞাপন গুলি adware ভাইরাস থেকে আপনার মোবাইলে দেখানো হয়।

আর, এই adware ভাইরাস ইন্টারনেট থেকে আপনার মোবাইলে ঢুকে পরে এবং আপনার মোবাইলে সব সময় বিজ্ঞাপন দেখাতে থাকে।

তাই, Avast ফ্রি এন্টিভাইরাস আপনার মোবাইলে এরকম কোনো adware ভাইরাস আপনার এন্ড্রোইড মোবাইলে ঢুকতে দেয়না এবং যদি আপনার মোবাইলে এরোমোক বিজ্ঞাপন দেখানো ভাইরাস ঢুকে থাকে তাহলে সেগুলিকে AVAST একবারের জন্য বের করেদেয়।

Avast এন্টিভাইরাস এর কিছু লাভ
১. এন্টিভাইরাস ইঞ্জিন – ভাইরাস এবং malware scanner অটোমেটিক্যালি আপনার মোবাইল স্ক্যান করে যাতে যদি কোনো ভাইরাস বা ক্ষতিকারক জিনিস আপনার মোবাইলে থাকে তাহলে সেটা ধরা পরে এবং তাকে মোবাইল থেকে ডিলিট বা সরানো যায়।

২. Web এবং file scanning এর দ্বারা আপনাকে পুরো ভাইরাস ফ্রি protection দেবা হয় এবং এ আপনাকে spyware, adware এবং malware এর মতো ক্ষতিকারক ভাইরাস থেকেও বাঁচায়।

৩. কোনো বাইরের মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে জিনিস নিজের মোবাইলে নেবার সময় যদি তাতে ভাইরাস থাকে তাহলে এই এন্টিভাইরাস টি তাকে আপনার মোবাইলে ঢুকতে দেয়না এবং তাকে ব্লক করে দেয়।

৪. যা আমি আগেই বলেছি Avast এন্টিভাইরাস আপনাকে ইন্টারনেট থেকে এবং ইন্টারনেটে থাকা ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে বাঁচিয়ে রাখে।

৫. Avast antivirus এর junk cleaner বৈশিষ্ট্য টি আপনার মোবাইল থেকে অপ্রয়োজনীয় files এবং জিনিস সরিয়ে ফোন কে ফ্রি এবং ফাস্ট বানিয়ে রাখে।

. Call blocker বৈশিষ্ট্য দ্বারা আপনি যেকোনো মোবাইল নম্বর কে ব্লক করে রাখতে পারবেন।

৭. ইন্টারনেট থেকে বেশিভাগ ঢুকা ভাইরাস যেমন, trojan, adware, spyware এবং malware এগুলি Avast আপনার মোবাইলে ঢুকতে দেনায়।

তাই এখন কোনো চিন্তা না করেই ইন্টারনেট এর মজা নিন নিজের এন্ড্রোইড মোবাইলে।

যদি আপনি নিজের মোবাইলকে ভাইরাস মুক্ত করে রাখার উপায় খুঁজে থাকেন বা কিভাবে ভাইরাস থেকে বাঁচাবো তা ভাবছেন ,

তাহলে Avast এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।

এ আপনার মোবাইল কে পুরো ভাবে সুরক্ষিত করে রাখবে।

৪. McAfee Security: Antivirus VPN
যদি আপনি মোবাইল থেকে ভাইরাস বের করার সহজ উপায় খুঁজছেন,

তাহলে McAfee মোবাইল এন্টিভাইরাস আপনার অনেক কামে আসবে।

ফোনের ভাইরাস দূর করার উপায় হিসেবে এই এন্টিভাইরাস সিকিউরিটি অ্যাপস প্রত্যেকের প্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এটি এমন একটা এন্টিভাইরাস যে আপনার এন্ড্রোইড মোবাইলে ভাইরাস কোনোমতেই ঢুকতে দেয়না এবং,

যদি আগের থেকেই মোবাইলে ভাইরাস আছে তাহলে তাকে খুঁজে বের করে এবং সেটা সরিয়ে দেয়।

একটি দারুন এবং ভালো এন্টিভাইরাস হিসেবে McAfee র আরো অনেক বৈশিষ্ট্য আছে।

যেমন, security লক, phone finder, contact ব্যাকআপ এর মতো আরো অনেক গুন্ এই এন্টিভাইরাস টিতে রয়েছে।

McAfee এন্টিভাইরাসএর কিছু আরো বৈশিষ্ট্য

১. মোবাইল নিরাপত্তা এবং ভাইরাস স্ক্যান – মোবাইল ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায় হিসেবে এই সফটওয়্যার অনেক কার্যকর।

এই সক্ষম এন্টিভাইরাসটি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল এর background এ নিজের স্ক্যান কার্য করতে থাকে।

এতে যদি আপনার মোবাইলের কোনো ফাইল , গেম, app , ভিডিও বা মেমরি কার্ডে যদি কোনোরকম ভাইরাস (malicious files) থাকে,

তাহলে McAfee তাদের খুঁজে বের করে এবং চিরকালের জন্য তাদের আপনার মোবাইল থেকে সরিয়ে দেয়।

২. সুরক্ষিত ওয়েব ব্রাউসিং (web browsing) – যদি আপনি নিজের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার মোবাইলে ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ডাউনলোড করা ফাইল থেকে ভাইরাস বা adware ঢুকে যেতে পারে।

আর তাই, McAfee এরকম ভাইরাসকে যারা নাকি ইন্টারনেট থেকে আসতে পারে তাদের ব্লক করে মোবাইলে ঢুকতে দেয়না।

৩. সাধারণ তবে কার্যকর ভাইরাস ক্লিনার – McAfee এমন একটি সাধারণ ভাইরাস ক্লিনার যে আপনার মোবাইলকে ১০০% ভাইরাস মুক্ত করে রাখবে। এতে আপনার মোবাইল ফাস্ট এবং সুরক্ষিত থাকবে।

৫. Avira Security Antivirus & VPN

Avira antivirus, এন্টিভাইরাস এর দুনিয়াতে অনেক নামকরা এবং সক্ষম একটি সিকিউরিটি সফটওয়্যার।

আপনার এন্ড্রয়েড ফোন কে ১০০% ভাইরাস মুক্ত করে রাখতে এই এন্টিভাইরাস app টি অবশই সক্ষম হবে।

Avira একটি পুরস্কৃত সিকিউরিটি সফটওয়্যার যেটাকে লক্ষ লক্ষ লোকেরা নিজের মোবাইলে ব্যবহার করছেন।

ভাইরাস সম্পূর্ণ পরিষ্কার করার বাইরেও Avira এন্টিভাইরাস এর আরো অনেক বৈশিষ্ট্য আছে।

যেমন, মোবাইলের security, anti – theft, privacy আরো অনেক।

তাই যদি আপনি মোবাইলের সবচেয়ে ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি এইটা জানতে চান তাহলে আমি বলবো Avira ফ্রি antivirus

Avira এন্টিভাইরাসএর কিছু বৈশিষ্ট্য

Spyware এবং malware ভাইরাস থেকে আপনার মোবাইলকে সুরক্ষিত করে ভাইরাস মুক্ত রাখে।
আপনার চুরি হওয়া মোবাইলকে খুঁজতে এবং track করতে সাহায্য করে।
আপনার পার্সোনাল ভিডিও, ফটো চুরি হবার থেকে বাঁচিয়ে রাখে।
নিজে নিজেই Avira আপনার ফোনের apps, ফাইল, ভিডিও এবং মেমরি কার্ড স্ক্যান করে এবং এগুলিতে ভাইরাস থাকলে তাদের খুঁজে বের করে।
ইন্টারনেটে থাকা adware এবং spyware ভাইরাস আপনার মোবাইলে ঢুকতে দেয়না।
Avira অনেকেই নিজের মোবাইলে ব্যবহার করছেন ভাইরাস থেকে নিজের মোবাইল কে বাঁচানোর জন্য।

তাই আপনিও এর ব্যবহার করে নিজের এন্ড্রোইড মোবাইলকে ভাইরাস মুক্ত রাখতে পারবেন।

Avira android মোবাইলের অনেক ভালো এন্টিভাইরাস আমি বলবো।

6. Quick Heal Mobile Security

যখন জনপ্রিয় এবং সেরা mobile security software গুলোর কথা বলা হচ্ছে, তখন আরেকটি জনপ্রিয় antivirus এর নাম না বললে কিভাবে চলবে।

আমি কথা বলছি, Quick Heal Mobile Security-র, যেটা বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের device গুলোতে security solution হিসেবে অধিক পরিমানে ব্যবহার হচ্ছে।

Android devices-এর জন্যে একটি অনেক শক্তিশালী antivirus protection বলে বলা যেতে পারে।

এই application আপনার device গুলোকে ransomware, malware, spyware, এবং অন্যান্য online privacy threats থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

Quick heal দ্বারা আপনার মোবাইলে real time scan সবসময় চলতেই থাকে।

এতে, অনেক সহজেই new এবং existing online virus, malware, spyware গুলি ধরা পরে থাকে।

৭. Bitdefender Antivirus
মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটো ক্ষেত্রেই Bitdefender Antivirus আমার প্রিয় একটি software.

এই দারুন antivirus software-টি অনেক powerful এবং fast.

Application-টির virus detection ক্ষমতা অধিক শক্তিশালী এবং উন্নত।

অন্যান্য প্রচুর virus protection software এর মতো এই app-টি আপনার mobile battery এবং performance এর ওপর কোনো ধরণের প্রভাব ফেলবেনা।

সোজা ভাবে application-টি মোবাইলে install করুন এবং কোনো সমস্যা ছাড়া নিজে নিজে আপনার মোবাইল সুরক্ষিত হয়ে থাকবে ভাইরাস থেকে।

Final words,
মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায় হিসেবে আপনারা ওপরে বলা যেকোনো একটি android mobile antivirus software ব্যবহার করতে পারেন।

কেননা, যদি আপনার smartphone-এ আগের থেকেই ভাইরাস প্রবেশ করে রয়েছে,

তাহলে এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডাউনলোড করে সরাসরি scan করলেই virus ধরা পরবে।

ধরা পরা virus আপনারা এই একই antivirus software এর ব্যবহার করে delete বা quarantine করার মাধ্যমে মোবাইল থেকে সরিয়ে দিতে পারবেন।

আমি আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মোবাইলের জন্য সবথেকে ভালো এন্টিভাইরাস কোনগুলো তা বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বললাম।

ওপরে দেয়া সব এন্টিভাইরাস গুলো প্রায় একই ধরণে কাজ করে বলে বলতে পারেন।

তাই দিয়ে দেওয়া ৫ টি সফটওয়্যার এর মধ্যে আপনি যেকোনো একটি নিজের মোবাইলে ইনস্টল করে নিজের মোবাইলকে ভাইরাস থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন,

এবং এভাবেই মোবাইল থেকে ভাইরাস বের করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *