হ্যাকিং কি (What Is Hacking in Bangla), হ্যাকার কাকে বলে এবং কিভাবে হ্যাকিং শিখব তাছাড়া একজন হ্যাকার হতে কি কি কৌশল এর প্রয়োজন, এই প্রত্যেক বিষয়ে আজ অনেকেই জেনেনিতে চান।
তবে, বেশিরভাগ লোকেরাই hacking শব্দটি শুনলেই সেটাকে কিছু অবৈধ (illegal) কাজ বলে মনে করেন।
কিন্তু, হ্যাকিং মানেই যে কিছু অবৈধ কাজ সেটা কখনোই বলা যেতে পারেনা।
এমনিতে,
হ্যাকিং এর বিভিন্ন প্রকার ও ভাগ রয়েছে।
এবং, সেই ভাগ গুলোর ওপর নির্ভর করে একটি হ্যাকিং প্রক্রিয়াকে legal বা illegal হিসেবে ধরা যেতে পারে।
অনেক ভালো কাজ করার ক্ষেত্রেও কিন্তু হ্যাকিং করা হয়।
আবার, খারাপ উদ্দেশ্যে করা হ্যাকিং প্রক্রিয়া গুলোকে বাধা দেওয়ার জন্যে কিন্তু বিভিন্ন হ্যাকিং এর প্রক্রিয়া গুলো ব্যবহার করা হয়।
এমনিতে, যদি আপনি হ্যাকিং (hacking) এর বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ুন।
আমি যতটা সম্ভব, হ্যাকিং নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করবো।
হ্যাকিং কাকে বলে ? (What is hacking)
আজ, যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে একটি computer device এর প্রয়োজন।
একটি কম্পিউটার ডিভাইস মানে যেকোনো device হতে পারে যেমন,
- Desktop computer
- Laptop
- Tablet
- Smartphone
- ATM machine
- System server machine
এবং, কম্পিউটার বলতে আরো নানান ডিভাইস গুলোকে বলা যেতে পারে।
এই computer device গুলো ছাড়া, যেকোনো company বা organization গুলোতে কাজ হওয়াটা বর্তমানে অসম্ভব।
তাছাড়া,
লক্ষ লক্ষ লোকেরা প্রত্যেকদিন নিজের smartphone বা personal computer গুলো ব্যবহার করেন।
তাই, এই প্রত্যেক computer device গুলোতে নানান ব্যক্তিগত (personal) তথ্য ও ডাটা (data) থাকতেই পারে।
এখন, যদি বলা হয় যে, “হ্যাকিং মানে কি” তাহলে এভাবে বলা যেতে পারে,
Hacking হলো সেই প্রক্রিয়াটি,
যেখানে একজন বা একাধিক লোকেরা একটি কম্পিউটারের সাহায্যে অন্যান্য লোকেদের বা সংগঠনের কম্পিউটারে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেন এবং তাদের ব্যক্তিগত data, file, information ইত্যাদি চুরি করেন বা নষ্ট করেন।
হ্যাকিং এর মাধ্যমে এই ডাটার ক্ষতি বা চুরি গুলো যারা করেন তাদের বলা হয় “হ্যাকার” (hacker).
আর, এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে ধরা হয় “cyber crime” হিসেবে।
সাইবার ক্রাইম কাকে বলে, বিষয়টি হয়তো আপনারা অবশই জানেন।
ইন্টারনেট জগতে (Digital world) হওয়া যেকোনো ধরণের অবৈধ (illegal) কার্যকলাপ গুলোকে সাইবার ক্রাইম হিসেবে ধরা হয়।
যেমন,
একটি সংগঠনের বা ব্যক্তিগত কম্পিউটার হ্যাক করে ডাটা চুরি বা ধ্বংস করা।
তাহলে, হ্যাকিং কাকে বলে (what is hacking) বিষয়টি নিয়ে সাধারণ জ্ঞান হয়তো আপনার অবশই হয়ে গেছে।
চলুন, হ্যাকিং এর বিষয়ে একটু বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
Hacking কি ? (About hacking in Bangla)
হ্যাকিং কি ? হ্যাকিং বলতে কি বোঝায় ? চলুন এই প্রশ্নের উত্তর সহজ ভাবে জেনেনেই।
Hacking মানে হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি কম্পিউটার এর কিছু দুর্বলতা গুলো খোজ এবং সেই দুর্বলতা গুলোর লাভ নিয়ে computer system টিতে প্রবেশ করা।
তবে, কেবল এটাই নয়।
এভাবে, অন্য একটি কম্পিউটারে প্রবেশ করে সেই কম্পিউটারের নানানা file, data, information ইত্যাদি গুলো চুরি করা, এডিট করা বা নষ্ট করাটাও এই হ্যাকিং এর প্রক্রিয়াতেই পরে।
এভাবে হ্যাকিং এর মাধ্যমে অন্যদের কম্পিউটার থেকে চুরি করা data বা file গুলোর বিপরীতে, হ্যাকাররা সেই কম্পিউটারের মালিকের কাছে টাকা দাবি করতে পারে বা blackmail করতে পারে।
যা আমি আগেই বলেছি,
যারা হ্যাকিং করেন, তাদের বলা হয় “professional hackers“.
এই ধরণের professional hacker দের, “computer“, “programming language” ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর দক্ষতা (skills) এবং জ্ঞান থাকে।
আর, একটি কম্পিউটারের দুর্বলতা খুঁজে সেটাকে হ্যাক করার ক্ষেত্রে হ্যাকাররা অনেক এক্সপার্ট থাকেন।
এমনিতে hacking শব্দটি শুনলেই মনে হয় যে এটা একটি illegal কাজ।
তবে হে, এটা সম্পূর্ণ ভাবে একটি illegal কাজ এবং এর ফলে হ্যাকার দের ওপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
কিন্তু, যা আমি ওপরে আগেই বলেছি, প্রত্যেক হ্যাকিং এর প্রক্রিয়া কিন্তু অবৈধ (illegal) না।
এমন কিছু হ্যাকিং এর প্রক্রিয়া রয়েছে, যেগুলো ভালো কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
নিচে, এই বিষয়ে আমরা জানবো।
মনে রাখবেন,
হ্যাকিং এর মাধ্যমে হ্যাকাররা একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেমন “private network” ইত্যাদি গুলো ধ্বংস করে ফেলতে পারে বা সেগুলোর থেকে লাভ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
তাহলে আশা করছি, “হ্যাকিং মানে কি (What is hacking)“, বিষয়টি আপনারা বুঝেছেন।
চলুন, হ্যাকিং এর সাথে জড়িত অন্যান্য তথ্যের বিষয়ে অল্প জেনেনেই।
হ্যাকিং কত প্রকারের হতে পারে ? (Hacking এর প্রকার)
হ্যাকিং এর প্রকার গুলো বললে, হ্যাকিং বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে।
যেকোনো কম্পিউটার ডিভাইস যদি হ্যাক হয়েছে,
তাহলে সেখানে কি কি হ্যাক করা হয়েছে, সেই বিষয় গুলোর ওপরে নির্ভর করে হ্যাকিং এর প্রকারভেদ গুলোকে আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেমন,
- Website / server hacking
- Network hacking
- Email hacking
- Ethical hacking
- Password hacking
- Computer hacking
- Server hacking
চলুন, বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
Website / server hacking
এই ধরণের হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে, একজন হ্যাকার একটি সম্পূর্ণ web server বা website এর ওপর ক্ষতি সাধন করে।
হ্যাকাররা, হ্যাকিং এর মাধ্যমে web server এর অন্তর্গত বিভিন্ন database, file ইত্যাদি গুলোকে নষ্ট করার চেষ্টা করা।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে ওয়েব সার্ভার এর অন্তর্গত file ও database গুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
Website বা web server গুলোতে বিভিন্ন ধরণের হ্যাকিং এটাক করা যেতে পারে।
যেমন,
- DOS attack
- Password Attacks
- Information Gathering
- Misconfiguration attacks
- DoS (DDos) attacks
- Sniffing attacks
- Ping flood
এগুলো ছাড়াও, একটি website বা তার web server এর ওপর অনেক রকমের hacking attack হতে পারে।
Network attack
এই ধরণের হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে, একটি সম্পূর্ণ private network হ্যাক করে, সেখান থেকে information ও data গ্রহণ করার চেষ্টা করা হয়।
এবং, নেটওয়ার্ক হ্যাকিং করার জন্য বিভিন্ন tools ব্যবহার করা হয়।
যেমন,
- Telnet
- NS lookup
- Ping
- Tracert
- Netstat
আরো অনেক tool রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে network hacking করা হয়।
Email hacking
এই ধরণের হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে, হ্যাকাররা যেকোনো ব্যক্তির email account এর মধ্যে অবৈধ বা অ-স্বীকৃত ভাবে প্রবেশ করেন।
তারপর, hack করা সেই email account টি hacker তার বিভিন্ন অবৈধ কাজে ব্যবহার করতে পারে।
তাছাড়া, hack হওয়া email account এর মধ্যে থাকা data এবং information গুলো হ্যাকাররা access করতে পারে।
এবং এটাই হলো ইমেইল হ্যাকিং।
Ethical hacking
এথিক্যাল হ্যাকিং (ethical hacking) আসলে এমন এক হ্যাকিং এর প্রক্রিয়া যেটা ভালো কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
একটি, computer system, device বা network এর মধ্যে কি কি দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলো ঠিক করার ক্ষেত্রে করা হ্যাকিং এর প্রক্রিয়াকেই বলা হয় এথিক্যাল হ্যাকিং।
এথিক্যাল হ্যাকিংকে, অবৈধ এজন্যই বলা হয়না কারণ,
এই ক্ষেত্রে আপনি computer system এর মালিকের (owner) অনুমতি নিয়ে কাজটি করছেন।
তাছাড়া,
এই ধরণের হ্যাকিং এর প্রক্রিয়াতে কারো কোনো ধরণের ক্ষতি সাধন করা হয়না।
তবে, এথিক্যাল হ্যাকিং এর মাধ্যমে কম্পিউটর সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক গুলোকে হ্যাকার দের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার থেকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় করা হয়।
Password hacking
এই ধরণের হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে, কিছু secret password গুলোকে recover করা হয়।
Password hacking কে password cracking বলেও বলা যেতে পারে।
একটি computer system এর মধ্যে যখন হ্যাকার দের দ্বারা কিছু ডাটা (data) স্থাপন বা প্রেরণ করা হয়,
এবং সেই ডাটা গুলোর ব্যবহার করে, যখন হ্যাকাররা সিস্টেমের কিছু secret password গুলোকে recover করেন,
তখন সেটাকে বলা হয় “password hacking” বা “password cracking“.
Computer hacking
কম্পিউটার হ্যাকিং বর্তমান সময়ে অনেক ভয়ঙ্কর একটি বিষয়।
এই ধরণের হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে,
হ্যাকার তার হ্যাকিং এর দক্ষতার ব্যবহার করে একটি কম্পিউটারে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, একটি কম্পিউটারের ID এবং password এর তথ্য হ্যাকাররা গ্রহণ করেন।
তারপর, হ্যাকার সেই কম্পিউটারে প্রবেশ করেন।
এতে, হ্যাক হওয়া কম্পিউটারের সম্পূর্ণ data, file ইত্যাদি চুরি হওয়ার ভয় থাকে।
হ্যাকার (hacker) কাকে বলে ? এরা করা ?
হ্যাকার কাকে বলে বা হ্যাকার করা, এই প্রশ্নের উত্তর আলাদা আলাদা হতে পারে।
তবে, আমি আপনাদের সহজ ভাবেই বলে দিচ্ছি।
Hacker হলো,
এমন কিছু computer experts, যারা নিজের computer skills এবং technical knowledge এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে জড়িত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
আবার এভাবেও বলা যেতে পারে ,
হ্যাকার সেই ব্যক্তিকে বলা হয়, যে একটি computer system এর মাধ্যমে অন্যান্য computer system গুলোতে অবৈধ ভাবে (illegally) প্রবেশ করে এবং হ্যাক করা সিস্টেম গুলোর থেকে নানান data, information, files গুলোকে চুরি বা নষ্ট করে।
তাহলে বুঝলেন তো, “হ্যাকার কাকে বলে” বা “হ্যাকার করা“।
হ্যাকার কত প্রকারের হতে পারে ? (Types of hackers)
এমনিতে, হ্যাকার ৩ প্রকারের হতে পারে।
এই প্রত্যেক প্রকারের হ্যাকার দের মধ্যে ২ প্রকারের হ্যাকার এর কাজ কেবল খারাপ কাজ করা এবং হ্যাকিং এর মাধ্যমে লোকেদের লোকসান করা।
তবে, এদের মধ্যে এমন এক হ্যাকার এর প্রকার রয়েছে, যারা খারাপ হ্যাকার দের থেকে সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে এবং লোকেদের সাহায্য করেন।
মনে রাখবেন,
- হ্যাকিং এর মাধ্যমে ভালো কাজ করা হ্যাকার দের বলা হয় “White hat hacker“.
- যেগুলো হ্যাকার কেবল খারাপ কাজ করার উদ্দেশ্যে হ্যাকিং করেন, তাদের বলা হয় “Black hat hacker“.
- আবার, যেগুলো হ্যাকার ভালো এবং খারাপ দুটোই কাজ করেন, তাদের বলা হয় “Grey hat hacker“.
Types of hackers in Bangla
- White hat hacker
- Black hat hacker
- Grey hat hacker
- Other types of hackers
চলুন, নিচে আমরা হ্যাকার দের বিভিন্ন প্রকার গুলোকে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
White hat hacker
White hat hacker দের ভালো hacker এর তালিকাতে ধরা হয়।
এদের, advanced computer security experts বা ethical hacker বলেও বলতে পারি।
এই ধরণের হ্যাকাররা সম্পূর্ণ অনুমতি নিয়ে কাজ করেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে,
বিভিন্ন company গুলোর system security কতটা মজবুত এবং সেগুলোকে কিভাবে চিরকাল মজবুত করে রাখা যাবে, সেগুলো দেখা white hate hacker দের কাজ।
White hat hacker দের কাজ হলো system এর দুর্বলতা গুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলোকে এমন ভাবে ফিক্স (fix) করা, যাতে কোনো খারাপ hacker এই সুযোগের লাভ না নিতে পারে।
খারাপ hacker দের থেকে একটি computer system, device বা network গুলোকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে, এই white hat hacker রা কাজ করেন।
Black hat hacker
Black hat hacker দের আমরা “ক্র্যাকার (crackers)” বলেও বলতে পারি।
এই ধরণের হ্যাকার, নিজের programming ও computer skills গুলো ব্যবহার করে, বিভিন্ন রকমের অবৈধ (illegal) কাজ গুলো করে।
যেমন,
অন্যের অনুমতি ছাড়া তাদের computer system গুলোতে প্রবেশ করা, data ও information চুরি করা, অবৈধ ভাবে data ও information গুলো নষ্ট করা, account hacking এবং online phishing ইত্যাদি।
এরা, আপনার অনুমতি ছাড়া আপনার computer system এ প্রবেশ করে, সেখানে থাকা বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য যেমন, fund transaction details, bank account details, account passwords ইত্যাদি চুরি করে নিতে পারে।
এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কেবল নিজের লাভের উদ্দেশ্যে এই ধরণের black hat hacking এর প্রক্রিয়া গুলো করেন।
এই ধরণের হ্যাকার দের থেকে প্রত্যেকের বেঁচে থাকাটা জরুরি।
Gray hat hacker
Gray hat hacker নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন।
কিছু সংখক লোকেরা বলে যে,
Gray hat hacker রা এমন এক ধরণের কম্পিউটার হ্যাকার বা সিকিউরিটি এক্সপার্ট যারা মূলত “white hat hacker” এবং “black hat hacker” এর মিশ্রণ।
এদের মধ্যে কিছু সংখকরা ভালো কাজের উদ্দেশ্যে হ্যাকিং করে আবার কিছু সংখকরা খারাপ কাজের উদ্দেশ্যে অবৈধ মাধ্যমে হ্যাকিং করেন।
আবার এভাবেও বলা যেতে পারে,
Gray hat hacker আসলে সেই computer hacker গুলোকে বলা হয়, যারা হ্যাকিং এর শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে হ্যাকিং করেন।
এদের মূল উদ্দেশ্য, লোকেদের কম্পিউটার হ্যাক করে তাদের data ও information গুলোকে চুরি করা বা নষ্ট করা নয়।
Gray hat hacker রা কেবল তাদের hacking skills এবং knowledge এর practice করার ক্ষেত্রে, হ্যাকিং করেন।
তবে, তাদের উদ্দেশ্য খারাপ না থাকলেও, অবৈধ মাধ্যমেই কিন্তু অন্যের কম্পিউটার সিস্টেম গুলোতে প্রবেশ করেন।
তাই, এই ধরণের হ্যাকার দের white hat hacker বলা যেতে পারবেনা।
তাছাড়া, এই ধরণের হ্যাকার দের black hat hacker এই কারণে বলা হয়না কারণ,
“Gray hat hacker দের উদ্দেশ্য হলো, নিজের মধ্যে থাকা হ্যাকিং এর দক্ষতা (skills) ও হ্যাকিং এর শিক্ষা গুলোর চর্চা (practice) করা”.
এর বিপরীতে, black hat hacker দের উদ্দেশ্য হলো নিজের লাভের ক্ষেত্রে অবৈধ মাধ্যমে হ্যাকিং করা ও অন্যের ক্ষতি সাধন করা।
Other types of hackers
হ্যাকার দের বিভিন্ন প্রকার গুলো মূলত ওপরে বলা ৩ টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
তবে, hacking এর আলাদা আলাদা প্রক্রিয়া গুলোর ওপরেও নির্ভর করে হ্যাকার দের আরো কিছু অন্যান্য ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
যেমন,
- Red hat hackers
- Blue hat hackers
- Elite hackers
- Script kiddie
- Neophyte
- Hacktivist
চলুন, এই ধরণের কিছু অন্যান্য হ্যাকার গুলোর বিষয়েও অল্প জেনেনেই।
Red hat hackers
Red hat hacker আসলে এমন এক ধরণের কম্পিউটার হ্যাকার যাদের উদ্দেশ্য হলো black hat hacker দের খুঁজে তাদের প্রক্রিয়ার গুলোকে বাধা দেওয়া ও নষ্ট করা।
এই ধরণের হ্যাকাররা, খারাপ black hat hacker দের হ্যাকিং প্রক্রিয়ার ওপরেই আবার হ্যাক করেন এবং তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
Blue hat hackers
Blue hat hacker রা এমন কিছু হ্যাকার এর তালিকাতে পরেন, যারা নিজের জন্য কাজ করেন।
মানে, এই ধরণের হ্যাকাররা বিশেষ করে কোনো company বা organization এর হয়ে কাজ করেননা।
তবে, বিভিন্ন network security, applications বা software ইত্যাদির বিষয়ে এদের সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে।
বিভিন্ন কোম্পানিরা, এই ধরণের blue hat hacker দের মাধ্যমে, নিজেদের software, application বা product গুলোর মধ্যে থাকা loopholes গুলোকে খুঁজে বের করেন।
এবং, এই কাজের বিপরীতে blue hat hackers দের প্রচুর টাকা অবশই দেওয়া হয়।
Elite hackers
আসলে, হ্যাকার সম্প্রদায় (hacker community) মধ্যে প্রত্যেকের একটি সামাজিক মর্যদা অবশই রয়েছে।
এবং, elite hackers হলো হ্যাকার সম্প্রদায় এর এমন এক social status যেটা কেবল কিছু বেছে নেওয়া expert hackers দের প্রদান করা হয়।
এই ধরণের সামাজিক স্টেটাস থাকা হ্যাকার দের নিজের কাজে অসাধারণ অনুভব, জ্ঞান ও দক্ষতা থাকে।
এক কথায় বললে, elite hackers হলো hacking এর জগতের experts.
Script kiddie
Script kiddie হলো এমন কিছু hackers যারা নতুন (newbie) এবং হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে কোনো ধরণের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থাকেনা।
এই ধরণের নতুন হ্যাকাররা কোনো ধরণের বিশেষ ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা রাখেননা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে,
এই হ্যাকাররা নানান “automated tools“, “downloaded hacking software” বা “scripts” এর মাধ্যমে কিছু সংখক ওয়েবসাইট গুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেন।
Hacking tools, scripts বা software গুলো অন্যের দ্বারা তৈরি করা বা লিখা থাকে।
এই ধরেন script kiddie গুলো কেবল এই software বা tools গুলো ব্যবহার করেই হ্যাকিং করার চেষ্টা করে।
Neophyte
এই হ্যাকার গুলোকে “noob“, “niwbie” বা “green hat hacker” বলেও বলা হয়।
এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন এবং হ্যাকিং নিয়ে কোনো জ্ঞান এদের থাকেনা।
তবে, এই হ্যাকাররা নতুন করে হ্যাকিং শেখার প্রচুর ইচ্ছুক থাকেন এবং বিভিন্ন tutorial এর মাধ্যমে হ্যাকিং শেখার চেষ্টা করেন।
Hacktivist
এই ধরণের হ্যাকাররা অবৈধ ভাবে একটি computer system বা computer network এ প্রবেশ করে কম্পিউটারের অপব্যবহার করেন কিছু সামাজিক (socially) বা রাজনৈতিক (political) কারণের ক্ষেত্রে।
ইথিক্যাল হ্যাকিং (ethical hacking) কি ?
ওপরে আপনারা হ্যাকিং এবং হ্যাকার দের বিভিন্ন প্রকার গুলোর বিষয়ে জেনে নিলেন।
এখন, যদি কথা বলি ইথিক্যাল হ্যাকিং এর, তাহলে জেনেনিন,
Ethical hacking সম্পূর্ণ legal এবং যেকোনো কোম্পানির system security গুলোকে অধিক secure করার উদ্দেশ্যে Ethical hacker রা কাজ করে।
ইথিক্যাল হ্যাকিং এর ক্ষেত্রেও কিন্তু হ্যাকার দের হ্যাকিং নিয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান অবশই থাকে।
তবে, এই ক্ষেত্রে হ্যাকাররা নিজের হ্যাকিং এর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা গুলোকে, ভালো কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন।
ইথিক্যাল হ্যাকাররা “system security expert” হিসেবে কাজ করেন।
যাতে, ভবিষ্যতে কোনো black hat hacker রা system গুলোকে হ্যাক করতে না পারে।
উদাহরণ স্বরূপে,
বর্তমান সময়ে নানান কোম্পানি গুলোর কম্পিউটার সিস্টেম বা সার্ভার হ্যাক হওয়ার সুযোগ প্রচুর থাকে।
তাই, এই ইথিক্যাল হ্যাকার দের মাধ্যমে company র system গুলোতে কি কি দুর্বলতা (weakness) রয়েছে বা কি কি কারণে খারাপ হ্যাকাররা সিস্টেম টিকে হ্যাক করতে পারবে, সেই সব বিষয়ে খুঁজে বের করা হয়।
এবং, ethical hacker দের hacking skills এবং programming knowledge এর মাধ্যমে, সেই দুর্বলতা গুলোর সমাধান বের করা হয়।
এর ফলে, কোনো ধরণের খারাপ হ্যাকাররা সেই system টিকে hack করতে অসফল হয়ে থাকে।
Ethical hacking জেকেও শিখতে পারেন এবং এতে ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করাটাও সম্ভব।
কোম্পানিরা নিজেদের system এবং system এ থাকা বিভিন্ন corporate data ও information গুলোকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে, এই ইথিক্যাল হ্যাকার দের কাজ দেন।
তাহলে সহজ ভাবে যদি বলা হয়,
Ethical hacker হলো এমন এক ধরণের হ্যাকার, যারা অনুমতি নিয়ে কিছু নিয়ম মেনে একটি computer system বা network এর সুরক্ষার ক্ষেত্রে hacking করেন।
যাতে, খারাপ হ্যাকার গুলো সেই সিস্টেম গুলোকে হ্যাক করতে না পারে।
তাহলে বুঝলেন তো, “ইথিক্যাল হ্যাকার কি” (What is ethical hacking in Bangla) বা “ইথিক্যাল হ্যাকিং কাকে বলে“.
Ethical hacking এর লাভ ও উপকারিতা গুলো কি কি ?
ওপরে ইথিক্যাল হ্যাকিং কি, বিষয়টি জেনে নেওয়ার পর হয়তো আপনারা ইথিক্যাল হ্যাকিং এর লাভ ও উপকারিতা গুলোর বিষয়ে কিছু হলেও অবশই বুঝেছেন।
চলুন, নিচে আমরা ইথিক্যাল হ্যাকিং এর বিশেষ উপকারিতা গুলো এক এক করে জেনেনেই।
Advantages of ethical hacking
- বিভিন্ন খারাপ হ্যাকিং প্রক্রিয়া গুলোকে বাধা দিতে পারবেন।
- যেকোনো computer system বা network এর দুর্বলতা গুলো খুঁজে বের করা যাবে।
- Computer গুলোকে malicious hacker দের থেকে সুরক্ষা প্রদান করা সম্ভব।
- এমন এক হ্যাকিং এর প্রক্রিয়া যেটা সম্পূর্ণ legal এবং জেকেও এই হ্যাকিং শিখতে পারেন।
- হারিয়ে ফেলা তথ্য ও পাসওয়ার্ড গুলো এর মাধ্যমে রিকভার করা সম্ভব।
- একটি organization বা company কে, cyber attack থেকে সুরক্ষা প্রদান করা।
তাহলে, এগুলো ছিল ইথিক্যাল হ্যাকিং এর কিছু উপকারিতা ও লাভ।
ইথিক্যাল হ্যাকিং এর অপকারিতা গুলো কি কি ?
এমনিতে ইথিক্যাল হ্যাকিং এর লাভ ও উপকারিতা প্রচুর।
তবে, কিছু হলেও এর অপকারিতা গুলোকে কিন্তু ইগনোর (ignore) করা যাবেনা।
তাই চলুন, ইথিক্যাল হ্যাকিং এর অপকারিতা গুলো কি, সেগুলো জেনেনেই।
Disadvantages of ethical hacking
- Ethical hacker দের পয়সার লোভ দেখিয়ে খারাপ কাজ করানো চেষ্টা করা সুযোগ থাকে।
- Security প্রদানের ক্ষেত্রে, ইথিক্যাল হ্যাকাররা company বা organization এর গোপনীয় তথ্য বা financial details জেনে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
- বিভিন্ন ক্ষেত্রে, privacy violations হওয়ার সুযোগ থাকে।
- প্রক্রিয়া গুলো সঠিক ভাবে না করলে, computer system বা network গুলোর ক্ষতি হতে পারে।
তাহলে, এগুলো ছিল ইথিক্যাল হ্যাকিং এর কিছু অপকারিতা (disadvantages).
Ethical hacking কেন করা হয় ?
ইথিক্যাল হ্যাকিং কেন করা হয়, এই প্রশ্নের উত্তর অনেক ধরণের হতে পারে।
মানে, প্রত্যেকের কিছু আলাদা আলাদা উদ্দেশ্য থাকতে পারে ইথিক্যাল হ্যাকিং শিক্ষার।
যেমন,
- Hacking এ নিজের professional career তৈরি করার উদ্দেশ্যে।
- লোকেদের নিজের hacking skills দেখানোর জন্য।
- একজন cyber security expert হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে।
- নিজের শখের জন্য।
কিভাবে ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখবেন ? শেখার উপায় কি ?
ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার জন্য এখন থেকেই এর বিষয়ে থাকা প্রত্যেকটি basic information সংগ্রহ করুন।
এবং, হ্যাকিং শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য নানান ধরণের বই (books) আপনারা অবশই পেয়ে যাবেন।
হে, হ্যাকিং এর বই গুলো পড়ে আপনারা হয়তো advance hacking এর skills গুলো শিখতে পারবেননা।
তবে, প্রথম অবস্থায় হ্যাকিং এর সাথে জড়িত সাধারণ জ্ঞান গুলো অবশই পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া, ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার আগেই, computer programming এবং network security নিয়ে সাধারণ জ্ঞান অবশই আপনার থাকতে হবে।
এবং, এই প্রত্যেক বিষয়ে আপনারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিখে নিতে পারবেন।
হ্যাকার হওয়ার জন্য কোন কোন দক্ষতার (skills) প্রয়োজন ?
হ্যাকিং শেখার জন্য আপনার তেমন আলাদা ভাবে কিছু শিখতে হয়না।
তবে, এর সাথে জড়িত কিছু বিশেষ বিষয়ের জ্ঞান ও দক্ষতা অবশই থাকতে হবে।
দেখুন, hacking হোক বা যেকোনো অন্য কোনো বিষয়, যেকোনো জিনিস খেলার উদ্দেশ্যে আপনার “dedication” এবং “interest” দিয়ে কাজ করতে হবে।
কারণ, যেকোনো অন্য কোর্স মতোই, এক দিনেই হ্যাকিং শেখাটা সম্ভব না।
হ্যাকিং শেখার জন্য, কিছু বিশেষ দক্ষতা (skills) এবং কিছু বিশেষ বিষয়ে জ্ঞান থাকাটা জরুরি।
যেমন,
- Basic computer knowledge
- Basic networking skills
- Coding languages ( python, SQL, C, JavaScript )
- Linux skills
- Virtualization ( VirtualBox )
- Wireless technologies
- Scripting
- Database skills
- Web application
- Advanced TCP/IP
এগুলো হলো কিছু সাধারণ skills যেগুলো আপনার জানা থাকতে হবে, যদি আপনি একজন হ্যাকার হতে চাচ্ছেন।
তবে, এছাড়াও আপনাদের আরো অনেক কিছু বিষয়ে “skills” এবং “knowledge” থাকতে হবে।
How to learn hacking from beginning in Bangla ?
যদি আপনি একজন ভালো ইথিক্যাল হ্যাকার হতে চাচ্ছেন, তাহলে নিচে দেওয়া স্টেপ গুলো ফলো করুন।
আপনি স্টেপ গুলো ফলো করলে, বেসিক ইথিক্যাল হ্যাকিং এর কোর্স সহজেই করে নিতে পারবেন।
Step ১. বেসিক থেকে শুরু করুন
যখন আপনি নতুন থাকবেন এবং হ্যাকিং এর বিষয়ে আপনার কোনো জ্ঞান থাকছেনা, তখন basic থেকে শুরু করুন।
সোজা ভাবে হ্যাকিং শেখার বদলে, কিছু basic subject যেমন,
- security network
- virus
- ports
- Firewall
- Network protocols (IP address, HTTP, FTP, DNS, SMTP)
এগুলোর ওপরে research করাটা অনেক জরুরি।
Hacking এর ক্ষেত্রে, Linux OS নিয়ে জ্ঞান থাকাটা অনেক বেশি জরুরি।
তাই, এই বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান নেওয়ার চেষ্টা করুন।
একবার যদি আপনি basic fundamentals গুলো ভালো করে জেনে ও শিখে নিতে পারেন, তাহলে হ্যাকিং এর অ্যাডভান্স কোর্স গুলো সহজেই করে নিতে পারবেন।
Step ২. হ্যাকিং শেখার জন্য একটি ভালো মাধ্যম বাছুন
হ্যাকিং শেখার জন্য একটি ভালো মাধ্যম (source) এর প্রয়োজন অবশই হয়।
তবে, এই ক্ষেত্রে আপনারা একটি ভালো institution থেকে “professional ethical hacking” কোর্স অবশই নিয়ে নিতে পারবেন।
এমনিতে, যদি আপনারা কোনো institution থেকে hacking এর কোর্স করতে না চান, তাহলে আপনার কাছে কিছু অন্যান্য অপসন অবশই থেকে যাচ্ছে।
যেমন,
- Books
- YouTube
- Udemy (not free)
এরকম অনেক books রয়েছে, যেগুলো পড়ে আপনারা ethical hacking শিখতে পারবেন।
তাছাড়া, আমরা সবাই জানি “YouTube” হলো জ্ঞান এর ভান্ডার।
YouTube এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রীতে অনেক ভালো ভালো ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স অবশই পেয়ে যাবেন।
শেষে, Udemy হলো এমন এক platform যেখানে গিয়ে আমরা যেকোনো বিষয়ে professional course পেয়ে যেতে পারি।
হে, কিছু সামান্য পরিমানের টাকা অবশই দিতে হবে।
যেমন, ৪০০ বা ৫০০ টাকা।
কিন্তু, সেই ৪০০ বা ৫০০ টাকার বিপরীতে আমরা যেকোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ professional lessons বা course পেয়ে যাই।
Ethical Hacking এর বিষয়ে সম্পূর্ণ A to Z জ্ঞান নিয়ে নেওয়ার জন্য “udemy” তে গিয়ে একবার দেখুন।
হ্যাকিং এর সাথে জড়িত কিছু জরুরি শব্দ
এখন আমরা জানবো, ইথিক্যাল হ্যাকিং এর সাথে জড়িত কিছু বিশেষ terms গুলোর বিষয়ে।
এই terms গুলো hacking এর ক্ষেত্রে প্রচুর ব্যবহার করা হয় এবং প্রত্যেক নতুন হ্যাকার বা হ্যাকিং এর বিষয়ে রুচি রাখা ব্যক্তিরা এই বিষয়ে জেনে রাখাটা জরুরি।
- Adware – এটা হলো এমন এক ধরণের software, যার মাধ্যমে আগের থেকেই নির্ধারিত কিছু বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট (ad script) কম্পিউটার system গুলোতে ছড়ানো হয়। এতে, কম্পিউটার স্ক্রিনে জোর করে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
- Backdoor – একটি computer device বা software এর মধ্যে এমন কিছু প্রবেশ এর মাধ্যম যেগুলো লুকিয়ে থাকে এবং login security থাকার সত্ত্বেও সেটাকে bypass করতে সাহায্য করে।
- Bot – বোট (bot) মানে হলো এমন কিছু “automated program” যেগুলোকে নিজে নিজে কাজ করার জন্য program করা হয়। মানুষের থেকে অধিক তাড়াতাড়ি কাজ করে এই বোট (bot) গুলো।
- Brute force attack – এই ক্ষেত্রে কিছু automated program বা software ব্যবহার করে একটি website বা system এর মধ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। মুখ রূপে, এই brute force attack এর মাধ্যমে system এর password এর অনুমান করে password crack করার চেষ্টা করা হয়।
- Crackers – একজন cracker তাকে বলা হয়, যে অবৈধ ভাবে একটি কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে। তাছাড়া, অন্য ভাবে বললে এরা স্বইচ্ছায় computer security গুলোকে ভঙ্গ করেন।
- Daniel of services attack (DoS) – এটা হলো এক ধরণের “cyber attack” যার ব্যবহার করে একটি computer system network বা server এর resources গুলোকে কিছু সময়ের জন্য unavailable করে দেওয়া হয়।
- Firewall – Firewall হলো একটু network security system যেটা প্রত্যেক incoming এবং outgoing network traffic এর ওপরে নজর রাখে। এখানে সেট করা firewall rules গুলোর ওপরে নির্ভর করে data packets গুলোকে block বা allow করে।
- Malware – ম্যালওয়্যার হলো এমন এক ধরণের সফটওয়্যার যেটাকে তৈরি করা হয় একটি computer, server, client, বা computer network কে ক্ষতি প্রদান করার উদ্দেশ্যে।
- Phishing – এই phishing attack এর মাধ্যমে, user এর personal data, confidential information, username, password, debit / credit card details ইত্যাদি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। Phishing attacker রা আপনাকে একজন ভালো legitimate individual হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। তবে, তাদের কাজ হলো ভালো দেখিয়ে আপনার থেকে তথ্য গ্রহণ করা।
- Rootkit – Rootkit হলো এমন কিছু malicious software, যেগুলোকে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে security software গুলো এগুলোকে খুঁজে বের করতে না পারে আর rootkit গুলো নিজের কাজ করতে থাকে।
- Spyware – spyware হলো এক ধরণের malware software যার মূল উদ্দেশ্য হলো একজন person বা organization এর personal information গুলোকে সংগ্রহ করা। Target হওয়া system এর owner এই বিষয়ে বুঝতেই পারেনা বা এই বিষয়ে তাদের কোনো রকমের জ্ঞান থাকেনা।
আজকে আমরা কি শিখলাম ?
বন্ধুরা, আজকে আমরা হ্যাকিং কি ? (What is hacking in Bangla), ইথিক্যাল হ্যাকিং কাকে বলে ? (what is ethical hacking in Bangla), হ্যাকিং এর প্রকার (types of hacking), হ্যাকার এর বিভিন্ন প্রকার গুলো কি ?, “হ্যাকিং কিভাবে শিখব” এবং hacking নিয়ে আরো অনেক তথ্য আমরা জানলাম।
আমি আশা করছি, hacking নিয়ে আপনার মনে থাকা প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পেরেছি।
শেষে এটাই বলবো, যদি আপনি হ্যাকিং নিয়ে ক্যারিয়ার তৈরি করতে চাচ্ছেন, তাহলে ইথিক্যাল হ্যাকিং এর কোর্স করুন।
কেননা, বর্তমান সময়ে ethical hacking জানা hacker দের চাহিদা প্রচুর ও চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
আমার সব সময় এটাই চেষ্টা থাকে, আমি যাতে আপনাদের সম্পূর্ণ কাজের তথ্য প্রদান করতে পারি।
তাই, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের সমস্যা, প্রশ্ন বা মতামত থাকলে, কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।
Hacking নিয়ে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে, শেয়ার (share) অবশই করবেন।