FM WhatsApp হলো WhatsApp-এর একটি পরিবর্তিত সংস্করণ বা মোডিফাইড ভার্সন যেটাকে Foud Apps-দ্বারা ডেভেলপ করা হয়েছে। এখানে এরকম প্রচুর নতুন নতুন features গুলোকে যোগ করা হয়ে যেগুলো regular WhatsApp app-এর মধ্যে আপনারা পাবেননা। এফএম হোয়াটসঅ্যাপ আপনারা সরাসরি Google Play Store-থেকে ডাউনলোড করতে পারবেননা। এফএম হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করার জন্যে আপনাকে থার্ড-পার্টি-ওয়েবসাইট গুলোর সাহায্য নিতে হবে।
হোয়াটসঅ্যাপ এর এই মোডেড ভার্সন ব্যবহার করলে আপনারা বিভিন্ন ধরণের সুবিধা গুলো পাবেন। যেমন, লাস্ট সীন হাইড করা, অ্যাপ এর থিম, রং এবং আইকন ইত্যাদি পরিবর্তন করা। এছাড়া, সরাসরি থিম স্টোরে থাকা বিভিন্ন থিম গুলো ব্যবহার করে অ্যাপটিকে সহজেই কাস্টমাইজ করতে পারেন। আর যিহেতু ডিজাইন থেকে শুরু করে নতুন নতুন ফিচারস, সবটাই এখানে রয়েছে, তাই বর্তমানে লক্ষ লক্ষ লোকেদের দ্বারা এই FM WhatsApp download করা হয়েছে।
তবে, যিহেতু এটা official WhatsApp-এর একটি মোডেড ভার্সন, তাই নিরাপত্তা নিয়ে ভয় অবশই থাকছে। আর যিহেতু এটা একটি official version না তাই এই অ্যাপ ব্যবহার করে পাঠানো মেসেজ গুলো encrypted থাকছেনা আর app developers-রা ইউসার দ্বারা পাঠানো মেসেজ গুলো পড়ার সম্ভাবনা অবশই থাকছে।
তাহলে আশা করছি, এফএম হোয়াটসঅ্যাপ কি এই বিষয়ে আপনার কিছুটা ধারণা অবশই হয়ে গিয়েছে। চলুন, এখন আমরা জেনেনেই এফএম হোয়াটসঅ্যাপ এর বৈশিষ্ট গুলোর বিষয়ে।
FM WhatsApp-এর বৈশিষ্ট গুলো
যা আমি আগেই ওপরে বলেছি, FM WhatsApp ব্যবহার করলে এখানে নতুন নতুন অনেক features আপনারা দেখতে পাবেন। নিচে আমি প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট গুলোর বিষয়ে বলে দিচ্ছি যেগুলো আপনার জানা দরকার।
১. কাস্টমাইজেশন
যদি আপনি রেগুলার হোয়াটসঅ্যাপ ভার্সনটি ব্যবহার করে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন, তাহলে অবশই একবার FM WhatsApp ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এখানে প্রচুর theme পেয়ে যাবেন যেগুলো ওয়ান ক্লিক এর সাথে ব্যবহার করা যাবে। এখানে থাকা theme স্টোরে প্রত্যেক দিন নতুন নতুন থিম গুলো যোগ করা হয়ে থাকে। তাই, আপনি চাইলে প্রত্যেক দিন একটি নতুন লুক এবং ডিজাইন এর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।
২. নম্বর সেভ করার প্রয়জন নেই
যদি আপনি এই মোডেড অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তাহলে যেকোনো ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠানোর জন্যে আপনাকে তার নাম্বার সেভ করার প্রয়োজন নেই। মানে, মোবাইলে সেভ নাথাকা unsaved contacts-দের আপনি সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারবেন। তাই, যেকোনো কারণে যদি আপনি কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাতে চান, তাহলে তার নম্বর আপনাকে সেভ করার প্রয়োজন নেই।
৩. এন্টি-ডিলিট মেসেজ
FMWhatsApp-এর মধ্যে আপনারা একটি অনেক মজার ফীচার পাবেন। এখানে anti-delete message-এর একটি ফীচার রয়েছে যেটা যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে পাঠানো মেসেজ গুলো ইউসার কোনো ভাবেই ডিলিট করতে পারবেননা।
একবার এই ফাঙ্কশনটি চালু করে দিলে, আপনি যেই ব্যক্তির সাথে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং করছেন সে আপনাকে পাঠানো sent messages গুলো delete করতে পারবেনা। যদিওবা সে “Delete for Everyone,” অপশনটি ব্যবহার করে মেসেজটি ডিলিট করেছে তাহলেও আপনি সেই মেসেজটি দেখতে পারবেন। মানে, গ্রহণ করা মেসেজ কোনো ভাবেই ডিলিট করা যাবেনা।
৪. মেসেজ পাঠানোর লিমিট
আমরা প্রত্যেকেই জানি যে, Official WhatsApp ব্যবহার করলে আপনি মোট ২৫০ ব্যক্তিদের মেসেজ পাঠাতে পারবেন। তবে, যদি আপনি FM WhatsApp ব্যবহার করেন তাহলে প্রায় ৫০০ জন পর্যন্ত ব্যক্তিদের মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এছাড়া, অরিজিনাল হোয়াটসঅ্যাপে আপনি একসাথে ৩০টি ইমেজ একসাথে পাঠাতে পারবেন। তবে, FM WhatsApp-এর ক্ষেত্রে আপনি ৬০টি ছবি একসাথে পাঠাতে পারবেন।
৫. অ্যান্টি-ডিলিট স্ট্যাটাস
অ্যান্টি-ডিলিট স্ট্যাটাস হলো এফএম হোয়াটসঅ্যাপ এর একটি মুখ্য বৈশিষ্ট। অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ এর মধ্যে যখন কোনো ইউসার কোনো স্টেটাস দিয়ে সেটাকে ডিলিট করে দেয়, সেটা ডিলিট হওয়ার পর আপনি আর দেখতে পারেননা। তবে, FM WhatsApp-এর ক্ষেত্রে আপনার কাছে সেই ডিলিট করে দেওয়া স্টোরি বা স্টেটাসটি দেখারও সুবিধা থাকছে। ইউসার যদিওবা WhatsApp থেকে তাদের story-টি ডিলিট করে দিয়েছে, তাও আপনি পরে হলেও সেটা দেখতে পারবেন।
৬. নতুন নতুন ইমোজি
ইমোজি (emoji) ব্যবহার করে চ্যাটিং করার মজা কিন্তু আলাদা। হোয়াটসঅ্যাপের এই মোডিফাইড ভার্সন এর মধ্যে আপনারা পাবেন নতুন নতুন এমজি গুলো। এখানে আপনারা বিভিন্ন প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে থাকা ইমোজি সেট অপশনস গুলো পাবেন। যেমন, Facebook, Android P, Emoji One V3, Old Stock Emoji ইত্যাদি। তবে, এই নতুন emoji collection-এর ব্যবহার করার জন্যে আপনার কাছে latest FM WhatsApp version থাকতে হবে।
কিভাবে এফএম হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করবেন ?
এখন আপনারা এফএম হোয়াটসঅ্যাপ এর লাভ ও সুবিধা বা ফিচারস গুলো বুঝতেই পেরেছেন। তাই, সবটা জানার পর যদি আপনি হোয়াটসঅ্যাপ এর এই মোডেড ভার্সনটি ডাউনলোড করতে চাইছেন তাহলে আপনাকে এর APK file-টি download করতে হবে। আমি আগেই বলেছি, এফএম হোয়াটসঅ্যাপ আপনারা গুগল প্লে স্টোরে পাবেননা এবং এটাকে third-party-website থেকেই আপনাকে download করতে হবে।
আপনারা সরাসরি, “gbapps.net/download-fmwhatsapp-apk” এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এফএম হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এমনিতে, FM WhatsApp ছাড়াও WhatsApp-এর আরো অন্যান্য অনেক modded বৈকল্পিক গুলো রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, WhatsApp Plus, GBWhatsApp এবং YoWhatsApp ইত্যাদি। তবে, অন্যান্য modded version গুলোর তুলনা FM WhatsApp-এর সাথে করলে বলা যাবে যে FM WhatsApp-এর মধ্যে তুলনামূলক ভাবে অনেক features আপনারা পাবেন।
তবে আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে, FM WhatsApp ব্যবহার করার জন্যে আপনাকে আপনার মোবাইল থেকে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করা সেই official WhatsApp app-টিকে uninstall করতে হবে।
এফ এম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করাটা কি নিরাপদ ?
আমরা যেটা জানলাম ও বুঝলাম, FM WhatsApp হলো official WhatsApp app-এর একটি modified version. তাই, এর নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত থাকাটা কোনো ভাবেই সম্ভব না। কেননা এই ধরণের মোডিফাই করা অ্যাপস গুলোর ডেভেলপার জেকেও হতে পারে এবং তারা যে আপনার ক্ষতি কোনোভাবেই করবেননা সেটা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়না। তাই, সব সময় নিজের মোবাইলের অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করাটা ভালো।
যখন, আপনি কোনো third-party website-থেকে নিজের মোবাইলে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করে থাকেন, তখন সেখানে malware infection, ডাটা চুরি, unwanted ads ইত্যাদি বিভিন্ন অনলাইন ভাইরাস গুলো আক্রমণ করার ভয় জড়িয়ে থাকে। এছাড়া, official WhatsApp থেকে আপনাকে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। কারণ, এভাবে একটি থার্ড-পার্টি মোডেড অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছেন।
শেষে এটাই বলবো, একটি official WhatsApp app এর তুলনায় FM WhatsApp-এর মধ্যে আপনারা প্রচুর ও দারুন ফিচারস গুলো পাবেন। আর, সব সময় একটি থার্ড-পার্টি মোডেড অ্যাপ যে খারাপ হবে সেটা বলাটাও ভুল হবে। তাই, আপনি নিজে চিন্তা ভাবনা করে তারপর চাইলে এই এফএম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয় থাকছে যে এই বিষয়টা মাথায় অবশই রাখবেন।