বাউন্স রেট হলো গুগল এর এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি ranking factor.
এর সাহায্যে গুগল যেকোনো ওয়েব পেজের কোয়ালিটি (quality) এবং প্রাসঙ্গিকতার (relevancy) বিষয়ে জেনে নিতে পারে।
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে, আমরা বিভিন্ন “SEO optimization techniques” গুলো ব্যবহার করি।
এবং, SEO techniques গুলোর ব্যবহার আমরা একটাই উদ্দেশ্যে করি যেটা হলো, “গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজে (SERP) ওয়েব পেজের র্যাংকিং (ranking) ভালো করা”.
কিন্তু আপনারা কি জানেন ?
যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট (bounce rate) অনেক বেশি থাকে, তাহলে হাজার ভালো করে এসইও (SEO) করেও লাভ হবেনা ?
বাউন্স রেট বেশি থাকা ওয়েবসাইট গুলো, গুগল এর নজরে low quality ওয়েবসাইট।
তবে, এর কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে।
সেটা হলো,
- ভিসিটর্স এর ক্ষেত্রে আপনার লিখা আর্টিকেল কতটা কাজে আসছে ?
- আপনার কনটেন্টটি, ইউসার এর দ্বারা সার্চ করা প্রশ্ন বা সমস্যার সাথে জড়িত ও প্রাসঙ্গিক কি না ?
এই সব বিষয়ে গুগল একমাত্র এই “বাউন্স রেট (bounce rate)” এর মাধ্যমে সহজেই বুঝে যেতে পারে।
আর যেহেতু,
Google, সব সময় ইউসার এর অভিজ্ঞতার (user experience) কথা ভেবেই ওয়েবসাইট গুলোকে তার SERP এ র্যাংক করেন, তাই ওয়েব পেজের বাউন্স রেট কম রাখাটা SEO র ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।
এক্ষেত্রে, যদি আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট অধিক বেশি, তাহলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়ার আশা করে কোনো লাভ হবেনা।
চলুন, নিচে আমরা অধিক বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই,
- “বাউন্স রেট কি (what is bounce rate in Bangla)” ?
- “কতটা বাউন্স রেট ভালো হিসেবে ধরা যেতে পারে” ?
- “বাউন্স রেট কিভাবে কম রাখতে হয়” ?
- “কিভাবে নিজের ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট চেক করবেন” ?
ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কি ? (What is bounce rate)
Bounce rate হলো google analytics এর একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে একটি ওয়েব পেজে আসা user এর আচরণের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
চলুন, বাউন্স রেট এর বিষয়ে অল্প practically জেনেনেই।
ধরুন, আপনি একটি বিষয়ে গুগলে সার্চ করলেন এবং বিষয়টি হলো “what is bounce rate of a website“.
এখন, গুগলে বিষয়টি বা প্রশ্নটি লিখে সার্চ করার পর, গুগল আপনাকে আমার লিখা এই আর্টিকেল আপনাকে দেখালো।
আপনিও, গুগলের দেখো তালিকার থেকে আমার ওয়েবসাইটে ক্লিক করে চলে আসলেন।
In First case
ধরুন, বাউন্স রেট এর ওপরে আমার লিখা এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলো এবং আপনি অনেক সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়লেন।
যিহেতু আপনি অনেক সময় নিয়ে আমার আর্টিকেলটি পড়ছেন, তাই আমার ওয়েব পেজের bounce rate প্রচুর কম থাকবে।
এবং, এতে গুগলের কাছে একটি signal চলে যাবে যে,
“what is bounce rate of a website” এর প্রশ্নটির সাথে জড়িত যেই কনটেন্ট বা উত্তর আমি আমার ওয়েব পেজ লিখেছি সেটা প্রশ্নের সাথে সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক (relevant) এবং ইউসার রা কন্টেন্টি পছন্দ করছেন।
এতে, গুগল সেই সার্চ করা “search term বা “keyword” এর বিপরীতে বাউন্স রেট নিয়ে লেখা আপনার সেই ওয়েব পেজের র্যাংকিং প্রচুর ভালো করে দিবে।
আর, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে র্যাংকিং ভালো থাকা মানেই প্রচুর ট্রাফিক, তাইতো ?
In Second Case
ধরুন, আপনার লেখা একটি আর্টিকেল রয়েছে, “ওয়ার্ডপ্রেস স্পিড অপ্টিমাইজেশন” নিয়ে।
এখন, আপনি গুগলে সার্চ করলেন যে “কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস স্পিড অপ্টিমাইজেশন করতে হয়“.
আপনার সার্চ করা প্রশ্ন বা সার্চ টার্ম এর বিপরীতে, গুগল আপনাকে সার্চ টার্ম এর সাথে জড়িত নানান ওয়েব পেজের তালিকা দিয়ে দিলো।
তার মধ্যে আপনি “ওয়ার্ডপ্রেস স্পিড অপ্টিমাইজেশন” নিয়ে লেখা আমার আর্টিকেল পেজে ক্লিক করলেন ও ভিসিট করলেন।
এখন,
আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ না হয় বা আপনার সার্চ করা বিষয়ের সাথে জড়িত কিছু তথ্য আপনি আর্টিকেলটিতে পাচ্ছেননা, তাহলে কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি আমার ওয়েব পেজ থেকে চলে যাবেন।
এবং, যেহেতু আপনি আমার ওয়েবসাইট ভিসিট করার কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আর্টিকেল না পড়েই চলে গেলেন, তাই এক্ষেত্রে আমার ওয়েব পেজের bounce rate প্রচুর বেশি থাকবে।
এবং, bounce rate বেশি থাকার ফলে গুগল অনেক সহজেই বুঝে যেতে পারবে যে, সার্চ করা বিষয় বা প্রশ্নের সাথে আমার কন্টেন্টের প্রাসঙ্গিকতা বা মেল নেই।
সহজ ভাবে বললে, user রা আমার আর্টিকেল বা কনটেন্ট পছন্দ করছেননা, সেটা গুগল বুঝে যাবে।
এর ফলে, ভবিষ্যতে সেই প্রশ্ন, keyword বা search term এর বিপরীতে আপনার আর্টিকেল পেজটি গুগলের দ্বারা তার SERP তালিকাতে নিচে নামিয়ে দেওয়া হবে।
যার বিপরীতে, “ওয়ার্ডপ্রেস স্পিড অপ্টিমাইজেশন” নিয়ে আপনার সেই পেজটিতে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স এর পরিমান প্রচুর কমে যাবে।
মনে রাখবেন, গুগলের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো, “ইউসার এর কাজে আসা তথ্য ও সঠিক তথ্য প্রদান করা”.
তাছাড়া, সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করা প্রশ্ন ও আপনার ওয়েব পেজে থাকা কনটেন্ট এর মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা বা মেল থাকতেই হবে।
তাহলে বাউন্স রেট বলতে আমরা কি বুঝলাম ?
Bounce rate হলো সব থেকে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ “Google ranking factor“.
তাই, গুগলের সার্চ রেজাল্ট পেজে (SERP) একটি ওয়েবসাইট র্যাংক করার ক্ষেত্রে সবচে আগেই এই “SEO factor” টি দেখা হয়।
এবং, bounce rate কে “অন পেজ এসইও” র একটি প্রধান ভাগ বলেও বলা যেতে পারে।
ইউসাররা (user) যখন আপনার ওয়েবসাইটের যেকোনো ওয়েব পেজে আসেন, তখন সে কত তাড়াতাড়ি আপনার ওয়েব পেজটি ছেড়ে চলে যাচ্ছে, সেই পরিমান টিকেই বলা হয় বাউন্স রেট।
এবং, আমাদের ওয়েবসাইটের bounce rate চেক করার ক্ষেত্রে আমরা Google analytics ব্যবহার করতে হয়।
ইউসাররা অধিক সময় আপনার ওয়েব পেজে থেকে কনটেন্ট পড়লে, বাউন্স রেট এর পরিমান কম থাকবে।
এবং, যত তাড়াতাড়ি ইউসার আপনার ওয়েব পেজ ছেড়ে রিটার্ন চলে যাবেন, ততটাই বেশি থাকবে bounce rate এর পরিমান।
আর, এই bounce rate এর পরিমানের ওপরেই গুগল যেকোনো ওয়েবসাইটের ranking নির্ধারিত করে।
কারণ, বাউন্স রেট এর মাধ্যমেই গুগল বুঝতে পারে যে, ইউসার এর সার্চ করা বিষয়ের সাথে আপনার আর্টিকেলের প্রাসঙ্গিকতা বা মেল কতটা রয়েছে।
তাহলে বুঝলেন তো, “bounce rate মানে কি” (what is bounce rate in Bangla).
একটি ভালো bounce rate কত হয় ?
দেখুন সোজা ভাবে বললে, বাউন্স রেট যতটা বেশি কম হবে ততটাই ভালো।
তবে, হতে পারে আপনি একটি আন্দাজ জেনে নিতে চাচ্ছেন যে কত শতাংশ বাউন্স রেট থাকা মানে ভালো।
এই ক্ষেত্রে, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের content quality র ওপরে নির্ভর করে বাউন্স রেট এর পরিমান আলাদা আলাদা হতে পারে।
এখন, যদি সুরক্ষিত ও ভালো পরিমানের বাউন্স রেট এর কথা বলি তাহলে, ৭০% থেকে কম থাকলে ভালো।
- ৮০% বা তার থেকে অধিক বাউন্স রেট মানে অধিক খারাপ।
- ৭০ – ৭৯% মানে প্রায় খারাপ।
- ৫৫ – ৬৯% মানে মোটামোটি ভালো।
- ৩০ – ৫৪% মানে অনেক ভালো।
এমনিতে, একটি blog website এর ক্ষেত্রে bounce rate কম থাকে।
প্রায়, ৭০ – ৭৯% ভেতরে।
কারণ, ইউসার রা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্লগের কনটেন্ট গুলো আগেই ওপরে ওপরে দেখে নেন।
এবং, যদি তারা মনে করেন যে আর্টিকেলটিতে তেমন ভালো কিছু নেই, তাহলে তারা সাথে সাথেই আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে চলে যায়।
আর তাই, bounce rate কম রাখার জন্য নিজের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো প্রচুর ভালো করে ও আকর্ষণীয় ভাবে লিখতে হবে।
মনে রাখবেন, আপনার মূল উদ্দেশ্য থাকতে হবে যে, ইউসার রা যাতে অধিক থেকে অধিক সময় আপনার কনটেন্ট গুলো পড়েন।
কিভাবে জানবেন আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কতো ?
সম্পূর্ণ website বা ওয়েবসাইটের আলাদা আলাদা কনটেন্ট পেজ গুলোতে কত bounce rate হচ্ছে, দুটোই আপনারা জেনেনিতে পারবেন।
এবং যা আমি আগেই বলেছি, website এর bounce rate এর বিষয়ে জানার জন্যে আমাদের ব্যবহার করতে হয় “Google analytics“.
অবশই যদি আপনি একজন ব্লগার, তাহলে আপনার একটি Google analytics account রয়েছে।
Google analytics গুগল এর একটি web analytics tool.
তাই, এখানে একাউন্ট তৈরির ক্ষেত্রে আমরা আমাদের google account / Gmail account ব্যবহার করতে হয়।
নিজের ওয়েবসাইটের domain, তৈরি করা Google analytics account এর সাথে সংযোক ও ভেরিফাই করতে হয়।
তারপর, বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি আপনার web page গুলোর bounce rate check করতে পারবেন।
- Behavior >> Site content >> All Pages >> Bounce Rate
- Acquisition >> All traffic >> Channels >> Bounce Rate
- Acquisition >> Source/Medium >> Bounce Rate
ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কিভাবে কম করবেন ?
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ ranking বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের SEO optimisation অবশই করে থাকি।
কিন্তু, bounce rate যে সবচেয়ে জরুরি একটি Google ranking factor এবং SEO র গুরুত্বপূর্ণ এক ভাগ, সেটা অনেক জানেনা।
আর এই কারণেই, অনেকেই হয়তো সঠিক SEO করে থাকলেও, গুগলে সার্চে ওয়েবসাইটের ranking ভালো করতে পারেননা।
আপনি যতই ভালো SEO করুন, কিন্তু যদি আপনার web page এর bounce rate অধিক বেশি high থাকে, তাহলে সেটা গুগল কে বোঝাবে যে, “আপনার সাইট এর user experience প্রচুর খারাপ”।
এবং, এটা বোঝার পর গুগল আপনার ওয়েবসাইটের ranking প্রচুর খারাপ করে দিবে।
ফলে, আপনার ওয়েবসাইটে গুগল থেকে আসা ট্রাফিক এর পরিমান সাংঘাতিক ভাবে কমে আসবে।
তাই, ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সব সময় low bounce rate রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আর তাই, ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কম রাখার ক্ষেত্রে জরুরি কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম গুলোর বিষয়ে আমি বলে দিচ্ছি।
Bounce rate কম রাখার কিছু নিয়ম
নিচে আমি যেগুলো নিয়মের ব্যাপারে বলবো সেগুলো ভালো করে এপ্লাই করলে আপনার ওয়েবসাইটের bounce rate অবশই কম থাকবে।
১. Improve content quality
আমরা সবাই জানি যে, কনটেন্ট হলো একটি ব্লগের ক্ষেত্রে রাজা। (Content is king).
এখন, bounce rate বেশি থাকার সবচেয়ে মূল কারণ হতে পারে “আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এর কোয়ালিটি খারাপ থাকা”.
কোনো ইউসার, আপনি বা আমি low quality article বা content কখনোই ভালো পাবোনা।
তাই, যখন আপনার আর্টিকেলটি ইউসাররা সহজে ও সুবিধাজনক ভাবে পড়তে পারবে তখন নিজে নিজেই পেজটির bounce rate কমে আসবে।
এখন, কনটেন্ট কোয়ালিটি বলতে আমাদের আর্টিকেলের বিভিন্ন বিষয়ে ধ্যান দিতে হয়।
যেমন,
- যেই আর্টিকেল লিখছেন সেটা সঠিক ও সবিশেষ (detailed) তথ্যের সাথে লিখুন। এতে, ইউসার রা আপনার কনটেন্ট পড়ে রুচি পাবেন এবং অনেক সময় আর্টিকেল পেজে থাকবেন।
- আর্টিকেলে একি কীওয়ার্ড এর অত্যাধিক ব্যবহার করবেননা। এতে user-experience খারাপ হওয়ার সাথে সাথে গুগলের নজরে keyword stuffing এর বিষয়টি চলে আসতে পারে।
- আর্টিকেলের টাইটেল (title) এবং heading (H Tags) গুলো ভালো করে অপ্টিমাইজে করে লিখুন। ইউসার দের আকর্ষণীয় টাইটেল বা হেডিং এর মাধ্যমে ধরে রাখা যায়।
- ব্লগের আর্টিকেল গুলো ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখবেন। এতে, ইউসার অনেক সহজে এবং সুবিধাজনক ভাবে আর্টিকেল পড়তে পারেন।
- আর্টিকেলের ফন্ট সাইজ নিয়ে ধ্যান দিবেন। অধিক ছোট বা অধিক বড় ফন্ট সাইজ হলে ভিসিটর্স দের আর্টিকেল পড়তে অসুবিধে অবশই হতে পারে।
- কমেও ১৫০০ থেকে ২৫০০ শব্দের ভেতরে আর্টিকেল লিখবেন। এতে, পাঠক বা ইউসার রা অধিক সময় আপনার ব্লগে থাকার সুযোগ পায়।
এভাবে, আর্টিকেলে কিছু ছোট ছোট optimization করে কনটেন্ট এর কোয়ালিটি ভালো রেখে, সেই আর্টিকেল পেজের বাউন্স রেট কম রাখতে পারবেন।
২. Improve website loading speed
১০ কথার এক কথা, যদি আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড স্লো থাকে, তাহলে বাউন্স রেট কখনোই কম থাকছেনা।
কারণ, যখন একজন ইউসার আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিট করে, সে কেবল ১ থেকে ২ সেকেন্ড অব্দি অপেক্ষা করে ওয়েবসাইটটি লোড হওয়ার জন্যে।
এখন, যদি আপনার ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড স্লো থাকে, তাহলে সেটা ব্রাউজারে লোড হতে কমেও ৪ থেকে ৭ সেকেন্ড লেগে যাবে।
এতে, আর্টিকেল বা কনটেন্ট না দেখেই, ইউসার বিরক্তি পেয়ে সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে চলে যায়।
যার ফলে, সেই ওয়েব পেজের bounce rate প্রচুর বৃদ্ধি পায় এবং high quality content লিখার সত্ত্বেও গুগলের নজরে সেই কন্টেন low quality র হয়ে দাঁড়ায়।
তাই, সবচেয়ে আগেই নিজের ব্লগের loading speed দ্রুত রাখার চেষ্টা করুন।
ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত করার ক্ষেত্রে এই কয়টি টিপস মনে রাখবেন।
- ওয়েবসাইটে latest PHP version ব্যবহার করবেন।
- Images গুলো আপলোড করার আগেই compress করে size ছোট করে নিবেন।
- ওয়েবসাইটে অত্যাধিক plugin ব্যবহার করবেননা।
- CSS এবং JavaScript গুলোকে Minify করবেন।
- Caching plugin এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত করুন।
- CDN (content delivery network) এর ব্যবহার করুন।
- একটি ভালো এবং ফাস্ট cloud hosting service এর ব্যবহার করুন।
- Lightweight এবং clean website theme ব্যবহার করুন।
- অত্যাধিক বিজ্ঞাপন (Ads) ব্লগে শো করবেননা।
৩. Clean and simple blog design
মনে রাখবেন, আপনার ব্লগে আসা ভিসিটর্সরা একটি simple এবং clean ওয়েবসাইট ডিজাইন পছন্দ করেন
সাধারণ এবং পরিষ্কার ওয়েবসাইট ডিজাইনের ফলে, পাঠকের মন কেবল আপনার লেখা কনটেন্ট এর ওপর থাকবে।
তাছাড়া, অধিক রং বিরঙ্গি এবং ঘিচি মিচি করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করলে, পাঠকের জন্যে আর্টিকেল পড়াটা কষ্টেক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ওয়েবসাইটের ডিজাইন responsive অবশই হতে হবে।
Responsive design এর ফলে, আপনার ওয়েবসাইট যেকোনো size এর device গুলোতে সঠিক ভাবে খুলবে এবং পাঠকরা সহজেই আর্টিকেল পড়তে পারবেন।
৪. Related posts / articles এর ব্যবহার
সব সময় ব্লগের আর্টিকেলের শেষে কিছু related articles ব্যবহার করবেন।
আর্টিকেলের শেষে related articles এর section রাখলে, এতে আপনার ওয়েবসাইটের ভিসিটর্স দের অধিক সময়ের জন্যে ধরে রাখা যেতে পারে।
কারণ, related post এর মাধ্যমে আর্টিকেলের সাথে জড়িত ব্লগের কিছু অন্যান্য আর্টিকেল দেখানো হয়।
এবং, যদি আপনার ব্লগে কিছু কাজের আর্টিকেল থাকে, তাহলে ইউসার রা সেগুলোতেও ক্লিক করবেন এবং পড়বেন।
এতে, আরো কিছু অধিক সময়ের জন্য ভিসিটর্স দের নিজের ব্লগে রাখতে পারবেন।
ফলে, আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমে আসবে।
Related post এর function ব্যবহার করার জন্য, আপনারা প্রচুর WordPress plugin পেয়ে যাবেন।
৫. Internal linking এর ব্যবহার করুন
Internal linking বা interlining একটি ওয়েবসাইটের On page SEO র ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।
এই প্রক্রিয়াতে, আর্টিকেল লিখার সময় আর্টিকেলের সাথে জড়িত ব্লগের অন্যান্য কিছু আর্টিকেলের লিংক গুলো কন্টেন্টে দিয়ে দেওয়া হয়।
এই প্রক্রিয়া, ওয়েবসাইটের SEO ভালো করার সাথে সাথে low bounce rate এর ক্ষেত্রেও অনেক কাজে আসে।
তাই, ব্লগের বাউন্স রেট কম রাখার ক্ষেত্রে, এই ইন্টারনাল লিঙ্কিং এর প্রক্রিয়া অবশই ব্যবহার করবেন।
৬. অন্ত্যধিক বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করবেননা
আপনার ওয়েব পেজে যদি অত্যাধিক বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করা হয় তাহলে ব্লগের লোডিং স্পিড স্লো হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর থাকবে।
আর আমি আগেই বলেছি, আপনার ওয়েবসাইট স্লো থাকা মানেই, ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ হয়ে দাঁড়ানো।
তাছাড়া, ব্লগে অত্যাধিক বিজ্ঞাপন দেখালে, সেটা পাঠকের জন্য আর্টিকেল পড়ার ক্ষেত্রে প্রচুর অসুবিধের সৃষ্টি করতে পারে।
আর্টিকেল পড়ার সময় যাতে পাঠকের কোনো ধরণের সমস্যা না হয়, তাই প্রয়োজন হিসেবে ৩ থেকে ৪ বার বিজ্ঞাপন দেখলেই যথেষ্ট।
আর্টিকেল পড়ার সময়, অধিক অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপনের ফলে ভিসিটর বিরক্তি পেয়ে আপনার ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকে।
তাই, আমি আবার বলবো যে, ওয়েবসাইটে অধিক বেশি বিজ্ঞাপন দেখাবেননা।
৭. Use images in article
আর্টিকেলে ছবির ব্যবহার করাটা SEO র ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।
তবে, আর্টিকেলে কনটেন্ট এর সাথে জড়িত ছবি ব্যবহার করে নিজের ব্লগের বাউন্স রেট অবশই কমিয়ে রাখতে পারবেন।
বলা হয় হে “একটি ছবি হাজার শব্দের সমান“.
ছবির মাধ্যমে লোকেরা অনেক সহজে এবং স্পষ্ট করেই যেকোনো বিষয়ে বুঝে যেতে পারেন।
তাই, ব্লগের আর্টিকেলের মাঝে মাঝে কনটেন্ট এর সাথে জড়িত কিছু ছবি ব্যবহার করলে, সেটা পাঠকের আকর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এবং, পাঠকেরা অধিক সময় নিয়ে ছবি দেখার ফলে, ওয়েবসাইটের bounce rate কম রাখতে সুবিধে হবে।
তাই, যতটা সম্ভব আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে জড়িত images নিজের কন্টেন্টে ব্যবহার করুন।
৮. Use short paragraph in article
ঘিচিমিচি এবং অস্পষ্ট কনটেন্ট কেও পড়তে ভালো পায়না।
তাই, সব সময় নিজের আর্টিকেল গুলো লেখার সময় ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখবেন।
এবং, কিছু প্যারাগ্রাফ লেখার পর হেডিং (heading) ব্যবহার করবেন।
এতে, পাঠকের কনটেন্ট পড়তে সুবিধে হবে এবং তারা আর্টিকেলের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকবে।
এভাবে, স্পষ্ট এবং পরিষ্কার করে কনটেন্ট লিখলে, ভিসিটর্স বা পাঠক অধিক সময় আপনার কনটেন্ট পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠে।
এবং এতে, অবশই ওয়েব পেজের bounce rate কম থাকবে।
৯. আর্টিকেলে videos ব্যবহার করুন
আর্টিকেলে videos ব্যবহার করে অনেক বেশি সময় ভিসিটর্স দের সেই পেজে সংযুক্ত করে রাখা সম্ভব।
এবং একটি ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কে কমিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া প্রচুর কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
একটি image বা text content এর তুলনায়, video content যেকোনো ভিসিটর এর অধিক ধ্যান আকর্ষিত করে।
তাই, নিজের blog post গুলোকে video হিসেবে তৈরি করে, আর্টিকেলে embed করলে, bounce rate অবশই কম থাকবে।
এতে, পাঠক আপনার আর্টিকেল পেজে এসে ভিডিওর মাধ্যমেও বিষয় গুলো জেনেনিতে পারবেন।
১০. Table of contents এর ব্যবহার করুন
ওপরে আপনারা দেখছেন “table of contents” এর একটি ছবি।
Table of contents এর মাধ্যমে, আমরা user কে আকর্ষিত করতে পারি এবং আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলের একটি ছোট পরিচয় (quick introduction) দিয়ে দিতে পারি।
বিশ্বাস করুন, এই মাধ্যমে ৬০% পাঠক দের কিছু সময়ের জন্য আর্টিকেলে ধরে রাখা সম্ভব।
যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করছেন, তাহলে “WordPress block editor” ব্যবহার করে এই “table of contents” এর option পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া, প্রচুর plugin রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আর্টিকেলে table of content ব্যবহার করতে পারবেন।
১১. আর্টিকেলে প্রচুর শব্দের ব্যবহার করুন
দেখুন, আপনি আর্টিকেলে যতটা কম শব্দের ব্যবহার করে সেটা লিখবেন, ভিসিটর্স রা ততটাই তাড়াতাড়ি সেটা পড়ে শেষ করবেন।
তাই, যেকোনো বিষয়ে যখন আর্টিকেল লিখবেন, সেটা কমেও ১৫০০ থেকে ২৫০০ শব্দের ভেতরে লেখার চেষ্টা করবেন।
এতে, আপনার দুটো লাভ হবে।
- গুগলের নজরে আর্টিকেলের কোয়ালিটি ভালো থাকবে।
- বিষয়ের সাথে জড়িত বিস্তারিত তথ্য আর্টিকেলে যোগ করতে পারবেন।
তাছাড়া, আর্টিকেলে অধিক শব্দের ব্যবহার করার ফলে, পাঠক সেই কনটেন্ট অধিক সময় লাগিয়ে পড়বেন।
আর তাই, কনটেন্ট পড়ার ক্ষেত্রে সে আপনার ওয়েব পেজে অধিক সময় থাকতে হবে।
এর ফলে, বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাওয়ার বিপরীতে প্রচুর কমে যাওয়ার সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।
আমাদের শেষ কথা,
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানলাম “ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট মানে কি” (what is bounce rate in Bangla).
তাছাড়া, বাউন্স রেট কম রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম গুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করলাম।
বন্ধুরা, bounce rate অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি আপনারা গুগল সার্চ থেকে ফ্রি অর্গানিক সার্চ ট্রাফিক পেয়ে যেতে চাচ্ছেন।
তাই, বিষয়টি নিয়ে অবহেলা করবেননা।
আমার সব সময় এটাই উদ্দেশ্য থাকে যে, আমি যাতে আপনাদের সম্পূর্ণ সঠিক ও কাজের তথ্য প্রদান করতে পারি।
তাই, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।