আমাদের পৃথিবী কিন্তু প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন উন্নত technology কারণে। এরকম একটি উন্নত টেকনোলজি হলো bluetooth technology যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি এবং প্রত্যেকের ডিভাইসে কিন্তু এই অপশনটা থাকে।
আজকের দিনে বিনা ইলেকট্রনিক কেবিল ছাড়া যে কোন ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেমন বিনা ইলেকট্রনিক কেবিল ছাড়া মাউস কিবোর্ড ব্যবহার করা, wire ছাড়া হেডফোন ব্যবহার করা (wireless headphone), কেবিল ছাড়া এক ডিভাইসের সঙ্গে আরেক ডিভাইসের তথ্য আদান প্রদান (bluetooth connection) করা ইত্যাদি করা হয়ে থাকে বিভিন্ন মাধ্যমে তার একটি মাধ্যম হলো ব্লুটুথ। wireless technology উন্নত হচ্ছে বিশেষ করে ব্লুটুথ এর জন্যই।
আমরা আজকের আর্টিকেলে ব্লুটুথ কি ? এটি কিভাবে কাজ করে ? Bluetooth এর সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করব।
ব্লুটুথ কি বা ব্লুটুথ কাকে বলে ? (Bluetooth meaning in bengali)
Bluetooth হলো এক ধরনের ওয়ারলেস টেকনোলজি যার মাধ্যমে দুটো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করা যায় কোনরকম wire ছাড়া। কোনরকম ওয়্যার ছাড়া দুটো বা তার বেশি ডিভাইসের মধ্যে ডাটা ট্রান্সফার করার অন্যতম মাধ্যম হলো ব্লুটুথ। আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে কত দূরত্বের মধ্যে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফার করা যায় , এটির মাধ্যমে খুব কম দূরত্বের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফার করা যায় , মূলত 10 থেকে 100 মিটারের মধ্যে এটির মাধ্যমে যেকোনো ডিভাইসের সঙ্গে communicate করা যায়।
এই উন্নত টেকনোলজির যুগে এটি কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেকোনো electronic device এ যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ ,হোম থিয়েটার ,স্মার্ট ওয়াচ , হেডফোন আরো অনেক বিবাহিত কিন্তু Bluetooth অপশন রয়েছে এবং যেকোন ওয়্যার ছড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।
Bluetooth কিভাবে কাজ করে ?
এটি শর্ট ডিসটেন্স রেডিও টেকনোলজি (radio technology) , একটি রেডিও টেকনোলজির মাধ্যমে খুবই কম দূরত্বে ব্যবহার করা হয়। radio signal এর মাধ্যমে মূলত ব্লুটুথ কমিউনিকেশন করে । Bluetooth 2.45 GHz কাজ করে । এটি একসঙ্গে আটটি ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। ব্লুটুথের মাধ্যমে তৈরি নেটওয়ার্ককে PAN বলে।
ব্লুটুথ উদ্ভাবন করেন কে বা এটি আবিষ্কার কে করেন :
নেদারল্যান্ডের বিখ্যাত কালেক্টরেট ইঞ্জিনিয়ার Jaap Haartsen তিনি 1990 সালে Bluetooth আবিষ্কার করেন তাকে ব্লুটুথ জনক বলা যেতে পারে। Ericsson কোম্পানির মাধ্যমে তিনি আবিষ্কার করেছেন।
900 খ্রিস্টাব্দে পরবর্তী সময়ে ডেনমার্কের রাজা হেরাল্ড ব্লুটুথ এর নাম অনুসারে এই উন্নত প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে
Bluetooth এর ব্যবহার :
• বর্তমানে এটির ব্যবহার কিন্তু দিন দিন বেড়ে চলেছে 10 থেকে 50 মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনরকম তার ছাড়া কিন্তু আমরা এক ডিভাইস থেকে অন্য কোন ডিভাইসের মধ্যে যেকোনো ফটো, ভিডিও ফাইল , আদান প্রদান করতে পারে।
• এটির মাধ্যমে কিন্তু আমরা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করতে পারে ব্লুটুথ স্পিকার ব্যবহার করতে পারি কোনরকম ওয়্যার ছাড়া।
• স্মার্টওয়াচের সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্ট করে কিন্তু আমরা, ওই স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে আমরা ফোন ধরতে পারি, যে কোন গান চালাতে পারি।
Bluetooth এর সুবিধা :
• যেকোনো ডিভাইসের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করতে পারি কোনরকম তার ছাড়া
• যেকোনো আটটি ডিভাইসের সঙ্গে এটি connect করে আমরা যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
• 2.4 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে সিগন্যাল আদান প্রদান করে
• মোবাইল ,ল্যাপটপ ,ডেক্সটপ ,প্রিন্টার ,হোম থিয়েটার ,স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদিতে এটি ব্যবহার করা হয় কোনরকম wire ছাড়া
Bluetooth এর অসুবিধা :
এর যেমন সুবিধাও রয়েছে তেমনি বেশ কিছু অসুবিধাও কিন্তু রয়েছে
• খুব কম দূরত্বের মধ্যে কিন্তু এর মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা হয়, দূরত্ব একটু বেশি হয়ে গেলে কিন্তু এটি কাজ করে না
• যেকোনো ফাইল ডাটা ট্রান্সফারের স্পিড খুবই কম
• মোবাইলে ব্লুটুথ অন থাকলে ব্যাটারি চার্জ কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়।
আশা করি আপনারা ব্লুটুথ সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারলেন আপনাদের যদি বুঝতে কোন অসুবিধা হয় তাহলে নিচে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।