Skip to content

ব্লগিং (blogging) কিভাবে শুরু করবেন ? (A to Z Full Guide)

আপনিও কি জানতে চাচ্ছেন, “২০২৩ এ কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন” ?

যদি হে, তাহলে এইটা আপনার অনেক ভালো এবং কাজের নির্ণয় হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

কারণ, আজ blogging বিশ্বের সব থেকে সফল অনলাইন ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

এবং, ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন টাকা আয় করার জন্য, কোনো ধরনের বাঁধাধরা qualification এর প্রয়োজন হয় না।

তাছাড়া, এখানে আপনি নিজের মালিক নিজেই।

এবং, নিজেই একজন মালিক (boss) হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

যেভাবে আমি করছি। 

এমনিতে, ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন এবং কিভাবে ফ্রি ব্লগ তৈরী করবেন, এই বিষয় নিয়ে আমি আগেই আপনাদের বলেছি।

তবে, আজকের এই আর্টিকেলে আমি পুরোনো বিষয় গুলি নিয়ে কথা বলবোনা।

আজকে আমরা জানবো, “২০২৩ এ কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন” তার সম্পূর্ণ গাইড বা টিউটোরিয়াল

২০২৩ এ ব্লগিং নিয়ে জরুরি বিষয় হলো,

দেখুন, আগে সেই দিন চলে গেছে যখন ব্লগিং মানে ছিল কেবল “ভালো ভালো আর্টিকেল লিখা” এবং কিছু সাধারণ এসইও টেকনিক ব্যবহার করা।

এখনের প্রতিযোগিতার সময়ে, ব্লগিং মানেই হলো “পরিপূর্ণতা (perfection)“.

আপনার অনেক বিষয়ে ধ্যান দিয়ে, এক এক করে নিজের ব্লগটি সেটআপ (setup) করতে হবে।

মনে রাখবেন, আজকাল জেকেও “blogger” বা “WordPress” এ গিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে, তাতে আর্টিকেল পাবলিশ (publish) করাটা তেমন বড় বেপার না।

তাই, ২০২৩ এ বা এর পরে যদি আপনি একটি ব্লগ বানানোর কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার সম্পূর্ণ প্রফেশনাল (professional) হয়ে কাজ করতে হবে।

এবং, ব্লগিং শুরু করা নিয়ে জরুরি টিউটোরিয়াল বা গাইড এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের খুলে বলবো।

আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে, আপনারা একটি সঠিক আইডিয়া (Idea) পেয়ে যাবেন যে, “কিভাবে এখনের সময়ে একটি ব্লগ শুরু করতে হয়“.

তাই, ব্লগিং এ ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য, প্রত্যেক beginner দেড় জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক কাজের সিহেবে প্রমাণিত হবে।

একটি ব্লগ (blog) শুরু করাটা তেমন কোনো কঠিন বা জটিল কাজ নয়। জেকেও ব্লগিং শুরু করতে পারবে।

কিন্তু, প্রথম অবস্থায় আপনার কিছু পথপ্রদর্শন (guidance) এর প্রয়োজন হবে, যার মাধ্যমে আপনারা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন ? (How To Start A Blog)

ব্লগিং কিভাবে শুরু করতে হয়, বিষয়টি নিয়ে ভালো করে জানার আগেই আমাদের জেনেরাখা দরকার যে, “ব্লগিং করে কি কি লাভ হতে পারে”.

অবশই, আপনার মনে ও প্রশ্ন আসতেই পারে যে, “কেন ব্লগিং শুরু করবো” বা “ব্লগিং করে কি লাভ হতে পারে“.

দেখুন, ২০২৩ এ একটি profitable blog তৈরি করতে পারলে, আপনার অনেক লাভ অবশই হতে পারে।

আমি সব সময় বলবো যে, ২০২৩, ব্লগিং আরম্ভ করার একটি অনেক ভালো সময়।

কেননা, আজ ব্লগিং অনেক লাভজনক একটি online income এর মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবং, অনেকেই ব্লগিং কে নিজের full time career হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।

তবে মনে রাখবেন, যতটা জলদি সম্ভব ব্লগিং শুরু করে তার থেকে আয় করা আরম্ভ করে ফেলুন।

কারণ, ব্লগিং (blogging) থেকে অনলাইন আয় করার মাধ্যমটি, দিনের পর দিন অনেকর মধ্যে প্রচার হচ্ছে।

এবং, অনেকেই এর মাধ্যমে অনেক টাকা করার বেপারটা লুকিয়ে নেই।

তাই, প্রচুর পরিমানে লোকেরা এই “blogging এ career” তৈরি করা নিয়ে, কাজ শুরু করে ফেলেছেন।

যার ফলে, দিনের পর দিন এতে অনেক প্রতিযোগিতার (competition) সৃষ্টি হচ্ছে এবং ব্লগিং এ সফলতা পাওয়াটাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমি এটাই বলতে চাই যে, আপনি যত জলদি ব্লগিং শুরু করবেন, ততটাই সফল হওয়ার সুযোগ আপনার হাথে থাকবে।

একটি ব্লগ শুরু করে তাকে সফল ভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনেক লাভ রয়েছে।

ব্লগিং এর মাধ্যমে হওয়া লাভ গুলির বিষয়ে আপনাদের বলে দিয়েছি।

  • Express Yourself : ব্লগিং এর মাধ্যমে আর্টিকেল পাবলিশ করে, আপনি আপনার মনের কথা, চিন্তা বা ধারণা হাজার হাজার অনলাইনে সক্রিয় থাকা লোকেদের কাছে প্রকাশ করতে পারবেন।
  • You Can Help Others : একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে, তাতে টিউটোরিয়াল আর্টিকেল লিখে আপনি অনেকের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এভাবে অনেক ব্লগাররা সাধারণ লোকেদের সাহায্য করছেন।
  • Make Money Online : ব্লগিং করার সবচেয়ে লাভজনক বিষয়টি হলো, “অনলাইন টাকা আয় করাটা“. ৯৫% লোকেরা একটি profitable blog তৈরি করে তার থেকে অনলাইন টাকা আয় করার জন্য ব্লগিং করেন।

তাহলে, হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন যে, “ব্লগিং কিভাবে আপনার সাহায্য করতে পারবে” ?

Step ১. ব্লগের জন্য ভালো একটি বিষয় (niche) বেঁছে নিতে হবে ( Important Step )

নিজের ব্লগের জন্য একটি সঠিক এবং লাভজনক বিষয় বা নিস (niche) বেঁছে নেয়ার ক্ষেত্রে, অনেকেই ভুল করে ফেলেন।

এবং, এই ভুলের কারণেই ভবিষ্যতে গিয়ে অনেক ব্লগাররা সফল হতে পারেননা।

ব্লগিং এর ক্ষেত্রে, এইটা সবচেয়ে জরুরি (important) ভাগ, যেখানে অনেক ব্লগাররা আটকে পড়েন।

চলুন বিষয়টি আরো ভালো করে জেনেনেই,

আপনারা কি জানেন, ৯০% ব্লগাররা (bloggers) কেবল ৬ মাসের মধ্যেই ব্লগিং ছেড়ে দেওয়ার আসল কারণটি কি ?

এর কারণ হলো, তারা এমন একটি বিষয় বা নিশ (niche) নিয়ে ব্লগ তীর করে ফেলেন যেটাতে তাদের কোনোরকম রুচি (interest) নেই।

আমরা যেই নিশ নিয়ে ব্লগ তৈরি করি, সেই নিশ বা বিষয়ের সাথে জড়িত টপিক (topics) গুলি নিয়েই ব্লগে আর্টিকেল লিখি।

ব্লগের একটি ভুল নিশ বা বিষয়, শুরুতেই আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিতে পারে।

উদাহরণ স্বরূপে,

আমি আপনাদের একটি অনেক বিখ্যাত ব্লগের (blog) উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

Shoutmeloud – আমরা সবাই জানি, “mr. Harsh agarwal” দ্বারা তৈরি, ShoutMeLoud ব্লগটি অনেক বিখ্যাত এবং জন প্রিয়।

তাছাড়া, এই ব্লগে সম্পূর্ণ বিশ্বের থেকে ভিসিটর্স (visitors) আসছেন।

এখন, এই বিখ্যাত ব্লগটির নিশ (niche) হলো “Blogging” এবং এখানে ব্লগিং এর সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয় যেমন, “SEO“, “WordPress“, “Blogging tips & tutorial” নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়।

এবং, যেহেতু Mr. Harsh agarwal ব্লগিং নিয়ে অনেক passionate এবং এর সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখেন, তাই আজ তিনি একজন সফল ব্লগার (blogger).

তবে, তিনি যদি “blogging” না নিয়ে “Health” নিয়ে ব্লগ তৈরি করতেন, তাহলে অবশই এতোটা সফল হতে পারতেননা।

কারণ, উনার blogging নিয়ে জ্ঞান প্রচুর, কিন্তু health নিয়ে অবশই তেমন একটি তথ্য জানা নেই।

তাই, ব্লগিং এ সফলতা পাওয়ার জন্য সব থেকে জরুরি (important) বিষয়টি হলো,

এমন একটি নিশ বা বিষয় নিয়ে ব্লগিং করবেন, যেই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে” এবং “যেই বিষয়ে আপনার প্রচুর রুচি (interest) রয়েছে“।

ব্লগের জন্য একটি সেরা এবং লাভজনক নিশ (niche) কিভাবে খুজবেন ?

দেখুন, এমনিতে এমন প্রচুর blogging niche রয়েছে, যেগুলি অনেক লাভজনক।

তবে, আমি সেই niche গুলি নিয়ে আর্টিকেল লিখার পরামর্শ আপনাদের দিবোনা।

কারণ, বিভিন্ন লাভজনক নিশ নিয়ে ব্লগিং করার ক্ষেত্রে, দুটি সমস্যা আপনার কাছে থাকতে পারে।

প্রথম, আপনি এমন একটি বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন, যেটার বিষয়ে আপনার কোনো জ্ঞান নেই।

দ্বিতীয়, আপনি এমন একটি বিষয় নিয়ে ব্লগিং করছেন, যেটার ওপরে আপনার রুচি (interest) নেই।

তাই, আপনি যদি একটি লাভজনক বিষয় বেঁছে নিয়ে ব্লগিং করার কথা ভাবছেন, এবং এই দুটি সমস্যা আপনার সাথেও রয়েছে, তাহলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার ৬ মাসের থেকে বেশি এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ অনেক কম।

তাহলে, এখন প্রশ্ন হলো “ব্লগের জন্য ভালো বিষয় বা নিশ কিভাবে খুঁজে নিবেন ?

আপনার বিশেষ করে দুটি বিষয়ে ধ্যান দিতে হবে, যদি আপনি ব্লগিং এর জন্য লাভজনক এবং সেরা নিশ (niche) খুঁজে নিতে চাচ্ছেন।

  • Profitability 
  • Passionate & Interest

Profitability –

  • যেই বিষয় বা নিশ বেঁছে নিবেন, সেটার মাধ্যমে কতটুকু টাকা আয় করা সম্ভব সেটা দেখুন।
  • আপনার বেঁছে নেয়া নিশ নিয়ে গুগলে কতটা বেশি পরিমানে সার্চ হয়, সেটার জ্ঞান নিয়ে নিন।
  • নিজের ব্লগে লিখা আর্টিকেল গুলির মাধ্যমে affiliate marketing করা সম্ভব হবে কি না, সেটা দেখুন।

Passionate & Interest –

  • নিজের বেঁছে নেওয়া নিশ নিয়ে আর্টিকেল লেখার মধ্যে আপনার রুচি (interest) থাকতে হবে।
  • ব্লগের নিশ বা বিষয়টি নিয়ে ভালো পরিমানে জ্ঞান থাকলেই, ভবিষ্যতে প্রচুর আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
  • আপনার বেঁছে নেয়া নিশ নিয়ে লোকেরা কতোটা রুচি রাখেন, কতটা জানতে চান, সেটা জানাও জরুরি।
  • নিজের লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমে, আপনি লোকেদের সমস্যার সমাধান বা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন কি ?

তাহলে, হয়তো এখন আপনারা বুঝেই গেছেন যে, কিভাবে একটি ভালো এবং লাভজনক নিশ (niche) নিজের ব্লগের জন্য বেঁছে নিতে পারবেন।

তাছাড়া, যদি এখনো আপনারা ঠিক বুঝতে পারছেননা যে, ব্লগিং এর জন্য সেরা নিশ কিভাবে খুঁজে পাবেন, তাহলে নিচে দেওয়া এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করুন।

  1. একটি কলম এবং কাগজ নিয়ে বসুন।
  2. কাগজে এমন ৫ টি বিষয় (niche) লিখুন বা তালিকা তৈরি করুন, যেগুলি নিয়ে আপনার অনেক জ্ঞান রয়েছে এবং যেগুলির বিষয়ে আপনার প্রচুর রুচি।
  3. এখন, নিজের তালিকার থেকে সেই বিষয়টি (niche) বেছেনিন যেটা নিয়ে আপনি অনেক বেশি passionate.
  4. তাহলে এখন আপনি আপনার সেরা blogging niche পেয়েগেছি।

Step ২. ব্লগের জন্য একটি ভালো domain name সিলেক্ট করুন 

ব্লগিং শুরু করার দ্বিতীয় এবং জরুরি স্টেপ হলো, “ব্লগের একটি ডোমেইন নাম বেঁছে নেয়া“.

নিজের ব্লগের জন্য একটি দারুন domain name বেঁছে নেওয়াটা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয় এবং আপনি অনেক সহজেই একটি সেরা ডোমেইন নাম নিজের নতুন ব্লগের জন্য পেয়ে যেতে পারবেন।

এমনিতে, আপনি যদি নিজের ব্লগের একটি ভালো ডোমেইন নাম ভেবে নিয়েছেন, তাহলে এই স্টেপটি অবশই স্কিপ (skip) করতে পারবেন।

তবে, যারা যারা এখনো একটি ডোমেইন নাম সিলেক্ট করেননি, তাদের জন্য এই তথ্য অনেক কাজে আসবে।

ডোমেইন নাম মানে কি ? (What A Domain Name)

এমনিতে ডোমেইন নাম কি, এবং এর বিভিন্ন প্রকার গুলির বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বুঝিয়ে বলেছি।

তবে, সহজ ভাষায় বললে, একটি domain name হলো একটি ওয়েবসাইটের নাম

যেভাবে আমার এবং আপনার একটি নাম রয়েছে, ঠিক সেভাবেই প্রত্যেক ওয়েবসাইট বা ব্লগের একটি নাম রয়েছে।

এবং সেই নামের মাধ্যমেই আমরা যেকোনো ওয়েবসাইটকে চিনে নিতে পারি এবং সেই ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে খুঁজে পেতে পারি।

আর তাই, আপনার নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে, “সার্চ ইঞ্জিন” এবং “লোকেরা” অনলাইনে খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি ইউনিক ডোমেইন নামের প্রয়োজন।

উদাহরণ স্বরূপে,

আমার ব্লগের নাম হলো “banglatech.info“.

এবং এটাই হলো আমার ব্লগের ডোমেইন নাম “.info extension” এর সাথে।

একটি ডোমেইন নাম কেনার জন্য আপনারা বিভিন্ন অনলাইন domain buying website গুলিতে যেতে পারেন।

ডোমেইন নাম অনেক কম দামে কেনার ওয়েবসাইট গুলির মধ্যে, “Godaddy.com” সব থেকে সেরা।

নিজের নতুন ব্লগের জন্য সেরা ডোমেইন কিভাবে বেঁছে নিবেন ?

যখন আমি নতুন নতুন ব্লগিং শুরু করি, তখন ডোমেইন নাম নিয়ে আমার তেমন কোনো জ্ঞান ছিলোনা।

তাই, অনেক ক্ষেত্রে এই বিষয়টি নিয়ে আমি ভুল করেছিলাম।

তবে, আমি যা যা ভুল করেছি, সেটা যাতে আপনারা না করেন এই উদ্দেশ্যেই নিচে কিছু পয়েন্ট (points) আমি দিয়ে দিলাম।

একটি সেরা ডোমেইন নাম বেছে নেয়ার জন্য এই ৪ টি বেপারে ধ্যান রাখুন –

  1. Keep domain name short & simple : মনে রাখবেন, নিজের বেঁছে নেওয়া ডোমেইন নামটি বেশি বড় রাখবেননা। এমন একটি নাম রাখবেন, যেটা যতটা ছোটো হবে ততটাই ভালো। কারণ, ছোট নাম সহজেই জেকেও মনে রাখতে পারবেন। এবং, সহজ নাম রাখলে জেকেও সহজেই উচ্চারণ করতে পারবে। তাছাড়া, মনে রাখবেন যে ডোমেইন নাম কেবল দুটি শব্দের ভেতরে হলে সব থেকে ভালো।
  2. Use focused keywords : নিজের ব্লগের ডোমেইন নাম, ব্লগের আসল কীওয়ার্ড (main keywords) ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে, SEOর ক্ষেত্রে আপনি প্রচুর লাভ পাবেন।
  3. Don’t use numbers : বেঁছে নেয়া ডোমেইন নামটিতে কোনো রকমের সংখ্যা (number) ব্যবহার করবেননা।
  4. Use TDL domain extensions : সব সময় TDL extension থাকা ডোমেইন নাম ব্যবহার করবেন। যেকোন, .com এবং .info.

তাহলে, হয়তো এখন আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন নাম সিলেক্ট করার আগে কোন জরুরি বিষয় গুলি নিয়ে ভাবতে হবে।

Step ৩. Choose a good blogging platform 

এখন ব্লগিং করার জন্য তৃতীয়তে আপনার প্রয়োজন হবে একটি “online blogging platform” এর।

তবে, বর্তমানে আমাদের কাছে সব থেকে সেরা এবং অনেক জনপ্রিয় দুটি blogging platform রয়েছে।

  • WordPress 
  • Blogger 

এই দুটোই blogging করার জন্য অনেক ভালো platform বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে, আমি সব সময় “professional blogging” এর জন্য বা যদি আপনি “online income” এর উদ্দেশ্যে ব্লগিং করার কথা ভাবছেন, তাহলে “WordPress” ব্যবহার করার পরামর্শ দিবো।

এমনিতে, ইন্টারনেটে খুঁজে দেখলে আপনারা আরো অনেক platforms পেয়ে যাবেন।

Blogger নিয়ে কিছু তথ্য,

Blogger.com, গুগলের (Google) একটি সার্ভিস এবং সম্পূর্ণ ফ্রীতেই আপনি এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

তাছাড়া, blogger ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করলে, আপনার আলাদা ভাবে hosting নেওয়ার প্রয়োজন হয়না।

তবে, আমার নিজের অনুভব হিসেবে বলছি,

Blogger এ, আমাদের অনেক limited customization options, limited functions এবং features দেওয়া, যেটা professional blogging ক্ষেত্রে ঠিক নয়।

কিন্তু, প্রথম অবস্থায় blogging খেলার জন্য এই platform সেরা।

WordPress নিয়ে কিছু তথ্য,

তবে, WordPress হলো এমন একটি CMS (content management software) software, যার মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।

WordPress নিয়ে কিছু তথ্য,

তবে, WordPress হলো এমন একটি CMS (content management software) software, যার মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।

Blogging এর এই platform ব্যবহার করার ফলে, আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলি সম্পূর্ণ খোলা ভাবে customization, edit, styling, SEO করার সুযোগ দেয়।

তাছাড়া, WordPress এ আপনারা হাজার হাজার plugins পেয়ে যাবেন, যেগুলির ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইটটি সব থেকে সেরা হিসেবে তৈরি করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, এই blogging platform টি হলো একটি CMS software.

তাই, এটাকে install করে ব্যবহার করার জন্য আমাদের আলাদা ভাবে web hosting কিনে নিতে হবে।

তাহলে, এখন হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন যে, কেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিং এর জন্য সব থেকে সেরা প্লাটফর্ম

Step ৪. ব্লগের জন্য সেরা hosting বেঁছে নিন 

এখন, ওপরে দেওয়া আমার পরামর্শ শুনে যদি আপনারা “WordPress” প্লাটফর্ম ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনাদের একটি ভালো web hosting এর প্রয়োজন হবে।

ওয়েব হোস্টিং মানে হলো, এমন একটি জায়গা যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সব রকমের data, posts, pages, images এবং files গুলি রাখা হবে।

এবং, যখনি কেও ইন্টারনেটে আপনার ওয়েবসাইটের data বা file গুলি “domain name” ব্যবহার করে দেখতে চাইবেন তখন, ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেগুলি live হিসেবে তাদের web browser এ দেখিয়ে দেওয়া হয়।

একটি Hosting হলো এক রকমের computer বা hard-disk এর মতোই, যেখানে আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ডাটা (data) সেভ করে রাখা হয়।

এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন, কোন ওয়েব হোস্টিং ভালো হবে ? তাই তো ?

তবে, ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনারা অনেক web hosting company অবশই পেয়েযাবেন।

কিন্তু মনে রাখবেন, professional ভাবে blogging করার জন্য আপনাদের একটি সেরা এবং ভালো ওয়েব হোস্টিং কম্পানির থেকে হোস্টিং কিনে নিতে হবে।

আমি আমার নিজের অনুভব হিসেবে, আপনাদের “Cloudways” বা “DigitalOcean” থেকে হোস্টিং কেনার পরামর্শ দিবো।

কারণ, এখানে আপনারা সেরা cloud web hosting পাবেন, যার ব্যবহারের ফলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত ভাবে লোড হবে।

এবং, দ্রুত লোডিং স্পিড থাকা ওয়েবসাইট, গুগল অনেক পছন্দ করে।

তাছাড়া, বর্তমানে cloud web hosting গুলিকে সব থেকে সেরা ওয়েব হোস্টিং হিসেবে ধরা হয়।

তাই, অবশই নিজের blog গুলি host করার জন্য, cloudways বা অন্যান্য ভালো hosting company গুলির থেকে কেবল “cloud web hosting” ব্যবহার করবেন।

Step ৫. ভালো এবং SEO Optimized theme বেঁছে নিন 

ভালো জায়গার থেকে ওয়েব ক্লাউড হোস্টিং নিয়ে নেওয়ার পর, এখন আপনার একটি ভালো “Website Theme” বেঁছে নিতে হবে।

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর থিমের কাজ হলো, প্রত্যেকটি css, javascript এবং styling codes গুলির মাধ্যমে আপনার ব্লগটিকে আকার এবং গঠন দেওয়া।

তবে, ভালো SEO optimized theme বলতে কি বোঝায় ?

দেখুন, আমি যখন আমার প্রথম ব্লগ তৈরি করি, তখন একটি ফ্রি এবং দেখতে অনেক সুন্দর একটি WordPress theme ব্যবহার করেছিলাম।

তবে, সেই সময় আমার ব্লগ (blog) অনেক স্লো (slow) ছিল এবং থিম এর কোডিং গুলিও ভালো ভাবে করা ছিলোনা।

আমরা সবাই জানি যে, “গুগল একটি স্লো লোডিং স্পিড থাকা ওয়েবসাইট কখনোই পছন্দ করেনা“.

আর তাই, একটি slow loading website, আপনার ব্লগের SEO র ক্ষেত্রে অনেক খারাপ।

এবং, এই কারণেই নিজের ব্লগের জন্য একটি থিম বেঁছে নেওয়ার আগেই, সেই থিমটির বেপারে সম্পূর্ণ ভাবে যাচাই করে নিবেন।

যদি আপনার বেঁছে নেওয়া theme, অনেক ভারী হয়ে থাকে বা সেখানে কোডিং (coding) ভালোভাবে করা হয়নি, তাহলে সে web browser এ load হতে অনেক বেশি সময় নিবে।

এবং, এটা আপনার ব্লগের SEO র ক্ষেত্রে কখনোই ভালো হতে পারেনা।

তাছাড়া, Google search থেকে traffic বা visitors পাওয়ার সুযোগ অনেক কমে যাবে।

কারণ, স্লো লোডিং ওয়েবসাইট গুলিকে, গুগল কোনসময় প্রথমের ভাগে রাংক (rank) করেনা।

আরো একটি বিষয় রয়েছে।

যেকোনো অবিস্বাসী ওয়েবসাইট থেকে ওয়েবসাইট থিম ডাউনলোড করে ব্যবহার করলে, ভবিষ্যতে আপনার ব্লগ হ্যাক (hack) হওয়ার ৯০% সুযোগ রয়েছে।

তাহলে এখন আপনি কি করবেন ?

চিন্তা করতে হবেনা,

এমনিতে, ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য অনেক ভালো ভালো, হালকা, এবং হালকা থিম (themes) অবশই রয়েছে, যেগুলি কোনো ভয় ছাড়া আপনারা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।

যেমন,

  •  Astra theme – এই ওয়ার্ডপ্রেস থিম অনেক বেশি ভালো, হালকা এবং ওয়েব ব্রাউজারে দ্রুত ভাবে লোড হয়। আমি নিজে এই theme ব্যবহার করছি এবং আমার ব্লগ সম্পূর্ণ lightweight এবং fast. Astra theme আপনারা ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, চাইলে এর paid subscription নিয়ে কিছু premium modules ব্যবহার করতে পারবেন।
  •  OceanWP – astra theme এর পর আমার সব থেকে প্রিয় WordPress theme হলো OceanWP. এটাও অনেক বিস্বাসী, দ্রুত এবং অনেক হালকা থিম। তবে, এই থিম আপনারা ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
  • GeneratePress – যদি একটি well coded, দ্রুত (fast) এবং lightweight তবে free WordPress theme ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তাহলে GeneratePress থেকে সেরা অন্য কোনো থিম নেই।
  • Genesis Framework – ওপরে দেওয়া প্রত্যেক থিম গুলির মতোই, এই WordPress Theme অনেক ভালো ভাবে কোড করা এবং অনেক হালকা ও দ্রুত। তবে, এই genesis framework আপনারা ফ্রীতে ব্যবহার করতে পারবেননা। এর জন্য টাকা দিতে হবে।

তাহলে, আপনি যদি একটি নতুন WordPress website বা blog তৈরি করছেন, এবং কোন ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করবেন, এটা নিয়ে ভাবছেন, তাহলে ওপরে দেওয়া থিম গুলির মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করুন।

বিশ্বাস করুন, আমি বলা প্রত্যেকটি থিম অনেক অনেক ভালো এবং ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সেরা এবং অনেক জনপ্রিয়।

Step ৬. Optimize your blog for speed 

আমি আগেই বলেছি যে, website loading speed এখন একটি SEO ranking factor.

আর তাই, google সার্চে ভালো ভাবে রাংক (rank) করার জন্য, আপনার ব্লগ এর লোডিং স্পিড অনেক দ্রুত হতে হবে।

প্রায়, ১ থেকে ২ সেকেন্ডের মধ্যে ওয়েবসাইট লোড হলে, সেটা ভালো loading speed বলে ধরা হয়।

আপনি, Tools.pingdom.com এবং GTmetrix ব্যবহার করে, নিজের ব্লগ বা যেকোনো ওয়েবসাইটের loading speed কতো, সেটা জেনেনিতে পারবেন।

তবে, যদি আপনার ব্লগের লোডিং স্পিড ২ সেকেন্ড থেকে বেশি থাকে, তাহলে কিছু speed optimization techniques ব্যবহার করতে হবে।

নিজের ব্লগের লোডিং স্পিড দ্রুত করবেন যেভাবে –

  1. Select a fast & lightweight theme : ৫৫% ব্লগের ক্ষেত্রে, ব্লগের লোডিং স্পিড স্লো হওয়ার মুখ্য কারণ থাকে, ব্লগের “heavy weight theme“. তাই, নিজের ব্লগে Astra এবং generatepress এর মতো, অনেক হালকা এবং ক্লিন (clean) থিম ব্যবহার করতে হবে।
  2. Select a good cloud hosting plan : আপনি যদি, সাধারণ shared hosting যেকোনো local web hosting company থেকে কিনে ব্যবহার করছেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট অনেক স্লো অবশই থাকবে। তাই, cloudways বা digitalocean এর মতো সেরা web hosting company গুলির থেকে, একটি cloud hosting plan ব্যবহার করুন।
  3. Use compressed images : আমরা নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময়, বিভিন্ন ছবি (images) ব্যবহার করি। তবে, আর্টিকেলে ব্যবহার করে প্রত্যেকটি ছবি, আগের থেকে compress করে তাদের সাইজ (size) কমিয়ে আপলোড করতে হবে। এতে, ছবি গুলি অনেক জলদি লোড হবে এবং ব্লগের লোডিং স্পিড ও দ্রুত থাকবে।
  4. Use caching plugins : যদি আপনি WordPress ব্যবহার করছেন, তাহলে ব্লগের লোডিং স্পিড ফাস্ট করার জন্য, কিছু cache plugin ব্যবহার করতে হবে। যেমন, Wp rocket, WP super cache, W3 Total cache বা server level caching.

Step ৭. Important plugins for WordPress blog 

Plugin ছাড়া আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তেমনটা ভালো ভাবে তৈরি কখনোই থাকেনা।

কারণ, ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন গুলির মাধ্যমে আমরা ব্লগ এবং ব্লগের কনটেন্ট গুলিতে optimize, design, styling, function যোগ করা, speed, caching এবং SEO র ক্ষেত্রে লাভ নিয়ে নিতে পারি।

এমনিতে, WordPress এ প্রায় প্রত্যেক বিষয়ে একটি করে প্লাগিন অবশই রয়েছে।

তবে, নিচে আমি আপনাদের এমন কিছু ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন (WordPress plugin) এর ব্যাপারে বলবো, যেগুলি আমি নিজে ব্যবহার করছি।

তাছাড়া, একজন professional blogger হিসেবে, এই প্লাগিন (plugin) গুলি আপনার ব্যবহার করাটা জরুরি।

  • Elementor – এইটা হলো একটি পেজ বিল্ডার (page builder) প্লাগিন, যার মাধ্যমে আপনি নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের পেজ গুলি ডিসাইন (design) করতে পারবেন। তবে, ব্লগের landing page তৈরি করার জন্য, elementor সব থেকে সেরা।
  • Yoast SEO – Yoast SEO plugin, একটি ব্লগের আর্টিকেল গুলি সঠিক ভাবে on-page seo optimization করার জন্য লক্ষ লক্ষ লোকেরা ব্যবহার করেন। এবং, আমিও এই লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে একজন।
  • Wordfence security – নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করা পর, সবচেয়ে আগেই আপনার এই “Wordfence security plugin” ইনস্টল এবং ব্যবহার করা উচিত।  কারণ এর মাধ্যমে, আপনার ওয়েবসাইট অনেক ক্ষেত্রে, hack হওয়ার থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন। তাছাড়া, firewall এবং security scanner এর মাধ্যমে, নিজের ওয়েবসাইটটি “malware virus” থেকে মুক্ত রাখাটাও সম্ভব।
  •  Autoptimize – এই প্লাগিন এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইটটি অনেক সহজেই optimize করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের database optimize করা, caching এর মাধ্যমে লোডিং স্পিড দ্রুত করা, css / JavaScript minify এবং optimize করা, lazy load images এবং আরো অন্যান্য features দেয়, যার ফলে আমাদের ব্লগ অনেক ফাস্ট (fast) হয়ে থাকতে পারে।
  • Broken link checker – এই প্লাগিন এর মাধ্যমে, আপনারা নিজের ব্লগ এবং ব্লগের আর্টিকেল গুলিতে থাকা broken link গুলির বেপারে জেনে যেতে পারবেন।
  • Imagify – এই প্লাগিন এর মাধ্যমে আপনারা নিজের ব্লগে ব্যবহার করা ছবি গুলির সাইজ ছোট করে নিতে পারবেন।

তাহলে, মনে রাখবেন যে ওপরে দেওয়া প্লাগিন গুলি অনেক জরুরি এবং কাজের।

তাই, প্রত্যেকটি প্লাগিন অবশই ব্যবহার করবেন।

আমি নিজেই এই প্রত্যেকটি প্লাগিন নিজের ব্লগে ব্যবহার করছি।

যদি আপনারা জানেনা যে, কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন ইনস্টল করতে হয়, তাহলে জেনেনিন।

  1. নিজের WordPress dashboard এ যেতে হবে।
  2. তারপর, “Plugins” এ ক্লিক করে “Add new” অপশনে ক্লিক করুন।
  3. এবার, সার্চ বাক্সে plugin এর নাম লিখে সার্চ করুন।
  4. এখন, যদি আপনি আপনার সার্চ করা প্লাগিনটি দেখতে পারছেন, তাহলে সেখানে থাকা “Install” বাটনে ক্লিক করুন।
  5. Plugin install হওয়ার পর, “Activate“ বাটনে ক্লিক করুন।

এভাবে, আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন ইনস্টল করতে পারবেন।

Step ৮. Write unique and in-dept articles which provide value

এখন আপনার ব্লগ সেটআপ (blog setup) নিয়ে সব রকমের কাজ হয়ে গেছে।

আশা করছি এখন আপনার সম্পূর্ণ ব্লগের structure তৈরি হয়ে গেছে।

তবে, এখন আমাদের কাছে blogging এর সাথে জড়িত অনেক জরুরি বিষয়টি রয়ে গেছে।

সেটা হলো, “নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখা“.

আপনার লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমেই ব্লগে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসবে।

তাই, যেগুলি আর্টিকল আপনি লিখবেন সেগুলি সব ইউনিক (unique) এবং সম্পূর্ণ ডিটেল (details) সহ লিখতে হবে।

সোজা ভাবে বললে, আপনাকে একটি সেরা আর্টিকেল তৈরি করতে হবে, যেটা পড়ে লোকেরা রুচি পাবে।

তাছাড়া, ব্লগে আর্টিকেল লেখার বিষয়টি নিয়ে আপনার কিছু জরুরি তথ্য জেনেনিতে হবে।

  • Content should be unique : মনে রাখবেন, আপনার ব্লগের লেখা আর্টিকেল গুলি যতটা  (UNIQUE) এবং অরিজিনাল (original) থাকবে, ততটাই ভালো হবে। কারণ, গুগল অরিজিনাল এবং ইউনিক কনটেন্ট অনেক পছন্দ করে।
  • Detailed in-dept articles : যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত (detailed) আর্টিকেল লিখবেন। যাতে, আপনার ভিসিটর্স রা আপনার আর্টিকেলটি পড়ে, সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া, যত বেশি বিস্তারিত কনটেন্ট হবে, গুগল আপনার লেখার আর্টিকেল ততোটাই বেশি পছন্দ করবে।
  • Should use related images : আপনার লেখা আর্টিকেলের সাথে জড়িত ছবি (images) ব্লগে ব্যবহার করবেন। এতে, user-experience ভালো হওয়ার সাথে সাথে, SEO bounce rate নিয়ন্ত্রণ রাখা যেতে পারে।
  • Simple and readable content : ব্লগে আর্টিকেল এভাবে লিখবেন, যাতে সহজেই জেকেও পড়ে বুঝতে পারে। অনেক সহজ এবং সরল ভাবে লেখার চেষ্টা রাখবেন।
  • Short paragraphs : কনটেন্ট গুলি ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখবেন। এতে, ভিসিটর্স রা সহজে বিষয় গুলি বুঝতে পারবেন এবং আর্টিকেল পড়ে ভালো পাবেন।
  • Publish articles on a regular basis : ব্লগে সপ্তাহে ২ থেকে ৪ টি আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টা রাখবেন। রেগুলার আর্টিকেল পাবলিশ করা ব্লগ গুলি, গুগলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • Problem solving and user intend based articles : আর্টিকেল লিখার সময়, নিজেকে ইউসার বা ভিসিটর এর জায়গায় রেখে আর্টিকেল লিখতে হবে। ধ্যান দিতে হবে যে, আপনার ভিসিটর্স আপনার থেকে কোন সমস্যার সমাধান চাইছেন। এবং, আপনি কি সোজা ভাবে তাদের সমস্যার সমাধান বলে দিতে পারছেন ? আপনার ইউসার আপনার থেকে কি জেনে নিতে চাচ্ছেন, সেটা বুঝে আর্টিকেল লিখতে হবে।

তাহলে বন্ধুরা, ব্লগিং এ সফলতা পাওয়ার জন্য, ওপরে বলা content writing tips গুলি অবশই ধ্যান দিয়ে বুঝে নিতে হবে।

কারণ, আপনার লেখা আর্টিকেলের কোয়ালিটি এবং চাহিদার ওপরেই, ব্লগিং এর আপনার সফল হওয়া এবং না হওয়াটা নির্ভর করবে।

Step ৯. Blog এবং ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলিতে SEO র ব্যবহার 

মনে রাখবেন, আপনার ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলি, Google search engine এ ভালো করে রাংক (rank) করানোর জন্য, SEO র জ্ঞান থাকাটা অনেক জরুরি।

এবং, ব্লগে ফ্রীতে প্রচুর ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাওয়ার জন্য, এক মাত্র Google search অনেক কার্যকর।

SEO র মাধ্যমে, আমরা আমাদের লেখা আর্টিকেলের বিষয়, টপিক, কীওয়ার্ড (keyword) বা উদ্যেশ্য গুগল সার্চ এলগোরিদম (google search algorithm) গুলিকে সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারি।

এতে, গুগল আমাদের কন্টেন্টের মূল keywords গুলির বিষয়ে জেনে নিতে পারে এবং ফলে, বিভিন্ন keywords বা search terms গুলির জন্য google তার SERP এ আমার ব্লগের আর্টিকেল গুলি, ভালো অবস্থানে (position) রাংক (rank) করে।

তাই, একজন ব্লগার হিসেবে আপনার “seo র ব্যাপারে” জানাটা অনেক জরুরি।

তাছাড়া, SEO র ব্যবহার না করে, আপনারা গুগল থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাওয়ার আশা করে কোনো লাভ নেই।

ধ্যান দিবেন,

ব্লগে SEO আবার দুই মাধ্যমে করা যেতে পারে।

  • On page SEO 
  • Off page SEO 

যদি আপনি, ব্লগের SEO র বেপারে কিছুই জানেননা, তাহলে সবচে আগেই এসইও নিয়ে জ্ঞান নিয়ে নেওয়াটা অনেক জরুরি।

Step ১০. নিজের ব্লগটি google search console এ জমা দিন 

এখন, আপনার ব্লগ সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে গেছে।

তবে, এখনো একটি জরুরি স্টেপ রয়ে গেছে।

সেটা হলো, “নিজের ব্লগটি google search console এ জমা দেয়া“।

যদি আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি Google search console এ জমা দিয়ে verify করেন, তাহলে তারপর থেকে আপনার ব্লগ এবং ব্লগের আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চে এর মাধ্যমেই জমা দিতে পারবেন।

তাছাড়া, আপনার ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত আরো অন্যান্য তথ্য এখানে দেখতে পাবেন।

মনে রাখবেন, ব্লগে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলি সাথে সাথে গুগল সার্চে জমা দেওয়ার জন্য, এই Google search console ব্যবহার করতে হবে।

Step ১১. Blog থেকে টাকা আয় করুন 

এখন, আপনার একটি ব্লগ সঠিক ভাবে তৈরি হয়ে গেছে এবং ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও আপনি জেনে নিলেন।

তবে, রেগুলার কিছু মাস ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে ব্লগে পাবলিশ করার ফলে, গুগল সার্চ থেকে ভালো পরিমানে “organic search traffic” আপনার ব্লগে আশা শুরু হবে।

এবং, একবার আপনার ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আশা শুরু হয়ে গেলেই, আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের ব্লগ থেকে অনলাইন টাকা আয় করতে পারবেন।

যেমন, গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, product promotion এবং আরো অন্যান্য কিছু উপায় ব্যবহার করে।

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, বর্তমান সময়ে ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন (How To Start Blogging In 2020), এই বেপারে আমরা সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিলাম।

তবে এটা আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার এর কেবল আরম্ভ হওয়া এবং এখনো আপনার বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান নিতে হবে।

যেমন, SEO, branding, backlinks, affiliate marketing এবং আরো অনেক অনেক বিষয়ে।

একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য কিছু সময় অবশই লাগবে।

তবে, আপনার নিজের থেকে নতুন নতুন জিনিস শিখে, সেগুলি নিজের ব্লগে এপ্লাই (apply) করে দেখতে হবে।

কেবল এভাবেই, আপনি বুঝতে পারবেন যে, কোন জিনিস গুলি আপনার ব্লগের ক্ষেত্রে কাজে আসছে।

তাছাড়া, অন্যান্য ব্লগিং টিউটোরিয়াল আর্টিকেল গুলি পড়তে থাকবেন এবং এভাবে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে নিজের জ্ঞান বাড়াতে থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *