বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো বিকাশ। কোম্পানিটি তাদের সকল সেবা অনেক সহজ উপায়ে গ্রাহকদের কাছে পৌছে দেবার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। বিকাশ একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা সব কিছুই অনেক সহজ এবং সাবলীল ভাবে করার সুযোগ প্রদান করেছে। আজ আমরা বিকাশ অ্যাকাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করা যায়।
বিকাশ অ্যাকাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করবো কেন?
বর্তমানে যে মোবাইল নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে সেই নাম্বার পরিবর্তন করে অনেকে অন্য নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট পরিবর্তন করতে চান। মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন বা যে কোনো সমস্যায় বিকাশ নাম্বার পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। এক সিম অপারেটর থেকে অন্য সিম অন্য সিমে বিকাশ একাউন্ট নিতে নাম্বার পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়বে।
অনেকসময় দেখা যায় যে আপনার রেজিস্ট্রার করা নাম্বারে অন্য কেউ বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকলে নাম্বার পরিবর্তন করতে হবে। কিংবা অন্যের রেজিস্ট্রার করা নাম্বারে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা থাকলে নাম্বার পরিবর্তন করতে হবে।
তবে আমরা অনেক সময় এটা ভাবি যে আমাদের বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে বা আমাদের বিকাশ একাউন্ট তৈরিকৃত সিম হারিয়ে গেলে আমাদের নাম্বার পরিবর্তন করতে হয়৷ কিন্তু এসকল কারণে বিকাশ একাউন্ট পরিবর্তনের কোনো দরকার পড়ে না। বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে এবং বিকাশ করা সিম হারিয়ে গেলে পুনরায় সিম উত্তোলন করতে হবে।
বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করার নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য একাউন্টের মালিক ও মালিকানা তথ্যের ডকুমেন্টস নিয়ে বিকাশের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। কাস্টমার কেয়ারে থাকা বিকাশ প্রতিনিধির কাছে কারণ উল্লেখ করলে তারা আপনাকে নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলবে। এভাবে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করতে কি লাগে?
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস গুলো কাস্টমার কেয়ারে নিয়ে যেতে হবে –
১. বিকাশ একাউন্ট যেই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে খোলা সেই ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। সাথে ভোটার আইডি কার্ডের মালিককেও যেতে হবে।
২. মালিকের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৩. বর্তমানে একাউন্ট যেই সিমে আছে সেই সিম।
৪. যেই সিমে একাউন্ট ট্রান্সফার করতে চান সেই সিম।
৫. সর্বোপরি একাউন্টের মালিক যে তাকেও উপস্থিত থাকতে হবে।
(সময়ের সাথে ডকুমেন্টের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।) উপরোক্ত সকল ডকুমেন্টস একত্র করে নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হয়ে আপনার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে বিকাশ প্রতিনিধিকে অবহিত করুন। তখন কাস্টমার কেয়ারে আপনার সকল ডকুমেন্টস যাচাই করে একাউন্টের মালিকানা নিশ্চিত হবার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে পূর্বের একাউন্টটির ব্যালেন্স শূন্য করার সাপেক্ষে একাউন্টটি বন্ধ করে পূর্বের মালিকানাধীন আইডি কার্ড ব্যবহার করে নতুন নাম্বারে একাউন্টটি খোলা হবে।
বিকাশ তাদের গ্রাহকদের জন্য সকল সেবা অনেক সহজ ও সাবলীল করায় সাধারণ মানুষ খুব সহজেই এর সেবা গ্রহণ করতে পারে। বিকাশ সম্পর্কে আপনার সকল মতামত এবং অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন। নতুন নতুন টেকনোলজি বিষয়ক আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।