ভাষা শিখে ‘এক থেকে দেড় লাখ’ টাকা বেতনের চাকরিতে জাপান যেতে চান? সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (আইএম জাপান) এর মধ্যকার স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের কল্যাণে পেতে পারেন এই অসাধারণ সুযোগ।
এর আগে ‘টেকনিল্যাল ইন্টার্ন’ হিসেবে জাপান গিয়েছেন ৪৬১ জন, এবার একই পদে আরো ১৭ জন বাংলাদেশী পাচ্ছেন জাপান যাওয়ার সুযোগ। তবে শর্ত একটাই: জাপানের ভাষা শিখতে হবে, এরপর বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জাপানে যেতে পারবেন বাংলাদেশীরা। জাপানগামী ১৭ কর্মীকে বুধবার জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা বিদায় জানান।
‘টেকনিক্যাল ইন্টার্ন’ হিসেবে জাপান যাওয়া কর্মীরা প্রতি মাসে দেড় থেকে এক লাখ ৯০ হাজার জাপানি ইয়েন বেতন পেতে পারেন বলে জানানো হয়, যা বাংলাদেশী টাকায় এক লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার সমান।
পূর্বে আইএম জাপানের মাধ্যমে কোনো ধরনের অভিবাসম ব্যায় ছাড়াই ‘টেকনিক্যাল ইন্টার্ন’ পদে জাপানে গেছেন ৪৬১ জন বাংলাদেশী। জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এক থেকে দেড় লাখ টাকা বেতনে কাজ করছেন তারা। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিয়ন্ত্রণাধীন ৩৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এবং পাঁচটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে (আইএমটি) ছয় মাস মেয়াদী জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্স রয়েছে। এই কোর্স সম্পন্ন করার পর আইএম জাপান উক্ত ব্যক্তিদের ভাষাগত দক্ষতা ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করবে, এরপর নির্বাচিতদের আরো পাঁচমাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে তাদের জাপানের ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, কৃষ্টি ও নিয়ম-নীতির বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হয় ও এরপর তারা বিনা খরচে জাপানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
জাপানে ‘টেকনিক্যাল ইন্টার্ন’ হিসেবে তিন থেকে পাঁচ বছর সফলভাবে কাজ করার পর কর্মীগণ দেশে ফেরার সময় জাপান থেকে অর্জিত দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আইএম জাপান থেকে এককালীন ছয় থেকে ১০ লাখ জাপানি ইয়েন পাবেন। উক্ত ব্যক্তিদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির লক্ষ্যে ‘বিজনেস ইনসেনটিভ ফান্ড’ দেবে আইএম জাপান। যারা বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জাপান যেতে চান তাদের জাপানি ভাষা শিখতে উদ্ধুদ্ধ করেন বিএমইটির ডিজি।