ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা গত সপ্তাহে টুইটারের প্রতিযোগী হিসেবে তাদের থ্রেডস অ্যাপ অফিশিয়ালি লঞ্চ করেছে। মেটা কোম্পানির মতে গত বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই এই অ্যাপটিতে ৩০ মিলিয়নের বেশি সাইন আপ সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে বড় বড় ব্রান্ড, সেলিব্রেটি, সাংবাদিক সহ আরো অনেকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। চলুন থ্রেডস অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
থ্রেডস কি?
থ্রেডস হলো ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রাম এর প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা’র একটি নতুন অ্যাপ। এই প্লাটফর্মটি অনেকটা টুইটারের মতো যেখানে ফিড হিসেবে মূলত টেক্সটভিত্তিক পোস্টগুলি থাকে। তবে ব্যবহারকারীরা এই প্লাটফর্মে ছবি, লিংক এবং ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন এবং তারা পরস্পরের সাথে কমেন্টের মাধ্যমে কথোপকথন সম্পন্ন করতে পারবেন।
মেটা কোম্পানির ভাষ্য মতে থ্রেডস অ্যাপে ৫০০ ক্যারেক্টারের বেশি পোস্ট করা যাবে না। টুইটারের মতো এই অ্যাপেও ব্যবহারকারীরা একটি পোস্টে কমেন্ট পুনরায় শেয়ার করতে পারবেন। এছাড়া এই অ্যাপের পোস্ট সরাসরি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও শেয়ার করা সম্ভব।
থ্রেডস অ্যাপে একাউন্টগুলো পাবলিক অথবা প্রাইভেট উভয় আকারেই লিস্ট করা সম্ভব। ভেরিফাইভ ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট গুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবেই থ্রেডস অ্যাপে ভেরিফাইড হয়ে যাবে।
থ্রেডস অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করে?
ব্যবহারকারীরা তাদের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট এ ব্যবহারকৃত ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড এবং একাউন্ট নেম ব্যবহার করে থ্রেডস অ্যাপে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। তবে তারা চাইলে তাদের ইন্সটাগ্রাম এর বায়ো এর বদলে থ্রেডস এর আলাদা বায়ো সেট করতে পারবেন। এছাড়া ব্যবহারকারীরা তাদের ইনস্টাগ্রামে ফলো করা একাউন্টগুলো সরাসরি থ্রেডস অ্যাপে ফলো করতে পারবেন। তবে থ্রেডস একাউন্ট ডিলিট করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। ব্যবহারকারীরা স্বল্প সময়ের জন্য তাদের প্রোফাইল ডিএক্টিভেট করতে পারলেও চিরকালের জন্য এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হলে তাদের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট ডিলিট করতে হবে।
থ্রেডস অ্যাপ এর সুবিধা কি?
ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট এর সাহায্যে লগ ইন বা সাইন আপ করার কারণে থ্রেডস অ্যাপ ব্যবহার করে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। আপনি যাদের ফলো করবেন তাদের পোস্ট দেখতে পাবেন আপনার ফিডে। এর পাশাপাশি আপনার কাছে থ্রেডস অ্যাপ কর্তৃক রেকমেন্ডেশন বা সাজেশন আসবে।
ব্যবহারকারীরা তাদের ফিডে নির্দিষ্ট শব্দ বন্ধ ফিল্টার করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও আপনাকে কে বা কারা অর্থাৎ কোন ইউজাররা মেনশন করতে পারবেন সেটাও আপনি ঠিক করতে পারবেন। অ্যাপল অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোর দুই জায়গা থেকেই থ্রেডস অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে একদম ফ্রিতে।
থ্রেডস অ্যাপকে টুইটার কিলার হিসেবে দাবি করা হলেও অনেকে এটিকে একপ্রকার কপিক্যাট অংশ হিসেবে দেখছে। তবে যেহেতু ইন্সটাগ্রাম এর এতো বৃহৎ জনগোষ্ঠী থ্রেডস অ্যাপ এর সুবিধা নিতে একটু বেশি সহজে নিতে পারবে তাই এটির বিকাশ খুব ভালো ভাবেই হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। প্রযুক্তিভিত্তিক নানা রকম তথ্য জানতে সবসময় চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। এছাড়া আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারবেন।