যদি আপনি একজন ব্লগার তাহলে অবশই এসইও (SEO) নিয়ে আপনার জ্ঞান রয়েছে। তবে আপনি কি SEO র বিষয়ে সবটাই জানেন ?
যখন কথা চলে আসে ওয়েবসাইটের SEO নিয়ে তখন আমরা দুধরণের এসইও র ব্যবহার করতে পারি। সেগুলো হলো, Black hat SEO এবং White hat SEO.
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এবং হোয়াইট হ্যাট এসইও কি, এই বিষয়ে যদি আপনি জানেননা, তাহলে চিন্তা করতে হবেনা।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত ভাবে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এবং হোয়াইট হ্যাট এসইও কাকে বলে সেই বিষয়ে জানবো।
Search engine optimization (SEO) এর ব্যবহার যেকোনো blog বা website এর ভালো search engine ranking এর ক্ষেত্রে অনেকটাই জরুরি।
এই প্রক্রিয়ার দ্বারা আমরা আমাদের blog / website এর মধ্যে চলে আসা search engine traffic অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে পারি।
তবে, যদি আপনি সঠিক SEO techniques গুলোর ব্যবহার করছেননা, তাহলে অবশই ভবিষ্যতে ওয়েবসাইটে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে ভালো র্যাংকিং (ranking) পেতে সমস্যা হবে।
তাই, বর্তমানে ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়ার জন্য “black hat” এবং “white hat SEO techniques“, এর মধ্যে পার্থক্য এবং কোনটা ব্যবহার করাটা জরুরি সেটা জেনে রাখুন।
এই দুধরণের SEO techniques ব্যবহার করেই আমরা নিজের ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ব্লগ আর্টিকেল পেজ গুলোকে গুগলে (Google) সার্চ ইঞ্জিনে rank করাতে পারবেন।
তাহলে এদের মধ্যে মূল পার্থক্য কি ? কেন ব্ল্যাক হ্যাট এসইও টেকনিক গুলোর ব্যবহার করতে মানা করা হয় ? কেন হোয়াইট হ্যাট এসইও টেকনিক গুলোর ব্যবহার প্রত্যেকেই করে থাকে ?
নিচে আমরা প্রত্যেক বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনিব।
Black hat SEO vs White hat SEO: কোনটা অধিক কার্যকর ?
এমনিতে black hat এবং white hat technique এর মধ্যে কোনটা অধিক কার্যকর, এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই সোজা।
এক্ষেত্রে, ব্ল্যাক হ্যাট এসইও অনেক বেশি কার্যকর (effective) বলে বলা যেতে পারে।
কারণ, white hat এর তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি এবং দ্রুত ভাবে একটি website, blog বা web pages গুলোকে black hat SEO techniques দ্বারা search engine এর মধ্যে ভালো ranking দেওয়া যেতে পারে।
আর তাই, বর্তমান সময়ে প্রচুর নতুন blogger রা কম কষ্ট করে শর্টকাট ভাবে ব্লগে traffic পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ব্ল্যাক হ্যাট প্রক্রিয়া ব্যবহার করে থাকেন।
Black hat techniques এর ক্ষত্রে মূলত search engine গুলোকে লক্ষ্য করে বা টার্গেট করে ওয়েবসাইটের SEO করা হয়।
এর ফলে, ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অনেক তাড়াতাড়ি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।
কিন্তু মনে রাখবেন, ব্ল্যাক হ্যাট প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা কিন্তু কেবল কিছু সময়ের জন্যই থাকবে।
কেননা, গুগল অ্যালগরিদম গুলো black hat SEO techniques ব্যবহার করা website, blog, web pages গুলোকে পছন্দ করেনা।
যার ফলে, কিছু সময় পর black hat SEO techniques ব্যবহার করা website গুলোতে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে পরে বা তুলনামূলক ভাবে প্রচুর কমে আসে।
এর বিপরীতে, হোয়াইট হ্যাট এসইও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে user experience, quality এবং user / audience এর ওপরে অধিক নজর রেখে SEO করা হয়।
এক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন থেকে traffic পেতে সময় লাগলেও, কিছু সময় কষ্ট করার পর কোনো সমস্যা ছাড়া Google বা অন্যান্য search engine গুলোর থেকে organic traffic সব সময় পেতে পারবেন।
কারণ, Google search engine অবশই white hat SEO techniques ব্যবহার করা blog বা website গুলোকে পছন্দ করে থাকে যেখানে user experience এর ওপরে অধিক নজর দেওয়া হয়।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কি ? (What Is Black Hat SEO)
Black hat SEO হলো এমন একটি SEO technique যেটাকে ব্যবহার করা হয় search engine result page (SERP) এর মধ্যে একটি web page, website বা blog এর ranking অধিক ভালো করার উদ্দেশ্যে।
মানে সোজা ভাবে বললে, search engine এর মধ্যে top ranking পাওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রক্রিয়া ব্যবহার হয়ে থাকে।
এই প্রক্রিয়াতে কেবল search engine এর ওপরে ফোকাস (focus) করা হয় এবং কনটেন্ট কোয়ালিটি বা ইউসার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে ধ্যান দেওয়া হয়না।
সার্চ ইঞ্জিন থেকে ওয়েবসাইটে কম সময়ে high amount traffic পাওয়ার জন্য এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় যেখানে search engine এর নিয়ম কানুন গুলোকে মেনে কাজ করা হয়না।
এখানে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ট্রাফিক পাওয়ার জন্য যতসব স্প্যাম এসইও প্রক্রিয়া (spam SEO techniques) গুলোকে ব্যবহার করা হয়।
আর এই ধরণের প্রত্যেক SEO techniques গুলোকেই বলা হয় black hat SEO.
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কম সময়ের মধ্যে ওয়েবসাইটে তাড়াতাড়ি এবং প্রচুর ট্রাফিক চলে আসলেও, কিছু সময় পর এর বিপরীত প্রভাব বা ক্ষতিকর প্রভাব অবশই দেখতে পাবেন।
Google যাতে তার user দের তাদের সার্চ করা প্রশ্নের সঠিক, প্রাসঙ্গিক এবং স্পষ্ট সমাধান দিতে পারে, এর জন্যে Google search engine সব সময় তার উন্নত algorithm গুলোর মাধ্যমে এই ধরণের spam SEO technique ব্যবহার করা ওয়েবসাইট গুলোকে খুঁজে সেগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে নিষ্কাশন (eliminate) করার কাজ করেই থাকে।
আর এর জন্য Google panda, Google penguin এবং আরো অন্যান্য উন্নত Google algorithm updates রয়েছে, যেগুলোর কাজ হলো spam SEO techniques ব্যবহার করা ওয়েবসাইট গুলোকে খুঁজে বের করা এবং সেগুলোকে penalize করা।
তাই, আমাদের সব সময় search engine এর rules গুলো মেনে সঠিক SEO techniques গুলো ব্যবহার করা দরকার।
Black hat SEO techniques গুলো কি কি ?
এবার আমরা নিচে সেই প্রত্যেক ব্ল্যাক হ্যাট এসইও টেকনিক গুলোর বিষয়ে জানবো যেগুলোকে বর্তমানে প্রচুর ব্যবহার করা হয়।
- Keyword stuffing
- Unrelated meta description
- Doorway pages
- Duplicate content
- Invisible keywords
- Link farming
- Irrelevant Backlink
চলুন এবার আমরা প্রত্যেক ধরণের black hat SEO techniques গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
Keyword stuffing
Keyword stuffing হলো এবং একটি search engine optimization technique যেখানে একি ওয়েব পেজ এর মধ্যে একি keywords (শব্দ, বাক্য, কীওয়ার্ড) গুলোকে অত্যাধিক বার বা বারবার tags, visible content, backlink anchor text ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয় এবং অনুপযুক্ত ভাবে search engines traffic পাওয়ার চেষ্টা করা হয়।
একটি keyword এর বার বার অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের ফলে একটি খারাপ user experience এর সৃষ্টি হয়।
তাই, আর্টিকেলে keyword এর ব্যবহার সব সময় কীওয়ার্ড ডেন্সিটি (keyword density) মেনেই করা দরকার।
যেকোনো আর্টিকেল লিখার পরে আমরা মূলত web-page এর description এর জায়গায় আর্টিকেল কোন বিষয়ে লিখা হয়েছে সেই বিষয়ে একটি short description দিয়ে থাকি।
এই description সাথে বারবার targeted keywords এবং unrelated keywords এর ব্যবহার করা হয় যাতে search engine এর মধ্যে অনুপযুক্ত ভাবে ranking পাওয়া যেতে পারে।
Meta description এর মধ্যে targeted keywords ব্যবহার করাটা জরুরি তবে বারবার একি কীওয়ার্ড এর ব্যবহার বা অপ্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড এর ব্যবহার করাটা একটি spam technique.
Doorway pages
এই ধরণের web-pages গুলো গুলো সম্পূর্ণ fake pages হিসেবে থাকে।
মানে, একজন user এই ধরণের pages গুলোকে দেখতে পারেনা তবে search engine spiders গুলো এই pages গুলোকে read করতে পারে।
কোনো বিশেষ keyword এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন এর ইনডেক্স টিকে হেরফের করে ranking পাওয়ার উদ্দেশ্যে এই pages গুলো তৈরি করা হয়।
এক্ষেত্রে মূলত, সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে থেকে কোনো নির্দিষ্ট বাক্যাংশ বা কীওয়ার্ড এর জন্য অনুপযুক্ত ভাবে ওয়েবসাইট এর ranking বৃদ্ধি করে ট্রাফিক গ্রহণ করা হয়।]
Duplicate content
নতুন ব্লগাররা এই ধরণের প্রক্রিয়া ব্যবহার করার ভুল অনেক সহজেই করে ফেলেন।
এক্ষেত্রে, কোনো অন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট চুরি করে বা কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়।
এই ধরণের copy করা content গুলোকে গুগল অনেক সহজেই চিনে নিতে পারে যার ফলে সেই কপি করা কনটেন্ট ভবিষ্যতে ranking হারিয়ে ফেলে।
Invisible keywords
একটি article বা post এর মধ্যে একি keyword বা keyword phrases গুলোকে যত বেশি বার ব্যবহার করা হবে ততটাই তাড়াতাড়ি সেই পোস্টটি সেই বারবার ব্যবহার করা keywords গুলোর জন্য SERP এর মধ্যে ranking পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
তাই, অনেক সময় আর্টিকেল এর মধ্যে targeted keywords গুলোর অত্যাধিক ব্যবহার করে সেগুলোকে background colours এর সাথে মিলিয়ে অদৃশ্য (invisible) করে দেওয়া হয়।
Link farming
এক্ষেত্রে একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে কোনো পুরোনো ওয়েবসাইটের জন্য প্রচুর link / hyperlink তৈরি করা হয় এবং SEO ranking বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
তাই, link farm হলো একটি বা একাধিক ওয়েবসাইট যেটাকে কেবল অন্য একটি ওয়েবসাইটের link popularity বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
বেশিরভাগ link farm গুলোকে automated programs এবং services মাধ্যমেই তৈরি করা হয়।
Irrelevant Backlink
আমরা প্রত্যেকেই জানি ওয়েবসাইটের search engine ranking বাড়ানোর ক্ষেত্রে backlink কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এক্ষেত্রে, অনেকেই রয়েছেন যারা অধিক ভালো search engine ranking পাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রচুর spam backlink তৈরি করে থাকেন।
এই ধরণের spam backlinks গুলোকে মূলত প্রচুর পরিমানে কেনা হয় এবং paid backlinks তৈরি করা হয়।
এদের মধ্যে প্রায় প্রচুর backlink গুলো ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের টপিক এর সাথে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক (irrelevant) হওয়া দেখা যায়।
হোয়াইট হ্যাট এসইও কাকে বলে ?
White SEO একটি অনেক লাভজনক এবং কার্যকর উপায় যার মাধ্যমে জেকেও নিজের ব্লগে quality organic traffic পেতে পারবেন এবং blogging career এর মধ্যে সফল হতে পারবেন।
White hat এর ক্ষেত্রে আমাদের কেবল সেই SEO techniques গুলো follow করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় বা আর্টিকেল লিখতে হয় যেগুলো Google বা অন্যান্য search engine এর দ্বারা সম্পূর্ণ ভাবে অনুমোদিত।
প্রত্যেক search engine এর কিছু quality guidelines এবং rules রয়েছে যেগুলোর ওপরে নজর দিয়ে তারা ওয়েবসাইট গুলোকে rank করে থাকে।
আর যখনি আমরা একটি search engine এর সমস্ত rules এবং guideline মেনে নিজের website এর search engine optimization করে থাকি, তখন সেই SEO technique গুলোকেই বলা হয় “White hat SEO technique“.
White hat SEO technique গুলো কি কি ?
চলুন এবার আমরা হোয়াইট হ্যাট এসইওর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক গুলো জেনেনেই।
- Quality content
- Proper keyword optimization
- Website loading speed
- Mobile friendly website
- Quality backlinking / link building
- Internal linking
চলুন প্রত্যেক বিষয়ে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
SEO র ক্ষেত্রে একটি বাক্য প্রচুর জনপ্রিয় এবং প্রায় প্রত্যেকেই বলেন যে “content is king“.
মানে, আপনি যেই আর্টিকেল লিখছেন সেটাই হলো আসল রাজা।
কেননা, SEO করে আপনি কেবল যেকোনো article page টিকে search engine এর মধ্যে rank করাতে পারবেন।
তবে, আর্টিকেল ভালো হলে সেটাকে লোকেরা পড়বেন এবং পছন্দ করবেন।
যদি, আপনার লিখা আর্টিকেল এর কোয়ালিটি একেবারেই খারাপ তাহলে লোকেরা সেটাকে কেও পড়বেনা।
ফলে, আপনি যতই সাংঘাতিক SEO করছেননা কেন, সেই low quality content কখনোই Google search engine থেকে traffic পাবেন।
কারণ, গুগল সার্চ থেকে যখনি কোনো user কোনো website বা article page এর মধ্যে চলে আসে, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ user signals এর মাধ্যমে গুগল কনটেন্ট এর কোয়ালিটি বুঝতে পারে।
তাই, Google বা অন্যান্য search engine থেকে traffic পাওয়ার জন্য আপনাকে ভালো ভালো এবং কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখতে হবে যেগুলোর মাধ্যমে ইউসারকে সন্তুষ্ট করা যেতে পারে।
Proper keyword optimization
যেকোনো আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে আপনাকে সেই আর্টিকেলের সাথে জড়িত কিছু targeted keywords গুলোকে খুঁজে সেগুলোকে আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করতে হয়।
যদি আমার এই আর্টিকেলের কথা বলা হয়, তাহলে আমার targeted keywords হলো, “হোয়াইট হ্যাট এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কাকে বলে“.
এভাবেই, আপনার আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে জরি কেবল কিছু সম্পর্কিত কীওয়ার্ড গুলোকে আর্টিকেলে ব্যবহার করাটা দরকার।
এছাড়া, লক্ষ্যবস্তু কীওয়ার্ড গুলোর ব্যবহার কতবার করা হবে সেটার সঠিক কীওয়ার্ড ডেনসিটি মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আর্টিকেলের সাথে জড়িত প্রত্যেক জরুরি কীওয়ার্ড গুলোর ব্যবহার, title, Post URL, Image alt tag, description, first article paragraph এবং subheading গুলোতে কমেও একবার করাটা জরুরি।
Website loading speed
ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড কতটা ভালো বা খারাপ সেটাও কিন্তু search engine optimization এর এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কারণ, যেই ওয়েবসাইট গুলোর loading speed অনেকটাই slow, সেগুলোকে গুগল ranking এর ক্ষেত্রে তেমন একটি গুরুত্ব দিয়ে থাকেনা।
তাই, Google search engine এর মধ্যে website এর ভালো ranking পেতে হলে, ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড অনেক ভালো করতে হবে।
Mobile friendly website
এখনের সময়ে Google search engine অবশই mobile friendly website গুলোকে অধিক ভ্যালু দিচ্ছে।
তাই, আপনার ওয়েবসাইটের একটি মোবাইল ভার্সন থাকাটা অবশই জরুরি।
আপনার ওয়েবসাইট যখন একটি মোবাইলে ওপেন করা হয় তখন যাতে সেটা মোবাইলের screen size সাথে adjust হয়ে মোবাইলের হিসেবেই ওপেন হয়।
এক্ষেত্রে আপনাকে, নিজের ওয়েবসাইটের জন্য একটি responsive theme ব্যবহার করতে হবে।
Responsive থিম গুলো যেকোনো screen size এর আলাদা আলাদা device হিসেবে ওয়েবসাইট গুলোকে এডজাস্ট করে mobile version বা desktop version হিসেবে ওপেন করে থাকে।
Quality backlinking and link building
যখন আপনার ওয়েবসাইট এর বিষয়ের সাথে জড়িত অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে backlink পাবেন, তখন আপনার ওয়েবসাইটের ranking ধীরে ধীরে search engine এর মধ্যে ভালো হতে থাকে।
এই SEO optimization technique কিন্তু black hat এবং white hat দুটো ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়।
তবে, আপনি যদি natural ভাবে নিজের ওয়েবসাইট এর জন্য backlink তৈরি করছেন কোনো paid link ছাড়া, তাহলে এটাকে white hat এর প্রক্রিয়াতে ধরা যেতে পারে।
Internal linking
Internal linking হলো অন পেজ এসইও অপ্টিমাইজেশন এর এক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাগ।
এক শক্তিশালী ইন্টারনাল লিংকিং এর কৌশল আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন ranking প্রচুর ভালো করে দিতে পারবে।
এই প্রক্রিয়াতে, যেই বিষয়ে আমরা ব্লগে আর্টিকেল লিখে থাকি সেই বিষয়ের সাথে জড়িত আমাদের ব্লগের অন্যান্য আর্টিকেল গুলোকেও লিংক (link) হিসেবে দিয়ে দিতে হয়।
এর ফলে আমাদের আর্টিকলে গুলো অন্যান্য আর্টিকেল পেজ গুলোর থেকে link juice পেয়ে থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে ranking ভালো হয়।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা ব্ল্যাক হ্যাট এবং হোয়াইট হ্যাট এসইও কাকে বলে সেই বিষয়ে সম্পূর্ণটা স্পষ্ট করে জেনে নিয়েছেন।
যদি আমাদের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, যদি কিছু নতুন শিখতে পেরেছেন, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
এছাড়া, যদি আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।