Skip to content

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় | মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট

আমরা যারা স্টুডেন্ট আছি তারা সব সময় চাই যে নিজের হাত খরচা টা যেন নিজেই ম্যানেজ করি। বর্তমান যুগ কিন্তু অনলাইনে যুগ। আপনারা অল্প কিছু টাইম দিয়ে 10-15 হাজার টাকা অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে (mobile diye taka income) করতে পারবেন।

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলে আমি অনলাইন থেকে টাকা আয় করার কতগুলো উপায় আপনাদেরকে বলবো যে গুলো ফলো করলে মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

1. ব্লগিং করে টাকা ইনকাম :

আপনারা কিন্তু খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে অল্প কিছু সময় সময় দিয়ে ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমার পরিচিত অনেকেই আছে যারা মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকা অনায়াসে কামিয়ে ফেলছে। এমনকি আমি নিজেও মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করি।

আপনারা যদি ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে blogger.com এ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করে মনিটাইজেশন অন করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

blogger ব্লগার হল একটি ফ্রী প্লাটফর্ম  blogger.com এ ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনাদেরকে একটা টাকাও খরচ করতে হবে না চাইলে শুধুমাত্র একটি 500 টাকা দিয়ে ডোমেইন কিনতে পারেন । না কিনলেও কোন সমস্যা নেই। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় যারা খুঁজছেন তারা চাইলে ব্লগিং (blogging) শুরু করতে পারেন।

2. ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম :

অনেক ব্যক্তি রয়েছে মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং  করে প্রতিমাসে 10 – 50 হাজার টাকা ইনকাম করে। আপনার না বিশ্বাস হলে ইউটিউবে এ বিষয়টি সার্চ করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে মোটা অংকের অনলাইন আয় করার অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউব (YouTube)। প্রথমে আপনারা ইউটিউবে একটি চ্যানেল (YouTube channel create) খুলে নিবেন তারপর চ্যানেলটিকে ঠিকঠাক ভাবে সাজিয়ে নিবেন যেমন প্রোফাইল ফটো, ব্যানার ফটো, চ্যানেলের কীওয়ার্ড (channel keywords) এইগুলো সুন্দর করে দিয়ে দেবেন।

তারপর আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করবেন যখন আপনার চ্যানেলে এক বছরে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইব হয়ে যাবে তখন ইউটিউব চ্যানেলটিকে মনিটাইজেশন অন করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মোবাইল  দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

আর আপনার ভিডিও এডিট করার জন্য kinemaster, power detector এই সমস্ত অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার জন্য এই অ্যাপ গুলো খুবই জনপ্রিয়।

3. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় :

আপনার যদি একটি ফ্যান বেস (fan base) থেকে থেকে। আপনাকে যদি প্রচুর মানুষ ফলো করে আপনার সাথে যদি অডিয়েন্স থাকে তাহলে কিন্তু আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।

প্রশ্ন হল কোন কোন উপায়ে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে থাকে তার মাধ্যমে যদি Flipkart, Amazon, daraz, EBay ইত্যাদি কোম্পানির প্রোডাক্ট যদি সেল করতে পারেন তাহলে কোম্পানি ওই প্রোডাক্টটির লভ্যাংশের কিছু টাকা আপনাকে দিবে। তবে এটি করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকা দরকার।

4. রিসেলিং বিজনেস (reselling business) করে আয় :

ভারত এবং বাংলাদেশ অনেক reselling app বা website আছে তাদের প্রোডাক্ট গুলোর reselling মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন । আমি নিজেও কিন্তু কিছুদিন reselling business করেছি।

তো প্রশ্ন হচ্ছে রিসেলিং বিজনেস আপনারা কিভাবে করবেন আগেই বললাম ভারত এবং বাংলাদেশ অনেক রিসেলিং অ্যাপ বা ওয়েবসাইট আছে তো সেখানে আপনাকে আগে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে তারপর তাদের প্রোডাক্ট গুলো ফেসবুকের মাধ্যমে সেল করতে হবে।

যেমন ShopUp বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি reselling কোম্পানি। তো আপনারা সেখানে গিয়ে আগে একাউন্ট করবেন তারপর ধরুন তাদের একটি শাড়ি আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করবেন ShopUp শাড়িটার দাম রয়েছে 1500 টাকা, তো আপনারা প্রথমে ওই শাড়ির ফটোগুলো ওই অ্যাপ থেকে বা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নেবেন তারপর ফেইসবুক মারকেটপ্লেস যে অপশনটা আছে সেখানে ওই ফটোগুলো আপলোড করবেন এবং শাড়ির দাম রাখবেন সেখানে 1700 টাকা বা আপনার নিজের ইচ্ছামত রাখতে পারেন।

তারপর অনেক কাস্টমার দেখবেন আপনাকে মেসেঞ্জারে নক করবে দরদাম করবে তো আপনি কিছু টাকা মার্জিন রেখে এভাবে যে কোন প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। তো আপনারা ফেসবুকে তাদের delivery address নিয়ে নেবেন তারপর ওই রিসেলিং এ্যাপ এ গিয়ে ফেসবুকে যত টাকা বিক্রি করলেন সেই margin টা দিয়ে দেবেন তারপর তাদের অ্যাড্রেসে ওই প্রোডাক্টটা পাঠিয়ে দিবেন। এইভাবে কিন্তু আপনারা মোবাইল দিয়ে reselling business করে প্রতিমাসে অন্তত 10000 টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিছু reselling business কোম্পানির নাম হল

            1. ShopUp

            2.Uddom

            3. ResellerHub

            4. Meesho

            5. Shop101

 

5. ছবি বিক্রি করে টাকা আয় :

আপনি যদি ভালো ফটো তুলতে পারেন বা সুন্দর ভিডিও গ্রাফি করতে পারেন  তাহলে অনেক ওয়েবসাইট আছে আপনার ফটো গুলো বা ভিডিওগুলো যদি তাদের ভালো লাগে তাহলে সেগুলি  টাকা দিয়ে কিনে নিবে।  আমি নিচে দশটি ফটো কেনাবেচার ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করছি সেখানে আপনারা আপনার নিজস্ব তোলা ফটো সেল করে টাকা আয় করতে পারবেন।

            1. Shutterstock

            2. iStock

            3. Adobie

            4. Getty Images 

            5. Etsy

            6. Alamy

            7. Fotomoto 

            8. 500px

            9. EyeEm

            10. SmugMug

 

6. মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম :

আপনারা কিন্তু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন টাকা আয় করতে পারবেন তবে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর পারদর্শী হতে হবে । আপনি যদি মোবাইল দিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে পারদর্শী হন তাহলে অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক, freelancer.com ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে আপনি কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে আপনারা যে সব স্কিল এর উপর ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো নিচে আলোচনা করছি।

            1. Content writing

            2. Translation

            3. Customer support

           4. Virtual assistant ইত্যাদি

7.  অনলাইন ইনকাম অ্যাপ :

 মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট app অনেক রয়েছে যেখানে কিন্তু আপনারা খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন যেমন

            • ভিডিও দেখে

            • গেম খেলে

           • রেফার করে ইত্যাদি।

 

Mobile apps থেকে বেশি দিন ইনকাম করতে পারবেন না আর এই প্রসেসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য ঠিক আছে কারণ অনেক  ফ্রি টাকা ইনকাম করার অ্যাপস আছে যারা প্রথমদিকে টাকা দেয় কিন্তু একপর্যায়ে এসে তারা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেই আমি কতগুলো  বাংলাদেশের টাকা আয় করার apps এর নাম বলছি সেখান থেকে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন

            1. Pocket money

            2. Phonepe

            3. Current reward

             4. Dream11

            5.  Rummy Circle

            6. Swagbucks 

            7.  Pool Pay

            8. WinZO

 

8. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে টাকা :

আপনারা অনেকেই জানেন ইউটিউব এর মত ফেসবুকেও মনিটাইজেশন অন করে টাকা আয় করা যায়। ফেসবুকে মনিটাইজেশন অন করার জন্য আপনাদেরকে যে শর্তগুলো লাগবে সেগুলো হলো আপনার ফেসবুক পেজে 10 হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে লাস্ট দুই মাসে 6 লক্ষ মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে এবং 15000 এনগেজমেন্ট থাকতে হবে তাহলে আপনি ফেসবুক মনিটাইজেশন জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া আপনার ইনস্টাগ্রাম এবং টেলিগ্রাম এর মাধ্যমেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন আপনার ইনস্টাগ্রামে এবং টেলিগ্রামে যদি বেশকিছু ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন এছাড়া ব্র্যান্ড কলাবরেশন করেও টাকা আয় করতে পারবেন।

9. ট্রেডিং করে আয় :

আপনার যদি trading সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা থাকে তাহলে আপনারা অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ট্রেডিং করে টাকা আয় করতে পারবেন তবে এর জন্য আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে এবং এটি ঝুঁকিপূর্ণ আছে। আপনার যদি ট্রেডিং সম্পর্কে ভালো রকম ধারণ আছে তবে আপনি সেখানে টাকা ইনভেস্ট করুন, ট্রেডিং সম্পর্কে research না করে টাকা না লাগানোই ভালো। কিছু জনপ্রিয় ট্রেডিং অ্যাপের নাম নিচে আলোচনা করা হলো

            1. Upstox 

            2. Groww app

            3. Angel Broking

            4. 5Paisa Mobile App

5. Olymp Trade App

 

10. Content writing করে আয়  :

আপনি যদি ভালোভাবে কনটেন্ট রাইটিং লিখতে পারেন। আপনি যদি নিজে ভাল কনটেন্ট রাইটার হন তাহলে অনলাইনে আপনার হাতে থাকা মোবাইল এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন যেমন যে কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন এছাড়া অনেক কোম্পানি কনটেন্ট রাইটার হায়ার করে তাদের সঙ্গে কন্টাক করে আপনি কাজ করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে তারা বলে দেয় আমাদের একজন কনটেন্ট রাইটার লাগবে কেউ কনটেন্ট রাইটিং ভালো লিখতে পারলে নিচে থাকা ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন তো আপনারা এভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

তো আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইন থেকে আয় (online income) করার দশটি উপায় আপনাদেরকে শেয়ার করলাম। তো যারা ভাবছিলেন  অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায় বা মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি কি তারা এই আর্টিকেলটি পড়ে সমস্ত রকম ধারণা পেলেন।

আশা করি আপনারা  মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় গুলি জানতে পারলেন। তো এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত জানাতে পারেন ধন্যবাদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *